ডিগবয়

স্থানাঙ্ক: ২৭°২৩′ উত্তর ৯৫°৩৮′ পূর্ব / ২৭.৩৮° উত্তর ৯৫.৬৩° পূর্ব / 27.38; 95.63
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডিগবয়
নগর
Photo of ডিগবয় Centenary Museum at Digboi
ডিগবয় শতবার্ষিকী যাদুঘর
ডিগবয় আসাম-এ অবস্থিত
ডিগবয়
ডিগবয়
ডিগবয় ভারত-এ অবস্থিত
ডিগবয়
ডিগবয়
ভারতের আসামে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৭°২৩′ উত্তর ৯৫°৩৮′ পূর্ব / ২৭.৩৮° উত্তর ৯৫.৬৩° পূর্ব / 27.38; 95.63
দেশ ভারত
রাজ্যআসাম
জেলাতিনসুকিয়া
সরকার
 • শাসকডিগবয় পৌরসভা
উচ্চতা১৬৫ মিটার (৫৪১ ফুট)
জনসংখ্যা (২০০১)
 • মোট২০,৪০৫
ভাষা সমূহ
 • সরকারিঅসমীয়া
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
পিন৭৮৬১৭১
আইএসও ৩১৬৬ কোডইন-এএস
যানবাহন নিবন্ধনএএস - ২৩

ডিগবয় (আন্তর্জাতিক শব্দতত্ত্বিক বর্ণমালা:dɪgˌbɔɪ) হল ভারতের আসাম রাজ্যের উত্তর-পূর্ব অংশের তিনসুকিয়া জেলার একটি শহর এবং একটি মূল কেন্দ্র। ১৯ শতকের শেষদিকে এখানে অপরিশোধিত তেলের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। ডিগবয় আসামের তেল শহর হিসাবে পরিচিত যেখানে এশিয়ার প্রথম তেল কূপটি খনন করা হয়েছিল। ১৯০১ সালে এখানে প্রথম শোধনাগার চালু হয়েছিল। ডিগবয়তে প্রাচীনতম তেল কূপ রয়েছে, যেখানে এখনো তেল পাওয়া যাচ্ছে।[১] ভারতের স্বাধীনতার পরের দশক পর্যন্ত অসম তেল সংস্থার হয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্রিটিশ পেশাদার কাজ করেছেন, ডিগবয়ের একটি উন্নত অবকাঠামো ছিল এবং শহরে বেশ কিছু অসাধারণ বাংলো রয়েছে। এখানে ডিগবয় ক্লাবের অংশ হিসাবে আঠারোটি গর্তের গল্ফ কোর্স রয়েছে। উচ্চ আসামে পর্যটন প্রচারের জন্য ইতালিয়ান স্থাপত্য পরিকল্পনার ভিত্তিতে গেস্ট হাউস এবং পর্যটক আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।

ব্যুৎপত্তি[সম্পাদনা]

