মরিস টেট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান) অ বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন |
অ টেমপ্লেটে সংশোধন |
||
৫৯ নং লাইন: | ৫৯ নং লাইন: | ||
== খেলোয়াড়ী জীবন == |
== খেলোয়াড়ী জীবন == |
||
সাসেক্সের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে [[আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বলেই উইকেটলাভকারী বোলারদের তালিকা|টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বলেই উইকেট লাভ]] করেন তিনি।<ref>[http://stats.cricinfo.com/ci/content/records/283520.html Cricinfo page on bowlers who got a wicket with their first ball in test]</ref> ১৬ জুন, ১৯২৪ তারিখে সফরকারী [[দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল|দক্ষিণ আফ্রিকার]] বিপক্ষে তাঁর টেস্ট অভিষেক ঘটে। [[Fred Susskind|ফ্রেড সাসকিন্ডকে]] সরাসরি বোল্ড করে তিনি এ কৃতিত্ব অর্জন করেন।<ref>{{ |
সাসেক্সের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে [[আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বলেই উইকেটলাভকারী বোলারদের তালিকা|টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বলেই উইকেট লাভ]] করেন তিনি।<ref>[http://stats.cricinfo.com/ci/content/records/283520.html Cricinfo page on bowlers who got a wicket with their first ball in test]</ref> ১৬ জুন, ১৯২৪ তারিখে সফরকারী [[দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল|দক্ষিণ আফ্রিকার]] বিপক্ষে তাঁর টেস্ট অভিষেক ঘটে। [[Fred Susskind|ফ্রেড সাসকিন্ডকে]] সরাসরি বোল্ড করে তিনি এ কৃতিত্ব অর্জন করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.cricinfo.com/ci/engine/match/62539.html|title=South Africa in England (1924): Scorecard of first Test|publisher=Cricinfo|accessdate=February 9, 2010}}</ref> বার্মিংহামের [[এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ড|এজবাস্টনে]] অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় জিলিগান ও তিনি একত্রে ১২.৩ ওভারেই মাত্র ৩০ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস সমাপ্তিতে সহায়তা করেন। জিলিগানের ৬/৭ এর সাথে তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড়ায় ৪/১২। ১৯২৪-২৫ মৌসুমে [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়া]] সফরেও তিনি সাফল্য পান। ঐ সিরিজে তিনি ২৩.১৮ গড়ে ৩৮ উইকেট লাভ করেন। পাঁচ টেস্টের তিনটিতেই তিনি ছয় শতাধিক বল করলেও অন্য বোলারদের তেমন কার্যকারিতা দেখা যায়নি। {{As of|2016}} অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত [[দি অ্যাশেজ|অ্যাশেজ সিরিজে]] যে-কোন ইংরেজ বোলারের রেকর্ড হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। |
||
পরবর্তী ছয় বছরেও টেটের অল-রাউন্ড নৈপুণ্য বজায় থাকে। ১৯২৯ সালে টেট তাঁর একমাত্র [[সেঞ্চুরি (ক্রিকেট)|শতক]] লাভ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। কিন্তু ১৯৩০ সাল থেকে তিনি মূলতঃ বোলার হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে থাকেন। ফলশ্রুতিতে তাঁকে শেষদিকে ব্যাটিং করতে হয়েছে। ঐ সময়ে [[হ্যারল্ড লারউড]] ও [[Bill Voce|বিল ভসের]] ন্যায় বোলারের আবির্ভাব ঘটায় ইংল্যান্ড দলে তাঁর ভূমিকা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ১৯৩৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর তৃতীয় সফরে দলের সদস্য থাকা স্বত্ত্বেও এবং লারউডের অনুপস্থিতিজনিত কারণেও কোন টেস্টে অংশ নিতে পারেননি। |
