বিষয়বস্তুতে চলুন

আরশাদ খান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আরশাদ খান
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
আরশাদ খান
জন্ম (1971-03-22) মার্চ ২২, ১৯৭১ (বয়স ৫৩)
পেশাওয়ার, খাইবার পাখতুনখোয়া, পাকিস্তান
উচ্চতা৬ ফুট ৪ ইঞ্চি (১.৯৩ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৪৯)
১৭ নভেম্বর ১৯৯৭ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট২৪ মার্চ ২০০৫ বনাম ভারত
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৮৭)
১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ ওডিআই১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ বনাম ভারত
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ৫৮
রানের সংখ্যা ৩১ ১৩৩
ব্যাটিং গড় ১২.০৯
১০০/৫০ -/- -/-
সর্বোচ্চ রান ৯* ২০
বল করেছে ২৫৩৮ ২৮২৩
উইকেট ৩২ ৫৬
বোলিং গড় ৩০.০০ ৩৪.৭৮
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৫/৩৮ ৪/৩৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং -/- ১০/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৯ এপ্রিল ২০২০

আরশাদ খান (পশতু: ارشاد خان; জন্ম: ২২ মার্চ, ১৯৭১) উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের পেশাওয়ার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৩ থেকে ২০০৬ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে অ্যালাইড ব্যাংক, আইসিএল পাকিস্তান একাদশ, ইসলামাবাদ, লাহোর বাদশাহ, পাকিস্তান রেলওয়েজ, পেশাওয়ার, পেশাওয়ার প্যান্থার্স, কোয়েটা, কোয়েটা বিয়ার্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৮৮-৮৯ মৌসুম থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আরশাদ খানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী তিনি। ধ্রুপদী ভঙ্গীমায় বোলিংয়ে বেশ বৈচিত্র্যতা আনয়ণ করতেন।[]

২০০৭ সালে এবিএন-এএমআরও কাপ গোল্ড লীগে পেশাওয়ার প্যান্থার্স দলের অধিনায়কত্ব করে দলের শিরোপায় নেতৃত্ব দেন। এরপর, বিলুপ্ত হওয়া ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগে অংশগ্রহণ করলে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন ও কার্যত তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা স্তিমিত হয়ে পড়ে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে নয়টিমাত্র টেস্ট ও আটান্নটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন আরশাদ খান। ১৭ নভেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে পেশাওয়ারে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৪ মার্চ, ২০০৫ তারিখে বেঙ্গালুরুতে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৯৭-৯৮ মৌসুম চলাকালে প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। পরের বছর ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ী পাকিস্তান দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে পাকিস্তান দলের অধিনায়কত্ব করেন। ২০০১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান দলের নিয়মিত সদস্যের মর্যাদা লাভ করেছিলেন।[]

অভিষেকের এক বছর পর ৫/৩৮ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে শ্রীলঙ্কাকে পরাভূত করতে সবিশেষ ভূমিকা রাখেন। তারপর থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দলে আসা-যাওয়ার পালায় ছিলেন। এরপর আরও চার বছর উপেক্ষিত ছিলেন তিনি।

ভারত গমন

[সম্পাদনা]

পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ চার বছর বাদে ২০০৫ সালে ভারত গমনার্থে তাকে পাকিস্তান দলে খেলার জন্যে পুনরায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। ঐ সফরে তিনি বেশ ভালো করেন। তন্মধ্যে, বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত টেস্টের শেষ অধিবেশনে পাকিস্তান জয়লাভ করলে সিরিজটি ড্রয়ে পরিণত হয়।[] দ্বিতীয় ইনিংসে রাহুল দ্রাবিড়ের উইকটসহ দুই উইকেট লাভ করেন।

মে, ২০০৫ সালে ক্যারিবীয় অঞ্চল গমন করেন। এরপর, পরবর্তী ইংল্যান্ড সিরিজ পর্যন্ত স্বীয় স্থান ধরে রাখেন।[] ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের সিরিজের দ্বিতীয় ও পঞ্চম খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে নিজের কার্যকারিতা তুলে ধরেন ও খুব কম রান খরচের পাশাপাশি উইকেট পান। পঞ্চম খেলায় ওভার প্রতি মাত্র ৩ রানের অল্প বেশি খরচ করেন যা স্পিনারদের ক্ষেত্রে বেশ মিতব্যয়িতাসূচক।[][]

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসিত হন। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন। সেখানে তিনি ক্যাব চালকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।[][]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Arshad Khan"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  2. BBC scorecards Results of the 2005 Pakistan versus England tour.
  3. https://tribune.com.pk/story/948643/former-pakistan-cricketer-now-steers-a-cab-in-australia/
  4. "Arshad Khan now drives taxi in Sydney"The Nation। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]