জোনাথন ট্রট

জোনাথন ট্রট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম	ইয়ান জোনাথন লিওনার্ড ট্রট
জন্ম	২২ এপ্রিল ১৯৮১ (বয়স ৪৩); কেপটাউন, কেপ প্রভিন্স, দক্ষিণ আফ্রিকা
ডাকনাম	ট্রটার্স, বুগার, লিওন
উচ্চতা	৬ ফুট ০ ইঞ্চি (১.৮৩ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরন	ডানহাতি
বোলিংয়ের ধরন	ডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকা	শীর্ষ-সারির ব্যাটসম্যান
সম্পর্ক	কেনি জ্যাকসন, টম ডলারি
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল	ইংল্যান্ড;
টেস্ট অভিষেক ; (ক্যাপ ৬৪৫)	২০ আগস্ট ২০০৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট	১ মে ২০১৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই অভিষেক ; (ক্যাপ ২১১)	২৭ আগস্ট ২০০৯ বনাম আয়ারল্যান্ড
শেষ ওডিআই	১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই শার্ট নং	৪
ঘরোয়া দলের তথ্য
২০০০-২০০১	বোল্যান্ড
২০০১-২০০২	ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স
২০০২-বর্তমান	ওয়ারউইকশায়ার (জার্সি নং ৯)
২০০৫-২০০৬	ওতাগো
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
	উৎস: ক্রিকইনফো, ৩০ নভেম্বর ২০১৭

ইয়ান জোনাথন লিওনার্ড ট্রট (ইংরেজি: Ian Jonathan Leonard Trott; জন্ম: ২২ এপ্রিল, ১৯৮১) দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে জন্মগ্রহণকারী ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ও সাবেক টেস্ট ক্রিকেট তারকা। ঘরোয়া ক্রিকেট লীগে তিনি ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষ হয়ে খেলেন। এছাড়াও তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ডেও খেলেছেন। ২০১১ সালে তিনি আইসিসি এবং ইসিবি’র বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা পেয়েছেন ট্রট।^[২]

প্রারম্ভিক জীবন

ইংরেজ বংশোদ্ভূত দক্ষিণ আফ্রিকান পরিবারে কেপটাউনে জন্মগ্রহণ করেন ট্রট। রনডেবোস বয়েজ’ হাই স্কুল এবং স্টেলেনবস বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৯ এ উভয় ধরনের ক্রিকেটেই দক্ষিণ আফ্রিকা দলের পক্ষ হয়ে খেলেছেন তিনি।^[৩] ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সে থাকাকালে দক্ষিণ আফ্রিকার ভবিষ্যতের টেস্ট খেলোয়াড় পল হ্যারিসের সাথে একত্রে খেলেন।^[৪]

এপ্রিল, ২০০৯ সালে ওয়ারউইকশায়্যারের প্রেস অফিসার আবি ডলারি নাম্নী সাবেক ওয়ারউইকশায়ারের অধিনায়ক টম ডলারির নাতনীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে লিলি নাম্নী এক কন্যা সন্তান অক্টোবর, ২০১০ তারিখে ভূমিষ্ঠ হয়।

বৈমাত্রেয় ভাই কেনি জ্যাকসন নেদারল্যান্ডস এবং ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সে খেলছেন।^[৩]

খেলোয়াড়ী জীবন

ট্রট শীর্ষসারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও মাঝে-মধ্যে মিডিয়াম-পেস বোলিং করে থাকেন। ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষ হয়ে দুইটি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেন। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে চমকপ্রদ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করায় ২০০৮-০৯ মৌসুমে ইংল্যান্ড লায়ন্সের সাথে বৈশ্বিক সফরে বের হন। এরপর আগস্ট, ২০০৯ সালে অ্যাশেজের ৫ম টেস্টে অংশ নেন। অভিষেক ঐ টেস্টে শতক গড়ে ১৮তম ইংরেজ ক্রিকেটার হিসেবে রেকর্ড করেন।^[৫] আঠারো মাস পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪র্থ টেস্টে এমসিজিতে অপরাজিত ১৬৮* রান গড়ে ইংল্যান্ডের বিজয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি অ্যাশেজ অক্ষুণ্ন রাখেন। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।^[৬] ২৮ মে, ২০১০ তারিখে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিপক্ষে লর্ডসে নিজস্ব সর্বোচ্চ ২২৬ রান করেন। একই খেলায় তিনি তার প্রথম উইকেট শিকার করেন।^[৭] দ্বি-শতক লাভের পর ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে তিনি মাত্র ৩ রান করেছিলেন। স্পিনারদের সহযোগিতা করতে স্লিপেই তিনি দাঁড়ান।

