ওয়েন ক্লার্ক
| ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| পূর্ণ নাম | ওয়েন ম্যাক্সওয়েল ক্লার্ক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| জন্ম | ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩ পার্থ, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ভূমিকা | ফাস্ট বোলার, কোচ, ধারাভাষ্যকার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| সম্পর্ক | মাইকেল ক্লার্ক (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৮৩) | ২ ডিসেম্বর ১৯৭৭ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| শেষ টেস্ট | ১০ মার্চ ১৯৭৯ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৪০) | ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| শেষ ওডিআই | ১২ এপ্রিল ১৯৭৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ১৯৭৪ - ১৯৮৫ | ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওয়েন ম্যাক্সওয়েল ক্লার্ক (ইংরেজি: Wayne Clark; জন্ম: ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৩) পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, কোচ ও ধারাভাষ্যকার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ওয়েন ক্লার্ক।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
[সম্পাদনা]১৯৭৪-৭৫ মৌসুম থেকে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম পর্যন্ত ওয়েন ক্লার্কের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে ওয়েন ক্লার্কের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে মিক মলোনের পরিবর্তে একটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।[১] তাসত্ত্বেও, ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের নিয়মিত সদস্যের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। এ মৌসুমে তিনি ২৬.৯৬ গড়ে ২৫ উইকেট লাভ করেছিলেন।
নিজস্ব প্রথম আটটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ২৮ গড়ে ৩০ উইকেট লাভ করেছিলেন। জিলেট কাপের সেমি-ফাইনালে কুইন্সল্যান্ডকে পরাজিত করার ক্ষেত্রে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। ৭৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।[২]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
[সম্পাদনা]সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দশটি টেস্ট ও দুইটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। ২ ডিসেম্বর, ১৯৭৭ তারিখে ব্রিসবেনে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১০ মার্চ, ১৯৭৯ তারিখে মেলবোর্নে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
বিতর্কিত বোলার ও সফলতম কোচ ছিলেন ওয়েন ক্লার্ক। খেলোয়াড়ী জীবনে বল ছোঁড়ার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। ক্যারি প্যাকারের সময়কালীন বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া দলে পেস বোলারের ঘাটতি দেখা দেয়। ১০ টেস্টে অংশ নিয়ে ২৮.৭২ গড়ে ৪৪ উইকেট পান। তবে, কোন ইনিংসেই পাঁচ-উইকেটের সন্ধান পাননি। সাতবার চার উইকেট পেয়েছেন। তন্মধ্যে, ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে চারবার ও ঐ বছরের শেষদিকে জর্জটাউন টেস্টের উভয় ইনিংসে পেয়েছিলেন।
বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে কেরি প্যাকারের কাছ থেকে প্রস্তাবনা পেয়েছিলেন ওয়েন ক্লার্ক।[৩][৪] তবে, তিনি এ প্রস্তাবনা নাকচ করে দিয়েছিলেন। ক্লার্কের ব্যবসায়িক পরামর্শক বার্ট হিউইট এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন যে, দেশপ্রেম ও বিশ্বস্ততার প্রশ্নের বিষয়েই তার এ সড়ে আসা।[৫]
ভারতের মুখোমুখি
[সম্পাদনা]১৯৭৭-৭৮ মৌসুমের গ্রীষ্মে প্রথম দুই খেলায় ৩২.৬৩ গড়ে আট উইকেট পান। ফলশ্রুতিতে, অস্ট্রেলিয়ায় সফররত ভারত দলের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে তাকে নেয়া হয়। ক্লার্ক, জেফ থমসন, অ্যালান হার্স্ট ও টনি মানকে ঘিরে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং বিভাগ গড়ে উঠে।[৬] চমৎকার খেলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে সুনীল গাভাস্কার ও মহিন্দর অমরনাথের উইকেটসহ ৪/৪৬ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে গাভাস্কার ও দিলীপ বেঙ্গসরকারসহ ৪/১০১ পান। দ্বিতীয় ইনিংসে ১২ রান করেন। তন্মধ্যে, জেফ থমসনের সাথে ৩১ রানের জুটি গড়েন। খেলায় অস্ট্রেলিয়া দল নাটকীয়ভাবে ১৬ রানের জয় তুলে নেয়।[৭][৮]
