বিষয়বস্তুতে চলুন

ধান্যকুড়িয়া

স্থানাঙ্ক: ২২°৪০′৩০″ উত্তর ৮৮°৫০′৪৬″ পূর্ব / ২২.৬৭৫০৮৫০° উত্তর ৮৮.৮৪৬০০৬০° পূর্ব / 22.6750850; 88.8460060
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ধান্যকুড়িয়া
গ্রাম
ধান্যকুড়িয়া পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
ধান্যকুড়িয়া
ধান্যকুড়িয়া
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৪০′৩০″ উত্তর ৮৮°৫০′৪৬″ পূর্ব / ২২.৬৭৫০৮৫০° উত্তর ৮৮.৮৪৬০০৬০° পূর্ব / 22.6750850; 88.8460060
দেশ ভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলাউত্তর চব্বিশ পরগনা
জনসংখ্যা (২০০১)
 • মোট৪,১৬৮
ভাষা
 • অফিসিয়ালবাংলা, ইংরেজি
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০)

ধান্যকুড়িয়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট থানার অধীনস্থ একটি সেন্সাস টাউন

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

আজ থেকে প্রায় দুশো তিরিশ বছর আগের কথা। সুবিশাল এই রাজবাড়ি বানিয়েছিলেন ধান্যকুড়িয়ার জমিদার মহেন্দ্রনাথ গায়েন। সেসময় ফুলেফেঁপে উঠেছিল তাঁর পাটের ব্যবসা। মূলত ইংরেজদের সঙ্গেই চলত তাঁর লেনদেন। আর সেই সুবাদেই উত্তর ২৪ পরগণার এই প্রান্তিক অঞ্চলেও নিত্যদিন লেগে থাকত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহেবদের আনাগোনা। তাঁদের বিলিতি সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে উস্কে দিতেই ইউরোপীয় দুর্গের আদলে এই রাজবাড়ি নির্মাণ করেন মহেন্দ্রনাথ।

৩০ একর জায়গায় জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই রাজবাড়ির মধ্যেই রয়েছে আস্ত এক পুষ্করিণী, যাতে রাজবাড়ির প্রতিচ্ছবি ঝলমল করে সারাদিন। গোটা দুর্গটিকে কেন্দ্র করে রয়েছে বিশাল এক বাগানও। দুর্গের ভেতরে ঢুকলেও রীতিমতো চমকে যেতে হবে। নানা ধরনের ভিক্টোরিয়ান কারুকাজ থেকে শুরু করে রয়েছে ইতালিয় কাচের তৈরি আসবাব। যা এক কথায় মন্ত্রমুগ্ধকর। গ্রীষ্মকালে এই রাজবাড়িতে এসে অনেক সময়ই ছুটি কাটাতেন ব্রিটিশ সাহেবরা। তাঁদের জন্য ছিল পৃথক নহবতখানা, অতিথিশালা। এমনকি সেসময় এই রাজবাড়ির জন্য পৃথক রেল স্টেশনও তৈরি করেছিল মার্টিন কোম্পানি। গায়েন গার্ডেন নামের সেই স্টেশনে এসে থামত ন্যারো গেজের ছোট্ট বাষ্পচালিত ট্রেন। বর্তমানে অবশ্য সেই স্টেশনের অস্তিত্ব নেই আর। ২০০৮ সালে তা অধিগ্রহণ করে সরকার। গড়ে ওঠে অনাথ মেয়েদের সরকারি হোম। তবে মূল বাড়িটির কিছু অংশের পুনর্নির্মাণ হলেও, সামগ্রিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধুঁকছে এই ঐতিহাসিক স্থাপত্যটি। বাড়ির সামনে অবস্থিত শ্বেত পাথরের দুটি সিংহ মূর্তির একটি চুরি গিয়েছিল বহু আগেই। কয়েক বছর আগে আরেকটি সিংহও চড়া দামে বিক্রি করে দেন মহেন্দ্রনাথের উত্তরসূরিরা। তবে শুধু ঔপনিবেশিক ইতিহাসই নয়, এই বাড়িতে শুটিং হয়েছে ‘সত্যান্বেষী’, ‘সাহেব-বিবি-গোলাম’, ‘সূর্যতপা’-সহ একাধিক জনপ্রিয় চলচ্চিত্রেরও। অভিনয় করে গেছেন স্বয়ং উত্তমকুমার। এমনকি বিদেশি বিভিন্ন চলচ্চিত্রেরও শুট হয়েছে এই দুর্গেই।

জনসংখ্যার উপাত্ত

[সম্পাদনা]

ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে ধান্যকুড়িয়া শহরের জনসংখ্যা হল ৪১৬৮ জন।[] এর মধ্যে পুরুষ ৫১%, এবং নারী ৪৯%।

এখানে সাক্ষরতার হার ৭৫%, । পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮১%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৮%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ধান্যকুড়িয়ার সাক্ষরতার হার বেশি।

এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি"। Archived from the original on ১৬ জুন ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৭, ২০০৬ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]