নিক নল্টে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
৫৫ নং লাইন: ৫৫ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:নেব্রাস্কার অভিনেতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:নেব্রাস্কার অভিনেতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:নেব্রাস্কার চলচ্চিত্র প্রযোজক]]
[[বিষয়শ্রেণী:নেব্রাস্কার চলচ্চিত্র প্রযোজক]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন কণ্ঠ অভিনেতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন কণ্ঠাভিনেতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন টেলিভিশন অভিনেতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন টেলিভিশন অভিনেতা]]

১৪:১৫, ১৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নিক নল্টে
Nick Nolte
২০০৩ সালে নল্টে
জন্ম
নিকোলাস কিং নল্টে

(১৯৪১-০২-০৮)৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৪১
পেশাঅভিনেতা, প্রযোজক, লেখক, মডেল
কর্মজীবন১৯৬৯-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীশিলা পেজ
(বি. ১৯৬৬; বিচ্ছেদ. ১৯৭০)

শ্যারিন হ্যাডাড
(বি. ১৯৭৮; বিচ্ছেদ. ১৯৮৩)

রেবেকা লিঙ্গার
(বি. ১৯৮৪; বিচ্ছেদ. ১৯৯৪)

ক্লাইটি লেন (বি. ২০১৬)
সন্তান

নিকোলাস কিং নল্টে (ইংরেজি: Nicholas King Nolte; জন্ম: ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৪১)[১] হলেন একজন মার্কিন অভিনেতা, প্রযোজক, লেখক ও প্রাক্তন মডেল। তিনি দ্য প্রিন্স অব টাইডস্‌ (১৯৯১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সেরা নাট্য চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি অ্যাফ্লিকশন (১৯৯৮) ও ওয়ারিয়র (২০১১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আরও দুটি অস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল দ্য ডিপ (১৯৭৭), হু উইল স্টপ দ্য রেইন (১৯৭৮), নর্থ ডালাস ফোর্টি (১৯৭৯), ফোর্টি এইট আওয়ার্স (১৯৮২), টিচার্স (১৯৮৪), ডাউন অ্যান্ড আউট ইন বেভারলি হিলস (১৯৮৬), অ্যানাদার ফোর্টি এইট আওয়ার্স (১৯৯০), এভরিবডি উইন্স (১৯৯০), কেপ ফিয়ার (১৯৯১), লরেঞ্জোস অয়েল (১৯৯২), দ্য থিন রেড লাইন (১৯৯৮), দ্য গুড থিফ (২০০২), হাল্ক (২০০৩), হোটেল রুয়ান্ডা (২০০৪), ট্রপিক থান্ডার (২০০৮), এবং আ ওয়াক ইন দ্য উডস (২০১৫)।

নল্টে টেলিভিশন ধারাবাহিক রিচ ম্যান, পুওর ম্যান-এ অভিনয় করে ১৯৭৬ সালে একটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন ও ১৯৭৭ সালে সেরা নাট্যধর্মী টিভি ধারাবাহিক অভিনেতা বিভাগে একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি টেলিভিশন ধারাবাহিক গ্রেভস-এ অভিনয় করে ২০১৭ সালে সেরা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক টিভি ধারাবাহিক অভিনেতা বিভাগে একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

প্রারম্ভিক জীবন

নল্টে ১৯৪১ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি নেব্রাস্কার ওমাহায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ফ্র্যাঙ্কলিন আর্থার নল্টে (১৯০৪-১৯৭৮) ছিলেন কৃষকের সন্তান যিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান, উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রায় ঝরে পড়ছিলেন এবং পরে আইওয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল খেলায় টানা তিনবার (১৯২৯-১৯৩১) লেটার বিজয়ী।[২] তার মাতা হেলেন (বিবাহপূর্ব নাম কিং; ১৯১৪-২০০০) ছিলেন বিভাগীয় বিপণির বিক্রেতা এবং পরে অভিজ্ঞ প্রাচীন সামগ্রী ব্যবসায়ী হন এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকা স্বত্ত্বেও এই এলাকার একটি মর্যাদাসম্পন্ন ও সফল প্রাচীন সামগ্রী দোকানের যৌথ-মালিক হন। নল্টের পূর্বপুরুষগণ ছিলেন জার্মান, ইংরেজ, স্কটস-আইরিশ, স্কটিশ ও সুইস-জার্মান।[৩] নল্টের মাতামহ ম্যাথু লিন্ডার কিং হলো-টাইল সিলো আবিষ্কার করেছিলেন এবং বিমানচালনার প্রারম্ভিক সময়ের ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তার মাতামহী আইওয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংগঠন পরিচালনা করতেন। নল্টের ন্যান্সি নামে এক বড় বোন রয়েছে, তিনি রেডক্রসের একজন নির্বাহী।[৪]

