গুই সাপ
এই নিবন্ধটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত।(অক্টোবর ২০২০) |
গোসাপ | |
---|---|
![]() | |
একটি বাংলাদেশী গোসাপ | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | Sauropsida |
বর্গ: | Squamata |
উপবর্গ: | Scleroglossa |
অধোবর্গ: | Anguimorpha |
মহাপরিবার: | Varanoidea |
পরিবার: | Varanidae |
গণ: | Varanus Merrem, 1820 |
প্রজাতি | |
লেখা দেখুন |
গুই সাপ বা গোসাপ, (ইংরেজি: Monitor Lizard) কোনো সাপ নয়; এটি বড়সড় টিকটিকির মতো দেখতে কিন্তু সাপের মতো দ্বিখণ্ডিত জিভসম্পন্ন প্রাণী। এটি ভ্যারানিডি (Varanidae) গোত্রের সরীসৃপ। "গুই"/"গো" নামটি এসেছে "গোধিকা" থেকে।
বৃহত্তম গুই সাপ হল ইন্দোনেশিয়ার কোমোডো ড্রাগন। সম্প্রতি প্রমাণিত হয়েছে কোমোডো ড্রাগনেরও বিষ আছে।
প্রজাতি[সম্পাদনা]
গোসাপ বিভন্ন প্রকার হয়:
- জলগোধিকা (water monitor)
- স্থলগোধিকা (land monitor)
- স্বর্ণগোধিকা (yellow monitor)
গঠন[সম্পাদনা]
এই প্রাণী গিরগিটি প্রজাতির । লম্বায় সর্বাধিক ১০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকলেও দেখা বেশি মেলে ২-৪ ফুট এবং প্রস্থে ১১ ইঞ্চির মতো আকার ধারীদের স্থলে জলে বসবাসকারী এদের সাতার কাটতে ও গাছে চড়তেও দেখা যায়। গাঢ় বাদামি বা কালচে, তাতে হলুদ রঙের রিং বিদ্যমান। পা ও নখ লম্বাটে। লেজ চ্যাপ্টা ও শিরযুক্ত। [১]
প্রাপ্তিস্থান[সম্পাদনা]
দেশের সর্বত্র গৃহস্থের বাড়ির আঙিনায়, কৃষি ক্ষেতে, বনে–জঙ্গল ও জলাভূমিতে বিচরণ করতে দেখা যেতো পরিচিত প্রাণী গুই সাপ। [১]
খাবার[সম্পাদনা]
কাঁকড়া, শামুক, ইঁদুর, হাঁস-মুরগির ডিম, পচা-গলা প্রাণীদেহ ,বড়রা মাছ, সাপ, ব্যাঙ ছোট কুমির, কুমিরের ডিম ও কচ্ছপসহ নানান পশু-পাখি ও উচ্ছিষ্ট খেয়ে এরা জীবন ধারন করে থাকে। [১]
উপকারী[সম্পাদনা]
প্রকৃতি, পরিবেশের ও কৃষকের বন্ধু এই গুইসাপ ফসলের ক্ষেতের পোকাপতঙ্গ ও ধেনো ইঁদুর খেয়ে উপকার সাধিত করে। [১]
বিবরণ[সম্পাদনা]
দুই হাজারের দশকে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন) এদেরকে বিলুপ্তি ঝুঁকিপূর্ণ প্রাণী হিসেবে তালিকাভূক্ত করেছে। বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর তথ্য দিয়েছে, ১৯৭৮-১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫১ লাখ ৪৩ হাজার টাকার চামড়া রপ্তানি হয়। গুই সাপের চামড়া রপ্তানির কারণে পরিবেশের ওপর তিকর প্রভাবের বিবেচনায় ১৯৯০ সালে সরকারের পক্ষ থেকে এদের হত্যায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। [১]
বিলুপ্তির কারন[সম্পাদনা]
ক্রমশ: নগরায়নের বিস্তার, অন্য দিকে চোরাশিকার, দু’পায়ের দাপটে এই প্রাণীটি বিপন্ন হয়ে পড়েছে। প্রাণী সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে অবাধে এদের হত্যা করা হচ্ছে। [১]
চিত্রশালা[সম্পাদনা]
গ্রামাঞ্চলে এদের এখনও দেখা মেলে । মানুষের রোষানলে বেঘোরে প্রাণ হারায় । কারো ক্ষতি সাধণের দৃষ্টান্ত না করলেও সমাজে এদেরকে ক্ষতিকারক ভাবা হয়।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ মনোনেশ দাস (২০১৬-১০-০৫)। "ময়মনসিংহে বিপন্ন গুই সাপ"। blog.bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-১৩।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |