হবিবপুর রেলওয়ে স্টেশন
যাত্রীবাহী ট্রেন স্টেশন | |||||||||||
অবস্থান | হবিবপুর, নদিয়া, পশ্চিমবঙ্গ ভারত | ||||||||||
স্থানাঙ্ক | ২৩°০৭′২৭″ উত্তর ৮৮°১৯′১৮″ পূর্ব / ২৩.১২৪৩° উত্তর ৮৮.৩২১৮° পূর্ব | ||||||||||
উচ্চতা | ১৮ মি (৫৯ ফু) | ||||||||||
মালিকানাধীন | ভারতীয় রেল | ||||||||||
পরিচালিত | পূর্ব রেল | ||||||||||
লাইন | রানাঘাট – শান্তিপুর লাইন | ||||||||||
প্ল্যাটফর্ম | ২ | ||||||||||
রেলপথ | ২ | ||||||||||
নির্মাণ | |||||||||||
গঠনের ধরন | ভূমিগত স্টেশন | ||||||||||
পার্কিং | নেই | ||||||||||
সাইকেলের সুবিধা | নেই | ||||||||||
প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকার | নেই | ||||||||||
অন্য তথ্য | |||||||||||
অবস্থা | সক্রিয় | ||||||||||
স্টেশন কোড | এইচবিই | ||||||||||
অঞ্চল | পূর্ব রেল | ||||||||||
বিভাগ | শিয়ালদহ | ||||||||||
বৈদ্যুতীকরণ | ১৯৬৩-৬৪ | ||||||||||
পরিষেবা | |||||||||||
| |||||||||||
অবস্থান | |||||||||||
হবিবপুর রেলওয়ে স্টেশন পূর্ব রেলওয়ে অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের রানাঘাট কৃষ্ণনগর রেলপথের একটি রেলওয়ে স্টেশন। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলায় মহিষ্যা পাড়া, রাঘবপুর, হাবিবপুরে অবস্থিত।[১][২] এই স্টেশনটি স্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছাড়া রানাঘাট I এবং হাবিবপুর রেল পরিষেবা প্রদান করে থাকে।[১]
অবস্থান
[সম্পাদনা]হবিবপুর রেলওয়ে স্টেশন নদীয়া জেলায়মহিষ্যা পাড়া, রাঘবপুর, হাবিবপুরে অবস্থিত।[১][২] এই স্টেশন থেকে পরবর্তী স্টেশন হল - ফুলিয়া রেলওয়ে স্টেশন এবং পূর্ববর্তী স্টেশন হল কালীনারায়ণপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশন।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৮৬২ সালে শিয়ালদহ থেকে রানাঘাট পর্যন্ত পূর্ববঙ্গ রেলপথের মূল লাইনটি নির্মাণ করা হয়েছিল এবং দুই মাসের মধ্যে বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় প্রসারিত হয়। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে রয়েছে এই লাইনের কিছু অংশ। এই রেলপথের ভারতীয় অংশের শিয়ালদহ এবং রানাঘাট স্টেশনের মধ্যে যাত্রী রেল পরিষেবা চালু রয়েছে। একই বছর শিয়ালদহে রেলওয়ের কলকাতা টার্মিনাস চালু করা হয়েছিল। শিয়ালদহ-রানাঘাট-গেদে লাইন ছিল কলকাতা-শিলিগুড়ি মেইন লাইনের অংশ। ১৯৪৭ সালে, দেশ (ভারত) ভাগের পরে, মূল লাইনটি ভাগ হয়ে যায় এবং পশ্চিমবঙ্গে যা থেকে যায় তা গেদে শাখার লাইন হিসাবে গঠন করা হয়েছিল।[৩][৩][৪]
১৯০৫ সালে রানাঘাট-লালগোলা শাখা লাইন (বর্তমানে কখনও মেন লাইন নামে পরিচিত) চালু করা হয়েছিল।[৫]
রেলপথ
[সম্পাদনা]হবিবপুর রেলওয়ে স্টেশনটি নদীয়া জেলার ও উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার মধ্যে বিস্তৃত শিয়ালদহ কৃষ্ণনগর সিটি জংশন রেলপথের মধ্যে অবস্থিত। রানাঘাট - কৃষ্ণনগর সিটি জংশন - লালগোলা বিভাগে দুটি লাইন রয়েছে। কৃষ্ণনগর সিটি জন থেকে তৃতীয় লাইনের জন্য সমীক্ষা শেষ হয়েছে এবং নৈহাটি থেকে রানাঘাটের মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। শিয়ালদহ থেকে ইএমইউ কোচকে শান্তিপুর পর্যন্ত চালুর অনুমতি দেওয়ার জন্য কালীনারায়ণপুর-শান্তিপুর বিভাগটি ব্রডগেজে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
