স্বামী নিগমানন্দ
স্বামী নিগমানন্দ | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | নলীনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় ১৮ আগস্ট ১৮৮০ |
মৃত্যু | ২৯ নভেম্বর ১৯৩৫ | (বয়স ৫৫)
দর্শন | তন্ত্র, জ্ঞান, বেদান্ত, যোগ, ভক্তি বা প্রেম |
ঊর্ধ্বতন পদ | |
গুরু | বামাক্ষ্যাপা, সচ্চিদানন্দ সরস্বতী, সুমেরুদাসজী, গৌরী দেবী |
সম্মান | পরমহংস, পরিব্রাজকাচার্য, সদগুরু |
স্বামী নিগমানন্দ পরমহংস (১৮ আগস্ট, ১৮৮০[১]- ২৯ নভেম্বর, ১৯৩৫[২]) নদীয়া জেলার তখনকার সাবডিভিশন কুতুবপুর নামক ছোট গ্রামে (বর্তমান বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলায়) এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শ্রী শ্রী ঠাকুর নামেও পরিচিত। চৈতন্য মহাপ্রভুও এই একই জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সন্ন্যাস গ্রহণের পর তিনি পরমহংস শ্রীমদ স্বামী নিগমানন্দ সরস্বতী দেব নামে পরিচিত হন।[৩] নিগমানন্দ ছিলেন ভারতের একজন সদগুরু[৪][৫] ও সাধু।[৬] তিনি ছিলেন পূর্ব ভারতে সুপরিচিত একজন হিন্দু যোগী ও আধ্যাত্মিক নেতা।[৭] তিনি শাক্ত সম্প্রদায়ভুক্ত[৮] একজন ভারতীয় হিন্দু গুরু,[৯][১০] ও হিন্দু দার্শনিকও[১১] ছিলেন এবং তন্ত্র ও যোগের একজন উত্কৃষ্ট আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে তাকে দেখা হতো।[১২][১৩][১৪]
নিগমানন্দের অনুসারীরা বিশ্বাস করেন যে তিনি চারটি ভিন্ন সাধনায় যথা তন্ত্র, জ্ঞান, যোগ এবং প্রেমে সিদ্ধি লাভ করেন।[১][১৫][১৬] এই সকল অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে তিনি বাংলা ভাষায় ৫টি গ্রন্থ রচনা করেন: ব্রহ্মচর্য সাধনা, যোগী গুরু, জ্ঞানী গুরু, তান্ত্রিক গুরু এবং প্রেমিক গুরু ।[১৭][১৮][১৯][২০] স্বামী নিগমানন্দ নির্বিকল্প সমাধি লাভ করেছিলেন।[২১][২২]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]পিতা ভুবনমোহন চট্টোপাধ্যায় ও পিতার গুরু স্বামী ভাস্করানন্দ সরস্বতীর ইচ্ছানুসারে জন্মের পর নিগমানন্দের নাম রাখা হয়েছিল নলিনীকান্ত।[২৩][২৪] ১৩০০ বঙ্গাব্দে যখন নলিনীকান্ত গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছিল, তখন তার মাতা মাণিক্য সুন্দরী দেবী কলেরায় মারা যান যা তাকে বিষন্নতায় আচ্ছন্ন করেছিল।[২৫][২৬] ১৩০১ বঙ্গাব্দে তিনি ছাত্রবৃত্তি পরীক্ষায় পাস করেন এবং মেহেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কিছু সময়ের জন্য পড়াশোনা করেন। ১৩০২ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে তিনি জরিপ বিষয়ে পড়াশোনার জন্য ঢাকা আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন। নলিনীকান্তের পিতা ১৩০৩ বঙ্গাব্দে হালিশহরের সুধাংশুবালা দেবী নামের এক ত্রয়োদশবর্ষীয়া বালিকার সাথে নলীনীকান্তের বিয়ে দেন। ১৩০৫ বঙ্গাব্দে পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর জীবিকা অর্জনের জন্য তিনি রাণী রাসমণির এস্টেট দিনাজপুর জেলা বোর্ডে চাকরিতে যোগ দেন।[২৭] ১৩০৭ বঙ্গাব্দে ভাদ্র মাসের শেষে (বিয়ের প্রায় ৫ বছর পর) যখন তিনি নারায়নপুর এস্টেটে (জমিদারিতে) সুপারভাইজার পদে কাজ করছিলেন,[১][২৫][২৮] তখন একদিন রাত্রে নলীনীকান্ত হঠাত্ টেবিলের নিকট সুধাংশুবালা দেবীর (যার সেই সময় কুতুবপুরে থাকার কথা) ক্রুদ্ধ ভয়ঙ্কর দৃষ্টিতে তাকানো নীরব ছায়ামূর্তি দেখতে পান। তিনি তখনই কুতুবপুরে খোঁজ নিতে গেলেন এবং জানতে পারলেন যে নারায়নপুরে ছায়ামূর্তি দেখার ঠিক এক ঘণ্টা পূর্বে সুধাংশুবালা দেবী ইহলোক ত্যাগ করেন; পুনরায় নলীনীকান্তের জন্য প্রচন্ড আঘাত। তিনি গুপ্ত/অতিপ্রাকৃত বিজ্ঞানের (occult science) সাহায্যে তার সহধর্মিণীর নিকট পৌঁছানোর চেষ্টা করেন কিন্ত্তু ব্যর্থ হন।[২৯]
আধ্যাত্মিক জীবন
[সম্পাদনা]নলীনীকান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন যে মৃত্যু হচ্ছে একজন ব্যক্তির চূড়ান্ত পরিণতি। তিনি বিশ্বাস করা শুরু করলেন যে মৃত্যুর পর অবশ্যই জীবন আছে।[১] নলীনীকান্ত জীবন ও মৃত্যুর যাবতীয় ইন্দ্রিয়গোচর বস্ত্তু ও বিষয় সম্পর্কে জানতে মরিয়া হয়ে উঠলেন। এসব কিছু তাকে সব সময় চিন্তিত করতে আরম্ভ করল। এই অনুসন্ধান তাকে নিয়ে গেল চেন্না়ইয়ের আধিয়ারের ঈশ্বরদর্শন সমাজে (Theosophical Society at Adyar)।[৩০] তিনি ঈশ্বরদর্শন ও ঐশ্বরিক প্রেরণা লাভের দর্শন শাখার যাবতীয় প্রকল্পসমূহ নিরুপণ করলেন ও সেগুলো চর্চা করলেন এবং একটি মাধ্যমের মধ্য দিয়ে সুধাংশুবালা দেবীর সাথে কথা বলতে সমর্থ হলেন। কিন্ত্তু নলীনীকান্ত তাকে শারীরীকভাবে দেখতে সমর্থ হলেন না। এই অভিজ্ঞতা তাকে মোটেই সন্ত্তষ্ট করল না। তিনি ঐ সমাজের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে জানতে পারলেন যে "জীবন ও মৃত্যু" বিষয়ে জ্ঞান থাকা হিন্দু যোগীদের জন্য আবশ্যকীয়। তিনি সময় নষ্ট না করে তখনই একজন প্রকৃত যোগী বা সাধুর খোঁজে ছুটলেন যিনি তার মৃত সহধর্মিণীর সাথে সাক্ষাত্ করার ইচ্ছা পূরণ করতে পারবেন এবং তাকে "জীবন ও মৃত্যু" বিষয়ে প্রকৃত দর্শন শিক্ষা দিতে পারবেন।
নিগমানন্দের অনুসারীদের মতে, একদিন রাত্রে নলীনীকান্ত অলৌকিক আভা দিয়ে ঘিরে থাকা এক সাধুকে দেখতে পেলেন। তিনি জেগে উঠে সাধুকে বাস্তবে তার বিছানার পাশে দাড়ানো অবস্থায় দেখতে পেলেন। সাধুটি তাকে পাতার ওপর লিখিত একটি মন্ত্র দিলেন এবং হঠাত্ অদৃশ্য হয়ে গেলেন। নলীনীকান্ত মন্ত্রটির অর্থ বোঝার জন্য অনেককে এর অর্থ জিজ্ঞাসা করলেন; অবশেষে ১৩০৮ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার তারাপীঠের বিখ্যাত তান্ত্রিক বামাক্ষ্যাপার সাথে সাক্ষাৎ করলেন।[২৫][২৬][৩১] নলীনীকান্ত তার নিকট দীক্ষা নিলেন এবং ২১ দিন উক্ত মন্ত্রটি জপ/স্তব করার আদেশপ্রাপ্ত হলেন।[৩২] তার গুরুর নির্দেশিত পথে তিনি "সুদর্শনা দেবী" রুপে মা তারা দেবীর দর্শন পেলেন।[২৬] এই দর্শন তাকে আরেক রহস্যে নিয়ে গেল। তিনি তারা দেবীকে তার শরীর থেকে বেরিয়ে আসতে এবং পুনরায় তার শরীরে মিশে যেতে দেখলেন। এই রহস্য সমাধানের জন্য বামাক্ষ্যাপা তাকে একজন বেদান্তিক গুরুর নিকট অদ্বৈতের জ্ঞান লাভের উপদেশ দিলেন। ১৩০৮ বঙ্গাব্দের চৈত্রে তিনি জ্ঞানী গুরুর খোঁজে ভ্রমণে বের হলেন।[২৫] রাজস্থান রাজ্যের পবিত্র স্থান পুস্করে তিনি সচিনানন্দ সরস্বতীর শিষ্য হলেন।[১][৩৩] তিনি তত্ক্ষণাত্ উপলব্ধি করলেন যে সচিদানন্দ সরস্বতী হলেন সেই সাধু যিনি তাকে স্বপ্নে তারা মন্ত্রটি দিয়েছিলেন। নলীনীকান্ত ব্রহ্মের সকল তত্ত্ব শিখলেন এবং সচিদানন্দ কর্তৃক দাবি-ত্যাগ/আত্ম-অস্বীকৃতি বিষয়ে দীক্ষিত হলেন এবং তদনুসারে তার নাম রাখলেন নিগমানন্দ।[৩৪] কিন্ত্তু এই বিষয়ে তিনি বাস্তব উপলব্ধি করতে পারলেন না, সচিদানন্দ নিগমানন্দকে এই লক্ষ্য অর্জনে একজন যোগী গুরু খুঁজতে বললেন। সচিদানন্দ নিগমানন্দকে আরো নির্দেশ দিলেন ধর্মীয় পীঠের/আসনের চার ধামে তীর্থ নিতে এবং নিজে থেকে প্রত্যেকটির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে। হিন্দুরা তাদের পবিত্রতার জন্য এই সকল প্রার্থনার স্থানসমূহকে তাদের নিকট অত্যন্ত প্রিয় মনে করেন। তীর্থের পর তিনি আবার আশ্রমে ফিরে আসলেন। সচিদানন্দ নিগমানন্দের তীর্থ পর্যালোচনা করলেন এবং তাকে আরো নির্দেশ দিলেন একজন যোগী গুরু খুঁজে বের করতে যিনি নিগমানন্দকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিবেন এবং সচিদানন্দের শিক্ষাকে সঠিকভাবে অনুশীলন করাবেন।[৩৫][৩৬]
