ছানাপোড়া

ছানাপোড়া (অনু. সেঁকা (বেকড) ছানা) হল ভারতের ওড়িশা রাজ্যের একটি পনির মিষ্টান্ন। ওড়িয়ায় ছানাপোড়ার আক্ষরিক অর্থ বেকড পনির । ^[১] এটি ঘরে তৈরি তাজা পনির ছানা, চিনি, সুজি দিয়ে তৈরি করা হয় এবং এটি বাদামী না হওয়া পর্যন্ত কয়েক ঘন্টা বেক করা হয়। ^[২] ছানাপোড়া ভারতীয় মিষ্টান্নগুলির মধ্যে এমন একটি মিষ্টান্ন হিসাবে পরিচিত যার স্বাদ প্রধানত চিনির ক্যারামেলাইজেশন থেকে প্রাপ্ত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ছানাপোড়ার উৎপত্তি বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে, ওড়িশার দাসপাল্লা গ্রামে। একটি মিষ্টান্ন দোকানের মালিক, সুদর্শন সাহু এক রাতে বেঁচে যাওয়া ছানায় চিনি এবং মশলা যোগ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং উনুনে (ভারতীয় চুলা) রেখে দেন, উনুনটি আগে ব্যবহার করা হয়েছিল এবং তখনও গরম ছিল। পরের দিন, সেখানে একটি চমৎকার মিষ্টি তৈরি হয়ে গেছে দেখে তিনি আনন্দের সঙ্গে বিস্ময় বোধ করেছিলেন।

১১ই এপ্রিল ২০২২ সাল থেকে সুদর্শন সাহুর জন্মবার্ষিকীতে পালিত হচ্ছে ছানাপোড়া দিবস । ^[৩] ^[৪]

প্রস্তুতি[সম্পাদনা]

সাধারণত ওড়িশার ঐতিহ্যবাহী উৎসবের সময় বাড়িতে ছানাপোড়া তৈরি করা হয়, যেমন দুর্গা পূজা। ১৯৮০ এর দশকের মাঝামাঝি থেকে, এটি ধীরে ধীরে ওড়িশা জুড়ে রেস্তোরাঁর খাদ্য তালিকায় তার স্থান খুঁজে পেয়েছে। ওড়িশা মিল্ক ফেডারেশন এই সুস্বাদু খাবারটিকে ব্যাপকভাবে উৎপাদন এবং জনপ্রিয় করার জন্য প্রচুর বিনিয়োগ করছে। প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গের কাছে রসগোল্লা হারানোর পর, ওড়িশা জাতীয় বাজারে তার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি 'ছানাপোড়া'কে জনপ্রিয় করার জন্য তারা একটি প্রচারণা শুরু করেছে। এটি আবার না ঘটতে দেওয়ার জন্য তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ^[৫] ^[৬] ^[৭] ^[৮]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

রসবালি
রসগোল্লা
ছেনা গাজা
খীরসাগর
ছেনা খিরি
ছেনা জলেবি
ভারতীয় মিষ্টি এবং ডেজার্টের তালিকা
ওড়িয়া খাবার
খাদ্য প্রবেশদ্বার

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

↑ Sahu, Deepika (২০১২)। "Discover Odisha's 'sweet' magic"। The Times of India। ৩ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১২। This mouth-watering sweet from Odisha literally means burnt cheese.
↑ "The Sweet Bypass on NH5"। UpperCrust।
↑ Dash, Mrunal Manmay (১২ এপ্রিল ২০২২)। "Chhenapoda Dibasa: This is how Chhenapoda originated and evolved"। Odisha TV। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০২২।
↑ "Go ahead! Celebrate as it is Chhena Poda Dibasa"। KalingaTV। ১১ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০২২।
↑ just-food.com editorial team (আগস্ট ২০০২)। "Orissa invests in marketing traditional confectionery product"। ^{[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]}
↑ Rajaram Satpathy (১৫ আগস্ট ২০০২)। "Sweet wars: Chhenapoda vs rasagolla"। The Times of India। ১৯ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
↑ "Chhena poda"। The Hindu। ১১ এপ্রিল ২০০৯। ৫ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
↑ "Chhena poda"। The Hindu। ১১ এপ্রিল ২০০৯। ৪ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।

টেমপ্লেট:পনিরের খাবার

[1] Sahu, Deepika (২০১২)। "Discover Odisha's 'sweet' magic"। The Times of India। ৩ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১২। This mouth-watering sweet from Odisha literally means burnt cheese.

[2] "The Sweet Bypass on NH5"। UpperCrust।

[3] Dash, Mrunal Manmay (১২ এপ্রিল ২০২২)। "Chhenapoda Dibasa: This is how Chhenapoda originated and evolved"। Odisha TV। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০২২।

[4] "Go ahead! Celebrate as it is Chhena Poda Dibasa"। KalingaTV। ১১ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০২২।

[5] ust-food.com editorial team (আগস্ট ২০০২)। "Orissa invests in marketing traditional confectionery product"। ^{[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]}

[6] Rajaram Satpathy (১৫ আগস্ট ২০০২)। "Sweet wars: Chhenapoda vs rasagolla"। The Times of India। ১৯ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।

[7] "Chhena poda"। The Hindu। ১১ এপ্রিল ২০০৯। ৫ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।

[8] "Chhena poda"। The Hindu। ১১ এপ্রিল ২০০৯। ৪ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]

[৭]

[৮]