বিষয়বস্তুতে চলুন

ম্যালকম জার্ভিস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা BanglaBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১২:৩০, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (ত্রুটি সংশোধন, আইডি: ৮৮)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

ম্যালকম জার্ভিস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ম্যালকম পিটার জার্ভিস
জন্ম (1955-12-06) ৬ ডিসেম্বর ১৯৫৫ (বয়স ৬৯)
ফোর্ট ভিক্টোরিয়া, রোডেশিয়া ও নিয়াসাল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি মিডিয়াম ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
সম্পর্ককাইল জার্ভিস (পুত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ )
১৮ অক্টোবর ১৯৯২ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট২৬ অক্টোবর ১৯৯৪ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৬)
১৩ অক্টোবর ১৯৮৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ বনাম পাকিস্তান
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ১২
রানের সংখ্যা ৩৭
ব্যাটিং গড় ২.০০ ১৮.৫০
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান * ১৭
বল করেছে ১,২৭৩ ৬০১
উইকেট ১১
বোলিং গড় ৩৫.৭২ ৫০.১১
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/৩০ ২/৩৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ১/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ম্যালকম পিটার জার্ভিস (ইংরেজি: Malcolm Jarvis; জন্ম: ৬ ডিসেম্বর, ১৯৫৫) রোডেশিয়া ও নিয়াসাল্যান্ডের ফোর্ট ভিক্টোরিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৫ সময়কালে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৮৭১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে দলের পক্ষে খেলেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে ম্যাশোনাল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপহারে সচেষ্ট ছিলেন ম্যালকম জার্ভিস

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

১৯৭৯-৮০ মৌসুম থেকে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম পর্যন্ত ম্যালকম জার্ভিসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মিডল্যান্ডস এলাকায় শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। তৎকালীন কিউ কিউ হাইস্কুলে অধ্যয়ন করেন। এরপর হারারেতে স্থানান্তরিত হন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ম্যালকম জার্ভিস। ১৮ অক্টোবর, ১৯৯২ তারিখে হারারেতে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৬ অক্টোবর, ১৯৯৪ তারিখে একই মাঠে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৯২-৯৩ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের প্রথম টেস্টে অংশগ্রহণ করার গৌরব অর্জন করেন। সৌভাগ্যবশতঃ অংশগ্রহণকৃত পাঁচ টেস্টের কোনটিতেই পরাজয়ের মুখ দেখেনি তার দল। এছাড়াও, যদি ক্যাচ হাতছাড়া না হতো তাহলে হয়তোবা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে জিম্বাবুয়ের প্রথম উইকেট লাভের অধিকারী হতেন।

স্বল্প কয়েকটি টেস্টে খেলায় অংশ নিলেও ১১টি উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েন। তার সবগুলো ডিসমিসালই কটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছিল।[]

খেলার ধরন

ধ্রুপদী ভঙ্গীমায় বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। সূক্ষ্ম নিশানা বরাবর বোলিং করতে পারতেন। পিচের দিকে ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে ডেলিভারি করা বল শূন্যে মারতে বাধ্য করতেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টার বোলিং করলেও তার ক্লান্তি ছিল না। তরুণ খেলোয়াড়দেরকে সহযোগিতার হাত প্রসার করতেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে মোটেই সুবিধে করতে পারেননি তিনি। তবে, প্রয়োজনে দীর্ঘক্ষণ ক্রিজে অবস্থান করতে পারতেন।

উদার হৃদয়ের অধিকারী ও পরীক্ষিত সেবক হিসেবে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। বামহাতি সিম ও সুইং বোলার হিসেবে নতুন বল হাতে নিয়ে নিজের সেরা খেলা প্রদর্শনে মনোনিবেশ ঘটাতেন। তবে, দূর্ভাগ্যজনকভাবে পেসের অভাবে তেমন সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি।

অবসর

১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে শ্রীলঙ্কা গমন তাকে মনোনীত করা হয়। তবে, ৩৮ বছর বয়সী ম্যালকম জার্ভিস নিজেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বয়োজ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে অংশগ্রহণকারীর রেকর্ডের খাতায় স্থান করে নিতে চাননি ও নিজেকে দল থেকে প্রত্যাহার করে নেন। একসময় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট কর্তৃক জিম্বাবুয়ে দলের শারীরিক সক্ষমতার দায়িত্বে ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। তার সন্তান কাইল জার্ভিস জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলছেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর হারারের কাছাকাছি বোরোডেল এলাকায় অতিথিশালা পরিচালনা করছেন। সেখানেই স্ত্রী সহযোগে বসবাস করছেন ম্যালকম জার্ভিস।[]

তথ্যসূত্র

  1. Walmsley, Keith (২০০৩)। Mosts Without in Test Cricket। Reading, England: Keith Walmsley Publishing Pty Ltd। পৃষ্ঠা 457। আইএসবিএন 0947540067 .
  2. 3D Marketing Solutions. "Malcolm Lodge Guesthouse", Bournemouth, 16 August 2015. Retrieved on 16 August 2015

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