চিতাবাঘ
Leopard সময়গত পরিসীমা: Early Pleistocene – Present[২] | |
---|---|
![]() | |
Male African leopard in Maasai Mara National Reserve, Kenya | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস ![]() | |
পর্ব: | Chordata |
শ্রেণী: | Mammalia |
বর্গ: | Carnivora |
উপবর্গ: | Feliformia |
পরিবার: | Felidae |
উপপরিবার: | Pantherinae |
Genus: | Panthera (Linnaeus, 1758) |
প্রজাতি: | P. pardus[১] |
দ্বিপদী নাম | |
Panthera pardus[১] (Linnaeus, 1758) | |
Subspecies | |
See text | |
![]() | |
Present and historical distribution of the leopard[৩] |

চিতাবাঘ (Panthera pardus) বা গুলবাঘ ফেলিডি গোত্রের অন্তর্গত এক প্রজাতির শ্বাপদ। সাব-সাহারান আফ্রিকার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চমৎকার এ প্রাণীটি দেখা যায়। আবাসস্থল ধ্বংস, শিকারের অভাব আর চোরাশিকারের ফলে সারা দুনিয়ায় প্রজাতিটি আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে। সে কারণে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা আইইউসিএন চিতাবাঘকে প্রায়-বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। হংকং, সিঙ্গাপুর, কুয়েত, সিরিয়া, লিবিয়া ও তিউনিসিয়ায় চিতাবাঘ আজ আঞ্চলিকভাবে বিলুপ্ত।[৪] প্যানথেরা গণের মোট চারটি বড় বিড়ালের মধ্যে চিতাবাঘই সবচেয়ে ছোট; অন্য তিনটি হল বাঘ, সিংহ ও জাগুয়ার।।
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[৫]
বর্ণনা[সম্পাদনা]
বৃহদাকার ও বলিষ্ঠ এই বিড়াল জাতীয় প্রাণিটির দেহ সরু, লেজ দীঘল এবং পদচতুষ্টয় হ্রস্বাকৃতির হয়ে থাকে। মাথাসহ দেহের দৈর্ঘ্য ১৬০ সেন্টিমিটার ও লেজ ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। পুরুষ চিতাবাঘের শরীর মাদী চিতাবাঘের তুলনায় বৃহদাকার। মাদী চিতাবাঘের ওজন ১৭ থেকে ৫৮ কিলোগ্রাম এবং পুরুস চিতাবাঘের ওজন ৩১ থেকে ৬৫ কিলোগ্রাম অবধি পাওয়া গেছে। চিতাবাঘের কান গোলাকৃতি। কানের পশ্চাৎদেশ কৃষ্ণাভ যাতে সাদা ছোপ রয়েছে। মস্তক তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্রকার, উত্তল। পিষ্ঠদেশ খাটো, কোমল। এর লোম মসৃণ, খাটো। রঙ স্বর্ণাভ থেকে পিঙ্গল কিংবা কমলা-তামাটে হয়ে থাকে। দেহপার্শ্বের তুলনায় পশ্চাৎদেশ কিছুটা কালচে। সারা শরীরে কালো ছোপ থাকায় একে চিত্রল দেখায়। দেহতল এবং পদদেশ সাদাটে। চিতাবাঘের গাত্রবর্ণে কালচে ভাব থাকলেও অধিকাংশ এলাকা বাদামী।[৬][৭][৮]
চিতাবাঘের বৈজ্ঞানিক নাম Panthera pardus (Linnaeus, 1758) আর চিতার বৈজ্ঞানিক নাম Acinonyx jubatus (Schreber, 1775)। ব্যতিক্রম প্রজাতি ছাড়াও দু’টি প্রাণীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্টগত পার্থক্য হচ্ছে চিতার গায়ে কালো ছোপ থাকে, আর চিতাবাঘের গায়ে কালো ছোপ থাকলেও তা অনেকটা বলায়াকৃতির। অধিকন্তু চিতা রোগা ও লম্বাটে আর চিতাবাঘ বাঘের ন্যায় তুলনামূলকভাবে মোটাসোটা শরীরের।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ওজনক্র্যাফট, ডাব্লু.সি. (২০০৫)। "Species Panthera pardus"। উইলসন, ডি.ই.; রিডার, ডি.এম। Mammal Species of the World: A Taxonomic and Geographic Reference (৩য় সংস্করণ)। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 547। আইএসবিএন 978-0-8018-8221-0। ওসিএলসি 62265494।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Ghezzo_al2015
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ ক খ গ Stein, A.B.; Athreya, V.; Gerngross, P.; Balme, G.; Henschel, P.; Karanth, U.; Miquelle, D.; Rostro-Garcia, S.; Kamler, J. F.; Laguardia, A.; Khorozyan, I.; Ghoddousi, A. (২০২০)। "Panthera pardus"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন। 2020: e.T15954A163991139। ডিওআই:10.2305/IUCN.UK.2020-1.RLTS.T15954A163991139.en
। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০২২। অজানা প্যারামিটার
|name-list-style=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|amends=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ Henschel, P., Hunter, L., Breitenmoser, U., Purchase, N., Packer, C., Khorozyan, I., Bauer, H., Marker, L., Sogbohossou, E., Breitenmoser-Würsten, C. (২০০৮)। "Panthera pardus"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.2। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন।
- ↑ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৪৯৫
- ↑ Panthera pardusleopard
- ↑ Panthera pardus
- ↑ Leopard
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
বহি:সংযোগ[সম্পাদনা]
![]() |
উইকিপ্রজাতিতে-এ বিষয় সম্পর্কিত তথ্য রয়েছে: চিতাবাঘ |
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে চিতাবাঘ সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |