জ্যামাইকা জাতীয় ক্রিকেট দল
কর্মীবৃন্দ | |
---|---|
অধিনায়ক | নিকিতা মিলার (প্রথম-শ্রেণী ও লিস্ট এ) |
কোচ | জুনিয়র বেনেট |
দলের তথ্য | |
রং | স্বর্ণালী, সবুজ, কালো |
প্রতিষ্ঠা | ১৮৮৮ |
স্বাগতিক মাঠ | সাবিনা পার্ক, কিংস্টন |
ধারণক্ষমতা | ২২,০০০ |
ইতিহাস | |
প্রথম শ্রেণী অভিষেক | আরএস লুকাস একাদশ ১৮৯৫ সালে সাবিনা পার্ক, কিংস্টন |
চারদিন জয় | ১২ |
ডব্লিউআইসিবি কাপ জয় | ৬ (ও যৌথভাবে ১বার) |
টুয়েন্টি২০ জয় | ০ |
জ্যামাইকা জাতীয় ক্রিকেট দল (ইংরেজি: Jamaica national cricket team) জ্যামাইকার জাতীয় ক্রিকেট দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সদস্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের (ডব্লিউআইসিবি) নিয়ন্ত্রণাধীন জ্যামাইকা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (জেসিএ) কর্তৃক দলটি পরিচালিত হয়ে আসছে।[১] জেসিএ’র নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জ্যামাইকীয়রা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের পক্ষে খেলে থাকে।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৮৯৫ সাল থেকে দলের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়। এ সময়ে দলটি ১৮৯৪-৯৫ মৌসুমে স্ল্যাড লুকাসের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড থেকে আগত দলের বিপক্ষে তিনটি খেলায় অংশ নেয়। তবে, অন্যান্য ক্রিকেটভূক্ত দেশগুলোর সাথে দীর্ঘ দূরত্বের কারণে ১৯৬৪ সালের পূর্ব-পর্যন্ত নিয়মিতভাবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিতে পারেনি। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শেল শীল্ডের উদ্বোধনী আসরে অংশ নেয়। চতুর্থ প্রচেষ্টায় শিরোপা জয় করলেও ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে পরবর্তী শিরোপা পায়। এ পর্যায়ে দলটি লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের সাথে যৌথভাবে একদিনের শিরোপা জয় করে।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনটি প্রথম-শ্রেণীর ও তিনটি একদিনের শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখায় জ্যামাইকা দল। তবে, পরবর্তী তেরো মৌসুমে তার আর মাত্র চারটি শিরোপা লাভে সক্ষম হয়। তন্মধ্যে, ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে দ্বৈত শিরোপা জয়ের অধিকারী হয়। দুই বছর পর ২০০৪-০৫ মৌসুমে আবারও শিরোপা পায়। পরবর্তী দশ বছর সাতটি শিরোপা পায়। ক্যারিব বিয়ার কাপে রানার্স-আপ হওয়া লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের চেয়ে ৪৭ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে থাকে। ঐ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় দলটি লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসকে আট উইকেটে পরাজিত করে। তাসত্ত্বেও, পরবর্তী মৌসুমে দলটি সর্বশেষ স্থান অধিকার করে।
১৯৯৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসের ক্রিকেট বিষয় বাদে দলটি কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়নি। তবে, ক্যারিবীয় অঞ্চলের আন্তঃআঞ্চলিক প্রতিযোগিতা যেমন: রিজিওন্যাল ফোর ডে কম্পিটিশন ও রিজিওন্যাল সুপার৫০ অংশ নেয়। সেরা খেলোয়াড়েরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। জ্যামাইকা দল আটবার ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে। পাশাপাশি, তারা ছয়বার একদিনের প্রতিযোগিতার শিরোপাসহ যৌথভাবে একবার শিরোপার সন্ধান পায়। প্রফেসনাল ক্রিকেট লীগে বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত দল হিসেবে জ্যামাইকা স্কর্পিয়ন্স নামে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হচ্ছে।
জিমি অ্যাডামস, জেরি আলেকজান্ডার, জেফ ডুজন, ক্রিস গেইল, জর্জ হ্যাডলি, মাইকেল হোল্ডিং, লরেন্স রো, আলফ্রেড ভ্যালেন্টাইন, কোর্টনি ওয়ালশ, ফ্রাঙ্ক ওরেল, মারলন স্যামুয়েলস ও আন্দ্রে রাসেলের ন্যায় উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড় জ্যামাইকার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
মাঠ
[সম্পাদনা]জ্যামাইকার কিংস্টনে অবস্থিত সাবিনা পার্কে জ্যামাইকা দল তাদের খেলাগুলো আয়োজন করে। ১৮৯৫ সাল থেকে এখানে ১৪৪টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়েছে। সচরাচর প্রতি বছর কমপক্ষে দুই কিংবা তিনটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে, ২০০৫ সালে কোন খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। এর পরিবর্তে সেন্ট এলিজাবেথের অ্যালপার্ট স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডকে প্রধান মাঠ হিসেবে নেয়ার পর পাঁচটি খেলার মধ্যে তিনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিংস্টনের কেনসিংটন পার্ক ও স্প্যানিশ টাউনের চেডউইন পার্কের সাথে ঐ মাঠে ২০০৫-০৬ মৌসুমের ক্যারিব বিয়ার কাপের একটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মাননা
[সম্পাদনা]- রিজিওন্যাল ফোর ডে কম্পিটিশন (১১): ১৯৬৮-৬৯, ১৯৮৭-৮৮, ১৯৮৮-৮৯, ১৯৯১-৯২, ১৯৯৯-২০০০, ২০০১-০২, ২০০৪-০৫, ২০০৭-০৮, ২০০৮-০৯, ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১১-১২
- ঘরোয়া একদিনের প্রতিযোগিতা (৭): ১৯৭৭-৭৮ (যৌথভাবে), ১৯৮৩-৮৪, ১৯৮৫-৮৬, ১৯৮৬-৮৭, ১৯৯০-৯১, ১৯৯৯-২০০০, ২০০৭-০৮
- ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লীগ (২): ২০১৩, ২০১৬
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "cricketjamaica.org"। ১০ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০২০।
- ↑ windiescricket.com