ওবেইদ সিদ্দিকী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ওবেইদ সিদ্দিকী
জন্ম৭ জানুয়ারি ১৯৩২ (1932-01-07)
মৃত্যু২৬ জুলাই ২০১৩(2013-07-26) (বয়স ৮১)
মাতৃশিক্ষায়তন
পুরস্কার
পদ্মভূষণ (১৯৮৪)

পদ্মবিভূষণ (২০০৬) এফআরএস (১৯৮৪)

বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রজীববিজ্ঞান
ডক্টরাল উপদেষ্টাগিদো পন্তেকর্ভো
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীভেরোনিকা রড্রিগেজ
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেনহোমি ভাভা

ওবেইদ সিদ্দিকী এফআরএস (৭ জানুয়ারি ১৯৩২ - ২৬ জুলাই ২০১৩) ছিলেন একজন ভারতীয় জাতীয় গবেষণা অধ্যাপক এবং টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ (টিআইএফআর) ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক। তিনি ড্রসোফিলার বংশাণুবিজ্ঞান এবং স্নায়ুবিজ্ঞান ব্যবহার করে আচরণগত নিউরোজেনেটিক্সের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৮৪ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০০৬ সালে পদ্মবিভূষণ লাভ করেন।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

ওবেইদ সিদ্দিকী ১৯৩২ সালে উত্তর প্রদেশের বাস্তি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন যেখানে তিনি এমএসসি সম্পন্ন করেন।[১] তিনি গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে গিদো পন্তেকর্ভো‌র তত্ত্বাবধানে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরি এবং পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তার পোস্ট ডক্টরেট গবেষণা সম্পন্ন করেন।[২] ১৯৬২ সালে বোম্বেতে টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ (টিআইএফআর) এ আণবিক জীববিজ্ঞান ইউনিট স্থাপনের জন্য হোমি ভাভা তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ত্রিশ বছর পর, তিনি ব্যাঙ্গালোরে টিআইএফআর ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস- এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হন, যেখানে তিনি জীবনের শেষ দিনগুলিতে তাঁর গবেষণা চালিয়ে যান।[৩]

গবেষণা[সম্পাদনা]

নিউরোজেনেটিক্সের ক্ষেত্রে সিদ্দিকীর গবেষণা জিন, আচরণ এবং মস্তিষ্কের মধ্যে যোগসূত্র উন্মোচন করেছে। ১৯৭০-এর দশকে, ক্যালটেক-এ সিমুর বেনজার[৪] এর সাথে তার কাজ তাপমাত্রা-সংবেদনশীল প্যারালাইটিক ড্রসোফিলা মিউট্যান্ট এবং স্নায়বিক সংকেত তৈরি ও প্রেরণ আবিষ্কারের দিকে পরিচালিত করে।[৫] এটি নিউরোজেনেটিক্সের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করে।

টিআইএফআর-এ, সিদ্দিকী এবং তার স্নাতক ছাত্রী, ভেরোনিকা রড্রিগেস,[৬] ড্রসোফিলার গন্ধ এবং স্বাদে ত্রুটি সৃষ্টিকারী মিউট্যান্টদের প্রথম সংগ্রহকে আলাদা করে চিহ্নিত করেছেন। নিউরোজেনেটিক্সে সিদ্দিকীর কাজ মস্তিষ্কে স্বাদ এবং গন্ধ কীভাবে শনাক্ত এবং এনকোড করা হয় তা বোঝার ক্ষেত্রে মৌলিক অগ্রগতি সাধন করেছে।

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

উত্তরকথা[সম্পাদনা]

সিদ্দিকী ২৬ জুলাই ২০১৩ তারিখে বেঙ্গালুরুতে মারা যান। ২১ জুলাই ২০১৩-এ একটি বিধ্বংসী সড়ক দুর্ঘটনার ফলে তার মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়। তিনি স্ত্রী আসিয়া, ছেলে ইমরান ও কলিম এবং মেয়ে ইউমনা ও দিবাকে রেখে গেছেন।[৯]

নির্বাচিত প্রকাশনা[সম্পাদনা]

 

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "SCIENTIST AND INTELLECTUAL - Obaid Siddiqi and his larger family"www.telegraphindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৫ 
  2. "Catalyst of a Culture of Creativity | NCBS news" 
  3. "Prof. Obaid Siddiqi"। ১১ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১২ 
  4. Tanouye, Mark A. (ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "Seymour Benzer 1921–2007": 121। ডিওআই:10.1038/ng0208-121পিএমআইডি 18227864পিএমসি 2655269অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  5. "Obaid Siddiqi | the Best of Indian Science"। ২ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩ 
  6. "Veronica Rodrigues 1953-2010 | NCBS news" 
  7. "Indian Fellow"। ১৩ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১২ 
  8. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ১৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২১, ২০১৫ 
  9. "Acclaimed scientist Obaid Siddiqi no more"The Hindu। Bangalore। ২৭ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:PadmaBhushanAwardRecipients 1980–89টেমপ্লেট:SSBPST recipients in Biological Science