জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
২৫ নং লাইন: ২৫ নং লাইন:


==শিক্ষা ব্যবস্থা==
==শিক্ষা ব্যবস্থা==
বোর্ডের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত। {{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=অক্টোবর ১}}
বোর্ডের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=অক্টোবর ১}}
*প্রথম পর্যায়ঃ এ পর্যায়ে রয়েছে ২টি স্তর।

**প্রথম স্তরঃ প্রাথমিক শিক্ষা। কুরআন তেলওয়াত ও ইসলামিয়াতসহ গণিত, বাংলা, ইংরেজি এ [[সমাজবিজ্ঞান|সমাজ বিজ্ঞান]] প্রভৃতি ৫ম শ্রেনীর মান পর্যন্ত। একে বলা হয় আল মারহালাতুল ইবতিদাইয়্যাহ বা কওমী প্রাথমিক মাদ্রাসা।
*প্রথম পর্যায় : এ পর্যায়ে রয়েছে ২টি স্তর।
**প্রথম স্তর : প্রাথমিক শিক্ষা। কুরআন তেলওয়াতইসলামিয়াতসহ গণিত, বাংলা, ইংরেজি [[সমাজবিজ্ঞান|সমাজ বিজ্ঞান]] প্রভৃতি ৫ম শ্রেনীর মান পর্যন্ত। একে বলা হয় আল মারহালাতুল ইবতিদাইয়্যাহ বা কওমী প্রাথমিক মাদ্রাসা।
**দ্বিতীয় স্তরঃ এতে রয়েছে সাধারন শিক্ষা সহ ইসলামিক শিক্ষা। অর্থাৎ আরবি ভাষা, আরবি ব্যকরণফিকাহশাস্ত্র, গণিত, বাংলা, ইংরেজি সমাজ বিজ্ঞান। একে বলা হয় আল মারহালাতুল মুতাওয়াসসিতাহ। এর মেয়াদ ৩ বছর। ( ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম )
**দ্বিতীয় স্তর : এতে রয়েছে সাধারন শিক্ষা সহ ইসলামিক শিক্ষা। অর্থাৎ আরবি ভাষা, আরবি ব্যকরণ ও ফিকাহশাস্ত্র, গণিত, বাংলা, ইংরেজি ও সমাজ বিজ্ঞান। একে বলা হয় আল মারহালাতুল মুতাওয়াসসিতাহ। এর মেয়াদ ৩ বছর। ( ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম )
</br>
</br>
*দ্বিতীয় পর্যায় : এপর্যায়ে রয়েছে ৪টি স্তর।
*দ্বিতীয় পর্যায়ঃ এপর্যায়ে রয়েছে ৪টি স্তর।
**১ম স্তর : আল মারহালাতুস সানাবিয়্যাহ (মাধ্যমিক স্তর) : এর মেয়াদ ২ বছর (৯ম-১০ম)
**১ম স্তরঃ আল মারহালাতুস সানাবিয়্যাহ (মাধ্যমিক স্তর), যার মেয়াদ ২ বছর (৯ম-১০ম)
**২য় স্তর : আল মারহালাতুস সানাবিয়্যাতুল উলইয়া (উচ্চ মাধ্যমিক স্তর): এর মেয়াদ ২ বছর (১১শ - ১২শ)।
**২য় স্তরঃ আল মারহালাতুস সানাবিয়্যাতুল উলইয়া (উচ্চ মাধ্যমিক স্তর), যার মেয়াদ ২ বছর (১১শ - ১২শ)।
**৩য় স্তর : আল মারহালাতুল ফজিলত (স্নাতক ডিগ্রি)। এর মেয়াদ ২ বছর (১৩শ - ১৪শ)।
**৩য় স্তরঃ আল মারহালাতুল ফজিলত (স্নাতক ডিগ্রি)। এর মেয়াদ ২ বছর (১৩শ - ১৪শ)।
**৪র্থ স্তর : আল মারহালাতুল তাকমিল (মাস্টার্স ডিগ্রি)। এর মেয়াদ ২ বছর। এ স্তরকে দাওরায়ে হাদীস বলা হয়।
**৪র্থ স্তরঃ আল মারহালাতুল তাকমিল (মাস্টার্স ডিগ্রি)। এর মেয়াদ ২ বছর। এ স্তরকে দাওরায়ে হাদীস বলা হয়।
</br>
</br>
*তৃতীয় পর্যায় : এ পর্যায়ে রয়েছে বিষয়ভিত্তিক ডিপ্লোমা ও গবেষণামূলক শিক্ষা কোর্স। যথা: [[হাদিস|হাদীস]], [[তাফসীর|তাফসির]], [[ফিকহ]], [[ফতোয়া|ফতওয়া]], [[তাজবিদ]], [[আরবি সাহিত্য]], [[বাংলা সাহিত্য]], ইংরেজি, উর্দূ ও ফারসি ভাষা, [[ইসলামের ইতিহাস]], [[সীরাহ|সীরাত]], ইলমুল কালাম, ইসলামি দর্শন, অর্থনীতি, [[রাষ্ট্রবিজ্ঞান]], পৌর বিজ্ঞান ও [[সমাজবিজ্ঞান|সমাজ বিজ্ঞান]] ইত্যাদি বিষয়ের গবেষণামূলক শিক্ষা।
*তৃতীয় পর্যায়ঃ এ পর্যায়ে রয়েছে বিষয়ভিত্তিক ডিপ্লোমা ও গবেষণামূলক শিক্ষা কোর্স। যথাঃ [[হাদিস|হাদীস]], [[তাফসীর|তাফসির]], [[ফিকহ]], [[ফতোয়া|ফতওয়া]], [[তাজবিদ]], [[আরবি সাহিত্য]], [[বাংলা সাহিত্য]], ইংরেজি, উর্দূ ও ফারসি ভাষা, [[ইসলামের ইতিহাস]], [[সীরাহ|সীরাত]], ইলমুল কালাম, ইসলামি দর্শন, অর্থনীতি, [[রাষ্ট্রবিজ্ঞান]], পৌর বিজ্ঞান ও [[সমাজবিজ্ঞান|সমাজ বিজ্ঞান]] ইত্যাদি বিষয়ের গবেষণামূলক শিক্ষা।