সংবাদ প্রতিবেদনে ওয়েন ক্লার্কের বোলিং ভঙ্গীমা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। তবে, ভারতীয় অধিনায়ক বিষেন বেদী মন্তব্য করেন যে, আমরা এ বিষয়ে জানি না। আমাদের কোন কর্মকর্তা কিংবা কোন খেলোয়াড়ের কাছে ক্লার্কের বল করার ধরন নিয়ে আপত্তি নেই। গণমাধ্যমে কীভাবে তা এসেছে তা জানা নেই।[৯] দ্বিতীয় টেস্টে তেমন ভালো করেননি। ২/৯৫ ও ২/৮৩ করেন। উভয় ইনিংসেই সুনীল গাভাস্কার তার শিকারে পরিণত হন। ব্যাট হাতে নিয়ে ১৫ ও অপরাজিত ৫ রান করেন। তন্মধ্যে, থমসনের সাথে ১২ রানের জুটি গড়ে দলকে দুই উইকেটে জয় এনে দেন।[১০] পরবর্তী দুই টেস্টেও তার খেলা নিশ্চিত করা হয়।[১১]
তৃতীয় টেস্টে ৪/৭৩ ও ৪/৯৬ বোলিং পরিসংখ্যান গড়লেও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের মান সুবিধেজনক ছিল না। তাসত্ত্বেও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩ রান করে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। খেলায় সফরকারী ভারত দল ২২২ রানে বিজয়ী হয়েছিল।[১২][১৩] চতুর্থ টেস্টে ২/৬৬ পান। খেলায় সফরকারী দল ইনিংস ও ২ রানে বিজয়ী হয়।[১৪] পিঠের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ায় শিল্ডের খেলায় অনুপস্থিত ছিলেন।[১৫] আরোগ্য লাভের পর জিলেট খেলায় এনএসডব্লিউ’র বিপক্ষে মুখোমুখি হন। ৭/২ ওভারে ৪/২০ নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।[১৬][১৭] পঞ্চম টেস্টে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া দল। ভারতের প্রথম ইনিংসের শুরুতে থমসন ধ্স নামান। এরপর ক্লার্ক ৪/৬২ ও ২/৭৯ পান।[১৮][১৯]
এ সিরিজে ওয়েন ক্লার্ক ২৮ উইকেট পান। কোন ইনিংসে পাঁচ-উইকেট ব্যতিরেকে সর্বোচ্চ উইকেট লাভের রেকর্ড গড়েন। পরবর্তীতে, ২০১৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজে প্যাট কামিন্স রেকর্ডটি নিজের করে নেন।[২০] উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাকে মন্তব্য করা হয় যে, ক্লার্ক চমৎকারভাবে নিখুঁত নিশানা বরাবর বোলিং করেন। নতুন বল নিয়ে ইনিংসে ভাঙন ধরান। অস্ট্রেলীয়দের কাছে ভয়ঙ্কর হওয়া গাভাস্কারের বিপক্ষে তার রেকর্ড উল্লেখ করার মতো।[২১] সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনের জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়।[২২]
ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন
[সম্পাদনা]ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চার টেস্টে অংশ নেন। প্রথম টেস্টে ০/৪১ পান।[২৩] দ্বিতীয় টেস্টে ২/৭৭ বোলিং গড়লেও ভাগ্যের সহায়তা পাননি তিনি।[২৪][২৫] তৃতীয় টেস্টে ৪/৬৫ ও ৪/১২৪ বোলিং গড়ে অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র টেস্ট জয়ে ভূমিকা রাখেন।[২৬]
উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডসের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলায় ৭০ রান খরচায় ১২ উইকেট নিয়ে ওয়েন ক্লার্ক তার খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। ঐ খেলায় তার দল ৫২ রানে জয় পায়।[২৭] চতুর্থ টেস্টে ৩/৬৫ ও ২/৬২ পান। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে ধ্স নামলে ইনিংস ব্যবধানে পরাভূত হয়।[২৮] ক্লার্ক পিঠের সমস্যায় আক্রান্ত হন।[২৯] জ্যামাইকার বিপক্ষে খেলায় তিনি বিশ্রাম নেন।
এ সফরে ওয়েন ক্লার্ক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উপনীত হন। স্থানীয় আম্পায়ার ডগলাস স্যাং হিউ জনসমক্ষে মন্তব্য করেন যে, ক্লার্ক ও দলীয় সঙ্গী ব্রুস ইয়ার্ডলি’র বোলিংয়ে স্বচ্ছতায় তিনি সন্দিহান। তবে, এরপূর্বে উভয়ের বিপক্ষে বল ছুড়ে মারার কোন ঘটনা ঘটেনি।[৩০][৩১] এ মন্তব্য ও এ সফরে ইয়ার্ডলি’র বল নিক্ষেপের বিষয়ে পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে স্যাং হিউ’র আম্পায়ার হিসেবে অন্তর্ভূক্তি ঘটে। তবে, অস্ট্রেলিয়া দলের অনুরোধে স্যাং হিউকে স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছিল বলে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের ধারণা।[৩২][৩৩] এ সফরে ২৩.৩৫ গড়ে ৩১টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট এবং ৩০.৭৩ গড়ে ১৫ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।
১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়া গমন করে। মৌসুমের শুরুতে ইংরেজ অধিনায়ক মাইক ব্রিয়ারলি মন্তব্য করেছিলেন যে, দলকে সম্ভাব্য সমস্যায় ফেলতে পারে এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে ক্লার্ক অন্যতম।[৩৪] তবে, ক্লার্ক মৌসুমের শুরুটা ধীরলয়ে শুরু করেন এবং অ্যালান হার্স্ট, রডনি হগ ও জিওফ ডাইমক তার স্থলাভিষিক্ত হন।