১৯০৩ সালে (জৈষ্ঠ ১৩১০ বঙ্গাব্দ) নিগমানন্দ তার যোগী গুরুর সাক্ষাত্ পেলেন - তিনি হলেন সুমেরু দাস জী (কুট হুমি লাল সিং নামেও পরিচিত)। সুমেরু দাস জীর পথনির্দেশনায় তিনি যোগের গূঢ় বিষয়/তাত্পর্য জানলেন।[৩৭] প্রয়োজনীয় অনুশীলনের পর তিনি সবিকল্প সমাধি এবং পরে ১৯০৪ সালে (পৌষ ১৩১১ বঙ্গাব্দ) নির্বিকল্প সমাধি (যোগের সর্বোচ্চ ধাপ) লাভ করলেন।[১][২৫][৩৮] যোগে তিনি দর্শন করলেন এবং তার নিজ দেহে বুঝতে পারলেন বৈদিক জ্ঞান যা সচিদানন্দের কাছ থেকে শিখেছিলেন। তিনি তার নির্বিকল্প সমাধি লাভ করেছিলেন কামাক্ষ্যায়, নীলাচল পাহাড় (গৌহাটি, আসাম, ভারত) - বলা হয়ে থাকে তিনি জগত্গুরুর ইচ্ছাকে বহন করে মানবতার মাঝে ব্রহ্মজ্ঞান বিস্তারের জন্য সত্গুরু হিসেবে পুন-আবির্ভূত হয়েছিলেন।[২৭][৩৯]
১৯০৪ সালে (মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ) তিনি কাশীতে (বর্তমানে বারাণসী, উত্তর প্রদেশ, ভারত) থাকাকালীন দেবী অন্নপূর্ণা স্বপ্নে তার নিকট আসলেন এবং বলছেন যে,[৩৩] তার জ্ঞান নিরাকার ঈশ্বরে সীমাবদ্ধ এবং তদুর্ধে যেতে পারেনি - তাই তিনি ছিলেন তখনও অসম্পূর্ণ। নিগমানন্দ তার নিদ্রা থেকে জেগে উঠলেন এবং দেবী অন্নপূর্ণা কর্তৃক নির্দেশিত তার বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন হলেন।[৩৩] তিনি তখন এক মহান সিদ্ধযোগীনী গৌরী দেবীর নিকট গেলেন। তিনি নিগমানন্দকে একজন শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করলেন এবং তাকে ভক্তি ও প্রেম শিক্ষা দিলেন।[৩৮] তার শিষ্যদের মতানুসারে নিগমানন্দ ভব সাধনায় এই বহির্জগতকে ঈশ্বরের রুপান্তর হিসেবে দেখলেন এবং ভব বা ভক্তি সিদ্ধি লাভের পর,[৪০] নিগমানন্দ নিজেকে "সম্পূর্ণ এক" হিসেবে উপলব্ধি করলেন।
পরমহংস হিসেবে স্বীকৃতি
[সম্পাদনা]সিদ্ধি লাভের পর নিগমানন্দ এলাহাবাদে কুম্ভমেলা দেখতে গেলেন এবং জানতে পারলেন যে তার গুরু সচিদানন্দ শৃঙ্গেরী মঠের শঙ্করাচর্যের সাথে ঐ জায়গাতেই ছিলেন। গুরু সচিদানন্দকে দেখতে উদ্বিগ্ন নিগমানন্দ শঙ্করাচর্যের তাবুতে গেলেন যেখানে নিগমানন্দ গুরু সচিদানন্দসহ আরো ১২৫ জন সাধু পরিবেষ্টিত অবস্থায় মঠের অধ্যক্ষকে একটি উচ্চাসনে আসীন অবস্থায় দেখতে পেলেন। গুরুকে দেখে নিগমানন্দ প্রথমে তার গুরুকে শ্রদ্ধা জানালেন এবং পরে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন অধ্যক্ষকে সম্মান জানালেন। সাধুগন প্রথমে অধ্যক্ষকে সম্মান না জানানোয় অসন্ত্তুষ্ট হলেন কিন্ত্তু প্রতি উত্তরে নিগমানন্দ এই শ্লোক উদ্ধৃত করেন: "মনাথরো শ্রী জগন্নাথ মদগুরু শ্রী জগদগুরু মহাত্মা সর্বভূতাত্মা তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ"। - "আমার স্রষ্টা মহাবিশ্বের স্রষ্টা। আমার গুরু সমগ্র বিশ্বের গুরু। স্বীয় সত্তা সকল সত্তার সত্তা, সেই হেতু আমি বশ্যতা স্বীকার করি আমার গুরুর যিনি আমাকে এটি দেখিয়েছেন।"[৪১] এই উক্তি আরো ব্যাখ্যা করে যে বেদান্ত দর্শনানুসারে "গুরু" (শ্রী সচিদানন্দ সরস্বতী) এবং "জগদগুরু" (শ্রী জগদগুরু শঙ্করাচর্য) এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই ।[৪২][৪৩] নিগমানন্দ আরো পরিষ্কার করেন যে, যদি তাদের মধ্যে পার্থক্য থাকতো তার অর্থ হতো এই যে আমাদের মধ্যে স্বীকৃত আধ্যাত্ম দর্শনে কোন বিশ্বাস নেই এবং এটি যদি বিবেচনা করা হতো যে একজন অন্যজন থেকে বড় তাহলে তা আরো বড় উপসংহারে নিয়ে যেত যে পরবর্তী জনের চেয়ে আরো বড় কেউ থেকে থাকবেন । এভাবে অন্তহীন বাদানুবাদ চলতেই থাকতো। এই ধরনের সিদ্ধান্ত সর্বদাই বিভ্রান্ত সৃষ্টিকারী । আমার গুরু জগদগুরুর সাথে এক হয়ে গিয়েছিলেন যখন জগদগুরু কর্তৃক তাঁর উপর "গুরুগিরি" অর্পিত হয়েছিল; সেই হেতু তাদের মধ্যে পার্থক্য করা উচিত নয় । জগদগুরু এই উত্তর অনুমোদন করলেন এবং নিগমানন্দ আলোকপ্রাপ্ত অবস্থা অর্জন করেছেন বলে স্বীকৃতি দিলেন।[৩৩] জগদগুরু শঙ্করাচার্য সচিদানন্দকে ডাকলেন এবং তাকে বললেন যে তার শিষ্য ইতোমধ্যেই পরমহংস এর অবস্থা অর্জন করেছেন এবং তাকে এই উপাধি দেয়া উচিত। সচিদানন্দ তখন এই প্রস্তাব সাধু সম্মেলনে উথ্থাপন করলেন এবং নিগমানন্দকে পরমহংস উপাধিতে ভূষিত করলেন। এভাবে তার নাম হলো পরিব্রাজকাচার্য শ্রীমদ স্বামী নিগমানন্দ সরস্বতী দেব।[৩৩][৩৮][৪৪]
দেহ ত্যাগ
[সম্পাদনা]নিগমানন্দ তার জীবনের শেষ চৌদ্দ বছর উড়িষ্যার পুরীতে অতিবাহিত করেন।[৪৫] তিনি ১৯৩৫ সালের ২৯শে নভেম্বর কলকাতায় দেহ ত্যাগ করেন।[২] তার শিষ্যরা বিশ্বাস করেন যে, তার দৈহিক মৃত্যুর পরও তিনি বেঁচে আছেন, নিগমানন্দের উদ্ধৃতি: আমাকে এই দেহ ছেড়ে যেতে হবে কিন্তু তোমাদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমি তোমাদের গুরু থাকব এবং আমার মুক্তি হবে না ।[২৮][৪৬]
জীবনের ব্রত / ধর্মপ্রচারণা
[সম্পাদনা]স্বামী নিগমানন্দের জীবনের ব্রত ছিল:
- (১) সনাতন ধর্মের প্রচার, অর্থাৎ হিন্দু ধর্মের আধ্যাত্মিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠা,
- (২) মানুষের মাঝে সঠিক ধরনের শিক্ষা বিস্তার (এবং চরিত্র গঠনের উপর গুরুত্ব দিয়ে আধ্যাত্মিক সাহিত্য প্রকাশ),
- (৩) সকল জীবের মাঝে স্থিত নারায়ণকে সেবা করার মনোভাব নিয়ে সকল জীবকে সেবা প্রদান।[৪৭]
এই উদ্দেশ্যসমূহ উপলব্ধি/বাস্তবায়নের জন্য তিনি তার ভক্তদের নিম্নলিখিত নির্দেশ দেন:
উপর্যুক্ত লক্ষ্যসমূহ অর্জনের নিমিত্তে তিনি সকল পেশার কয়েক হাজার আগ্রহী নর-নারীকে দীক্ষা দেন এবং সকল ধরনের উপদলীয় পক্ষপাতমুক্ত হয়ে পূজা, প্রার্থনা ও ধ্যানের মাধ্যমে তার অনন্য আধ্যাত্মিক অনুশীলনসমূহ শিক্ষা দেন। তিনি তার শিষ্যসমূহকে নির্দিষ্ট সময় পর পর তিন বা ততোধিক জনের দল বা সঙ্ঘে মিলিত হয়ে গুরুর নিকট প্রার্থনা ও পূজা, আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতাসমূহ বিনিময়, "জয়গুরু" স্তব বা গুণকীর্তন,[৩৮] আধ্যাত্মিক গ্রন্থসমূহ পাঠ ও তৎমধ্যস্থিত ধারণাসমূহ চিন্তাভাবনা ও আলোচনা, মঠ এবং আশ্রমসমূহ ব্যবস্থাপনার উপায় ও পন্থা উদ্ভাবন এবং আধ্যাত্মিকভাবে উদ্দীপ্ত/অনুপ্রাণিত আদর্শ গৃহস্থ জীবন যাপনের অঙ্গীকার করতে উৎসাহিত করেন। তিনি তার শিষ্যগণকে উপদেশ দিয়েছিলেন যে, ঈশ্বর বা গুরুর মহিমা "জয়গুরু" এই অক্ষরসমূহের মাধ্যমের মধ্য দিয়ে অনুভূত হয়। যে কেউ ঈশ্বরের কাছে পৌঁছতে পারে এই নামের মধ্য দিয়ে যেহেতু ঈশ্বর হচ্ছেন মহাবিশ্বের গুরু বা প্রভু। যে কোন সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের ধর্মীয় জীবনের কোনরুপ ক্ষতি ছাড়াই এই নাম গ্রহণ করতে পারেন। জয় গুরু
দর্শন এবং শিক্ষা
[সম্পাদনা]- অবতার এবং সৎগুরু
স্বামী নিগমানন্দ কখনই স্বীকার করেননি যে তিনি ছিলেন মূর্তিমান-ভগবান বা একজন অবতার যদিও তার অনেক শিষ্যই এই ধরনের অলীক ধারণা পোষন করেন।[১][৫০] তিনি নিবেদন করেন যে অবতার হচ্ছেন একটি ধর্ম, দেশ কিংবা এমনকি সমগ্র বিশ্বে আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলা বহাল রাখার জন্য পৃথিবীতে ঈশ্বরের অনন্য পুরুষ। তার কর্তৃত্ব দ্বারা সদাচার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তিনি আসুরিক শক্তিসমূহকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেন। স্বামী নিগমানন্দ চাইতেন যে তাকে সৎগুরু হিসেবে বিবেচনা করা হোক যিনি তার দীর্ঘ জন্ম ও মৃত্যুর পারম্পর্যের অনুসন্ধান দ্বারা তার স্বরুপ জ্ঞান (সত্য প্রকৃতি অর্থাৎ সর্বোচ্চ সার্বজনীন চেতনা) লাভ করেছেন। ধর্মগ্রন্থে প্রমাণ রয়েছে যে গৌতম সত্য উপলব্ধির গুণাবলী অর্জনের পূর্বে এবং মহান "বুদ্ধে" পরিণত হওয়ার পূর্বে তাকে অনেকবার জন্মগ্রহণ করতে হয়েছিল।[১] নিগমানন্দ আরো নির্দেশ করেন যে, একজন অবতার স্বর্গীয় ক্রিয়াকর্মে অর্থাৎ লীলায় অংশগ্রহণ করার জন্য সব সময় অতিমানবীয় চেতনার স্তরে থাকেন না।
একজন সৎগুরু যিনি সর্বদাই আত্মসচেতন এবং সহৃদয় থাকেন তিনি কদাচিৎ ভুল বোঝাবুঝির স্বীকার হন।
- ব্যক্তিগত ঈশ্বর হিসেবে সৎগুরু
গুরুগণ প্রকৃতপক্ষেই ব্যক্তিগত ঈশ্বর। স্বামী নিগমানন্দ ঘোষণা করেন যে আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জন এবং মুক্তি অর্জন সম্ভব - হয় কঠোর প্রায়শ্চিত্তের মাধ্যমে অথবা একজন ব্রহ্মচারী সৎগুরুর নিকট আত্মসমর্পণের (তার আদেশ পালনের) মাধ্যমে যেটি আমাদের অধিকাংশই অনুশীলন করতে পারি। যদিও তাদের মনে হয় এবং তারা আচরণ করেন সাধারণ মানুষের মত এবং তাদের প্রায়ই ভুল বোঝা হয়ে থাকে। ব্রহ্মচারী সৎগুরুর দেহগত বা বস্ত্তুগত উপভোগের প্রতি কোন আসক্তি থাকে না। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অন্য সকলকে সাহায্য করতে এবং সেই সাথে পরিবেশের উন্নতির জন্য তারা সর্বদাই নিয়োজিত থাকেন। কিন্ত্তু সৎগুরু হিসেবে তাদের ভূমিকা সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ যেহেতু তিনি প্রজন্ম থেকে প্রজমান্তরে হস্তান্তর করার মত একটি উত্তরাধিকার নির্মাণ করতে পারেন যেমনটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমদ্ভগবত গীতায় বলেছেন।
- সৎগুরু, জগৎগুরু এবং ঈশ্বর[৩৮]
স্বামী নিগমানন্দের মতানুসারে, শিষ্যকে তার গুরুকে (অবশ্যই একজন সৎগুরু) একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে নয় বরং জগৎগুরু (মহাবিশ্বের গুরু, পুরুষোত্তম) হিসেবে গ্রহণ করা উচিত (ভগবতগীতায় শ্রীকৃষ্ণের উক্তির সাথে মিল রেখে)।
স্বামী নিগমানন্দ তার শিষ্যদের উপদেশ দিয়েছিলেন শারীরিক মূর্তিকে ধ্যান করতে যাতে তার সকল প্রশংসনীয় গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যসমূহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের মধ্যে স্থানান্তরিত হয় এবং তাদের আত্মাকে উপযোগী করে। [৫১] অধিকন্ত্তু তিনি আশ্বস্ত করেন যে, যেহেতু তিনি আত্মিক অনুশীলনের তিন উপায়ে/প্রক্রিয়ায় অন্বেষণকারীর পরম আধ্যাত্মিক লক্ষ্য হিসেবে যুগপৎভাবে ব্রহ্ম, পরমাত্মা এবং ভগবানের প্রকৃতি অনুভব করেছেন, তার প্রকৃত শিষ্যরাও একইভাবে যুগপৎ সেই অভিজ্ঞতা লাভ করবেন। তিনি বলেছিলেন,"সেটি ছিল তাঁর শিষ্যদের নিকট থেকে একমাত্র প্রত্যাশা এবং তিনি সেটি পূরণ হওয়ার দিনটি দেখতে অপেক্ষা করতে ভালবাসবেন।"
- আধ্যাত্মিক সাফল্যের/সিদ্ধির ক্রম
যেহেতু আত্মোপলব্ধির অদ্বৈতবাদী তত্ত্বের জন্য আবশ্যকীয় হচ্ছে ব্যক্তি-আত্মাকে সর্বোচ্চ সার্বজনীন আত্মার পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা, স্বামী নিগমানন্দের মতানুসারে এটি যথাযথ বুদ্ধিগত অনুসন্ধান, বিশ্লেষণ এবং গভীর ধ্যানের মাধ্যমে আকুলভাবে কামনাকারী/উচ্চাকাঙ্খী সন্ন্যাসীদের মধ্য থেকে শুধুমাত্র যোগ্যতমদের দ্বারাই সরাসরি অনুশীলন করা যেতে পারে, যদিও এই ধরনের সাধনায়ও প্রভুর প্রতি সেবা সাফল্যের চাবিকাঠি। যাই হোক, স্বামী নিগমানন্দ ইঙ্গিত করেন যে শুধুমাত্র সর্বোচ্চ/অখণ্ড এর অদ্বৈতবাদী উপলব্ধি অর্জনের পরই সবচাইতে ভাগ্যবানদের দ্বারাই সত্যিকারের দেহাতীত ঐশ্বরিক ভালবাসা ও ভাবাবেশ/সমাধিঅনুভব করা সম্ভব যেমনটি শ্রীমদ্ভগবতগীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ঘোষণা করেছিলেন।
- এবং
ভক্তির মধ্য দিয়ে সে আমাকে জানতে পারে, আমার স্বরুপগুলি কিরুপ এবং সত্য মধ্যে আমি কে এবং তৎক্ষণাৎ সে আমার মধ্যে প্রবেশ করে (অষ্টাদশ-৫৫)। (অর্থাৎ তিনি এখন ঈশ্বরের সাথে সস্নেহে একাত্ম যার প্রকৃতি তিনি জানেন এবং যা তিনি নিজেই অর্জন করেন এবং সেই হেতু তিনি সৎগুরুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার উপযুক্ত, যা প্রকৃতপক্ষেই স্বামী নিগমানন্দের জীবনে ঘটেছিল।) এই ধরনের আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার পূর্ব অর্জন ব্যতিরেকে ঈশ্বরের জন্য আরোপিত উপায়ে প্রেমভক্তি হতাশাজনক হতে পারে! যাহোক যারা পূর্ব জন্মে এ ধরনের উপলব্ধি লাভ করেছেন তারা এ জন্মে যথেষ্ট শীঘ্রই ঐশ্বরিক ভালবাসা অর্জনে সমর্থ হতে পারেন।
- অদ্বৈতবাদী ও দ্বৈতবাদী সাধনার সমন্বয়সাধন
যদিও কিছু অন্যান্য সাধু আত্মা/ঈশ্বর উপলব্ধির সমভাবে বৈধ মতবাদ বৈচিত্রের এবং তা অর্জনের বহুবিধ বৈধ পথের স্বীকৃতি দেন এবং প্রচার করেন, স্বামী নিগমানন্দ ঈঙ্গিত করেন যে আত্মার অখণ্ডতা এবং অখণ্ড সার্বজনীন আত্মার (বা পরব্রহ্মের) উপলব্ধি মানব জীবনের প্রকৃত ও চূড়ান্ত লক্ষ্য হওয়া উচিত।[৫২]
এবং সবচেয়ে আকুলভাবে কামনাকারীদের ক্ষেত্রে সে পথে নেতৃত্ব দান করে তাদের দীক্ষা দানকারী আদর্শ আধ্যাত্মিক গুরুর (সৎগুরু) প্রতি সত্যিকারের ভক্তি। গুরুকে ব্যক্তিগত সেবাদান ও প্রার্থনা, জপ এবং সাধারণ ধ্যানের মাধ্যমে তার অনুগ্রহ আবাহন তাদের জন্য আধ্যাত্মিক অনুশীলনের মুখ্য উপায়। এভাবে এটি নিশ্চিতভাবে জেনে যে তাদের গুরু একজন ব্রহ্মজ্ঞানী এবং তার শিক্ষানুযায়ী জীবন যাপনের চেষ্টা করে তারা শুধুমাত্র অদ্বৈতের উপলব্ধি লাভেই সমর্থ হবেন না, অধিকন্ত্তু যখন তারা অন্যদের আত্মার/ঈশ্বরের উপলব্ধি লাভে সাহায্য করার জন্য তার লীলায় অংশগ্রহণ করতে সমর্থ হবেন, তখন কালক্রমে তারা তার প্রতি তীব্র প্রেমের কারণে স্বর্গসুখের অভিজ্ঞতা লাভ করবেন। স্বামী নিগমানন্দের অনুসারীদের মতে তার ভাবাদর্শগত ও পদ্ধতিগত বাণী শঙ্করের মত অর্থাৎ জ্ঞান - জ্ঞানের পথ এবং গৌরাঙ্গের পথ অর্থাৎ ভক্তি - ভক্তির পথ এ তার সকল লেখাসমূহ সনাতন ধর্মে[১] বিরাজমান সাধনা বা আধ্যাত্মিক অনুশীলনের মূলতত্ত্ব এবং প্রায়োগিক পদ্ধতি সম্পর্কিত।[১][৫৩]
স্বামী নিগমানন্দ ঈঙ্গিত করেন যে ঈশ্বরের প্রতি শর্তহীন ভক্তি ও প্রেম চর্চাকারী এবং প্রচারকারী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর প্রদর্শিত পথ ছিল অধিকতর সংকীর্ণ কারণ এতে একমাত্র ঈশ্বর হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকে নির্দেশ করা হয়েছে। সে পথকে প্রশস্তকরণের জন্য স্বামী নিগমানন্দ পরামর্শ দেন গুরুকে শ্রীকৃষ্ণের (বা অন্য যে কোন দেব-দেবীর যাকে প্রার্থনাকারী ভালবাসেন) একজন প্রতিমূর্তি হিসেবে গ্রহণ করতে যে ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক নিজেই তার লক্ষ্যে পরিণত হন।
এভাবে স্বামী নিগমানন্দ দুটি আপাতদৃষ্টিতে পরষ্পরবিরোধী ধর্মমতের সমন্বয়সাধন বিশ্বাসযোগ্যভাবে সূত্রবদ্ধ করেন, একটি বেদান্ত দর্শনের অদ্বৈত শিক্ষালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মহান শঙ্করাচার্যের কারণে এবং অন্যটি ভক্ত ও ঈশ্বরের মধ্যে আপাত দ্বৈততার তত্ত্বের ও অনুশীলনের প্রবক্তা গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর কারণে। মোটের উপর স্বামী নিগমানন্দ দেখান যে ভক্তি ও প্রেমের পথে অভিকাঙ্খীকে তার অহং যথেষ্ট পরিমাণে দমন করতে হবে বা বশে আনতে হবে এবং অতঃপর তিনি উন্নীত হবেন অদ্বৈত অভিকাঙ্খীর পর্যায়ে যার অহং লক্ষ্যে পৌঁছার পর এর বিশেষত্ব হারিয়ে ফেলেছে। পূর্ববর্তী ক্ষেত্রে স্বকীয় ঈশ্বর চেতনার দ্বারা ভক্তের ব্যক্তিস্বভাব তুচ্ছে পরিণত হয়, পরাভূত হয়, যেখানে পরবর্তী ক্ষেত্রে অভিকাঙ্খী নৈব্যক্তিক সার্বজনীন চেতনার সমুদ্রে তার আত্ম-বোধ হারিয়ে ফেলেন।
- জ্ঞানচক্র
স্বামী নিগমানন্দ ভারতীয় এবং বিদেশী উভয় ধরনের বিরাজমান বিভিন্ন আধ্যাত্মিক মতবাদ বা দর্শনের প্রতি অত্যন্ত সহনশীল ছিলেন এবং বিবেচনা করতেন যে সেগুলির প্রত্যেকটিই একটি উদ্দেশ্যকে পূরণ করে এবং স্তরীভূত আধ্যাত্মিক উপলব্ধির পুরা প্রকল্পের সাথে খাপ খায়। তিনি দেখান যে যদিও অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের মতবাদ পরম বাস্তবতাকে ব্যক্তি-চেতনা ও সার্বজনীন চেতনার অভেদের নিরিখে বিবেচনা করে, এটি বস্ত্তুগত সৃষ্টির গঠনকে পদ্ধতিগতভাবে ব্যাখ্যা করে না যেটি, পক্ষান্তরে, সাংখ্য দর্শনের দ্বারা ব্যাখ্যাপ্রাপ্ত হয়। কিন্ত্তু পরে উল্লেখিতটি পরম বাস্তবতাকে বিবেচনা করে না। একইভাবে খ্রীষ্টধর্ম যেখানে ঈশ্বর সাধনার উপায় হিসেবে সেবা ও সমর্পণের উপর জোর দেয়, পূর্ব মীমাংসার ভারতীয় দর্শন সেখানে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত সুখ লাভের জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় আচারানুষ্ঠানের পরামর্শ দেয়।
স্বামী নিগমানন্দের দর্শনকৃত ও ছবির আকারে উপস্থাপনকৃত জ্ঞানচক্র[৫৪] ছক (আধ্যাত্মিক সৃষ্টিতত্ত্বের গোলক/বলয়) দিয়ে তিনি ক্ষুদ্র সৃষ্টি/মানুষ (দেহ) এবং মহাবিশ্বের মধ্যে খচিত/আন্তঃবোনা মানব চেতনার বিভিন্ন স্তর চিহ্নিত করেন এবং বিভিন্ন আধ্যাত্মিক বিন্যাস/ক্রমের এবং উপদলের অভিকাঙ্খী শেষ পর্যন্ত কোন স্তরে পৌঁছতে পারেন তা নির্দেশ করেন। এই ছকে তিনি শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাধাকে নির্গুণ ব্রহ্ম ও সগুণ ব্রহ্মের[৫৫] মধ্যবর্তী ক্রান্তিকালে রাখেন যেটিকে তিনি বলেন নিত্য বা ভবলোক।[৫৬] (যোগমায়া এক ধরনের দৈব শক্তি, যা পৃথিবীতে আবদ্ধ আত্মাসমূহকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে আকর্ষণ করে এবং তাদেরকে সত্যিকারের পরম সুখময় প্রকৃতি উপলব্ধি এবং স্বর্গীয় ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করতে সাহায্য করে।) এই ধারণাকে বিবেচনা করা হয় স্বামী নিগমানন্দের নিজের অন্তর্দৃষ্টি এবং অতীন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনার ক্রমবিকাশের দিকে তার এক অনন্য অবদান হিসেবে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা
[সম্পাদনা]- আধ্যাত্মিকভাবে মুক্ত হওয়ার জন্য একজন মুক্ত মানুষ (একজন সৎগুরু বা শুধু গুরু) এর সাহায্য প্রয়োজন। হিন্দু শাস্ত্রসমূহে সেই ব্যক্তিকে সৎগুরু হিসেবে পরিচিত। তার অনুগ্রহ বা আনুকূল্য ব্যতীত কেউ মুক্তির পথে কোনো অগ্রগতি করতে পারে না। আবার যিনি পরম বাস্তবতাকে (পরমাত্মা বা ব্রহ্ম) নিজের (আত্মা) সাথে একাত্ম হিসেবে অধিগত হয়েছেন তিনি গুরু।[৫৭]
- গুরু যিনি কাউকে মুক্ত হতে সাহায্য করেন তাকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা, তীর্থ বা দেবত্বের গুরুত্বের সাথে সমান বিবেচনা করা যেতে পারে না। যদি আমরা তার নিকট গভীর ভক্তি এবং প্রেম নিবেদন না করি, তবে অন্য আর কে আমাদের পরম সম্মান পাওয়ার যোগ্য?
- বেদান্ত যা শিক্ষা দেয় গুরু প্রকৃতপক্ষে তার মূর্ত প্রকাশ - আত্মা এবং পরমাত্মা বা ব্রহ্ম একই।
- একজন সৎগুরু কখনই কাউকে অভিশাপ দেন না। যদি তাকে রাগান্বিত বলে মনেও হয়, তবে তাও শিষ্যের মঙ্গলের জন্য। সৎগুরু উপর নির্ভরতার উপকারিতা অনন্য। এমনকি ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিও সমান উপকারিতা পান না কারণ ঈশ্বর কখনই নির্দেশনা দিতে বাস্তবে মূর্ত হন না। গুরু বাস্তবে শিষ্যকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
- এক দিক দিয়ে গুরু এবং শিষ্য অবিচ্ছেদ্য। একজন সত্যিকারের শিষ্যের ব্যক্তিত্ব বা চরিত্রের অংশ না হয়ে গুরু থাকতে পারেন না।
- আধ্যাত্মিক মুক্তি লাভের দুটি পথ আছে: একটি হচ্ছে সন্ন্যাস যোগে দীক্ষাগ্রহণের ও কঠোরতা পালনের মাধ্যমে এবং অন্যটি - ব্রহ্ম উপলব্ধি লাভ করা সৎগুরুর প্রতি সেবা নিবেদনের মাধ্যমে। পূর্বোক্তটি অত্যন্ত দুঃসাধ্য/কষ্টকর একটি পথ - শিষ্যটিকে এক অর্থে দেহে থাকা অবস্থাতেই মৃত্যুবরণ করতে হবে। অন্য ভাবে বললে তাকে তার দেহ চেতনা ছেড়ে যেতে হবে। কিন্ত্তু কেউ যদি গুরুকে আন্তরিকভাবে সেবা নিবেদনের মাধ্যমে শর্তহীনভাবে তাকে ভালবাসে, তবে তার পক্ষে তুলনামূলকভাবে সহজে আধ্যাত্মিক মুক্তি লাভ করা সম্ভব।
- গুরুর অনুগ্রহ ব্যতীত সারগর্ভ কিছুই অর্জন সম্ভব নয়। আমি আহত কণ্ঠস্বরওয়ালা পাখির মত ইতস্তত সর্বত্র ঘুরছিলাম কিন্ত্তু ঈশ্বর আমাকে সাহায্য করতে আসছিলেন না। কিন্ত্তু যেদিন আমি গুরুর (যিনি মানব রুপে ঈশ্বর) অনুগ্রহ কিংবা কৃপা লাভে সমর্থ হলাম, সেদিন আমি প্রকৃত উন্নতি করতে শুরু করলাম।
- গুরু, দীক্ষাগ্রহণের সময় তার দেয়া 'মন্ত্র', এবং শিষ্যের পছন্দকৃত দেবতা (বা ইষ্ট) এক। যদি গুরু পছন্দকৃত দেবতা/ইষ্টে পরিণত না হন, তবে তার থেকে পাওয়া মন্ত্র এর শক্তি হারিয়ে ফেলে।[৫৮][৫৯]
- দীক্ষাদানের মাধ্যমে শিষ্য অর্জন গুরুর পেশা নয়; এটি তার হৃদয়ের অনুপ্রেরণা। গুরু শিষ্যকে দীক্ষা দেন, যত্ন নেন এবং তাকে পথ দেখান এই আশায় যে শিষ্য আধ্যাত্মিকভাবে আলোকপ্রাপ্ত বা অজ্ঞতামুক্ত হবে।
জীবন্মুক্ত উপাসনা তত্ত্ব
[সম্পাদনা]নিগমানন্দের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধারণা ছিল জীবন্মুক্ত উপাসনা তত্ত্ব যা সাধককে দ্রুত আত্ম-উপলব্ধির পথে চালিত করতে পারে বলে তিনি বিশ্বাস করতেন ।[৩৯][৬০][৬১][৬২]
কর্ম তত্ত্ব
[সম্পাদনা]স্বামী নিগমানন্দের মতে, কর্ম তিন প্রকারের যথা: ক্রীয়মান, সঞ্চিত, এবং প্রারব্ধ। যখন কেউ তার শ্রমের ফল তার জীবদ্দশাতেই উপভোগ করতে পারে, তখন তাকে বলা হয় ক্রীয়মান; তার শ্রমের ফল ভোগ করার পূর্বেই যদি সে মারা যায়, তবে তাকে বলা হয় সঞ্চিত কর্ম। পূর্ব জন্মের সঞ্চিত কর্মের উদ্বৃত্ত অংশ ভোগ করার জন্য যদি তার পুনর্জন্ম হয়, তবে তাকে বলা হয় প্রারব্ধ। সাধনার গুণে কারো পক্ষে ক্রীয়মান ও সঞ্চিতের প্রভাব নিজের জীবন থেকে মুছে ফেলা যেতে পারে কিন্ত্তু প্রারব্ধ কর্মের প্রভাব মুছে ফেলা সম্ভব নয়। পার্থিব উচ্চাকাঙ্ক্ষা দ্বারা যতক্ষণ কোন ব্যক্তি আবিষ্ট থাকে ততক্ষণ তাকে নিশ্চিতভাবে জন্ম-মৃত্যুর অন্তহীন ভ্রমণ গ্রহণ করতে হবে। জীবাত্মা কখনও কখনও নাক্ষত্রিক জগতে ভ্রমণ করার জন্য স্থূল দেহ ত্যাগ করে যাকে বলা হয় প্রেত লোক। এর কর্মের প্রভাবের মধ্য দিয়ে যাবার পর এটি স্থূল দেহের সাথে স্থূল জগতে ফিরে আসে তার অতিরিক্ত বাসনাসমূহ যা তার পূর্ব জন্মে ছিল তা পূরণ করার জন্য। এ ব্যাপারে অজ্ঞ হয়ে কীভাবে এটি এক জগৎ থেকে অন্য জগতে চলাফেরা করে তা এক বড় রহস্যের বিষয়। যোগীরা এ রহস্য স্পষ্টভাবে হৃদয়ঙ্গম বা প্রত্যক্ষ করতে পারেন এবং জীবের পূর্ব সংস্কার সম্পর্কে বলতে পারেন।[৬৩][৬৪][৬৫][৬৬]
প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানসমূহ
[সম্পাদনা]নিগমানন্দ আশ্রম
[সম্পাদনা]নিগমানন্দ আশ্রম (কুচবিহার) জেলার (দিনহাটার)[ নিগমনগর] এ অবস্থিত। ঠাকুর নিগমানন্দ আশ্রম আর নামানুসারে পরবর্তী কালে সেই এলাকার নাম হয় নিগমনগর। ঠাকুরের নামে পরবর্তী কালে স্কুল কলেজ আর নাম ও রাখা হয়। ২০১২ সালে ঠাকুর নিগমানন্দ এর পুনরায় প্রতিষ্ঠা করাহয় মন্দিররে।
গারোহিল যোগ আশ্রম
[সম্পাদনা]১৩১২ বঙ্গাব্দে, নিগমানন্দ আসামের (বর্তমানে মেঘালয়) গারোহিলে একটি যোগ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।[২৭][৬৭]
সারস্বত মঠ
[সম্পাদনা]স্বামী নিগমানন্দ শিবসাগর জেলার জোড়হাটে এক খন্ড জমি নেন এবং ১৩১৯ বঙ্গাব্দের (১৯১২ সালে) বৈশাখ মাসের অক্ষয়া তৃতীয়ায় সেখানে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।[৩] এটাকে বলা হতো "শান্তি আশ্রম" বা সারস্বত মঠ, যা পরবর্তীকালে আসাম-বঙ্গীয় সারস্বত মঠ নামে পরিচালিত হয়ে আসছে।[৬৮] মঠের উদ্দেশ্য/ব্রত ছিল সনাতন ধর্ম ব্যাপকভাবে প্রচার, প্রকৃত শিক্ষা বিস্তার এবং সকলকে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি হিসেবে সেবা করা।
সারস্বত মঠ জোড়হাটের ছয় মাইলের মধ্যে এক দারুণ তৃণভূমির কোলে আশ্রিত ছিল। মঠের এক পাশে ছিল এক উপজাতীয় গ্রাম আর এর তিন দিক গভীর বনে ঘেরা ছিল। মারিয়ানি-জোড়হাট রেলপথ উপজাতীয় গ্রামটির মধ্য দিয়ে কোকিলামুখ পর্যন্ত গিয়েছে। হিমালয় পর্বতমালা এ জায়গার উত্তরে, উদয়গিরি পূর্বে এবং নাগা পর্বত দক্ষিণে অবস্থিত। আশ্রমের দৃশ্য প্রাচীনকালের আশ্রমের দৃশ্য মনে করিয়ে দিত। পাশ্ববর্তী জঙ্গল এবং জায়গাটির নির্জনতা ধ্যানের অত্যন্ত অনুকূল ছিল। ধর্মগ্রন্থ পাঠ ও ধ্যানের সাথে সাথে গবাদি পশু চরানো, ঘাস খাওয়ানো এবং এদের জন্য শুকনো খাদ্য সংগ্রহ ছিল আশ্রমের ব্রহ্মচারীদের উপর অর্পিত কাজ। স্বামী নিগমানন্দ কর্তৃক সম্পাদিত "সারস্বত গ্রন্থাবলী"র কাজ এই মঠের প্রেস হতে প্রকাশিত হয়েছিল। আর্য দর্পণ নামের ধর্মীয় মাসিক পত্রিকা এখান হতে মুদ্রিত হওয়া অব্যাহত ছিল। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে আশ্রমটিতে মুদ্রণ, অন্যান্য শিল্প যেমন কাঠের কাজ, কামারের কাজ এবং হস্তচালিত তাঁত চালু করা হয়েছিল। দাতব্য ঔষধালয়টি মঠের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে পরিণত হয়েছিল যেখানে গরীব রোগীদের ঔষধসহ চিকিৎসা সেবা দেয়া হতো। ছাত্রদের যোগ শিক্ষা দেয়ার জন্য ঋষি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।[২৮][৬৯][৭০][৭১]
স্বামী নিগমানন্দ মহান শঙ্করাচর্যের আদেশে "সরস্বতী"র ঐতিহ্যে তাঁর দশ জন ধর্মপ্রাণ শিষ্যকে সন্ন্যাসে দীক্ষা দেন, যাদের মধ্যে কনিষ্ঠতম ছিলেন "স্বামী নির্বাণানন্দ সরস্বতী" (একজন বিদ্বান, পণ্ডিত, দার্শনিক এবং লেখক যিনি পরে অনির্বাণ হিসেবে বিখ্যাত হন) এবং "স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী"। স্বামী প্রজ্ঞানানন্দকে সারস্বত মঠ ও আশ্রম প্রতিষ্ঠানসমূহের ট্রাস্টি এবং মোহন্ত হিসেবে শপথ পাঠ করিয়ে [৭২] স্বামী নিগমানন্দ অবসর নেন এবং ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত পুরীতে নীলাচল কুটিরে কয়েক বছর বসবাস করেন।
সারস্বত মঠের ১০০ বছর (১৩১৯ - ১৪১৮ বঙ্গাব্দ)
[সম্পাদনা]১৩১৯ বঙ্গাব্দে (১৯১২ সালে) স্বামী নিগমানন্দ প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠান (শান্তি আশ্রম) বা "সারস্বত মঠ" ১৪১৮ বঙ্গাব্দের বৈশাখের অক্ষয়া তৃতীয়ায় (২০১১ সালের ৬ ই মে) এর জীবনের একশত বছরে পদার্পণ করল।[২৭] স্বামী নিগমানন্দের উক্তিটি নিম্নরুপ:
“ | এই শান্তি আশ্রম আমার সারা জীবনের সাধনা ও প্রচেষ্টার ফল; এ আশ্রমের সাথে তুলনা করলে আমার জীবনকে যতসামান্য গুরুত্বের মনে হতে পারে—আমি আমার জীবনকে এ আশ্রমের জন্য শতবার উৎসর্গ করতে পারি। এটি আমার প্রত্যাশা যে এ আশ্রম থেকে উপযুক্ত সময়ে শত শত নিগমানন্দ বের হয়ে আসবে। আমার শিষ্যগণ, তোমরা আমার সে আশ্রমের রক্ষক, এবং আমি আশা করি যে তোমাদের কেউই আমার আত্মা-সদৃশ এ আশ্রমকে অবহেলা করবে না, এবং তদনুযায়ী আমার মৃত্যুর কারণ হবে না। - স্বামী নিগমানন্দ [৭৩] | ” |
গুরু ব্রহ্ম আশ্রম
[সম্পাদনা]স্বামী নিগমানন্দ গুরু ব্রহ্ম আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন যেখানে যে কোন বিশ্বাসের ব্যক্তিবর্গ তাদের নিজস্ব পথে ঈশ্বরের আরাধনা করতে পারতেন। তিনি অবিভক্ত বাংলার পাঁচটি বিভাগে পাঁচটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন: বাংলাদেশের কুমিল্লার ময়নামতিতে "পূর্ব বাংলা সারস্বত আশ্রম", বাংলাদেশের ঢাকার কালনিতে "মধ্য বাংলা সারস্বত আশ্রম", বগুড়াতে "উত্তর বাংলা সারস্বত আশ্রম", মেদিনীপুরের খরখুসামায় "পশ্চিম বাংলা সারস্বত আশ্রম" এবং ২৪ পরগণার হালিশহরে "দক্ষিণ বাংলা সারস্বত আশ্রম"।[২৮] তিনি অনেক আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং গুরু-শিষ্য ঐতিহ্যে হাজার হাজার শিষ্য তৈরী করেন।[৭৪] আসামের জোড়হাটের কোকিলামুখে স্বামী নিগমানন্দ ১৯১৫ সালে জগৎ গুরু আসন সংস্থাপন করেন।[৭৫]
নীলাচল সারস্বত সঙ্ঘ, পুরী
[সম্পাদনা]স্বামী নিগমানন্দ তার কাজ থেকে অবসর নেন এবং ওড়িশার পুরীর নীলাচল কুটিরে বসবাস করেন। পুরী চার ধাম তীর্থযাত্রার অংশ হিসেবে হিন্দুদের একটি পবিত্র শহর যা ভগবান জগন্নাথের শহর হিসেবেও পরিচিত। স্বামী নিগমানন্দ বিশ্বাস করতেন যে ভগবান জগন্নাথ হচ্ছেন "সত্যের প্রতীক" কারণ ওড়িশার পুরীর ভগবান জগন্নাথের ধর্মানুষ্ঠানের মধ্যে সাংস্কৃতিক সত্যতা, একতা এবং অখণ্ডতা মূর্ত/অন্তর্ভুক্ত করে।[৭৬][৭৭] তিনি তার জীবনের বাকী ১২ বছর পুরীতে অতিবাহিত করেন।
২৪শে আগস্ট ১৯৩৪ (শুক্রবার), শ্রাবণ পূর্ণিমা দিবস, নীলাচল সারস্বত সঙ্ঘ স্বামী নিগমানন্দের নিজের দ্বারা পুরীতে নীলাচল কুটিরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[৭৮][৭৯][৮০] ওড়িশার ভক্তবৃন্দ তার জন্মদিন উদ্যাপন করতে সেখানে জড় হন। তিনি তাদের মধ্যে একটি ধর্মীয় বৃত্ত গঠনের উপদেশ দেন। তার ইচ্ছানুসারে কিছু ভক্ত ধর্মীয় আলোচনার জন্য একটি সমিতি বা সংসদ চালু করেন এবং গ্রুপভিত্তিক আলোচনা এবং উপাসনার পর্যায়ক্রমিক বৃদ্ধির দ্বারা "নীলাচল সারস্বত সঙ্ঘ" (সঙ্ঘ)[৮০] চালু হয়, তিনটি উদ্দেশ্য পূরণের জন্য, (১) আদর্শ গৃহস্থ জীবন যাপন, (২) মিলিত শক্তি প্রতিষ্ঠা এবং (৩) ভাব বিনিময়।[৪৮][৮১]
অন্যান্য প্রতিষ্ঠান
[সম্পাদনা]বর্তমানে ভারতের কিছু জায়গায় স্বামী নিগমানন্দের অনুসারীদের দ্বারা যোগ, শিক্ষা এবং দর্শনের কিছু প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে।
কর্ম
[সম্পাদনা]প্রকাশনাসমূহ
[সম্পাদনা]আধ্যাত্মিক পুস্তক এবং সাময়িকী সমূহ: সারস্বত গ্রন্থাবলী এবং আর্য দর্পণ ছিল সত্যানুরাগীদের জন্য তার অবদান।
সারস্বত গ্রন্থাবলী
শুধু পাঠগত উৎসের ভিত্তিতেই নয় বরং তার প্রথম হাত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিগমানন্দের লেখা বিখ্যাত গ্রন্থসমূহ হচ্ছে "ব্রহ্মচর্য সাধন", "যোগী গুরু", "তান্ত্রিক গুরু", "জ্ঞানীগুরু" এবং "প্রেমিক গুরু" যেগুলি সনাতন ধর্মে বিদ্যমান মৌলতত্ত্ব এবং সাধনা বা আধ্যাত্মিক অনুশীলনের প্রায় সকল বাস্তব পদ্ধতি সম্পর্কিত।[১৭][৮২][৮৩][৮৪] এর অব্যবহিত পরেই তার পর পর লেখা "মায়ের কৃপা"[৮৫], "বেদান্ত বিবেক" এবং "তথ্যমালা" আধ্যাত্মিক জগতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
আর্য দর্পণ
যৌক্তিক ভিত্তি বিবর্জিত সংকীর্ণ ধর্মীয় বিশ্বাস দ্বারা ভ্রান্ত পথে চালিত হতে প্রবণ জনগণের মাঝে অ-উপদলীয় আধ্যাত্মিক জ্ঞান বিতরণের উদ্দেশ্যে তিনি আর্য দর্পণ[৮৬][৮৭] নামে এক মাসিক পত্রিকাও প্রকাশ করেন।
এই পত্রিকায় তিনি ধর্মীয় ও ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর অনেক রচনা লেখেন। নিগমানন্দের অনুসারীরা ঘোষণা করেছেন যে পৃথিবীর যে কোন বিশ্বাসের অনুসারীদের নিকট এই গ্রন্থসমূহ উপকারী এবং যদি যত্ন সহকারে সেগুলিতে বর্ণিত বিষয়সমূহ চর্চা করা হয় তবে তা আধ্যাত্মিক সাধনায় যে কোন মানুষকে সুনির্দিষ্ট সাফল্যে পৌঁছে দেবে। এই সকল গ্রন্থসমূহ বাংলা থেকে ওড়িয়া ভাষায় অনুবাদ করেন একজন ওড়িয়া সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী ব্যক্তিত্ব এবং ঠাকুরের শিষ্য শ্রী ডি সি মোহান্তি, পুরী (শ্রী দুর্গা চরণ মোহান্তি)।[৮৮] যেহেতু স্বামী নিগমানন্দ এক দীর্ঘ এবং অব্যাহত খোঁজের মধ্য দিয়ে তার গুরুকে আবিষ্কার করেছিলেন, তার অনেক শিষ্যকেও তাকে খুঁজে পেতে একই নিয়ম অনুসরণ করতে হয়েছিল। এ রকম অল্প কিছু সংখ্যক গল্প তার শিষ্যদের দ্বারা বর্ণিত হয়েছে।[৩৩][৮৯][৯০]
ভক্ত সম্মিলনী
[সম্পাদনা]বিভিন্ন উপাসনা উপদলসমূহকে শক্তিশালী, জীবনে গুরু থাকার প্রয়োজনীয়তা আলোচনা, আশ্রমে থাকা সন্ন্যাসীদের কল্যাণ পর্যালোচনা, সামগ্রিকভাবে তাদের এবং আশ্রমের সমস্যাসমূহ সমাধানে সাহায্য, বিদ্যালয় বা সম্প্রদায়ের জন্য সমাজসেবামূলক কাজ এবং পরিশেষে সর্বজনীন আধ্যাত্মিক জীবনের সমসাময়িক সমস্যাসমূহের উপর আলোকিত বক্তাদের বক্তৃতা শ্রবণে আধ্যাত্মিক সভা আয়োজন করার জন্য স্বামী নিগমানন্দ গৃহস্থ ও সন্ন্যাসী উভয় ধরনের ভক্তদের বার্ষিকভাবে এক সম্মেলনে মিলিত হওয়ার আহ্বান করেন যাকে বলা হয় ভক্ত সম্মিলনী।[৫১] নিগমানন্দ বলেন যে এই সকল কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো শিষ্যদের আধ্যাত্মিকভাবে অগ্রসর হতে সাহায্য করা যাতে তারা জীবনে শান্তি এবং সত্যিকারের সুখ লাভ করতে পারে।[১] নিগমানন্দ পৃথিবীর মঙ্গলার্থে এই সম্মিলনী সম্পর্কে কিছু স্পষ্ট নিয়ম-নীতি রেখে গেছেন।
