ডন ব্ল্যাকি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডন ব্ল্যাকি
১৯২৯ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ডন ব্ল্যাকি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামডোনাল্ড ডিয়ারনেস ব্ল্যাকি
জন্ম৫ এপ্রিল, ১৮৮২
বেন্ডিগো, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু১৮ এপ্রিল, ১৯৫৫
দক্ষিণ মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১২৬)
১৪ ডিসেম্বর ১৯২৮ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৯ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪৭
রানের সংখ্যা ২৪ ৫৪৮
ব্যাটিং গড় ৮.০০ ১২.১৭
১০০/৫০ ০/০ ০/১
সর্বোচ্চ রান ১১* ৫৫
বল করেছে ১২৬০ ১৩৬৪২
উইকেট ১৪ ২১১
বোলিং গড় ৩১.৭১ ২৪.১০
ইনিংসে ৫ উইকেট ১২
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/৯৪ ৭/২৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/০ ৩৩/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ অক্টোবর ২০১৯

ডোনাল্ড ডিয়ারনেস ব্ল্যাকি (ইংরেজি: Don Blackie; জন্ম: ৫ এপ্রিল, ১৮৮২ - মৃত্যু: ১৮ এপ্রিল, ১৯৫৫) ভিক্টোরিয়ার বেন্ডিগো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২৮ থেকে ১৯২৯ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি অফ ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে বামহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন ডন ব্ল্যাকি

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯২৪-২৫ মৌসুম থেকে ১৯৩৩-৩৪ মৌসুম পর্যন্ত ডন ব্ল্যাকির প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ভিক্টোরিয়ার পক্ষে ২৩.৮৮ গড়ে ১৫৯ উইকেট পেয়েছেন। ১৯২৬-২৭ মৌসুমে যে-কোন অস্ট্রেলীয় বোলারের তুলনায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বাধিকসংখ্যক ২৪৯৫ বল করেছিলেন। মাত্র ৮১৬ রান খরচায় ৩৩ উইকেট পেয়েছিলেন।

মেলবোর্নে নিম্ন পর্যায়ের ক্লাব ক্রিকেটে অনেকগুলো সফলতম মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন। এরপর তিনি খেলার জগৎ থেকে অবসর নেন। চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ৪০ বছর বয়সে পুনরায় খেলার জগতে ফিরে আসেন। ১৯২২-২৩ মৌসুমে সেন্ট কিল্ডা ক্লাবে যোগদান করেন।[১]

১৯২৪-২৫ মৌসুমে ৪২ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৩০-৩১ মৌসুমের শেষ-পর্যন্ত এ দলে নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন। ৫১ বছর বয়সে ১৯৩৩-৩৪ মৌসুমে সর্বশেষ খেলায় অংশ নেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ডন ব্ল্যাকি। ১৪ ডিসেম্বর, ১৯২৮ তারিখে সিডনিতে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৯ তারিখে অ্যাডিলেডে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯২৭-২৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া দলের সাথে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। এ সফরে ১৯.০০ গড়ে ২১ উইকেট লাভ করেছিলেন। তন্মধ্যে, নিউজিল্যান্ডীয় একাদশের বিপক্ষে দুই খেলায় অংশে নিয়ে নয় উইকেট পান।

১৯২৮-২৯ মৌসুমের গ্রীষ্মে এপিএফ চ্যাপম্যানের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দল অস্ট্রেলিয়া গমন করে। অফ স্পিনার হিসেবে তিন টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৪৬ বছরে ২৫৩ দিন বয়সে টেস্টে ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরফলে অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেটে ডন ব্ল্যাকি’র সবচেয়ে বেশি বয়সে প্রথম খেলার রেকর্ডে গড়েন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র ইনিংসে ৫৯ ওভার বোলিং করে ৪/১৪৮ পান। এরপর তৃতীয় টেস্টে ৬/৯৪ ও ১/৭৫ লাভ করেছিলেন তিনি। খেলায় তিনি ৮৩ ওভার বোলিং করেন।[২]

চতুর্থ টেস্টে ১/৫৭ ও ২/৭০ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন। তাসত্ত্বেও, অংশগ্রহণকৃত সবগুলো টেস্টেই সফরকারী দল জয় পেয়েছিল। পঞ্চম টেস্টের জন্যে দল নির্বাচকমণ্ডলী পেস আক্রমণ বৃদ্ধি করলে তিনি বাদ পড়েন। ঐ টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দল জয় পেয়েছিল। এ সিরিজে ৩১.৭১ গড়ে চৌদ্দ উইকেট নিয়ে বোলিং গড়ে শীর্ষস্থানে অধিকার করেন। মেলবোর্নে তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান।

অবসর[সম্পাদনা]

১৯২৯-৩০ মৌসুমে সফররত মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) বিপক্ষে ভিক্টোরিয়ার সদস্যরূপে খেলায় ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। খেলায় তিনি ৫/৮২ ও ৭/২৫ লাভে করেন। সেন্ট কিল্ডা ও ভিক্টোরিয়ার জ্যেষ্ঠ স্পিনার এবং দলীয় সঙ্গী বার্ট আইরনমঙ্গারের সাথে বোলিংয়ে মিল থাকলেও অনেক রান খরচ করে ফেলেন। তাসত্ত্বেও, একবার ভিক্টোরিয়ার পক্ষে ৫৫ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন। ১৯২৭-২৮ মৌসুমে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অষ্টম উইকেটে আলবার্ট হার্টকফের সাথে ১২০ রান তুলেছিলেন।[৩] আইরনমোঙ্গারের সাথে তুলনান্তে বিশ্বস্ত ফিল্ডারের পরিচয় দিয়েছিলেন। স্লিপ অঞ্চলে অগণিত ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন তিনি।[৪]

উইজডেনে তার সম্পর্কে মন্তব্যে করা হয় যে, শক্ত মজবুত গড়নের অধিকারী হিসেবে ডন ব্ল্যাকি বলকে শূন্যে ছুড়ে মারতেন ও পাশাপাশি স্পিন ও নিশানা বরাবর আচমকা দিকপরিবর্তন করে সফল হয়েছিলেন। মিডিয়াম থেকেই স্লো মিডিয়াম বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনয়ণ করতেন।[৫]

১৮ এপ্রিল, ১৯৫৫ তারিখে ৭৩ বছর বয়সে মেলবোর্নে ডন ব্ল্যাকি’র দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. The Oxford Companion to Australian Cricket, Oxford, Melbourne, 1996, pp. 62.
  2. Australia v England, Melbourne 1928–29
  3. South Australia v Victoria 1927–28
  4. The Oxford Companion to Australian Cricket, pp. 63.
  5. Wisden 1956, p. 968.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]