==কেন্দ্রীয় পরীক্ষা==
==কেন্দ্রীয় পরীক্ষা==

১৬:৪০, ১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বাংলাদেশ
وفاق المدارس الدينية بنغلاديش
অফিসিয়াল লোগো
সংক্ষেপেজাতীয় বেফাক
প্রতিষ্ঠাকাল৭ অক্টোবর ২০১৬
প্রতিষ্ঠাতাফরীদ উদ্দীন মাসঊদ
সদরদপ্তরজহুরুল ইসলাম সিটি, আফতাব নগর, বাড্ডা, ঢাকা-১২১২
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা, ইংরেজি, আরবি, উর্দু, ফারসি
সভাপতি
ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ
মহাসচিব
মুহাম্মদ আলী
সহ-সভাপতি
ড. মুশতাক আহমদ
সহ-সভাপতি
ইয়াহইয়া মাহমুদ
প্রধান প্রতিষ্ঠান
আল হাইআতুল উলয়া

জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বাংলাদেশ (আরবি: وفاق المدارس الدينية بنغلاديش) বাংলাদেশে অবস্থিত সরকার স্বীকৃত একটি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড।[১] বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড সমূহের মধ্যে এটি সর্বাপেক্ষা নতুন।[২] ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের নেতৃত্বে এই বোর্ডটি গঠিত হয় এবং ১৫ অক্টোবর এটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে।[৩] এই বোর্ডের অধীনে ১ সহস্রাধিক মাদ্রাসা রয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

শিক্ষা ব্যবস্থা

বোর্ডের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

  • প্রথম পর্যায়ঃ এ পর্যায়ে রয়েছে ২টি স্তর।
    • প্রথম স্তরঃ প্রাথমিক শিক্ষা। কুরআন তেলওয়াত ও ইসলামিয়াতসহ গণিত, বাংলা, ইংরেজি এ সমাজ বিজ্ঞান প্রভৃতি ৫ম শ্রেনীর মান পর্যন্ত। একে বলা হয় আল মারহালাতুল ইবতিদাইয়্যাহ বা কওমী প্রাথমিক মাদ্রাসা।
    • দ্বিতীয় স্তরঃ এতে রয়েছে সাধারন শিক্ষা সহ ইসলামিক শিক্ষা। অর্থাৎ আরবি ভাষা, আরবি ব্যকরণ ও ফিকাহশাস্ত্র, গণিত, বাংলা, ইংরেজি ও সমাজ বিজ্ঞান। একে বলা হয় আল মারহালাতুল মুতাওয়াসসিতাহ। এর মেয়াদ ৩ বছর। ( ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম )


  • দ্বিতীয় পর্যায়ঃ এপর্যায়ে রয়েছে ৪টি স্তর।
    • ১ম স্তরঃ আল মারহালাতুস সানাবিয়্যাহ (মাধ্যমিক স্তর), যার মেয়াদ ২ বছর (৯ম-১০ম)।
    • ২য় স্তরঃ আল মারহালাতুস সানাবিয়্যাতুল উলইয়া (উচ্চ মাধ্যমিক স্তর), যার মেয়াদ ২ বছর (১১শ - ১২শ)।
    • ৩য় স্তরঃ আল মারহালাতুল ফজিলত (স্নাতক ডিগ্রি)। এর মেয়াদ ২ বছর (১৩শ - ১৪শ)।
    • ৪র্থ স্তরঃ আল মারহালাতুল তাকমিল (মাস্টার্স ডিগ্রি)। এর মেয়াদ ২ বছর। এ স্তরকে দাওরায়ে হাদীস বলা হয়।


কেন্দ্রীয় পরীক্ষা

বর্তমানে বোর্ডের অধীনে নিম্নোক্ত কেন্দ্রীয় পরীক্ষা সমূহ অনুষ্ঠিত হয় : [৪]

  • হিফজ ও নাযেরা
  • ইলমুল কিরাত ও তাজবীদ
  • ইবতিদাইয়্যাহ
  • মুতাওয়াসসিতা
  • সানাবিয়া উলইয়া
  • ফযীলত
  • ইফতা

উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান

বোর্ডের অধীনে এক সহস্রাধিক মাদ্রাসা রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য : [৫]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