তিনি এই সম্মিলনীকে দুটি অংশে বিভক্ত করেন: একটি হচ্ছে সার্বভৌম (দেশব্যাপী) ভক্ত সম্মিলনী এবং অন্যটি হচ্ছে প্রাদেশিক (রাজ্যব্যাপী) ভক্ত সম্মিলনী।
- সার্বভৌম ভক্ত সম্মিলনী
স্বামী নিগমানন্দ ১৯১৫ সালে আসামের জোড়হাটের কোকিলামুখে প্রথম সার্বভৌম ভক্ত সম্মিলনী চালু করেন।[১]
১৯৩৪ সালের সার্বভৌম ভক্ত সম্মিলনীতে স্বামী নিগমানন্দ প্রতিনিধি হিসেবে তার সকল শিষ্যদের আমন্ত্রণ জানান এবং পুরীতে পরবর্তী সার্বভৌম ভক্ত সম্মিলনীর ডাক দেন।
- প্রাদেশিক ভক্ত সম্মিলনী
প্রথম প্রাদেশিক সম্মিলনী ১৯৪৭ সালে "নীলাচল সারস্বত সঙ্ঘ, পুরী" কর্তৃক ওড়িয়ার গঞ্জাম জেলার আঙ্কোলিতে মঘার পূর্ণিমাতে অনুষ্ঠিত হয় যেখানে প্রায় ৬০ জন ভক্ত সমাবেশ করেন।[৯১]
সম্মিলনীতে ভক্তদের জমায়েত থেকে উপচে পড়া স্বর্গসুখের অনন্ত প্রস্রবণ [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] থেকে স্বর্গীয় সুখ উপভোগ করতে স্বামী নিগমানন্দ তার সন্তানদের (শিষ্যদের এবং ভক্তদের) প্রত্যেককে তার উষ্ণ ও আন্তরিক আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সম্মিলনীতে আনন্দের প্লাবন উপচে পড়ে এবং অংশগ্রহণকারীরা এর অংশী হন। বার্ষিক সম্মিলনী তার হৃদয়ের খুর প্রিয় ছিল এবং ভক্তদের সকলেই এখানে শিষ্যদের সাথে মিলিত হওয়াতে তার আনন্দ উপলব্ধি করতেন। তিনি বলেন:
“ | আমার ভক্তরা সম্পূর্ণভাবে অবহিত যে বছরে একবার খ্রীষ্টমাসে এই সম্মিলনীতে তাদের জড় হতে দেখে আমি আনন্দিত। এই ধরনের সমাবেশ মঠসমূহকে বিখ্যাত করবে এবং পৃথিবীর জন্য সাধারণভাবে মঙ্গল বয়ে আনবে। - স্বামী নিগমানন্দ [৯২] | ” |
স্বামী নিগমানন্দ বার্ষিক সম্মিলনীতে মহিলা শিষ্যদের জন্য একটি ভিন্ন উপাসনা দিবসের সূচনা করেছিলেন যেখানে তারা নিজেরাই অংশগ্রহণ এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করতে পারত।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]স্বামী নিগামানন্দ রচিত গ্রন্থাবলি
[সম্পাদনা]- বাংলা
- স্বামী নিগামানন্দ পরমহংস। যোগীগুরু।
- স্বামী নিগামানন্দ পরমহংস। জ্ঞানীগুরু।
- স্বামী নিগামানন্দ পরমহংস। তান্ত্রিকগুরু।
- স্বামী নিগামানন্দ পরমহংস। প্রেমিকগুরু।
- স্বামী নিগামানন্দ পরমহংস। বেদান্ত বিবেক।
- স্বামী নিগামানন্দ পরমহংস (১৯১০)। ব্রহ্মচর্য সাধন।
- ওড়িয়া
- Banamali Dash; Durga Charan Mohanty। ଶ୍ରୀ ଶ୍ରୀ ଠାକୁର ନିଗମାନନ୍ଦ (odia ভাষায়)। Nilachala Saraswata Sangha।
- Swami Nigamānanda Paramahansa। ଯୋଗୀଗୁରୁ (odia ভাষায়)। Nilachala Saraswata Sangha।
- Swami Nigamānanda Paramahansa। ଜ୍ଞାନୀ ଗୁରୁ (odia ভাষায়)। Nilachala Saraswata Sangha।
- Swami Nigamānanda Paramahansa। ତାନ୍ତ୍ରିକ ଗୁରୁ (odia ভাষায়)। Nilachala Saraswata Sangha।
- Swami Nigamānanda Paramahansa। ପ୍ରେମିକ ଗୁରୁ (odia ভাষায়)। Nilachala Saraswata Sangha।
- Swami Nigamānanda Paramahansa। ବେଦାନ୍ତ ବିବେକ (odia ভাষায়)। Nilachala Saraswata Sangha।
- Swami Nigamānanda Paramahansa। ବ୍ରହ୍ମଚର୍ଯ୍ୟ ସାଧନ (odia ভাষায়)। Nilachala Saraswata Sangha।
- Swami Chidānanda। ମାଆଙ୍କ କୃପା (odia ভাষায়)। Nilachala Saraswata Sangha।
- ইংরেজি
- Swami Nigamānanda Paramahansa (১৯৮৯)। Tantrika guru। Saraswata Sangha।
- Swami Nigamānanda Paramahansa (১৯৮৯)। Gyānī guru। Nilachala Saraswata Sangha।
- Swami Nigamānanda Paramahansa (১৯৮৯)। Premika guru। Nilachala Saraswata Sangha।
- Swami Nigamānanda Paramahansa (১৯৬৩)। Yogī guru। Nilachala Sarasvata Sangha।
- Swami Nigamānanda Paramahansa (১৯৬৯)। Brahamacharya Sadhana। Nilachala Sarasvata Sangha।
পাদটীকা
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ Moni Bagchee (১৯৮৭)। Sadguru Nigamananda: a spiritual biography। Assam Bangiya Saraswat Math। পৃষ্ঠা 43। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১১। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "Bagchee1987" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ ক খ "Nigamananda Paramahansha"। BANGLAPEDIA। ২০০৯-১২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৬-০৮।
- ↑ ক খ Saraswata Sangha, America। "Paramahansa Srimat Swami Nigamananda Saraswati Deva"। Nilachala Saraswata Sangha,Puri। ২০১১-০৯-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৬-০৯।
- ↑ Sher Singh; S. N. Sadhu (১৯৯১)। Indian books in print। Indian Bureau of Bibliographies.। পৃষ্ঠা 572। আইএসবিএন 9788185004464। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Moni Bagchee (১৯৮৭)। Assam Bangiya Saraswata Math(1987), সম্পাদক। Glory of India (Sadguru Nigamananda সংস্করণ)। Motilal Banarsidass। পৃষ্ঠা 98। আইএসবিএন 0887061778
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: checksum (সাহায্য)। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১১। - ↑ Prof. Shrikant Prasoon (২৮ জুলাই ২০০৯)। Indian saints and sages। Pustak Mahal। পৃষ্ঠা 57–। আইএসবিএন 9788122310627। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Paramahamsa Prajnanananda (১৫ আগস্ট ২০০৬)। My Time with the Master। Sai Towers Publishing। পৃষ্ঠা 25–। আইএসবিএন 9788178990552। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১১।
- ↑ Mohan Lal (১ জানুয়ারি ২০০৬)। The Encyclopaedia Of Indian Literature (Volume Five (Sasay To Zorgot)। Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা 3961–। আইএসবিএন 9788126012213। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১১।
- ↑ Books Llc (মে ২০১০)। Hindu Gurus: Swami Vivekananda, A. C. Bhaktivedanta Swami Prabhupada, Paramahansa Yogananda, Sathya Sai Baba, Guru, Sai Baba of Shirdi। General Books LLC। আইএসবিএন 9781156841020। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Sri Chinmoy (জানুয়ারি ১৯৯৭)। Jardin Del Alma। Editorial Sirio, S.A.। পৃষ্ঠা 119–। আইএসবিএন 9788478082308। ২৩ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১১।
- ↑ Books; LLC (মে ২০১০)। Hindu Philosophers: Paramahansa Srimat Swami Nigamananda Saraswati Dev,Gautama Buddha, Sarvepalli Radhakrishnan, Swami Vivekananda,। General Books LLC। আইএসবিএন 9781157067009। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Prafulla Chandra Bhanja Deo; Jitāmitra Prasāda Siṃhadeba (২০০৭)। A Tantric scholar, and the British wrath on Bastar State: historical documentation relating to Rajkumar Prafulla Chandra Bhanja Deo, and Swami Nigamananda Saraswati। Punthi Pustak। পৃষ্ঠা 4, 13, 20। আইএসবিএন 9788186791660। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১১।
- ↑ Chandra Bhanu Satpathy (১ জুলাই ২০০১)। Shirdi Sai Baba and other perfact masters। Sterling Publishers Pvt. Ltd। পৃষ্ঠা 717–। আইএসবিএন 9788120723849। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Narasingha Prosad Sil (১৯৯১)। Rāmakṛṣṇa Paramahaṁsa: a psychological profile। BRILL। পৃষ্ঠা 92–। আইএসবিএন 9789004094789। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Library of Congress Office; New Delhi (১৯৮০)। Accessions list, India। Library of Congress Office। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১১।
- ↑ David R. Kinsley (১৯৭৯)। The divine player: a study of Kṛṣṇa līlā। Motilal Banarsidass। পৃষ্ঠা 296–। আইএসবিএন 9780896840195। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১১।
