প্রথম মুয়াবিয়া
হযরত আমির মুয়াবিয়া (রাঃ) | |
---|---|
উমাইয়া সাম্রাজ্যের প্রথম খলিফা | |
রাজত্বকাল | ২৮-০৭-৬৬১/২৭-০৪-৬৮০ |
পূর্ণ নাম | হযরত আমির মুয়াবিয়া (রাঃ) |
জন্ম | ৬০৬ খ্রিষ্টাব্দ মক্কা, হিজাজ |
মৃত্যু | ২২ রজব ৬০ হিজরি ২৭ এপ্রিল ৬৮০ খ্রীষ্টাব্দ দামেস্ক, সিরিয়া |
Buried | দামেস্ক, সিরিয়া |
পূর্বসূরী | • ইমাম হাসান ইবনে আলী (রাঃ) (খলিফা) |
উত্তরসূরী | • ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া |
Offspring | ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া (পুত্র) |
পিতা | আবু সুফিয়ান ইবনে হার্ব (রাঃ) |
মাতা | হিন্দ বিনতে উতবা (রাঃ) |
ধর্ম | ইসলাম |

খিলাফতে রাশিদাহ এর সময় শাসনাধীন অঞ্চল। বিভক্ত অংশগুলো প্রথম ফিতনার সময়কার দৃশ্য। প্রথম ফিতনার সময় 'হযরত আমির মুয়াবিয়া (রাঃ)' কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল। প্রথম ফিতনার সময় 'হযরত আমর ইবনে আস (রাঃ) কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল। |
হযরত আমির মুয়াবিয়া (রাঃ) (আরবি: معاوية ابن أبي سفيان মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান ; ৬০২ – ২৭ এপ্রিল ৬৮০) (মূল নাম, মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান) ছিলেন উমাইয়া সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।[১][২] তিনি উমাইয়া গোত্রের দ্বিতীয় খলিফা। হযরত উসমান গণি (রাঃ) এই গোত্র থেকে প্রথম খলিফা হন।[৩] মুয়াবিয়া (রাঃ) পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের সাথে রাজনৈতিক বিষয়ে দক্ষ ছিলেন বলে মোহাম্মদ (সাঃ)তাকে সচিব নিযুক্ত করেন।[৪] হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) ও হযরত উমর ফারুক (রাঃ) খিলাফতের সময় তিনি সিরিয়ায় মুসলমানদের পক্ষে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেন।
সমুদ্রের দিক থেকে বাইজেন্টাইন আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য তিনি লেভান্টে নৌবাহিনী গড়ে তোলেন। এই নৌবাহিনী এজিয়ান সাগর ও মারমারা সাগরে বাইজেন্টাইনদের মোকাবেলা করতে ব্যবহৃত হয়। খিলাফত সাইজিকাসহ বেশ কিছু অঞ্চল জয় করে এবং এখানে একটি নৌঘাঁটি স্থাপন করে।[৫]
ইসলাম গ্রহন[সম্পাদনা]
ইমাম সুয়ুতি (রহঃ) সহ অনেক ঐতিহাসিকের মতে, মুয়াবিয়া (রাঃ) ও তার পিতা আবু সুফিয়ান (রাঃ) মক্কা বিজয়ের বছর ইসলাম গ্রহণ করেন।[৬] ওয়াকেদি বলেন, হুদায়াবিয়ার সন্ধির পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তবে বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। পরবর্তী সময়ে মক্কা বিজয়ের সময় প্রকাশ করেছিলেন। তবে তারিখুল ইসলামের (আরবি) ৪র্থ এ আছে, তিনি মক্কা বিজয়ের সময় ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। রাসূল (সাঃ) তাকে নাজরানের গভর্নর করেছিলেন।। [৭]
মোহাম্মদ (সাঃ) এর সঙ্গে যুদ্ধে অংশগ্রহণঃ ইসলাম গ্রহণের পর মোহাম্মদ (সাঃ) এর সঙ্গে হুনাইন ও তায়েফের যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ শেষে মোহাম্মদ (সাঃ) তাকে গনিমতের মাল থেকে ১০০ উট ও ৪০ উকিয়া (আউন্স) রূপা দিয়েছিলেন। [৮]
মদিনায় হিজরতঃ ইসলাম গ্রহণের পর মুয়াবিয়া (রাঃ) পরিবারের সঙ্গে মদিনায় হিজরত করেন। মুয়াবিয়া ও হুতাত ইবনে ইয়াজিদের মাঝে মোহাম্মদ (সাঃ) ভ্রাতৃত্ব করে দেন। [৯]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Press, Oxford University (২০১০)। Caliph and Caliphate Oxford Bibliographies Online Research Guide। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-980382-8। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-৩০।
- ↑ The Umayyad Dynastyat the University 0f Calgary ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ জুন ২০১৩ তারিখে
- ↑ Al-Tabari, Muhammad ibn Jarir. The History of the Prophets and Kings (Tarikh al-Rusul wa al-Muluk), Vol. 18 Between Civil Wars: The Caliphate of Mu'awiyah 40 A.H., 661 A.D.-60 A.H., 680 A.D. (Michael G. Morony).
- ↑ Sahih Muslim, The book of (Virtues of the companions), narration no. [6409]:168-(2501) numbered by mohammad fo'ad abdul-baqi
- ↑ A Chronology Of Islamic History 570-1000 CE, By H.U. Rahman 1999 Page 48 and Page 52-53
- ↑ তারিখুল খুলাফা : ১৯৪)
- ↑ ফাতহুল বারী : ৩/৪৩৩
- ↑ মাহমুদ শাকের, আত-তারিখুল ইসলামী : ৪/৬৯
- ↑ সিরাতে ইবনে হিশাম : ২/৫৬০
গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]
- Byzantium and the early Islamic conquests। আইএসবিএন 978-0-521-48455-8।
- El-Cheikh, Nadia Maria, Nadia Maria (২০০৪)। Byzantium viewed (2004 সংস্করণ)। Harvard CMES। আইএসবিএন 978-0-932885-30-2। - Total pages: 271
- Kennedy, Hugh (২০০৪), The Prophet and the Age of the Caliphates: The Islamic Near East from the 6th to the 11th Century (Second Edition), Harlow: Pearson Education Ltd., আইএসবিএন 978-0-582-40525-7
- Pryor, John H.; Jeffreys, Elizabeth M.; Shboul, Ahmad M.H. (২০০৬)। The Age of the ΔΡΟΜΩΝ The Byzantine Navy ca. 500–1204। Leiden, The Netherlands and Boston, Massachusetts: Brill Academic Publishers। আইএসবিএন 978-90-04-15197-0।
- Doi, A.R. (১৯৮১)। Non-Muslims Under Shari'Ah। Kazi Publications। আইএসবিএন 978-1-56744-170-3।
- Treadgold, Warren T. (১৯৯৭)। A History of the Byzantine State and Society। Stanford University Press। আইএসবিএন 978-0-8047-2630-6।