সুষমা দাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুষমা দাশ
একুশে পদকপ্রাপ্ত সুষমা দাশ
জন্ম (1930-05-01) ১ মে ১৯৩০ (বয়স ৯৩)
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারত ব্রিটিশ ভারতীয় (১৯৩০–১৯৪৭)
পাকিস্তান পাকিস্তানি (১৯৪৭–১৯৭১)
বাংলাদেশ বাংলাদেশি (১৯৭১–)
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
পেশাশিল্পচর্চা[১]
পিতা-মাতারসিকলাল দাশ(পিতা)
দিব্যময়ী দাশ (মাতা)
আত্মীয়পণ্ডিত রামকানাই দাশ (ভাই)
পুরস্কারএকুশে পদক (২০১৭)[২]

সুষমা দাশ (জন্ম: ০১ মে ১৯৩০) একজন বাংলাদেশি লোকসংগীত শিল্পী যিনি ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক লাভ করেন।[৩][৪]

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

বাংলা লোকসংগীতের অন্যতম প্রধান শিল্পী, প্রাচীন লোকগানের চাক্ষুস স্বাক্ষী,সুললিত কন্ঠের অধিকারী একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ লোকসংগীত শিল্পী শ্রীমতি সুষমা দাশ ১৩৩৬ বাংলা মোতাবেক ১৯২৯ খ্রীষ্টাব্দে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার শাল্লা থানার পুটকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তাঁর পিতাঃ প্রখ্যাত লোককবি রসিকলাল দাশ মাতাঃসংগীত রচয়িতা দিব্যময়ী দাশ।

ছয় ভাই বোনের মধ্যে সুষমা দাশ সবার বড়।তাঁর আপন ছোট ভাই একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত পণ্ডিত রাম কানাই দাশ।


শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

কর্মজীবনে তিনি যেমন একজন প্রখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী,বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী ঠিক তেমনি সফল গৃহিণী।প্রাচীন লোককবিদের প্রায় ২ হাজারের অধিক গান তাঁর সংগ্রহে আছে তবে তা কোন ডায়রী বা বইয়ে লিপিবদ্ধ না সব গানই মনের ডায়রিতে লিপিবদ্ধ।

বিশেষ অবদান[সম্পাদনা]

রচনা[সম্পাদনা]

তাঁর গাওয়া প্রাচীন ২২৯ টি গান,জীবনী,স্বাক্ষাৎকার নিয়ে আজিমুল রাজা চৌধুরী'সুষমা দাশ ও প্রাচীন লোকগীতি'নামে একটি বই ২০২০ সালের মার্চে প্রকাশ করেন।এটিই তাঁকেএবং তাঁর গান নিয়ে রচিত প্রথম বই। প্রাচীন প্রায় লোকবিদের গান করেছেন সুষমা দাশ।যেমন,সৈয়দ শাহনূর,শিতালং ফকির,দ্বীন ভবানন্দ,কালা শাহ,লালন সাই,আরকুম শাহ,হাসন রাজা,রাধা রমন,মদনমোহন,উকিল মুন্সী,জালাল খাঁ,দ্বীনহীন,অধরচান,রামজয় সরকার,শ্যামসুন্দর,দুর্গাপ্রসাদ,রসিক লাল দাশ,কামাল পাশা,দুর্বিন শাহ,শাহ আবদুল করিম,গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

প্রায় ২ হাজারের অধিক লোকগান মুখস্থ সুষমা দাশের। কোন বই বা পান্ডুলিপির সাহায্য ছাড়াই তিনি ৯০ বছর বয়সেও শুদ্ধ বাণীতে গান পরিবেশন করে তাকেন। তিনি নিজেও কয়েকটি গান লিখেছেন তবে সেগুলো সংখ্যায় কম।

তিনি সাধারণত যে ধারার গান গেয়ে তাকেন তা হলো পল্লীগান,কবিগান,লোকগান,হোরিগান,ঘাটুগান,ধামাইল,সূর্যব্রত,পালাগান,কীর্তন,মনসা,গোষ্ঠলীলা,সুবল মিলন,বাউলা,ভাটিয়ালী,পীর মুর্শিদি ইত্যাদি।

পারিবারিক জীবন[সম্পাদনা]

পারিবারিক জীবনে সুষমা দাস চার ছেলে ও দুই মেয়ের জননী।

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০১৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন।[১][২]

এছাড়া তিনি অসংখ্যা পুরুস্কারে ভূষিত হন ,যেমন কলকাতা 'বাউল ফকির উৎসব' সম্মাননা ১৪১৭ বাংলা।

জেলা শিল্পকলা একাডেমী গুণীজন সম্মাননা ২০১৫।

রাধা রমণ উৎসব সংবর্ধনা ২০১৭।

রবীন্দ্র পদক ২০১৯।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাসস (২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "একুশে পদক প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী"। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদ সংস্থা)। ২০১৭-০২-২৮ তারিখে মূল (HTML) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৭ 
  2. ইকবাল, দিদারুল (২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "একুশে পদক প্রদান করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী" (HTML)। চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৭ 
  3. "একুশে পদক পাচ্ছেন সুনামগঞ্জের সুষমা দাস"sunamkantha.com। ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭ 
  4. "17 named for Ekushey Padak 2017"The Daily Star। ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