ক্রমাগত চাপ ও দুঃচিন্তা অনুভূত হওয়ায় নভেম্বর, ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ সফর থেকে দেশে ফিরে আসেন। সাময়িকভাবে সকল স্তরের ক্রিকেট খেলা থেকে বিরত রাখেন নিজেকে। এপ্রিল, ২০১৪ সালে একবার খেলার জগতে ফিরে আসার চেষ্টা চালান। অবশেষে ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সম্পৃক্ত হন।^[৮] কিন্তু সিরিজে তাকে বেশ কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। তিন টেস্টের সিরিজে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন তিন। প্রথম টেস্টে ০, ৪; দ্বিতীয় টেস্টে ৫৯ ও ০ এবং তৃতীয় টেস্টে ০ ও ৯ করেন। সিরিজে তিনি তিনবার শূন্য রানের সন্ধান পান।

অবসর

৪ মে, ২০১৫ তারিখে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।^[৯] তবে কাউন্টি ক্রিকেটে ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে খেলা চালিয়ে যাবার কথা ব্যক্ত করেন।^[১০]

সম্মাননা

অ্যাশেজ বিজয়ী: ২০০৯, ২০১০/১১
অষ্টাদশ ইংরেজ ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট অভিষেকে শতক করেন।
২০১০ সালে লর্ড’সে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠেয় টেস্টের ৮ম উইকেট জুটিতে স্টুয়ার্ট ব্রডের (১৬৯) সাথে ৩৩২ রান করার মাধ্যমে বিশ্বরেকর্ড গড়েন।^[১১]
ভিভ রিচার্ডস এবং কেভিন পিটারসেনের সাথে যৌথভাবে একদিনের আন্তর্জাতিকে ২১ খেলায় দ্রুততম এক হাজার রান করেন।
২০১১ সালে উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন।
২৯ মে, ২০১১ তারিখে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০৩ রান করে ইংরেজ ক্রিকেটার হিসেবে সর্বোচ্চ রান গড়ার নজির সৃষ্টি করেন।
২০১১ সালে ইংল্যান্ডের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পান।
২০১১ সালে আইসিসি’র বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পান।
২৩ মার্চ, ২০১৩ তারিখ পর্যন্ত ছক্কাবিহীন অবস্থায় সর্বাধিক টেস্ট রান করেন।

তথ্যসূত্র

↑ England's latest Ashes batsman ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে, Channel4, Retrieved on 19 August 2009
↑ "Trott named ECB's cricketer of the year"। Cricinfo। ১ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১১।
↑ ^ক ^খ Luke, Will (আগস্ট ২০০৯)। "Player Profile: Jonathan Trott"। CricInfo। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০০৯।
↑ Briggs, Simon (১৬ ডিসেম্বর ২০০৯)। "South Africa v England: Paul Harris aims to put mate Jonathan Trott off his game"। The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১০।
↑ "Records / Test matches / Batting records / Hundred on debut"। Publisher। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১০।
↑ "4th Test: Australia v England at Melbourne, Dec 26–29, 2010"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১০।
↑ "Shahadat takes five as England reach 505"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১০।
↑ "Jonathan Trott: England recall Warwickshire batsman"। BBC Sport (British Broadcasting Corporation)। ১৮ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৫।
↑ "Jonathan Trott: England batsman retires from international cricket"। BBC Sport। ৪ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৫।
↑ McGlashan, Andrew (৪ মে ২০১৫)। "Trott retires from international cricket"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৫।
↑ "Records / Test matches / Partnership records / Highest partnership for the eighth wicket"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১০।

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জোনাথন ট্রট (ইংরেজি)

ক্রিকেটআর্কাইভে জোনাথন ট্রট (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)

[c4-1] England's latest Ashes batsman ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে, Channel4, Retrieved on 19 August 2009

[2] "Trott named ECB's cricketer of the year"। Cricinfo। ১ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১১।

[cricpro-3] ক ^খ Luke, Will (আগস্ট ২০০৯)। "Player Profile: Jonathan Trott"। CricInfo। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০০৯।

[telegraph1-4] Briggs, Simon (১৬ ডিসেম্বর ২০০৯)। "South Africa v England: Paul Harris aims to put mate Jonathan Trott off his game"। The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১০।

[5] "Records / Test matches / Batting records / Hundred on debut"। Publisher। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১০।

[6] "4th Test: Australia v England at Melbourne, Dec 26–29, 2010"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১০।

[7] "Shahadat takes five as England reach 505"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১০।

[ENGSQUAD-8] "Jonathan Trott: England recall Warwickshire batsman"। BBC Sport (British Broadcasting Corporation)। ১৮ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৫।

[9] "Jonathan Trott: England batsman retires from international cricket"। BBC Sport। ৪ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৫।

[10] McGlashan, Andrew (৪ মে ২০১৫)। "Trott retires from international cricket"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৫।

[11] "Records / Test matches / Partnership records / Highest partnership for the eighth wicket"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১০।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]

[৭]

[৮]

[৯]

[১০]

[১১]

দে স আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটার
বর্ষসেরা ক্রিকেটার	২০০৪: দ্রাবিড় ২০০৫: কালিস/ফ্লিনটফ ২০০৬: পন্টিং ২০০৭: পন্টিং ২০০৮: চন্দরপল ২০০৯: জনসন ২০১০: তেন্ডুলকর ২০১১: ট্রট ২০১২: সাঙ্গাকারা ২০১৩: ক্লার্ক ২০১৪: জনসন ২০১৫: স্মিথ
টেস্ট	২০০৪: দ্রাবিড় ২০০৫: ক্যালিস ২০০৬: পন্টিং ২০০৭: ইউসুফ ২০০৮: স্টেইন ২০০৯: গম্ভীর ২০১০: শেওয়াগ ২০১১: কুক ২০১২: সাঙ্গাকারা ২০১৩: ক্লার্ক ২০১৪: জনসন ২০১৫: স্মিথ
ওডিআই	২০০৪: ফ্লিনটল ২০০৫: পিটারসন ২০০৬: হাসি ২০০৭: হেইডেন ২০০৮: ধোনি ২০০৯: ধোনি ২০১০: ডি ভিলিয়ার্স ২০১১: সাঙ্গাকারা ২০১২: কোহলি ২০১৩: সাঙ্গাকারা ২০১৪: ডি ভিলিয়ার্স ২০১৫: ডি ভিলিয়ার্স
টি২০আই	২০০৮: সিং ২০০৯: দিলশান ২০১০: ম্যাককুলাম ২০১১: সাউদি ২০১২: লেভি ২০১৩: গুল ২০১৪: ফিঞ্চ ২০১৫: দু প্লিসিস

দে স ইংল্যান্ড দল – ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ
৪ ট্রট ৫ কলিংউড ৬ রাইট ৭ বেল ৯ অ্যান্ডারসন ১৪ স্ট্রস (অঃ) ১৬ মর্গ্যান ২০ ব্রেসনান ২৩ প্রায়র ৩৩ ট্রেমলেট ৪২ বোপারা ৪৬ ডানবাক ৫৩ ট্রেডওয়েল ৬৬ সোয়ান ৯৫ রশিদ কোচ: ফ্লাওয়ার
ইয়ন মর্গ্যান আঘাতপ্রাপ্তির কারণে দল থেকে বাদ পড়েন; তার পরিবর্তে রবি বোপারা অংশগ্রহণ করেন। কেভিন পিটারসন আঘাত পান ফলে গ্রুপ-পর্বে মর্গ্যান ফিরে আসেন। ক্রিস ট্রিমলেট গ্রুপ-পর্বে স্টুয়ার্ট ব্রডের স্থলাভিষিক্ত হন। কোয়ার্টার ফাইনালে আজমল শাহজাদের আঘাতের কারণে জেড ডানবাক খেলেন। কোয়ার্টার ফাইনালের পূর্বে ব্যক্তিগত কারণে দেশে ফিরে গেলে মাইকেল ইয়ার্দির পরিবর্তে আদিল রশিদ খেলেন।