যমুনা নদী (পশ্চিমবঙ্গ)
যমুনা নদী | |
গোবরডাঙ্গায় অবস্থিত যমুনা নদী
| |
দেশ | ভারত |
---|---|
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলাসমূহ | উত্তর চব্বিশ পরগণা, নদীয়া |
উপনদী | |
- বাঁদিকে | চৈতা নদী |
Landmark | হরিণঘাটা, গাইঘাটা |
উৎস | ভাগীরথী নদী (গঙ্গা) (বর্তমানে বিচ্ছিন্ন) |
মোহনা | ইছামতি নদী |
দৈর্ঘ্য | ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) |
যমুনা নদী ইছামতি নদীর একটি উপনদী। নদীটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য দিয়ে প্রবাহিত এবং নদিয়া ও চব্বিশ পরগণা জেলার অন্যতম বড় নদী।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
পশ্চিমবাংলার ত্রিবেণী সংগমের অন্যতম নদী যমুনা অতীতে প্রবহমান ও গুরুত্বপূর্ণ নদী ছিল। পঞ্চদশ শতকে বিপ্রদাস পিপলাই এর কালে "যমুনা বিশাল অতি" বলে উল্লেখ করা আছে। ত্রিবেণী সপ্তগ্রামের বর্ণনায় বিপ্রদাস বলেছেন 'গঙ্গা আর সরস্বতী যমুনা বিশাল অতি, অধিষ্ঠান উমা মাহেশ্বরী'। কালক্রমে যমুনা তার প্রবাহ হারিয়ে খালের আকারে বয়ে গঙ্গাতে পড়েছে[১]।
গতিপথ[সম্পাদনা]
নদীটি নদিয়া জেলার অতীতের মূল স্রোতধারা ভাগীরথী থেকে উৎপন্ন হয়ে ইছামতী পর্যন্ত প্রবাহিত হত। এর পর নদীটি নদীয়া থেকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রবেশ করে বেশ কয়েকটি জনপদ- হরিণঘাটা, গাইঘাটা ও গোবরডাঙার পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চারঘাটের কাছে ইছামতি নদীতে মিলিত হয়েছে। এই নদীটির প্রধান উপনদী হল চৈতা নদী। চৈতা নদী যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয় ট্যাংরার কাছে। নদিটিতে বছরের অন্য সময় জল না থাকলেও বর্ষার সময় প্রচুর জল বহন করে ও বন্যার সৃষ্টি করে।[২]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ নীহাররঞ্জন রায় (বৈশাখ ১৪০০)। বাঙালীর ইতিহাস। কলকাতা: দেজ পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ৭৯। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "নৌকো চলত যমুনায়, এখন সে সব গল্পকথা মনে হয় এলাকার মানুষের"। আনন্দবাজার প্রত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ 30 December। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে যমুনা নদী (পশ্চিমবঙ্গ) সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
স্থানাঙ্ক: ২৬°০৬′ উত্তর ৯২°৪৫′ পূর্ব / ২৬.১০০° উত্তর ৯২.৭৫০° পূর্ব