শিক্ষায় একুশে পদক বিজয়ীদের তালিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শিক্ষায় একুশে পদক
একুশে পদকের একটি মেডেল
বিবরণবাংলাদেশের শিক্ষায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে এ পুরস্কার দেয়া হয়।
অবস্থানঢাকা, বাংলাদেশ
দেশবাংলাদেশ বাংলাদেশ
পুরস্কারদাতাবাংলাদেশ
উপস্থাপকবাংলাদেশ সরকার
প্রথম পুরস্কৃত১৯৭৬
সর্বশেষ পুরস্কৃত২০১৭
ওয়েবসাইটwww.moca.gov.bd

শিক্ষায় একুশে পদক বাংলাদেশের শিক্ষাবিদদের জন্য একটি জাতীয় এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। বাংলাদেশের শিক্ষায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে ১৯৭৬ সাল থেকে এই ক্ষেত্রে একুশে পদক প্রদান করা হচ্ছে। ভাষা আন্দোলন এর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সালে এই পদকের প্রচলন করা হয়।[১] প্রত্যেক পদকপ্রাপ্তকে একটি পদক, একটি সম্মাননা সনদ, একটি রেপ্লিকা এবং পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রদান করা হয়ে থাকে। একুশে পদকে ১৮ ক্যারেটের সোনা দিয়ে তৈরি ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি মেডেল প্রদান করা হয়;[২] যার ডিজাইন করেছেন নিতুন কুণ্ডু[৩] প্রাথমিকভাবে পুরস্কারের অর্থমূল্য ২৫,০০০ টাকা দেয়া হতো; বর্তমানে এটি ২ লক্ষ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।[৪]

বিজয়ীদের তালিকা[সম্পাদনা]

চাবি
মরণোত্তর বিজয়ী মরণোত্তর পদক বিজয়ী
বছর বিজয়ী সূত্র
১৯৭৬ মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা
মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন
১৯৭৭ ইবরাহীম খাঁ
একেএম আইয়ুব আলী
১৯৭৮ দেওয়া হয় নি
১৯৭৯ মুহম্মদ এনামুল হক
১৯৮০ মোহাম্মদ ফেরদাউস খান
১৯৮১ ডঃ মুস্তফা নুরুল ইসলাম
১৯৮২ খান বাহাদুর আব্দুল হাকিম
১৯৮৩ এম এ কুদ্দুস
১৯৮৪ ডঃ আনিসুজ্জামান
হাবিবুর রহমান
১৯৮৫ ডঃ আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন
গোবিন্দ চন্দ্র দেব মরণোত্তর বিজয়ী
মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার
১৯৮৬ দেওয়া হয় নি
১৯৮৭ ডঃ আহমদ শামসুল ইসলাম
এম এ নাসের
আবুল কাশেম
১৯৮৮ দেওয়া হয় নি
১৯৮৯ ডঃ মাহমুদ শাহ্‌ কোরেশী
১৯৯০ লুৎফুল হায়দার চৌধুরী
১৯৯১ সালাহউদ্দিন আহমেদ
এম এ হারুন-অর-রশীদ
১৯৯২ এমাজউদ্দিন আহমেদ
খান মোহাম্মদ সালেক
১৯৯৩ মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী মরণোত্তর বিজয়ী
১৯৯৪ মোহাম্মদ নোমান
১৯৯৫ আব্দুল করিম
ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ
১৯৯৬ মুহম্মদ আবদুল হাই
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
১৯৯৭ ডঃ রাজিয়া খান
ডঃ সিরাজুল হক
১৯৯৮ দেওয়া হয় নি
১৯৯৯ দেওয়া হয় নি
২০০০ ডঃ নীলিমা ইব্রাহিম [৫]
২০০১ মোঃ রফিকুল ইসলাম
শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী
২০০২ ডঃ আবুল কালাম আজাদ মরণোত্তর বিজয়ী
শরীফ হোসেন
প্রতিভা মুৎসুদ্দি
২০০৩ মুহম্মদ শামস-উল-হক
মুহাম্মদ একরামুল হক মরণোত্তর বিজয়ী
জেবুন্নেসা রহমান মরণোত্তর বিজয়ী
জোবেদা খানম মরণোত্তর বিজয়ী
২০০৪ ডঃ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঞা [৬]
২০০৫ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
ইকবাল মাহমুদ
চিত্তরঞ্জন সাহা
২০০৬ জসীম উদ্দিন আহমদ
ডঃ সুকোমল বড়ুয়া
আনোয়ারা বেগম
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান
২০০৭ দেওয়া হয় নি
২০০৮ ডঃ মোজাফফর আহমদ [৭]
২০০৯ ডঃ বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
২০১০ দেওয়া হয় নি
২০১১ দেওয়া হয় নি
২০১২ অজয় কুমার রায়
ডঃ মনসুরুল আলম খান
এ কে নাজমুল করিম
[৮]
২০১৩ দেওয়া হয় নি
২০১৪ ডঃ অনুপম সেন [৯]
২০১৫ ডঃ এম এ মান্নান
সনৎ কুমার সাহা
[১০]
২০১৬ দেওয়া হয় নি
২০১৭ আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন [১১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "একুশে পদক ঘোষণা"দৈনিক প্রথম আলো। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১। ৪ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  2. "একুশে পদক ২০১১ দিলেন প্রধানমন্ত্রী"দৈনিক সমকাল। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "Obituary of Nitun Kundu"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  4. "১৬ কৃতী ব্যক্তি পাচ্ছেন একুশে পদক"দৈনিক ইত্তেফাক। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ১ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  5. আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ (ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৫)। "নীলিমা ইব্রাহিম"যায়যায়দিন। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  6. "PM calls for nat'l unity to face global competition - Ekushey Padak awarded"দ্য ডেইলি স্টার। ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬। ১ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  7. "অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ আর নেই"দৈনিক সংগ্রাম। মে ২৩, ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  8. "একুশে পদক পাচ্ছেন তারেক মাসুদ, হুমায়ুন আজাদ"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  9. "এবার একুশে পদক পাচ্ছেন ১৫ জন"দৈনিক প্রথম আলো। ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  10. "একুশে পদক পাচ্ছেন কামাল লোহানীসহ ১৫ জন"দৈনিক যুগান্তর। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  11. বাসস (২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "একুশে পদক প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী"। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদ সংস্থা)। ২০১৭-০২-২৮ তারিখে মূল (HTML) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]