পরবর্তী ছয় বছরেও টেটের অল-রাউন্ড নৈপুণ্য বজায় থাকে। ১৯২৯ সালে টেট তাঁর একমাত্র [[সেঞ্চুরি (ক্রিকেট)|শতক]] লাভ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। কিন্তু ১৯৩০ সাল থেকে তিনি মূলতঃ বোলার হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে থাকেন। ফলশ্রুতিতে তাঁকে শেষদিকে ব্যাটিং করতে হয়েছে। ঐ সময়ে [[হ্যারল্ড লারউড]] ও [[Bill Voce|বিল ভসের]] ন্যায় বোলারের আবির্ভাব ঘটায় ইংল্যান্ড দলে তাঁর ভূমিকা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ১৯৩৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর তৃতীয় সফরে দলের সদস্য থাকা স্বত্ত্বেও এবং লারউডের অনুপস্থিতিজনিত কারণেও কোন টেস্টে অংশ নিতে পারেননি। |
||
== সম্মাননা == |
== সম্মাননা == |
||
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি তিনবার [[হ্যাট্রিক]] করেন। ১৯২৪ সালে নিজ দেশে ১,৪১৯ রান ও ২০৫ উইকেট লাভ ও পরবর্তীকালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ১১ উইকেট লাভ করায় [[উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক|উইজডেনের]] বিবেচনায় তাঁকে [[উইজডেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার]] ঘোষণা করে। একই বছর তাঁকে অন্যতম [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটার]] হিসেবে মনোনীত করে।<ref name="Wisden"/><ref>{{ |
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি তিনবার [[হ্যাট্রিক]] করেন। ১৯২৪ সালে নিজ দেশে ১,৪১৯ রান ও ২০৫ উইকেট লাভ ও পরবর্তীকালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ১১ উইকেট লাভ করায় [[উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক|উইজডেনের]] বিবেচনায় তাঁকে [[উইজডেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার]] ঘোষণা করে। একই বছর তাঁকে অন্যতম [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটার]] হিসেবে মনোনীত করে।<ref name="Wisden"/><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.espncricinfo.com/wisden/content/story/350988.html|title=WISDEN'S LEADING CRICKETER IN THE WORLD|publisher="Wisden"|accessdate=July 9, 2015}}</ref> |
||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
||
{{সূত্র তালিকা}} |
|||
{{reflist}} |
|||
== আরও দেখুন == |
== আরও দেখুন == |
০১:৩০, ২৩ মার্চ ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মরিস উইলিয়াম টেট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | চুবি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ফ্রেড টেট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২ মে ২০১৬ |
মরিস উইলিয়াম টেট (ইংরেজি: Maurice Tate; জন্ম: ৩০ মে, ১৮৯৫ - মৃত্যু: ১৮ মে, ১৯৫৬) সাসেক্সের ব্রাইটন এলাকার প্রিস্টনে জন্মগ্রহণকারী ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন। ১৯২০-এর দশক থেকে শুরু করে ১৯৩০-এর দশক পর্যন্ত ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলে প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে ছিলেন। এ সময়কালে ইংল্যান্ডের টেস্ট বোলিং আক্রমণে দলের নেতৃত্ব দেন ‘চুবি’ ডাকনামে পরিচিত মরিস টেট। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট মিডিয়াম বোলিং করতেন। কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্স ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলেন তিনি।
প্রারম্ভিক জীবন
সাসেক্সের সাবেক অফ স্পিনার ফ্রেড টেট ছিলেন তাঁর বাবা। ১৯১২ সালে হার্ড হিটিং ব্যাটসম্যান ও স্পিন বোলার হিসেবে সাসেক্সে খেলা শুরু করেন তিনি। ১৯১৩ ও ১৯১৪ সালে কয়েকটি খেলায় অংশ নেন টেট। ১৯১৯ সালে প্রথমবারের মতো সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করেন ও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এরপর তিনি ধারাবাহিকভাবে আরও দশবার সহস্র রানের কোটা অতিক্রম করেন। পরের দুই বছর টেটের ব্যাটিং গড়ের উন্নতি ঘটে। তন্মধ্যে ১৯২১ সালে নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে দ্বি-শতক রান করেন যা তাঁর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ। কিন্তু এ সময়কালে তাঁর বোলিংয়ের মান দ্বিতীয় সারির পর্যায়ে চলে যায়।[১]
