শাহাবুদ্দিন আহমেদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
নেত্রকোণা বানান
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
৮৪ নং লাইন: ৮৪ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী আইনজ্ঞ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী আইনজীবী]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী বিচারপতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী বিচারপতি]]

০৯:২৫, ৩ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

শাহাবুদ্দিন আহমেদ
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি
কাজের মেয়াদ
১ জানুয়ারি ১৯৯০ – ৩১ জানুয়ারি ১৯৯৫
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া
পূর্বসূরীআবদুর রহমান বিশ্বাস
উত্তরসূরীবিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
(অন্তর্বর্তীকালীন)
কাজের মেয়াদ
৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ – ৯ অক্টোবর ১৯৯১
পূর্বসূরীহুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ
উত্তরসূরীআবদুর রহমান বিশ্বাস
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
কাজের মেয়াদ
২৩ জুলাই ১৯৯৬ – ১৪ নভেম্বর ২০০১
উত্তরসূরীএকিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৩০-০২-০১)১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০
পেমই গ্রাম, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা, বাংলাদেশ
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশি
বাসস্থানঢাকা
প্রাক্তন শিক্ষার্থীগুরুদয়াল কলেজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাআইন
জীবিকাআইনবিদ
ধর্মইসলাম
একই নামের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের জন্য দেখুন শাহাবুদ্দিন আহমেদ (দ্ব্যর্থতা নিরসন)

বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ (১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০-) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আইনবিদ ও ৬ষ্ঠ প্রধান বিচারপতি এবং দু'বার দায়িত্বপালনকারী রাষ্ট্রপতি। তিনি প্রথমে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর হতে ১৯৯১ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে রাষ্ট্রপতি হিসাবে এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকা-কালীন ১৯৯৬ সালের ২৩ জুলাই থেকে ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।[১][২][৩]

জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি

বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পেমই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার পিতার নাম তালুকদার রিসাত আহমেদ; তিনি একজন সমাজসেবী ও এলাকায় জনহিতৈষী ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত ছিলেন। শাহাবুদ্দিন আহমেদের স্ত্রীর নাম আনোয়ারা বেগম। তিনি তিনটি কন্যা ও দুটি পুত্র সন্তানের জনক। তার জ্যেষ্ঠা কন্যা ড. মিসেস সিতারা পারভীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। দ্বিতীয়া কন্যা মিসেস সামিনা পারভীন একজন স্থপতি। তার পুত্র শিবলী আহমেদ একজন পরিবেশ প্রকৌশলী। আরেক পুত্র সোহেল আহমেদ কলেজ ছাত্র। সর্বকনিষ্ঠা কন্যা সামিয়া পারভীন চারুকলা কলেজের ছাত্রী।

শিক্ষাজীবন

শাহাবুদ্দিনের শিক্ষা জীবন কাটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখান থেকে তিনি ১৯৫১ সালে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স) এবং ১৯৫২ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৪ সালে তদানীন্তন পাকিস্তানী সিভিল সার্ভিসের (সিএসপি) প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রথমে লাহোরের সিভিল সার্ভিস একাডেমী এবং পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রশাসনে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

কর্মজীবন

শাহাবুদ্দিন আহমেদের কর্মজীবনের সূচনা ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে। এরপর তিনি গোপালগঞ্জনাটোরের মহকুমা কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি সহকারী জেলা প্রশাসক হিসাবে পদোন্নতি পান। এর পর ১৯৬০ সালে তিনি প্রশাসন হতে বিচার বিভাগে বদলী হন। তিনি ঢাকাবরিশালের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসাবে এবং কুমিল্লাচট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তাকে ঢাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৭২ সনের ২০ জানুয়ারী হাইকোর্টের বেঞ্চে তাকে বিচারক হিসেবে উন্নীত করা হয়। ১৯৭৩-১৯৭৪ সাল পর্যন্ত তিনি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর তাকে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয়। ১৯৮০ সনের ৭ ফেব্রুয়ারি তাকে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ঢাকা ল' রিপোর্ট, বাংলাদেশ লিগ্যাল ডিসিসন এবং বাংলাদেশ কেস রিপোর্টসে তার প্রচুরসংখ্যক রায় প্রকাশ করা হয়। চাকুরী সম্পর্কিত, নির্বাচন নিয়ে কলহ, শ্রম ব্যবস্থাপনার সম্পর্ক ইত্যাদি কেসে তার গৃহীত বিচারের রায় বহুল সমাদৃত হয়। বাংলাদেশের সংবিধানের ৮ম সংশোধনী সম্পর্কিত কেসে তার দেয়া রায় যুগান্তকারী এবং বাংলাদেশের সংবিধানের পরিশোধনের পথ উন্মুক্ত করে দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮৩ সালের মধ্য-ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে বেশ কিছু লোক নিহত এবং অনেক লোক আহত হয়েছিল। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ সেই ঘটনার তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি

শাহাবুদ্দিন আহমেদের রাজনীতিতে আসাটা কিছুটা নাটকীয়। ৫ ডিসেম্বর ১৯৯০, মওদুদ আহমেদ উপ-রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলে তিনি উপ-রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্টিত হন। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ রাষ্ট্রপতি জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতাচ্যুত হবার পর, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের শূন্য রাষ্ট্রপতির পদে এবং নির্বাচন হবার আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানরূপে কে আসীন হবেন তা নিয়ে বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারছিল না। এক দল অন্য দলের প্রার্থীর প্রতি অনাস্থা পোষণ করছিল। অবশেষে যখন বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের নাম এলো তখন দুটি দলই এক মত পোষণ করল যে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন-ই একটি সুষ্ঠ ও সুন্দর এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ বাংলাদেশের ৫ম জাতীয় সাধারণ নির্বাচনের পর তিনি আবার তার মূল পদ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন।

রাষ্ট্রপতি

১৯৯৬ সালের ২৩ জুলাই তিনি আওয়ামী লীগের দ্বারা রাষ্ট্রপতির পদে মনোনয়নের পর কোনো প্রতিদন্দ্বিতা ছাড়াই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। যদিও সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা খুবই সীমিত, তিনি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তার সততা এবং প্রজ্ঞা দ্বারা বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষের ভালোবাসা ও সম্মান জয় করেন। ১৪ই নভেম্বর, ২০০১ খ্রীষ্টাব্দে তিনি রাষ্ট্রপতির পদ হতে অবসর গ্রহণ করেন।

তথ্যসূত্র

  1. বঙ্গভবনে বঙ্গবন্ধু থেকে জিল্লুর রহমান।
  2. "শুক্রবার তিন সাবেক রাষ্ট্রপতির জন্মদিন"। ২৩ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৫ 
  3. "শাহাবুদ্দিন আহমেদ-এর জন্মদিন"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৫ 
আইন দফতর
পূর্বসূরী
বদরুল হায়দার চৌধুরী
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি
১৯৯০–১৯৯৫
উত্তরসূরী
মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
ভারপ্রাপ্ত

১৯৯০–১৯৯১
উত্তরসূরী
আবদুর রহমান বিশ্বাস
পূর্বসূরী
আবদুর রহমান বিশ্বাস
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
১৯৯৬–২০০১
উত্তরসূরী
একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী