সুষমা দাস
সুষমা দাশ | |
---|---|
![]() একুশে পদকপ্রাপ্ত সুষমা দাশ | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৬ মার্চ ২০২৫ সিলেট, বাংলাদেশ | (বয়স ৯৪)
নাগরিকত্ব | ![]() ![]() ![]() |
পেশা | শিল্পচর্চা[১] |
পিতা-মাতা | রসিকলাল দাশ(পিতা) দিব্যময়ী দাশ (মাতা) |
আত্মীয় | পণ্ডিত রামকানাই দাশ (ভাই) |
পুরস্কার | একুশে পদক (২০১৭)[২] |
সুষমা দাশ (১ মে ১৯৩০ - ২৬ মার্চ ২০২৫) ছিলেন একজন বাংলাদেশি লোকসঙ্গীত শিল্পী। তিনি ২০১৭ সালে সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একুশে পদকে ভূষিত হন।[৩][৪]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]বাংলা লোকসংগীতের অন্যতম প্রধান শিল্পী, প্রাচীন লোকগানের চাক্ষুস স্বাক্ষী,সুললিত কন্ঠের অধিকারী একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ লোকসংগীত শিল্পী শ্রীমতি সুষমা দাশ ১৩৩৬ বাংলা মোতাবেক ১৯৩০ খ্রীষ্টাব্দে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার শাল্লা থানার পুটকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা প্রখ্যাত লোককবি রসিকলাল দাশ মাতা সংগীত রচয়িতা দিব্যময়ী দাশ। ছয় ভাই বোনের মধ্যে সুষমা দাশ সবার বড়।তাঁর আপন ছোট ভাই একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত পণ্ডিত রাম কানাই দাশ।
শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]কর্মজীবন
[সম্পাদনা]কর্মজীবনে তিনি যেমন একজন প্রখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী,বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী ঠিক তেমনি সফল গৃহিণী।প্রাচীন লোককবিদের প্রায় ২ হাজারের অধিক গান তাঁর সংগ্রহে আছে তবে তা কোন ডায়রী বা বইয়ে লিপিবদ্ধ না সব গানই মনের ডায়রিতে লিপিবদ্ধ।
রচনা
[সম্পাদনা]তাঁর গাওয়া প্রাচীন ২২৯টি গান, জীবনী, স্বাক্ষাৎকার নিয়ে আজিমুল রাজা চৌধুরী 'সুষমা দাশ ও প্রাচীন লোকগীতি' নামে একটি বই ২০২০ সালের মার্চে প্রকাশ করেন। এটিই তাঁকে এবং তাঁর গান নিয়ে রচিত প্রথম বই। প্রাচীন প্রায় লোকবিদের গান করেছেন সুষমা দাশ। যেমন সৈয়দ শাহনূর, শিতালং ফকির,দ্বীন ভবানন্দ, কালা শাহ, লালন সাই, আরকুম শাহ, হাসন রাজা, রাধা রমন, মদনমোহন, উকিল মুন্সী, জালাল খাঁ, দ্বীনহীন, অধরচান, রামজয় সরকার, শ্যামসুন্দর, দুর্গাপ্রসাদ, রসিক লাল দাশ, কামাল পাশা, দুর্বিন শাহ, শাহ আবদুল করিম, গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
প্রায় ২ হাজারের অধিক লোকগান মুখস্থ সুষমা দাশের। কোন বই বা পান্ডুলিপির সাহায্য ছাড়াই তিনি ৯০ বছর বয়সেও শুদ্ধ বাণীতে গান পরিবেশন করে তাকেন। তিনি নিজেও কয়েকটি গান লিখেছেন তবে সেগুলো সংখ্যায় কম।
তিনি সাধারণত যে ধারার গান গেয়ে তাকেন তা হলো পল্লীগান, কবিগান, লোকগান, হোরিগান, ঘাটুগান, ধামাইল, সূর্যব্রত, পালাগান, কীর্তন, মনসা, গোষ্ঠলীলা, সুবল মিলন, বাউলা, ভাটিয়ালী, পীর মুর্শিদি ইত্যাদি।
ব্যক্তিজীবন
[সম্পাদনা]পারিবারিক জীবনে সুষমা দাস চার ছেলে ও দুই মেয়ের জননী।
পুরস্কার ও সম্মাননা
[সম্পাদনা]সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০১৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন।[১][২] এছাড়া তিনি অসংখ্যা পুরুস্কারে ভূষিত হন
- কলকাতা 'বাউল ফকির উৎসব' সম্মাননা ১৪১৭ বাংলা।
- জেলা শিল্পকলা একাডেমী গুণীজন সম্মাননা ২০১৫
- রাধা রমণ উৎসব সংবর্ধনা ২০১৭
- রবীন্দ্র পদক ২০১৯
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ বাসস (২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "একুশে পদক প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী"। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদ সংস্থা)। ২০১৭-০২-২৮ তারিখে মূল (HTML) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৭।
- ↑ ক খ ইকবাল, দিদারুল (২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "একুশে পদক প্রদান করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী" (HTML)। চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৭।
- ↑ "একুশে পদক পাচ্ছেন সুনামগঞ্জের সুষমা দাস"। sunamkantha.com। ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭। ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭।
- ↑ "17 named for Ekushey Padak 2017"। দ্য ডেইলি স্টার। ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭।