শ্যামনগর

স্থানাঙ্ক: ২২°৫০′ উত্তর ৮৮°২২′ পূর্ব / ২২.৮৩° উত্তর ৮৮.৩৭° পূর্ব / 22.83; 88.37
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শ্যামনগর
শহর
মুলাজোর কালিবাড়ি
মুলাজোর কালিবাড়ি
ডাকনাম: মুলাজোড়
শ্যামনগর পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
শ্যামনগর
শ্যামনগর
পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রে শ্যামনগরের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৫০′ উত্তর ৮৮°২২′ পূর্ব / ২২.৮৩° উত্তর ৮৮.৩৭° পূর্ব / 22.83; 88.37
দেশভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলাউত্তর চব্বিশ পরগনা
সরকার
 • পুরপ্রধানঅরুণ ব্যানার্জী[১]
উচ্চতা২ মিটার (৭ ফুট)
জনসংখ্যা (২০০১)
 • মোট৪,৪১,৯৫৬
ভাষা
 • সরকারিবাংলা, ইংরেজি
 • কথ্য ভাষাবাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু[২]
জাতি
 • জাতিগোষ্ঠীবাঙালি, মাড়োয়ারি, বিহারি, অন্যান্য
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০)
পিন কোড৭৪৩১২৭
লিঙ্গানুপাত৯:১১ /

শ্যামনগর হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার একটি শহর। এটি জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকেন্দ্র। শহরটি রাজ্যের রাজধানী কলকাতা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মূলাজোড়, অধুনা শ্যামনগর শহরটি হুগলী নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রাচীন জনপদ। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র এখানে কবি ভারতচন্দ্র রায়গুনাকরকে জমি প্রদান করেছিলেন। এখানে গোপীমোহন ঠাকুর ব্রহ্মমময়ী কালিমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।

মূলাজোড় কালীবাড়ি বা শ্যামনগর কালীমন্দির একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এই মন্দির গঙ্গা নদীর তীরে স্থাপিত। শীতকালে প্রতি বৎসর পৌষ মাসে একমাস ধরে মন্দিরে কালী মায়ের বিশেষ পুজো আরাধনা চলে। দূর দূর থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মানুষ ভোর বেলা থেকে দীর্ঘ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে এক জোড়া মুলো, ফুল, বেলপাতা, প্রসাদ মাটির তৈরী ডালায় সাজিয়ে মায়ের পুজো দেন। তাই এই বিশেষ পুজোর নাম 'মূলা ডালি'।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ভূগোল[সম্পাদনা]

শ্যামনগর গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে ২ মি (৬.৬ ফু) উচ্চতায়[৩] ২২°৫০′ উত্তর ৮৮°২২′ পূর্ব / ২২.৮৩° উত্তর ৮৮.৩৭° পূর্ব / 22.83; 88.37 অক্ষ-দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। শহরটি হুগলি নদীর তীর বরাবর উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত। এই শহরের অধিকাংশ অঞ্চলে আগে জলাভূমি ছিল। পরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জলাভূমি বুজিয়ে এই শহরটি গড়ে ওঠে।[৪] অবশিষ্ট জলাভূমি এখন পূর্ব কলকাতা জলাভূমি নামে পরিচিত। এটি আন্তর্জাতিক গুরুত্বসম্পন্ন রামসর সংরক্ষণের অন্তর্ভুক্ত।[৫]

গাঙ্গেয় সমভূমির অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এই শহরের মাটি পাললিক প্রকৃতির। শহরের তলদেশে মাটি, পলি, বিভিন্ন ধরনের বালি ও কাঁকড় রয়েছে। মাটির দুটি স্তরের মধ্যে এই উপাদানগুলি বদ্ধ হয়ে আছে। নিচের স্তরটির গভীরতা ২৫০ মি (৮২০ ফু) থেকে ৬৫০ মি (২,১৩৩ ফু) এবং উপরের স্তরটির গভীরতা ১০ মি (৩৩ ফু) থেকে ৪০ মি (১৩১ ফু)।[৬] ভারতীয় মানক ব্যুরোর মতে এই শহরটি সিসমিক ক্ষেত্র-তিনের অন্তর্গত; যার মাত্রা এক থেকে পাঁচ (অর্থাৎ, এটি ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চল)। [৭] অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এই শহরটি ঘূর্ণিঝড়-প্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Official District Administration site"। ১৫ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৫ 
  2. Official Language - Constitutional/Statutory Provisions ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ এপ্রিল ২০০৭ তারিখে World Gazetteer. Retrieved 8 February 2010.
  3. Falling Rain Genomics, Inc - Jaipur
  4. "An Introduction"History of Kolkata। Catchcal.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৮-২৯ 
  5. Roy Chadhuri, S.; Thakur, A. R. (২০০৬-০৭-২৫)। "Microbial genetic resource mapping of East Calcutta wetlands" (PDF)Current Science। Indian Academy of Sciences। 91 (2): 212–217। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-০২ 
  6. Bunting SW, Kundu N, Mukherjee M। "Situation Analysis. Production Systems and Natural Resources Use in PU Kolkata" (পিডিএফ)। Institute of Aquaculture, University of Stirling, Stirling, UK। পৃষ্ঠা 3। ২০০৬-০৫-০৫ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৪-২৬ 
  7. "Hazard profiles of Indian districts" (পিডিএফ)National Capacity Building Project in Disaster ManagementUNDP। ২০০৬-০৫-১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৮-২৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]