গ্রীষ্মের শেষদিকে তার খেলার উত্তরণ ঘটে। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬/৪৭ পান।[৩৫] ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে পান ৫/৫৪[৩৬] ও কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ৬/৩৯ লাভ করেন।[৩৭] ফলশ্রুতিতে, দলে ফিরে আসার সুযোগ পান। ট্রেভর লাফলিন আঘাতপ্রাপ্ত হলে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন।[৩৮] ঐ খেলায় তিনি ১/৫৬ ও ০/৪৭ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। খেলায় তার দল পরাজয়বরণ করে।[৩৯] দ্বিতীয় টেস্টে লাফলিনকে তার পরিবর্তে নেয়া হয় ও তিনি দল থেকে বাদ পড়েন।[৪০] ঐ গ্রীষ্মে ৩০.২৫ গড়ে ৩৫টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পান। ১৯৭৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ও ভারত গমন করা থেকে উপেক্ষিত হন।[৪১]
অবসর
[সম্পাদনা]১৯৭৯-৮০ মৌসুমের গ্রীষ্মের শুরুতে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে খেলার সুযোগ পাননি।[৪২] তাসত্ত্বেও, দলে ফিরে আসার সুযোগ পান। ১৯৮০-৮১ ও ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমের শেফিল্ড শিল্ড বিজয়ী ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। এ পর্যায়ে কয়েকটি খেলায় দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে সেরা মৌসুম অতিবাহিত করেন। ২৫.৮৩ গড়ে ৩১ উইকেট পান।
ওয়েস্টার্ন ওয়ারিয়র্স দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। জানুয়ারি, ২০০৭ সালে ঘোষণা করা হয় যে, ক্লার্ককে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হবে। এ দায়িত্বে দশ বছরের অধিক সময় নিয়োজিত ছিলেন। পুরা কাপে দুইবার ও ওয়ান ডে ডমিস্টিক চ্যাম্পিয়নশীপে তিনবার ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলকে শিরোপা জয়ে সহায়তা করেন।
এছাড়াও, ২০০১-০২ মৌসুমে ইয়র্কশায়ার দলের কোচ ছিলেন। তন্মধ্যে, ২০০১ সালে ৩৩ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইয়র্কশায়ার কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয় করেছিল। পরের মৌসুমে দলটি প্রথম বিভাগ থেকে অবনমিত হয়। তাসত্ত্বেও, দলটি সি এন্ড জি ট্রফির শিরোপা পায়। ১৯৮৭ সালের পর লর্ডসে এটিই দলের প্রথম চূড়ান্ত খেলায় অংশগ্রহণ ছিল। ইয়র্কশায়ার কর্তৃপক্ষ কোচিং কর্মকর্তার বিষয়ে পুণর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০০৩ সালের জন্যে তাকে বোলিং কোচ হিসেবে রাখার প্রস্তাবনা দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন ও ২০০২ সালে শেষে ক্লাব ত্যাগ করেন।
২০১০ সালে পার্থ রেডিও স্টেশন ৯১.৩ স্পোর্টএফএমের স্পোর্টস ব্রেকফাস্ট দলে করবিন মিডলমাসের সাথে যোগ দেন। পাশাপাশি শেফিল্ড শিল্ডের ধারাভাষ্যকার দলের বিশ্লেষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Ian Chappell confident"। The Canberra Times। খণ্ড ৫০ নং 14, 276। ১৬ জানুয়ারি ১৯৭৬। পৃ. ১২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ "Lillee bowls WA into cup final"। The Canberra Times। খণ্ড ৫১ নং 14, 556। ১৩ ডিসেম্বর ১৯৭৬। পৃ. ১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ Frith, David। "World Series Cricket – October 1977"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Offer to Clark."। The Canberra Times। ১১ অক্টোবর ১৯৭৭। পৃ. ১৮। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ "Packer's offer turned down."। The Canberra Times। ১৫ অক্টোবর ১৯৭৭। পৃ. ৪৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ "Six new players named."। The Canberra Times। ২৪ নভেম্বর ১৯৭৭। পৃ. ৩০। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ "Exciting win to Australia."। The Canberra Times। ৭ ডিসেম্বর ১৯৭৭। পৃ. ৪৮। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/63195.html
- ↑ "WA maintains its record"। The Canberra Times। খণ্ড ৫২ নং 14, 955। ১৩ ডিসেম্বর ১৯৭৭। পৃ. ২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ "Two-wicket win to Australia"। The Canberra Times। খণ্ড ৫২ নং 14, 964। ২২ ডিসেম্বর ১৯৭৭। পৃ. ২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ "Test team retained for the next two"। The Canberra Times। খণ্ড ৫২ নং 14, 965। ২৩ ডিসেম্বর ১৯৭৭। পৃ. ১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ "India's margin is 222 runs"। The Canberra Times। খণ্ড ৫২ নং 14, 976। ৫ জানুয়ারি ১৯৭৮। পৃ. ১ (SPORTS SECTION)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/63197.html
