আবু আইয়ুব আনসারি
আবু আইয়ুব আনসারি أبو أيوب الأنصاري | |
---|---|
জন্ম | মদিনা,হেজাজ |
মৃত্যু | ৬৭৪ |
সমাধি | |
ধর্ম | ইসলাম |
আবু আইয়ুব আনসারি (মৃত্যু ৬৭৪)[১] ছিলেন মুহাম্মাদ সা: এর একজন সাহাবি।[২] তিনি বনু নাজ্জার গোত্রের সদস্য ছিলেন। আনসার সাহাবিদের মধ্যে তিনি অন্যতম। কনস্টান্টিনোপল অবরোধে তিনি অংশ নেন এবং অভিযান চলাকালীন তিনি শাহাদাত বরণ করেন।
মুহাম্মাদ সা: মদিনায় হিজরত করার পর শহরের অধিবাসীরা সকলেই তাকে তাদের বাসায় অবস্থান নেয়ার অনুরোধ জানায়। সিদ্ধান্ত হয় যে মুহাম্মদের উটকে ছেড়ে দেয়া হবে এবং সেটি যেখানে বসবে সেখান থেকে নিকট বাসায় তিনি অবস্থান নেবেন। উটটি আবু আইয়ুব আনসারির বাসার কাছে মাটিতে বসে পড়ে। তাই এখানে মুহাম্মাদ সা: এর অবস্থান নেন।
মুসলিমরা মিশর জয় করার পর আবু আইয়ুব আনসারি ফুসতাতে চলে আসেন এবং আমর ইবনুল আস মসজিদের পাশে বাড়ি বানিয়ে বসবাস শুরু করেন। তার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশিদের মধ্যে ছিলেন যুবাইর ইবনুল আওয়াম, উবাইদা, আবু যর, আবদুল্লাহ ইবনে উমর ও আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস।[৩]
সামরিক ক্ষেত্রে আবু আইয়ুব আনসারি কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। তার ব্যাপারে বলা হয়, "মুহাম্মদ (সাঃ) এর সময় থেকে মুয়াবিয়ার সময় পর্যন্ত মুসলিমদের এমন কোনো যুদ্ধে নেই যাতে তিনি অংশ নেননি, যদি না তিনি অন্য কোনো যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়োজিত থাকতেন।"[৪]
শিয়া দৃষ্টিভঙ্গি
[সম্পাদনা]চতুর্থ খলিফা আলী ইবনে আবি তালিবের সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণে শিয়ারা আবু আইয়ুব আনসারিকে সম্মানিত বলে বিবেচিত করে। তিনি আলীর পক্ষে সিফফিনের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
শেষ সামরিক অভিযান
[সম্পাদনা]আবু আইয়ুব আনসারি কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের জন্য প্রেরিত অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। এসময় তিনি বার্ধক্যে উপনীত হলেও বাহিনীর সাথে অভিযানে যান। যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি তার সঙ্গীদের বলেন যাতে তাকে শত্রু সীমানার যত ভেতরে পারা যায় তত ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং কনস্টান্টিপোলের দেয়ালের কাছে তাকে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুর পর মুসলিম সৈনিকরা তার ইচ্ছাপূরণ করে। বর্ণিত আছে রোমানরা তার কবরকে সম্মান করত এবং খরার সময় এর ওসীলা নিয়ে বৃষ্টি কামনা করত।[৫]
মাজার
[সম্পাদনা]কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের পর সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের উপদেষ্টা সুফি আলেম আকশামসউদ্দিন আধ্যাত্মিক শক্তিবলে তার কবর খুজে বের করেন এবং উসমানীয়রা তার কবরের উপর মাজার নির্মাণ করে। তার সম্মানে কবরের পাশে মসজিদও নির্মাণ করা হয়। এর পর থেকে স্থানটি তার নামে পরিচিতি পায়। পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হওয়ার অনেক উসমানীয় কর্তাব্যক্তি সেখানে দাফন হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করতেন। এখনও অগণিত মানুষ তার কবর যিয়ারত ও দর্শনে আসেন।
আধুনিক উপস্থাপন
[সম্পাদনা]২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া ফেতিহ ১৪৫৩ নামক তুর্কি চলচ্চিত্রে আবু আইয়ুব আনসারিকে একটি চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়েছে।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Hitti, Philip Khuri (১৯৪৯)। History of the Arabs (ইংরেজি ভাষায়)। Macmillan।
- ↑ টেমপ্লেট:ওয়েব সা: উদ্ধৃতি
- ↑ Masud ul-Hasan, Hadrat 'Umar Farooq, Islamic Publications Ltd. Lahore 1982
- ↑ Muhammad ibn Sa'd, Kitāb at-Tabāqat al-Kabīr (The Great Book of Generations).
- ↑ https://library.islamweb.net/ar/library/index.php?page=bookcontents&ID=217&idfrom=0&idto=0&flag=1&bk_no=60&ayano=0&surano=0&bookhad=0[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- Muhammad ibn Jarir al-Tabari, History v. 18 "Between Civil Wars: The Caliphate of Mu'awiyah," transl. Michael G. Morony, SUNY Press, Albany, 1987.
- Muhammad Ibn Sa'd, Kitab at-Tabaqat al-Kabir, np, nd.
- Prof. Philip K. Hitti, A History of the Arabs, Macmillan, London, 1951 rev.ed.