পরিকাঠাম
[সম্পাদনা]স্টেশনটির পরিকাঠাম ভূমিগত। এই স্টেশনে ২ টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। হবিবপুর রেলওয়ে স্টেশন ২ টি রেললাইন বা রেলট্র্যাক রয়েছে। স্টেশনে স্টেশন পরিচালনার জন্য ভবন ও স্টেশন মাষ্টারে ভবন ১ নং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেই অবস্থিত। যাত্রীদের রেল ভ্রমণের জন্য টিকিট স্টেশনের টিকিট ঘর থেকে প্রদান করা হয়। স্টেশনে যাত্রী সুবিধার জন্য বসার আসন, প্ল্যাটফর্ম ছাউনি, পানীয় জল এর ব্যবস্থা রয়েছে। স্টেশনে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা নেই।
হবিবপুর রেলওয়ে স্টেশন ব্যাগ বা যাত্রীদের দ্বারা বহন করা জিনিসপত্রের পরীক্ষায় ব্যবস্থা নেই।
বৈদ্যুতীকরণ
[সম্পাদনা]১৯৬৩-৬৪ সালে হবিবপুর রেলওয়ে স্টেশনের বৈদ্যুতিক একাধিক পরিবহন ইএমইউ পরিষেবার জন্য বৈদ্যুতীকরণ করা হয়েছিল।[৬][৭] তারপর থেকে স্টেশনটির রেলপথে বৈদ্যুতীক ট্রেন চলাচল করে।
রেল পরিষেবা
[সম্পাদনা]এই স্টেশনটি স্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় রেল পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এই স্টেশনের দ্বারা শিয়ালদহ এবং রানাঘাট, কৃষ্ণনগর, বেরহামপুর ও লালগোলাগামী ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন এই স্টেশনে কলকাতা শহরতলি রেলের লোকাল ট্রেনগুলি ট্রেন যাত্রী পরিষেবা প্রদান করে থাকে।
প্রশাসন ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]হবিবপুর রেলওয়ে স্টেশনটি ভারতীয় রেলের পূর্ব রেল অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের অন্তর্গত। স্টেশন পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব স্টেশনের প্রধান "স্টেশন মাষ্টার" - এর উপর ন্যস্ত। এছাড়া স্টেশনের নিরাপত্তার জন্য অস্থায়ী ভাবে ভ্রাম্যমাণ জিআরপি কর্মী নিযুক্ত রয়েছে এবং স্টেশন চত্বর ও সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন প্রদান করে থাকে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "HABIBPUR (HBE) Railway Station"। ndtv.com। সংগ্রহের তারিখ মে ৫, ২০১৯।
- ↑ ক খ "HBE/Habibpur"। সংগ্রহের তারিখ মে ৫, ২০১৯।
- ↑ ক খ "The Chronology of Railway development in Eastern Indian"। railindia। ২০১২-০৮-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১০।
- ↑ J.H.E.Garrett। "Nadia, Bengal District Gazetteers (1910)"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১০।
- ↑ L.S.S.O’Malley। "Murshidabad District (1914)"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১০।
- ↑ "BRIEF STATUS OF SECTIONS PLANNED FOR COMMISSIONING" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ মে ৫, ২০১৯।
- ↑ "History of Electrification"। সংগ্রহের তারিখ মে ১২, ২০১৯।