রাজকুমারী বন্দ্যোপাধ্যায়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

রাজকুমারী বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৪৭ - ৮ মার্চ, ১৮৭৬) একজন বাঙালি শিক্ষাব্রতী ও সমাজকর্মী। তিনি ১৮ শতকে বাংলায় স্ত্রী শিক্ষার কাজে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন।

অবদান[সম্পাদনা]

রাজকুমারী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাল্যবিবাহ হয়। তার স্বামী ছিলেন আধুনিক মনস্ক দেশকর্মী শশীপদ বন্দ্যোপাধ্যায়। দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বিনা পণে বিবাহ করেছিলেন রাজকুমারী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। স্বামীর কাছ থেকে তিনি ১২/১৩ বছর বয়েসে শিক্ষালাভ করেন এবং নিজে পরিবারের ছোট মেয়েদের শিক্ষাদান করতে থাকেন। আধুনিক মনস্ক রাজকুমারী ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করায় সমাজ ও গৃহচ্যুত হয়েছিলেন। ভারতপ্রেমিক সমাজসেবী মেরি কার্পেন্টার তাদের বরাহনগরের বাড়িতে এলে তার কাজে প্রানিত হন রাজকুমারী। তারা দুজনে বিভিন্ন অঞ্চলে নারী শিক্ষার কাজে ব্রতী হন এবং মেরি কার্পেন্টারের অনুরোধে ১৮৭১ সালে তিনি ইংল্যান্ড যান। আট মাস পর বিলেত থেকে ফিরে পুনরায় নারী শিক্ষার উন্নতিতে কাজ করেন। স্বামীর সহযোগিতায় নিজ বাসগৃহে অসহায় নারীদের আশ্রয় ও শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনিই প্রথম কুলীন ব্রাহ্মণ মহিলা যিনি হিন্দু সমাজপতিদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কালাপানি পার হন বা বিলেত যান। সেখানে তার প্রথম পুত্র অ্যালবিয়ান জন্ম গ্রহণ করেন। [১][২]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

মাত্র ৩০ বছর বয়েসে ১৮৭৬ সালের ৮ মার্চ তিনি মারা যান।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৪৬৬। 
  2. "দূর এসেছিল কাছে…"। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারী ২০১৮