মোহাম্মদ মঈনুল হক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভাইস অ্যাডমিরাল

মোহাম্মদ মঈনূল হক

এনবিপি, এনপিপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি
আনুগত্য বাংলাদেশ
সেবা/শাখা বাংলাদেশ নৌবাহিনী
কার্যকালঅক্টোবর ১৯৮৬ – নভেম্বর ২০২৩
পদমর্যাদাভাইস অ্যাডমিরাল

নেতৃত্বসমূহ
  • সহকারি নৌবাহিনী প্রধান (ম্যাটেরিইয়েল)
  • সিনিয়র ডিরেক্টরিং স্টাফ (নৌবাহিনী)
  • কমডোর সুপারিনটেনডেন্ট ডকইয়ার্ড (সিএসডি)
  • পরিচালক - নৌ প্রকৌশল ডিরেক্টর
পুরস্কার
  • নৌবাহিনী পদক (এনবিপি),
  • নৌ পারদর্শিতা পদক (এনপিপি), এবং
  • শুদ্ধাচার পদক

ভাইস অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মঈনূল হক, এনবিপি, এনপিপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। অবসর গ্রহণের আগে তার সর্বশেষ নিয়োগ ছিল সহকারি নৌবাহিনী প্রধান (ম্যাটেরিইয়েল)। এর আগে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে সিনিয়র ডিরেক্টরিং স্টাফ [এসডিএস (নৌ)] হিসেবে কাজ করেছেন।[1][2] তিনি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কমোডোর সুপারিনটেনডেন্ট ডকইয়ার্ডের কমান্ড গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস (DEW), নারায়ণগঞ্জে জেনারেল ম্যানেজার (প্ল্যানিং অ্যান্ড ডিজাইন) ছিলেন।

প্রাথমিক এবং শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

মোহাম্মদ মঈনূল হক ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ থেকে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন এবং ১৯৮৪ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। একাডেমিতে আড়াই বছরের সামরিক প্রশিক্ষণের পর তিনি ০১ জুলাই ১৯৮৬ সালে কমিশন লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বুয়েট) নৌ স্থাপত্য ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। পরবর্তীকালে, তিনি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (বাংলাদেশ), ডিএসসিএসসি (মিরপুর), পাকিস্তান নৌবাহিনী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পিএনএস জওহর, ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি (পাকিস্তান) এবং অন্যান্য বিভিন্ন বেসামরিক ও সামরিক প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তর সহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন একাডেমিক ও নৌ পেশাগত প্রশিক্ষণে অংশ নেন। [৩]

পেশাগত জীবন[সম্পাদনা]

মোহাম্মদ মঈনূল হক বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিভিন্ন জাহাজে একজন প্রকৌশলী অফিসার হিসেবে এবং নৌ বাহিনী দপ্তরসহ বিভিন্ন ইউনিট, স্থাপনা, ডকইয়ার্ড এবং বিভিন্ন ফরমেশন সদর দপ্তরে স্টাফ, ইন্সট্রাকশন, এবং কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নৌ সদর দফতরের বেশ কয়েকটি অফিসের পরিচালক হিসেবে দুবার এবং সহকারি নৌবাহিনী প্রধান (ম্যাটেরিইয়েল) হিসেবে দুবার দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি ২০০৩ সালের শুরুর দিকে কুয়েতে সামরিক কন্টিনজেন্টের সদস্য হিসাবে জাতিসংঘের সাথে এবং ২০০৪-২০০৫ এর সময় লাইবেরিয়ায় সামরিক পর্যবেক্ষক হিসাবে কাজ করেছিলেন। তার সামরিক কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রেপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন।

পুরস্কার[সম্পাদনা]

তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নৌবাহিনী পদক (এনবিপি; নৌবাহিনী পদক), নৌ পারদর্শিতা পদক (এনপিপি; নৌবাহিনী দক্ষতা পদক), এবং শুদ্ধাচার পদকে ভূষিত হন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]