কর্মজীবন

রিচ ম্যান, পুওর ম্যান টিভি ধারাবাহিকে নল্টে

নল্টে আরউইন শ’য়ের ১৯৭০ সালের সর্বাধিক বিক্রিত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত রিচ ম্যান, পুওর ম্যান টেলিভিশন মিনি ধারাবাহিক দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। এই ধারাবাহিকে অভিনয় করে তিনি ১৯৭৬ সালে একটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন ও ১৯৭৭ সালে সেরা নাট্যধর্মী টিভি ধারাবাহিক অভিনেতা বিভাগে একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। পরবর্তী কালে তিনি চল্লিশের অধিক চলচ্চিত্রে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তার চরিত্রের বৈচিত্রতা, ক্রীড়াধর্মী ট্রেডমার্ক, ও গম্ভীর কণ্ঠ তার কর্মজীবনের উল্লেখযোগ্য দিক। ১৯৭৩ সালে তিনি গ্রিফ ধারাবাহিকের "হু ফ্রেমড বিলি দ্য কিড?" পর্বে খুনের আসামী ফুটবল খেলোয়াড় বিলি র‍্যান্ডলফ চরিত্রে অতিথি ভূমিকায় কাজ করেন। তিনি অ্যান্ডি গ্রিফিথের সাথে উইন্টার কিল এবং অ্যাডামস অব ইগল লেক-এ অভিনয় করেন, তবে কোনটিই সফল হয় নি।

নল্টে দ্য ডিপ (১৯৭৭), হু উইল স্টপ দ্য রেইন (১৯৭৮), পিটার জেন্টের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত নর্থ ডালাস ফোর্টি (১৯৭৯) এবং এডি মার্ফির সাথে ফোর্টি এইট আওয়ার্স (১৯৮২) চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন। ১৯৮০-এর দশকের তিনি আন্ডার ফায়ার (১৯৮৩), ডাউন অ্যান্ড আউট ইন বেভারলি হিলস (১৯৮৬), এক্সট্রিম প্রেজুডিস (১৯৮৭) ও নিউ ইয়র্ক স্টোরিজ (১৯৮৯) ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি ক্যাথরিন হেপবার্নের বিপরীতে গ্রেস কোয়িংলি (১৯৮৫) এবং মার্ফির সাথে অ্যানাদার ফোর্টি এইট আওয়ার্স (১৯৯০) ছবিতে অভিনয় করেন। ১৯৯১ সালে দ্য প্রিন্স অব টাইডস্ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি সেরা নাট্য চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। পরবর্তী কালে তিনি মার্টিন স্কোরসেজির কেপ ফিয়ার (১৯৯১) ছবিতে রবার্ট ডি নিরোজেসিকা ল্যাঙের সাথে অভিনয় করেন। নল্টে লরেঞ্জোস অয়েল (১৯৯২), জেফারসন ইন প্যারিস (১৯৯৫), মুলহল্যান্ড ফলস (১৯৯৬) ও আফটারগ্লো (১৯৯৭) ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে অ্যাফ্লিকশন চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তার দ্বিতীয় একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এই সময়ে তিনি শন পেনের সাথে টেরেন্স মালিকের তিনটি যুদ্ধভিত্তিক মহাকাব্যিক চলচ্চিত্র – দ্য থিন রেড লাইন, ইউ টার্নগ্যাংস্টার স্কোয়াড-এ অভিনয় করেন।

নল্টে ২০০০-এর দশক জুড়েও কাজ করে যান এবং সমালোচকদের নিকট থেকে ইতিবাচক সমালোচনা পাওয়া ক্লিনহোটেল রুয়ান্ডা ছবিতে ছোট চরিত্রে কাজ করেন। তাকে ২০০৬ সালের নাট্যধর্মী পিসফুল ওয়ারিয়র এবং ২০০৮ সালের হাস্যরসাত্মক টপিক থান্ডার ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে দেখা যায়। ২০১১ সালে নল্টে ওয়ারিয়র চলচ্চিত্রে নেশাসক্তি থেকে ফিরে আসা প্যাডি কনলন চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০১৫ সালে নল্টে জীবনীমূলক হাস্যরসাত্মক নাট্যধর্মী আ ওয়াক ইন দ্য উডস এবং প্রতিশোধমূলক থ্রিলার রিটার্ন টু সেন্ডার ছবিতে অভিনয় করেন।

তথ্যসূত্র

  1. "Nick Nolte: Life in pictures"লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  2. "Iowa State Records" (পিডিএফ)। অক্টোবর ২০, ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. ম্যাকেঞ্জি, সুজি (১ মার্চ ২০০৩)। "To the brink and back"দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  4. "Nick Nolte Was a 'River Kid' in Iowa, Now He Lives With a Tree in L.A."দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 

বহিঃসংযোগ