১৯২৩ থেকে ১৯২৫ সালের মধ্যে কাউন্টি ক্রিকেটসহ টেস্ট খেলায় ব্যাপক সাফল্য পান। এ সময়ের প্রত্যেক বছরেই তিনি দুই শতাধিক উইকেট পান। সাসেক্সের ব্যাটিং অবস্থা দূর্বল থাকা স্বত্ত্বেও তাঁর ব্যাট ঠিকই রান পেয়েছে। এছাড়াও, ১৯২৪ সালে দলের মূল বোলার আর্থার জিলিগান মারাত্মকভাবে আহত ছিলেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
সাসেক্সের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বলেই উইকেট লাভ করেন তিনি।[২] ১৬ জুন, ১৯২৪ তারিখে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর টেস্ট অভিষেক ঘটে। ফ্রেড সাসকিন্ডকে সরাসরি বোল্ড করে তিনি এ কৃতিত্ব অর্জন করেন।[৩] বার্মিংহামের এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় জিলিগান ও তিনি একত্রে ১২.৩ ওভারেই মাত্র ৩০ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস সমাপ্তিতে সহায়তা করেন। জিলিগানের ৬/৭ এর সাথে তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড়ায় ৪/১২। ১৯২৪-২৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরেও তিনি সাফল্য পান। ঐ সিরিজে তিনি ২৩.১৮ গড়ে ৩৮ উইকেট লাভ করেন। পাঁচ টেস্টের তিনটিতেই তিনি ছয় শতাধিক বল করলেও অন্য বোলারদের তেমন কার্যকারিতা দেখা যায়নি। ২০১৬-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ] অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজে যে-কোন ইংরেজ বোলারের রেকর্ড হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে।
পরবর্তী ছয় বছরেও টেটের অল-রাউন্ড নৈপুণ্য বজায় থাকে। ১৯২৯ সালে টেট তাঁর একমাত্র শতক লাভ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। কিন্তু ১৯৩০ সাল থেকে তিনি মূলতঃ বোলার হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে থাকেন। ফলশ্রুতিতে তাঁকে শেষদিকে ব্যাটিং করতে হয়েছে। ঐ সময়ে হ্যারল্ড লারউড ও বিল ভসের ন্যায় বোলারের আবির্ভাব ঘটায় ইংল্যান্ড দলে তাঁর ভূমিকা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ১৯৩৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর তৃতীয় সফরে দলের সদস্য থাকা স্বত্ত্বেও এবং লারউডের অনুপস্থিতিজনিত কারণেও কোন টেস্টে অংশ নিতে পারেননি।
সম্মাননা
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি তিনবার হ্যাট্রিক করেন। ১৯২৪ সালে নিজ দেশে ১,৪১৯ রান ও ২০৫ উইকেট লাভ ও পরবর্তীকালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ১১ উইকেট লাভ করায় উইজডেনের বিবেচনায় তাঁকে উইজডেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার ঘোষণা করে। একই বছর তাঁকে অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত করে।[১][৪]
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ Cricinfo player page including obituary from Wisden Cricketer's Almnack, 1957 edition
- ↑ Cricinfo page on bowlers who got a wicket with their first ball in test
- ↑ "South Africa in England (1924): Scorecard of first Test"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১০।
- ↑ "WISDEN'S LEADING CRICKETER IN THE WORLD"। "Wisden"। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৯, ২০১৫।
আরও দেখুন
- রে ইলিংওয়ার্থ
- উইজডেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বলেই উইকেটলাভকারী বোলারদের তালিকা