- ↑ ক খ List of Books-Page:102, Brahamcharya Sadhana, Yogi Guru, Gyani Guru, Tantrika Guru, Premika Guru, (Ami ki Chai) at Religious movements in modern Bengal By Benoy Gopal Ray Visva-Bharati, 1965
- ↑ Swami Nigamananda, collection,Bangala Pedia ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে Nigamananda wrote several books on ascetic philosophy and tantricism
- ↑ Premika Guru, Bangla 4th Edition ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ আগস্ট ২০১১ তারিখে By West Bengal PUblic Library Network
- ↑ Nigamananda (১৯২৬)। Yogi Guru - 7th ed. (Bengali ভাষায়)। Saraswat Math, Garohill Yogashram। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৬-০৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Divine way of life Accessdate=15 April 2011,Nigamananda who had to sacrifice ... Nirvikalpa Samadhi, Swami Nigamananda had experienced the state of Nirvikalpa,Publisher=B.Jain,Year=2000, ISBN=9788170219118
- ↑ [১]Author=Moni Bagchee|title=Sadguru Nigamananda: a spiritual biography,Accessdate=15 April 2011,Swami Nigamananda's Nirvikalpa Exprience,Publisher=Assam Bangiya Saraswat Math,Year=1987 Page=73
- ↑ Ray, Benoy Gopal (১৯৬৫)। Religious movements in modern Bengal। Visva-Bharati। পৃষ্ঠা 100। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১১।
- ↑ Nilachal Saraswat Sangh (Purī, India) (২০০১)। Sadguru Swami Nigamananda ("The Bhatacharya Family of Kutabpur" সংস্করণ)। Nilachal Saraswat Sangha, Puri। পৃষ্ঠা 8। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১১।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Sangha, America Saraswata। "Swami Nigamananda's Life Chronological Events"। ২০১১-০৯-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৬-২০।
- ↑ ক খ গ Saraswata Sangha, Berhampur। "Swami Nigamananda"। Nilachala Saraswata Sangha,Puri। ২০১২-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৬-০৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Swami Nigamananda's Chronological events in his life"। ৪ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১১।
- ↑ ক খ গ ঘ Swami Nigamananda ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে Collection,Bangala Pedia
- ↑ Ray, Benoy Gopal (১৯৬৫)। Religious movements in modern Bengal। Visva-Bharati। পৃষ্ঠা 100। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১১।
Suddenly he saw the shadowy image of his wife
- ↑ Ray, Benoy Gopal (১৯৬৫)। Religious movements in modern Bengal। Visva-Bharati। পৃষ্ঠা 100। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১১।
He went to the Theosophical Society at Adyar and discussed with theosphists...
- ↑ Debabrata Sen Sharma (২০০৭)। Aspects of Tantra Yoga। Indica Books। পৃষ্ঠা 44। আইএসবিএন 9788186569672। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ June McDaniel (১৯৮৯)। The madness of the saints: ecstatic religion in Bengal। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 151–। আইএসবিএন 9780226557236। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১১।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Sri Chinmoy (১ মার্চ ২০০৩)। Wisdom of Sri Chinmoy। Motilal Banarsidass Publ.। পৃষ্ঠা 81–। আইএসবিএন 9788120819436। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১১। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "Chinmoy2003" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ Religious movements in modern Bengal Author-Benoy Gopal Ray, Visva-Bharati, 1965,His name was changed to "Nigamananda" .... Page -101
- ↑ Monika Horstmann (৮ জুন ২০০৯)। Patronage and popularisation, pilgrimage and procession: channels of transcultural translation and transmission in early modern South Asia ; papers in honour of Monika Horstmann। Otto Harrassowitz Verlag। পৃষ্ঠা 63–। আইএসবিএন 9783447057233। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Mahadham Orissa Review, June 2006 By Govt. of Orissa
- ↑ Religious movements in modern Bengal Author-Benoy Gopal Ray, Visva-Bharati, 1965,After continuous search he found a Yogi Guru Sumeru Das ji.... Page -101
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Nilachal Saraswat Sangh (Purī; India) (২০০১)। Sadguru Swami Nigamananda। Nilachal Saraswat Sangha, Puri। পৃষ্ঠা 188। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০১১। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "(PurīIndia)2001" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ ক খ Nigamānanda (২০০০)। Divine way of life। B.Jain। আইএসবিএন 9788170219118। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১১। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "Nigamānanda2000" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ Monika Thiel-Horstmann (১৯৮৩)। Bhakti in current research, 1979-1982: proceedings of the Second International Conference on Early Devotional Literature in New Indo-Aryan Languages, St. Augustin, 19–21 March 1982। D. Reimer Verlag। পৃষ্ঠা 118–120। আইএসবিএন 9783496007500। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ "Guru Stotram"। www.yogamag.net। ২০ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Ādi Śaṅkara Advaita Research Centre (Madras, India) (১৯৮২)। The Voice of Śaṅkara। Ādi Śaṅkara Advaita Research Centre। পৃষ্ঠা 140। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১১। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - ↑ Michael Oren Fitzgerald (২৫ মে ২০০৮)। Introduction to Hindu dharma: illustrated। World Wisdom, Inc। পৃষ্ঠা 13–। আইএসবিএন 9781933316482। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১১। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - ↑ Shree Shree Thakur Nigamananda-Oriya Jeevani,See-"KUMBHA MELA" Writer: Durgacharan Mohanty, Banmali Das, Nilanchala Saraswata Sangha, Puri
- ↑ Kamal K. Mohanty (২০০১)। Orissa, the lost footsteps। Vision Publications। পৃষ্ঠা 384, 195। আইএসবিএন 9788187176008। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ The divine universal gospels of Sri Nigamananda : Translation, a lucid word to word rendering to English,Accessdate=15 April 2011,Swami Nigamananda's Advice to his Disciples,Publisher=Amitabh Giri,Chapter=THE END OF THE YEAR Page=104
- ↑ Ray, Benoy Gopal (১৯৬৫)। Religious movements in modern Bengal। Visva-Bharati। পৃষ্ঠা 102। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১১।
Sanatan Dharma which is eternal and changeless. Another aim is to impart proper Education....
