২০০৫-এ ঝালকাঠি বোমা হামলা
| ২০০৫ ঝালকাঠি বোমা হামলা | |
|---|---|
| স্থান | ঝালকাঠি বাংলাদেশ |
| তারিখ | ১৪ নভেম্বর ২০০৫ (ইউটিসি+৬:০০) |
| লক্ষ্য | বাংলাদেশের বিচারালয় |
| হামলার ধরন | বোমা |
| নিহত | ২ |
| আহত | ৩+ |
| হামলাকারী দল | |
২০০৫ ঝালকাঠি বোমা বিস্ফোরণ ছিল ঝালকাঠি জেলা আদালতে বিচারক পরিবহনের একটি গাড়িতে বোমা হামলা। [১] বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)। শায়খ আব্দুর রহমান এবং সিদ্দিকুর রহমান ( বাংলা ভাই নামেও পরিচিত) নেতৃত্বাধীন দলটি। [২] [৩]
আক্রমণ[সম্পাদনা]
জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ একটি উগ্র ইসলামপন্থী সংগঠন যা বাংলাদেশে শরিয়া আইন বাস্তবায়নের দাবি করছে। সে হিসেবে তারা হামলার বিচার বিভাগকে লক্ষ্য করে। [৩] ১৪ নভেম্বর ২০০৫-এ ঝালকাঠি জেলা আদালতে বিচারকদের বহনকারী গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। [১] বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ঝালকাঠি জেলায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। [৪] বিচারকরা একটি গাড়ির ভেতরে ছিলেন। তারা অন্য বিচারকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বলে গাড়িটি পার্ক করা হয়েছিল। হামলাকারীরা বিচারকদের লিফলেট দেওয়ার চেষ্টা করে যা তারা প্রত্যাখ্যান করে। গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। [১] বোমা হামলায় দুই সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পান্ডে নিহত হন। হামলায় আদালতের এক কর্মচারী ও একজন পথচারী আহত হয়েছেন। ১৩ বছরের এক স্কুল ছাত্রও আহত হয়েছে। [৫] হামলাকারী ইফতেখার হোসেন মামুনও আহত হয়েছেন। [২] [৬]
আক্রান্ত[সম্পাদনা]
- শহীদ সোহেল আহমেদের বয়স ৩৫ বছর, ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সিনিয়র সহকারী জজ। [৫]
- জগন্নাথ পান্ডের বয়স ৩৮ বছর, ঝালকাঠি সদর উপজেলার সিনিয়র সহকারী জজ মো. [৫]
আক্রমণকারী[সম্পাদনা]
২৮ বছর বয়সী হামলাকারী ইফতেখার হাসান আল মামুনকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়। তার পায়ে একটি বোমা বাঁধা ছিল এবং শরিয়া আইনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট ছিল। স্থানীয়রা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ও বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। [৫]
বিচার[সম্পাদনা]
২০০৬ সালের ২৯ মে ঝালকাঠির একটি আদালত জেএমবির ৭ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ৩১ আগস্ট ২০০৬ তারিখে বাংলাদেশের হাইকোর্ট এই রায় বহাল রাখে। আপিল বিভাগ ২৮ নভেম্বর ২০০৬ তারিখে তাদের আপিল খারিজ করে দেয়। ২৯ মে ২০০৭ তারিখে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সর্বশেষ আসামিকে ১০ জুলাই ২০০৭-এ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ২৮ আগস্ট ২০১৬-এ সুপ্রিম কোর্ট তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। [৭] ১৬ অক্টোবর তাকে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। [৮] মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে জেএমবির নেতা ও সামরিক নেতা আবদুর রহমান ও বাংলা ভাই মো. [৯]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ "Jhalakathi judges' killing: What happened that day"। The Daily Star। ১৬ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ "Bangladesh hangs Islamist militant for killing judges in 2005"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ "Bangladesh: JMB leader hanged for killing two judges"। India.com। ১৭ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Six Bangla Militants Executed"। Daily News and Analysis। ৩০ মার্চ ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ "JMB suicide bomber kills 2 judges"। The Daily Star। ২৩ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Bomb kills two judges in Bangladesh"। Al Jazeera। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "SC upholds death for militant Arif"। The Daily Observer। ৫ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "JMB leader Asadul hanged for killing 2 Jhalakathi judges"। The Daily Star। ১৬ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Manik, Julfikar Ali; Islam, Shariful। "Six JMB militants hanged"। The Daily Star। ২০ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬।