সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ
সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ (ঢাকা, ২০১৭)
জন্ম
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয় (১৯৪২-১৯৪৭)
পাকিস্তানি (১৯৪৭-১৯৭১)
বাংলাদেশি (১৯৭১-)
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
শিক্ষাবি.এফ.এ. (চারুকলা), এম.এফ.এ. (চারুকলা)
মাতৃশিক্ষায়তনচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাভাস্কর,[১] চিত্রশিল্পী, অধ্যাপক
উল্লেখযোগ্য কর্ম
অপরাজেয় বাংলা
পুরস্কারএকুশে পদক (২০১৭)[২]
সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদের ভাস্কর্য অপরাজেয় বাংলাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থিত।
সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদের নকশায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ ছিলেন বাংলাদেশের একজন স্বনামখ্যাত ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত অপরাজেয় বাংলা স্থাপনার ভাস্কর হিসেবে বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ।[৩] শিল্পকলা ও ভাস্কর্যে গৌরবজনক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০১৪ সালে শিল্পকলা পদক এবং ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একুশে পদকে ভূষিত হন।[৪]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

আব্দুল্লাহ খালিদ বাংলাদেশের সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তান কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড ক্রাফ্‌টস (বর্তমান চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে চিত্রাঙ্কন বিষয়ে স্নাতক এবং পরে ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিত্রাঙ্কন ও ভাস্কর্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[৫]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

আব্দুল্লাহ খালিদ তার কর্মজীবন শুরু করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য বিভাগে শিক্ষকতা দিয়ে। ১৯৭২ সালে সেখানকার প্রভাষক থাকাকালীন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর উদ্যোগে কলা ভবনের সামনে নির্মিতব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মারক অপরাজেয় বাংলার নির্মাণের দায়িত্ব পান।[৬] তিনি ১৯৭৩ সালে ভাস্কর্যটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন[৭] এবং ১৯৭৯ সালে ১৬ ডিসেম্বর নির্মাণ কাজ শেষ করার পর স্থাপনাটির উদ্বোধন করা হয়।[৮] তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশন কেন্দ্রের সামনে অবস্থিত মুরাল আবহমান বাংলা, ১৯৮৯ সালে চাঁদপুর জেলায় অবস্থিত অঙ্গীকার স্মৃতিসৌধ এবং ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান দপ্তরের সামনে অবস্থিত টেরাকোটার ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। এছাড়া তার আরো কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হল অঙ্কুর, ডলফিন এবং মা ও শিশু।[৯]

তিনি ২০১২ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আবদুল্লাহ খালিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ২০১৭ সালের ২০ মে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[১০]

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

  • শিল্পকলায় একুশে পদক, ২০১৭[১১]
  • শিল্পকলায় বাংলা দর্পন সম্মাননা, ২০১৬[১২]
  • শিল্পকলা পদক, ২০১৪[৬]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাসস (২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "একুশে পদক প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী"। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদ সংস্থা)। ২০১৭-০২-২৮ তারিখে মূল (HTML) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৭ 
  2. ইকবাল, দিদারুল (২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "একুশে পদক প্রদান করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী" (HTML)। চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৭ 
  3. আলম, জাহাঙ্গীর (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "STANDING THE TEST OF TIME - In conversation with Syed Abdullah Khalid"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৭ 
  4. "17 named for Ekushey Padak 2017"দ্য ডেইলি স্টার। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৭ 
  5. "Syed Abdullah Khalid"বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৭ 
  6. "Syed Abdullah Khalid: The artist straddling time - The Shilpakala Padak has come to him"অবজারভার। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ২৭ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৭ 
  7. "অপরাজেয় বাংলার আদ্যপান্ত"ডিইউটাইমজ। ২২ আগস্ট ২০১৪। ১৬ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৭ 
  8. হোসেন, তাকির (২৩ মার্চ ২০১২)। "Liberation War in Sculpture - Aparajeyo Bangla at Dhaka University"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৭ 
  9. হোসেন, তাকির (১৬ মার্চ ২০১১)। "Sculpting Icons - Artist Syed Abdullah Khalid makes a comeback after 12 years"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৭ 
  10. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৭ 
  11. "একুশে পদক পেলেন ১৭ বিশিষ্ট নাগরিক"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৭ 
  12. "১১ গুণীজনকে সম্মাননা দিল 'বাংলা দর্পণ'"দৈনিক প্রথম আলো। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৭