"এডউইন এল. ড্রাক ১৮৫৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার টাইটাসভিলিতে বিশ্বের প্রথম তেল কূপটি খনন করার মাত্র সাত বছর পরে, ইতিহাসে, বৃহত্তম মহাদেশে, কালো তরল সোনার আরেকটি খোঁজ মেলে। এক শতাব্দীরও বেশি আগে, আসামের প্রত্যন্ত কোণে ঘন এবং ম্যালেরিয়া আক্রান্ত জঙ্গলের মাঝে ইতিহাস আবার তৈরি হয়েছিল, কালো তরল সোনার খোঁজ মিলেছিল। ১৮৬৭ সালে, ডিব্রুগড় থেকে মারঘেরিতা (আসাম রেলওয়ে এবং ট্রেডিং কোম্পানির সদর দফতর) পর্যন্ত একটি রেলপথ নির্মাণের সময়, অসম রেলওয়ে ও ট্রেডিং সংস্থা কর্তৃক দায়িত্ব প্রাপ্ত ইতালীয় প্রকৌশলীরা, মারঘেরিতা থেকে প্রায় ১০ মাইল দূরে, দৈবাৎ ডিগবয়তে তেল আবিষ্কার করেছিল। ইংরেজ প্রকৌশলী, মিঃ ডাব্লিউ এল লেক বলেছিলেন ‘ডিগ বয়, ডিগ (খনন কর ছেলে, খনন কর)’, পায়ে তেলের দাগ নিয়ে ঘন অরণ্য থেকে হাতি বের হয়ে এসেছিল"।[২] এটি সম্ভবত ডিগবয়ের স্থান নির্ধারণ এবং নামকরণে ব্যাখ্যা, যদিও কল্পিত। সাত বছরের ব্যবধানে দুটি ঘটনা একসাথে মিলে গেছে, তবে দুটিই প্রতিপাদ্য হওয়ার সম্ভাবনা নেই, এই জাতীয় বিদ্যমান প্রমাণ, বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার জন্য যথেষ্ট বিশদভাবে বলা আছে। তৈলাক্ত পদচিহ্নগুলির সন্ধান করে তারা দেখতে পেল যে ভূমিতে তেল চুঁইয়ে এসেছে। ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে একজন, ইংরেজ উইলি লিওভা লেক, একজন ‘তেল উৎসাহী’ ছিলেন এবং তিনি সংস্থাকে সেখানে একটি কূপ খনন করতে রাজি করিয়েছিলেন।
অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড তাদের কোম্পানির ইতিহাসে হাতির পায়ের কোনও উল্লেখ করে না,[৩] যদিও এর আগের ওয়েব সাইটে সংস্থাটি উল্লেখ করেছে যে লেক "বোরভিলের আশেপাশে তেলের চোঁয়ানো" লক্ষ্য করেছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের পরে, লেক, সরঞ্জাম, বয়লার এবং স্থানীয় শ্রমিকদের একত্রিত করেন এবং হাতিদের দিয়ে সব সরঞ্জাম ঘটনাস্থলে নিয়ে যান। প্রথম কূপটি ১৮৮৯ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল, তবে ১৭৮ ফুট (৫৪ মি) খোঁড়ার পর প্রথম আশাব্যাঞ্জক কিছু দেখতে পাওয়া যায়, এবং আরো খনন পুনরারম্ভ হয়। এটি ১৮৯০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল যখন মোট ৬৬২ ফুট (২০২ মি) গভীর খননের পর কূপটি সম্পূর্ণ হয়েছিল।

ভূগোল[সম্পাদনা]

ডিগবয়ের স্থানাঙ্ক 27°22'48.0"N 95°37'48.0"E।[৪] এর গড় উচ্চতা হল ১৬৫ মিটার (৫৪১ ফুট)। এটি গুয়াহাটির ৫১০ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে অবস্থিত।

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

ভারতের আদমশুমারি ২০১১-এর হিসাব অনুযায়ী,[৫] ডিগবয়ের শহরের জনসংখ্যা ২১,৭৩৬ জন, এর মধ্যে ১০,৯৬৪ পুরুষ এবং ১০,৭৭২ জন মহিলা। ০-৬ বছর বয়সী বাচ্চাদের সংখ্যা ১৭৪৫ জন, যা ডিগবয়ের মোট জনসংখ্যার ৮.০৩%। ডিগবয় নগর কমিটিতে, মহিলা যৌন অনুপাতের গড় হার ৯৮২, যেখানে রাজ্যের গড় হার ৯৫৮। আসাম রাজ্যে শিশু যৌন অনুপাতের গড় ৯৬২। এর তুলনায় ডিগবয়তে শিশু যৌন অনুপাত ৯৮১ এর কাছাকাছি। ডিগবয় শহরের সাক্ষরতার হার ৯২.০৮%, রাজ্যের গড় ৭২.১৯% এর চেয়ে অনেক বেশি। এখানে পুরুষদের সাক্ষরতার হার ৯৫.০৯% এবং মহিলাদের সাক্ষরতার হার ৮৯.০২%।

২০১১ সালে ভারতের আদমশুমারিতে ডিগবয় তৈল শহরকে একটি পৃথক আদমশুমারি শহর হিসাবে ধরা হয়েছিল।[৫] জনসংখ্যা অনেকাংশেই নানাধর্মী। এখানে অসমীয়া, বাঙালি, নেপালি, বিহারী, মারোয়ারি সম্প্রদায় সংখ্যাগরিষ্ঠ। চা-উপজাতির মতো বিভিন্ন উপজাতির লোকেরা (ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চল থেকে ঔপনিবেশিক রোপনকারীরা চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক হিসাবে নিয়ে এসেছিল)যেমন, বোড়ো, মিশি ইত্যাদিরা এই অঞ্চলকে তাদের বসতিতে পরিণত করেছে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Assam Govt website"। ২৮ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৯ 
  2. "Digboi, 100, still alive and kicking", Santanu Sanyal, The Hindu Business Line, 17 December 2001, retrieved online April 2008
  3. "Heritage", retrieved online September 2009
  4. "Falling Rain Genomics, Inc - Digboi"। ১৬ মার্চ ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০০৭ 
  5. "Census of India 2001: Data from the 2001 Census, including cities, villages and towns (Provisional)"। Census Commission of India। ২০০৪-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-০১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]