আবু সায়িদ আল-খুদরী
সায়িদ ইবনে মালিক সিনান আল-খাজরাজি আল-খুদরী (আরবি: سعد بن مالك بن سنان الخزرجي الخدري) (কুনিয়া : আবু সায়িদ) ছিলেন মদিনার স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্য থেকে একজন আনসারী এবং একজন স্বল্পবয়সী সাহাবী। তার পিতা মালিক ইবনে সিনান ও মাতা আনিসা বিনতে আবিল হারিস হিজরতের পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করেন। নবী মুহাম্মদ(সা.) এর হিজরতের পর মদিনার মসজিদ নির্মাণে তিনি অংশ নেন। বয়সে অনেক ছোট হওয়ার কারণে তিনি বদরের যুদ্ধে এবং ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দে উহুদের যুদ্ধে অংশ নিতে পারেন নি, কিন্তু পরবর্তীতে আহজাব, হুদায়বিয়া, খায়বর, হুনায়ন, তাবুক ও মক্কা বিজয় অভিযানসহ ১২টি যুদ্ধে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। তিনি হযরত উমর (রা.)-এর সময় মদিনার মুফতির পদে নিযুক্ত হন। যদিও তিনি একবার উমাইয়া খলিফা মুয়াবিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য সিরিয়ায় গিয়েছিলেন, এছাড়া বাকি সমস্ত জীবন তিনি মদিনাতেই অতিবাহিত করেছেন। পরবর্তীতে, ৬৮৩ সালে ৬৪ বছর বয়সে হাররাসের যুদ্ধে তিনি উমাইয়া সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মদিনাবাসীদের সাথে মদিনা নগরী প্রতিরক্ষায় অংশ নেন। তিনি সাদাসিধে জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন এবং মুহাম্মাদের আদর্শের একজন একনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন। তার মৃত্যুসাল ও আয়ু নিয়ে বহু মতবাদ প্রচলিত আছে, উক্ত অণুমিত সালগুলি হল ৬৮২(৬৩ বছর বয়সে), ৬৮৩ (৬৪ বছর বয়সে), ৬৮৪ (৬৫ বছর বয়সে) ও ৬৯৪ (৭৪ বছর বয়সে)।[১] তিনি সাহাবীদের যুগে অন্যতম একজন ফকিহ্ ছিলেন। তিনি হাদিস বর্ণনাকারীদর মধ্যেও একজন, তার বর্ণিত হাদিসগুলো বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। একটি হিসেব অনুসারে, তার বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা ১ হাজার ১৭০টি, যা তাকে হাদিস বর্ণনার দিক থেকে সাহাবীদের মধ্যে সপ্তম স্থানে স্থান দিয়েছে।[২]
শিয়া মুসলিমগণ তার দেওয়া হাদিসকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান না করলেও অন্যান্য সূত্রের সাথে তা তুলনা করে যাচাই করে থাকেন।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
রেওয়ায়েতসমুহ[সম্পাদনা]
- সূরা নিসার আয়াত ২৪ সম্পর্কিত একটি রেওয়ায়েত বর্ণনা
- গর্ভনিরোধ সম্পর্কিত একটি রেওয়ায়েত বর্ণনা