বিষয়বস্তুতে চলুন

আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(আবু উবাইদা ইবনে আল-যাররাহ থেকে পুনর্নির্দেশিত)
আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ
আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহর মাজার, বালকা গভর্ন‌রেট, জর্ডান
ডাকনামআবু উবাইদা, আমিনুল উম্মাহ (উম্মাহর তত্ত্বাবধায়ক)
জন্ম৫৮১
মক্কা, আরব
মৃত্যু৬৩৯(639-00-00) (বয়স ৫৭–৫৮) [] []
জর্ডান উপত্যকা, জর্ডান
আনুগত্য খিলাফতে রাশিদা
সেবা/শাখা রাশিদুন সেনাবাহিনী
কার্যকাল৬৩৪ - ৬৩৮
পদমর্যাদারাশিদুন সেনাবাহিনীর সেনাপতি (৬৩৪-৬৩৮)
নেতৃত্বসমূহলেভান্টের গভর্নর (৬৩৪-৬৩৮)
যুদ্ধ/সংগ্রামমুসলিম-কুরাইশ যুদ্ধ
মুসলিমদের সিরিয়া বিজয়

আবু উবাইদা আমর ইবনে আবদিল্লাহ ইবনুল জাররাহ (৫৮১-৬৩৮) (আরবি: أبو عبيدة عامر بن عبدالله بن الجراح) আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ বলে অধিক পরিচিত, ছিলেন মুহাম্মদ (সা.) এর একজন সাহাবী। [] [] খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাবের সময় তিনি রাশিদুন সেনাবাহিনীর একজন সেনাপতি ছিলেন। [] []

প্রাথমিক জীবন

[সম্পাদনা]

আবু উবাইদা ৫৮৩ সালে বণিক আবদুল্লাহ ইবনুল জাররাহর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।[] তিনি কুরাইশের বনু আল হারিস ইবনে ফিহর (বালহারিস নামেও পরিচিত ছিল) গোত্রের সদস্য ছিলেন। গোত্রটি মক্কার নীচের অংশে বসতি স্থাপন করেছিল, যা ছিল হেজাজের (পশ্চিম আরব) শহর এবং কুরাইশদের আবাসস্থল। প্রাক-ইসলামী যুগে (৬২০-এর দশকের পূর্বে) বালহারিসরের মুতাইয়াবুন গোষ্ঠীর বনু আবদ মানাফের (ইসলামী নবী মুহাম্মদের পৈতৃক বংশ) সাথে বনু আবদুল দারের নেতৃত্বাধীন অন্যান্য কুরাইশি গোত্রের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ ছিল।[] আবু উবাইদার পিতা আবদুল্লাহ ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষের দিকে হাওয়াজিন যাযাবরদের বিরুদ্ধে ফিজার যুদ্ধে কুরাইশদের প্রধানদের মধ্যে ছিলেন। তার মাও ছিলেন একজন কুরাইশি।[]

ইসলাম গ্রহণের পূর্বেও তিনি অন্যতম অভিজাত কুরাইশ বলে গণ্য হতেন। তার অমায়িকতা ও সাহসিকতার জন্য তিনি খ্যাত ছিলেন।

ইসলাম গ্রহণ

[সম্পাদনা]

হযরত মুহাম্মদ ইসলাম প্রচারের শুরুতে নিজের কাছের সঙ্গীদের প্রথম ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানান। এসময় আবু উবাইদা ইসলাম গ্রহণ করেন।[১০]

আবিসিনিয়ায় হিজরত

[সম্পাদনা]

প্রথমদিকের অন্যান্য মুসলিমদের মতো আবু উবাইদাও অপমান ও নির্যাতন ভোগ করেন। প্রথমবার আবিসিনিয়ায় হিজরতের পর মক্কার মুসলিমদের উপর নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। আবু উবাইদা তার গোত্রের একমাত্র ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তি ছিলেন। রসূলুল্লাহ্ মুহাম্মদ বাকি মুসলিমদের আবিসিনিয়ায় হিজরত করতে বলেন। এসময় ৮৩ জন পুরুষ ও ২০ জন নারীর একটি দলের সাথে আবু উবাইদা হিজরত করেন।[১১]

মদিনায় হিজরত

[সম্পাদনা]

৬২২ সালে রসূলু্ল্লাহ্ মুহাম্মদ মদিনায় হিজরত করেন। আবু উবাইদাও এরপর মদিনায় আসেন। মুহাম্মদ প্রত্যেক মুহাজির মুসলিমকে মদিনার বাসিন্দা আনসারদের একজনের সাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেন। আবু উবাইদার সাথে মুয়াজ ইবনে জাবাল ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হন। মদিনা আক্রমণের জন্য কুরাইশরা সেনাবাহিনী গঠনের আগ পর্যন্ত মদিনায় মুসলিমরা শান্তিতে অবস্থান করতে থাকে।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "আবু উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ রাযিআল্লাহু আনহু (মৃ. ১৮ হিজরী : ৬৩৯ খৃস্টাব্দ)"www.islaminlife.com। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২৫ 
  2. "Abu `Ubaidah Ibn Al-Jarrah A Real Man You Can Trust!"islamonline.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২৫ 
  3. "আবু উবাইদা (রা.)–এর জীবন ও শেষ উপদেশ: এক অনুপ্রেরণার উৎস"প্রথমআলো। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২৫ 
  4. "বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন সাহাবি আবু উবাইদা (রা.)"প্রথমআলো। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২৫ 
  5. "Abu Ubaydah ibn al-Jarrah"www.alim.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২৫ 
  6. "Hazrat Abu Ubaidah bin Jarrah(ra)"www.alislam.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২৫ 
  7. Gibb, H. A. R. (১৯৬০)। "Abū ʿUbayda b. al-Jarraḥ"। Gibb, H. A. R.; Kramers, J. H.; Lévi-Provençal, E.; Schacht, J.; Lewis, B. & Pellat, Ch.The Encyclopaedia of Islam, New Edition, Volume I: A–B। Leiden: E. J. Brill। পৃষ্ঠা 158–159। 
  8. Athamina, Khalil (২০০৭-১২-০১)। "Abū ʿUbayda b. al-Jarrāḥ"Encyclopaedia of Islam, THREE (ইংরেজি ভাষায়)। Brill। ডিওআই:10.1163/1573-3912_ei3_sim_0036 
  9. History, Department of; Tehrani, Translated by Hamid (২০১৫-১০-১৬)। "Abū ʿUbayda b. al-Jarrāḥ"Encyclopaedia Islamica (ইংরেজি ভাষায়)। Brill। ডিওআই:10.1163/1875-9831_isla_sim_0229 
  10. Tabqat ibn al-Saad volume:1 Chapter no:3 Page no:298
  11. Tabqat ibn al-Saad volume no:1, chapter no:1, page no:138

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]