বড়চতুল ইউনিয়ন
বড়চতুল | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
![]() | |
বাংলাদেশে বড়চতুল ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°১′২৬.০০০″ উত্তর ৯২°১১′৩৫.৯৯৯″ পূর্ব / ২৫.০২৩৮৮৮৮৯° উত্তর ৯২.১৯৩৩৩৩০৬° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | সিলেট জেলা |
উপজেলা | কানাইঘাট উপজেলা ![]() |
আয়তন | |
• মোট | ৪,৬২০ হেক্টর (১১,৪১৭ একর) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ২৩,৩৫৭ |
• জনঘনত্ব | ৫১০/বর্গকিমি (১,৩০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৯১ ৫৯ ১৩ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট ![]() |
বড়চতুল ইউনিয়ন বাংলাদেশের সিলেট জেলার অন্তর্গত কানাইঘাট উপজেলার একটি ইউনিয়ন।[১]
অবস্থান
[সম্পাদনা]কানাইঘাট উপজেলা থেকে সিলেট যাওয়ার পথে প্রধান সড়কে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পূর্বে কানাইঘাট, পশ্চিমে দরবস্থ ইউনিয়ন পরিষদ, উত্তরে চারিকাটা ইউনিয়ন, দক্ষিণে দক্ষিণ বানীগ্রাম ইউনিয়ন। সিলেট-তামাবিল মহা সড়ক হয়ে দরবস্থ বাজার থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্তিত উক্ত ইউনিয়ন। উক্ত ইউনিয়নে ওয়ার্ড সংখ্যা রয়েছে ৯ টি ।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]সড়ক পথই উক্ত ইউনিয়নের মানুষের প্রধান যাতায়াতের মাধ্যম।
আয়তন ও জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]আয়তন- ১৬.৭২ বর্গ কি মি। মোট জনসংখ্যা- ৩১৫২৬ জন পুরুষ-১৬৫৩৭ জন, মহিলা- ১৪৯৮৯ জন।
শিক্ষা
[সম্পাদনা]শিক্ষার হার- ৬০%
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা- ১৬টি।
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা- সরকারী ১১টি এবং বেসরকারী ৩টি ,কমিউনিটি ১টি।
- মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা -বেসরকারী ২টি।
- কলেজের সংখ্যা বেসরকারী ১টি।
- টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ বেসরকারি ১ টি
- মাদ্রাসার সংখ্যা-আলিয়া নাই, কওমি ৮টি
- ধর্মীয় প্রতিষ্টানের সংখ্যা-মসজিদ ৫১টি মন্দির ২টি।
- মহিলা মাদ্রাসা ৫ টি।
গ্রাম
[সম্পাদনা]গ্রামের সংখ্যাঃ- ৩০টি। হারাতৈল কাজির পাতন, হারাতৈল বাগর আগন, হারাতৈল উপর বড়াই, মাজবড়াই, হারাতৈল কাদিরগ্রাম, রাঙ্গারাই, হারাতৈল বেতু, আগফৌদ, দুর্গাপুর আগফৌদ, দুর্গাপুর মল্লিফৌদ, রাউৎ গ্রাম,ইন্দ্রকোনা, সরুফৌদ,জাইমরা, নয়াগ্রাম, মুক্তাপুর, দলকিরাই, পর্বতপুর, রতনপুর, ভাটিপাড়া, ডুংরা, নয়াফৌদ, রায়পুর, মালিগ্রাম, বড়চতুল, কুড়ারপার, সোনাতুলা, লখাইর গ্রাম, বাল্লা,ডুংরা নয়াপাড়া।
হাট-বাজার
[সম্পাদনা]চতুল বাজার, চতুল ঈদগাহ বাজার, মালীগ্রাম বাজার।
খাল ও নদী
[সম্পাদনা]খাল ৬টি- নাপিতখাল, কুরি খাল, বল্লী খাল, জুনাইর খাল, সড়কের খাল, বাঘা খাল। নদী ২টি- হিংগাইর নদী, ঈশাবা নদী।
জনপ্রতিনিধি
[সম্পাদনা]বর্তমান চেয়ারম্যান- আব্দুল মালিক চৌধুরী।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান
[সম্পাদনা]১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে উক্ত ইউনিয়নের অবদান অনস্বীকার্য। মুক্তিযুদ্ধকালের অন্যতম স্মরণীয় যুদ্ধ হলো কানাইঘাটের যুদ্ধ। জেলার পূর্বাঞ্চলীয় ভূ-ভাগে ৪ নম্বর সেক্টর এলাকায় যুদ্ধটি সংঘটিত হয়। কানাইঘাট থানা সদরটি জৈন্তাপুর-জকিগঞ্জ সংযোগ সড়কে সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত। মেঘালয় সীমান্তের নিকটবর্তী এই থানাটি অবস্থানগত কারণে মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তানি বাহিনী—উভয় পক্ষের কাছেই সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। কানাইঘাট-দরবস্তের সঙ্গে সংযোগকারী একটি সড়ক ছিলো, তাই মুক্তিবাহিনী কিংবা যৌথবাহিনীর জন্য এই দুটি স্থান দখল করে নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "এক নজরে বড় চতুল ইউনিয়ন"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১১ নভেম্বর ২০১৮। ২ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৯।