- ↑ http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/63198.html
- ↑ "CLARK OUT OF W.A. TEAM."। The Canberra Times। ১৪ জানুয়ারি ১৯৭৮। পৃ. ১ Section: SPORTS SECTION। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ "WA moves into Gillette final Easy win over NSW despite three foolish run-outs"। The Canberra Times। খণ্ড ৫২ নং 14, 991। ২৩ জানুয়ারি ১৯৭৮। পৃ. ১১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/37/37790.html
- ↑ http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/63199.html
- ↑ "Australia wins Test series But India battles all the way"। The Canberra Times। খণ্ড ৫২ নং 15, 502। ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮। পৃ. ১ (SPORTS SECTION)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ Walmsley, Keith (২০০৩)। Mosts Without in Test Cricket। Reading, England: Keith Walmsley। পৃ. ৩৮২। আইএসবিএন ০৯৪৭৫৪০০৬৭।
- ↑ http://www.espncricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/152158.html
- ↑ "Five dropped for next Test TOURING TEAM"। The Canberra Times। খণ্ড ৫২ নং 14, 990। ২১ জানুয়ারি ১৯৭৮। পৃ. ১ (SPORTS SECTION)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/63206.html
- ↑ "Thomson notwithstanding, a nine-wicket loss"। The Canberra Times। খণ্ড ৫২ নং 15, 539। ২১ মার্চ ১৯৭৮। পৃ. ১ (SPORTS SECTION)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/63207.html
- ↑ http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/63208.html
- ↑ "Australians beat Islands by 52 runs CRICKET"। The Canberra Times। খণ্ড ৫২ নং 15, 557। ১১ এপ্রিল ১৯৭৮। পৃ. ১ (SPORTS SECTION)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/63209.html
- ↑ "Batting was 'worst of the tour'"। The Canberra Times। খণ্ড ৫২ নং 15, 565। ২০ এপ্রিল ১৯৭৮। পৃ. ১ (SPORTS SECTION)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ "Sang H[?]e 'not to stand in Test' CRICKET"। The Canberra Times। খণ্ড ৫২ নং 15, 571। ২৭ এপ্রিল ১৯৭৮। পৃ. ১ (SPORTS SECTION)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ Robinson, p. 195.
- ↑ Robinson, pp. 195–96.
- ↑ "Foster back in W. Indies Test team"। The Canberra Times। খণ্ড ৫২ নং 15, 572। ২৮ এপ্রিল ১৯৭৮। পৃ. ২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ "'Extra pressure' on tour"। The Canberra Times। খণ্ড ৫৩ নং 15, 741। ২৭ অক্টোবর ১৯৭৮। পৃ. ২০। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ "Target is 317, or nine wickets"। The Canberra Times। খণ্ড ৫৩ নং 15, 795। ২০ ডিসেম্বর ১৯৭৮। পৃ. ৪০। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ "WA overall lead of 79"। The Canberra Times। খণ্ড ৫৩ নং 15, 827। ২২ জানুয়ারি ১৯৭৯। পৃ. ১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ "Qld bowlers on top in Perth"। The Canberra Times। খণ্ড ৫৩ নং 15, 855। ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯। পৃ. ১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ "Clark back in Test side: Laughlin hurt."। The Canberra Times। ৯ মার্চ ১৯৭৯। পৃ. ৩৫। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/63235.html
- ↑ "Four dropped from Australia's team."। The Canberra Times। ১৭ মার্চ ১৯৭৯। পৃ. ৪১। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ "Cup squad surprises"। The Canberra Times। খণ্ড ৫৩ নং 15, 902। ৭ এপ্রিল ১৯৭৯। পৃ. ৪৫। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
- ↑ "McEwen in WA team"। The Canberra Times। খণ্ড ৫৪ নং 16, 096। ২০ অক্টোবর ১৯৭৯। পৃ. ৩৮। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia এর মাধ্যমে।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ওয়েন ক্লার্ক (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ওয়েন ক্লার্ক (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- Robinson, R. (1979) The Wildest Tests, Cassell Australia: Sydney. আইএসবিএন ০ ৭২৬৯ ৭৩৭৫ ০