- ↑ ক খ The 3 ideals of Nilachala Saraswata Sangha, Authors=Mamata Swain,Jagannath Lenka,Minati Mallick,Coauthors=North Orissa University. P. G. Dept. of Economics, India. Ministry of Women and Child Development|title=Gender perspective in disaster management,Publisher=Serials Publications|lISBN=9788183871211, Search String "Adarsha Gruhastha", Page=228
- ↑ Religious movements in modern Bengal Author-Benoy Gopal Ray, Visva-Bharati, 1965,Ideals,Lead an ideal householders's life. Nigamananda laid great tress on the spirit of unity and co-operation(combined power, shangha shakti).... Page -101
- ↑ Saraswata Sangha, America। "Swami Nigamananda's Philosophy and Teachings"। Nilachala Saraswata Sangha, Puri। ২০১১-০৯-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৬-১১।
- ↑ ক খ Biśuddhānanda Sarasvatī (Swami) (১৯৮৫)। In quest of myself: an autobiography (Quote of Swami Nigamananda সংস্করণ)। Nigamananda Ashram। পৃষ্ঠা 57। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১১। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "(Swami)1985" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ Benoy Gopal Ray (১৯৬৫)। Religious movements in modern Bengal। Visva-Bharati। পৃষ্ঠা 102। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১১।
- ↑ Dr. G.S. Chauhan (১ জানুয়ারি ২০০৫)। The Gospel Of The Sikh gurus। (Gyan - Path of Knowledge & Bhakti Path of Devotion)। Hemkunt Press। পৃষ্ঠা 44–। আইএসবিএন 9788170103530। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১১।
- ↑ Linda Johnsen (২৫
জানুয়ারি ২০০০)। Meditation is boring?: putting life in your spiritual practice। Himalayan Institute Press। পৃষ্ঠা 71–121। আইএসবিএন 9780893891794। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১১। line feed character in
|তারিখ=
at position 4 (সাহায্য) - ↑ Arvind Sharma (১ জুলাই ২০০১)। Classical Hindu thought: an introduction। (CHAPTER-III Brahman : Nirguna and Saguna) (English ভাষায়)। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 43। আইএসবিএন 9780195658712। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১১।
- ↑ R. Venugopalan (১ অক্টোবর ২০০১)। Soul Searchers the Art of Breathing। (Bhava Loka)। B. Jain Publishers। পৃষ্ঠা 53–। আইএসবিএন 9788170219637। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১১। line feed character in
|শিরোনাম=
at position 27 (সাহায্য) - ↑ Manoj Das; Neeta Gangopadhyay; Sahitya Akademi (২০০১)। Tales told by mystics। Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা xii–233। আইএসবিএন 9788126011759। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Sir Charles Eliot (১৯৯৮)। Hinduism and Buddhism: an historical sketch। Psychology Press। পৃষ্ঠা 250–। আইএসবিএন 9780700706792। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১১। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); line feed character in|coauthors=
at position 32 (সাহায্য) - ↑ {{cite book|author=Brahma|coauthors=No difference is supposed to exist between the guru and the ista|title=The Fundamentals of Religion|url=http://books.google.com/books?id=akPlrHBkOj8C&pg=PA252%7Caccessdate=15 June 2011|date=1 August 2007|publisher=PHI Learning Pvt. Ltd.|isbn=9788120333031|pages=252–}}
- ↑ Swami Nigamananda's JIVANMUKTA UPASANA( realisation of truth or liberation in the present life)THEORY, Book: Sadguru Swami Nigamananda (Page:207) By NSS Puri (India).
- ↑ Bulletin of the Ramakrishna Mission Institute of Culture। Swami Nigamananda on "Tantra"& "Self realizaton" & "Death"। The Institute। ১ জানুয়ারি ১৯৬৯। পৃষ্ঠা 130–134। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Religious movements in modern Bengal Author-Benoy Gopal Ray, Visva-Bharati, 1965,I desire that Indian should rise once again and attain the ideals ancient Rishis who showed mankind the spirit light. Let them lead mankind to the full knowledge and realization of self.... Page -102
- ↑ Bulletin of the Ramakrishna Mission Institute of Culture Quote=Swami Nigamananda's Quote on "Death and Life",|Date=1 January 1969,Publisher=The Institute. Volume=20 , Page=134
- ↑ The divine universal gospels of Sri Nigamananda :translation, a lucid word to word rendering to English, Author=Nigamānanda,Quote=Swami Nigamananda' Quote on "Prarabdha",Publisher=Amitabh Giri, Page=19
- ↑ Sadguru Swami Nigamananda Swami Nigamananda's theory on"Movement of javatma... Spirit",Publisher=Nilachal Saraswat Sangha, Puri,Year=2001, Page=278
- ↑ N.H. Sahasrabudhe; R.D. Mahatme (মে ২০০০)। Mystic Science of Vastu ("Karma" Principles, "Past Sanskar" সংস্করণ)। Sterling Publishers Pvt. Ltd। পৃষ্ঠা 76–। আইএসবিএন 9788120722064। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Dwijendra Lal Bhowmik; Tribal Research Institute (Tripura; India) (২০০৩)। Tribal religion of Tripura: a socio-religious analysis। Swami Nigamananda'sGarohill( Kadaldhoya) Yoga Ashram: Tribal Research Institute, Govt. of Tripura। পৃষ্ঠা 60। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Constance Jones; James D. Ryan (ফেব্রুয়ারি ২০০৭)। Encyclopedia of Hinduism। Infobase Publishing। পৃষ্ঠা 38। আইএসবিএন 9780816054589। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১১। Swami Nigamananda's Ashram at Jorhat (Assam)
- ↑ Religious movements in modern Bengal Author-Benoy Gopal Ray, Visva-Bharati, 1965, Rishi Vidyalaya have been founded to train up students.... Page -102
- ↑ Assam Bangiya Saraswat Math ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ নভেম্বর ২০১১ তারিখে and Cemetery of Swami Nigamananda
- ↑ Shree Shree Thakur Nigamananda-Oriya Jeevani,CHAPTER-"SARASWATA MATHA" Writer: Durgacharan Mohanty, Banmali Das, Nilanchala Saraswata Sangha, Puri
- ↑ Encyclopedia of World Religions ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ জুন ২০১৪ তারিখে(Encyclopedia of Hinduism, Page-79)
- ↑ "Official Website of Assam Bangiya Saraswat Math"। www.absmath.org। ২১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Press Institute of India; Press Trust of India (১৯৯৭)। Data India। Press Institute of India। পৃষ্ঠা 159। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১১।
- ↑ Religious movements in modern Bengal Author-Benoy Gopal Ray, Visva-Bharati, 1965,The main center is situated at Kokilamukha (Assam).... Page -102
- ↑ Sachindra Kumar Maity (১ জানুয়ারি ১৯৯৭)। Professor A.L. Basham, my Guruji and problems and perspectives of ancient Indian history and culture। Abhinav Publications। পৃষ্ঠা 378–। আইএসবিএন 9788170173267। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১১।
- ↑ Ramprasad Mishra; Lakṣmīṅkarā (১৯৯৫)। Advayasiddhi, the Tāntric view of Lakṣmīṅkarā। Kant Publications। পৃষ্ঠা 41। আইএসবিএন 9788186218006। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১১।
- ↑ Nilachala Saraswata Sangha, Authors=Mamata Swain,Jagannath Lenka,Minati Mallick,Coauthors=North Orissa University. P. G. Dept. of Economics, India. Ministry of Women and Child Development|title=Gender perspective in disaster management,Publisher=Serials Publications|lISBN=9788183871211, Search String "Nilachal Saraswat", Page=228
- ↑ Indian Anthropological Soicety (২০০১)। Journal of the Indian Anthropological Society। The Society। পৃষ্ঠা Volume 36, page 156। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১১।
- ↑ ক খ Mamata Swain; Jagannath Lenka; Minati Mallick (২০০৭)। Gender perspective in disaster management। Nilachala Saraswata Sangha, Puri: Serials Publications। পৃষ্ঠা 228। আইএসবিএন 9788183871211। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১১। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) উদ্ধৃতি ত্রুটি:<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "SwainLenka2007" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ Library of Congress. Library of Congress Office; New Delhi (২০০২)। The South Asian bibliographer: a list of current publications compiled by the Library of Congress Office, New Delhi। Volume 5। Nilachala Saraswata Sangha,Puri: Sage Publications। পৃষ্ঠা 888। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Swami Nigamananda Saraswati Yoga Vidya Kendra, Chennai Accessdate=4 April 2011|year=2004|publisher=Project of History of Indian Science, Philosophy and Culture (PHISPC) , Sub project: Consciousness, Science, Society, Value and Yoga (CONSSAVY)|isbn=9788187586173|page=xxiii
- ↑ Bangala Pedia ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে Nigamananda wrote several books on ascetic philosophy and tantricism
- ↑ Swami Rama (১ জুলাই ১৯৯৯)। Living with the Himalayan Masters। Himalayan Institute Press। পৃষ্ঠা 424–। আইএসবিএন 9780893891565। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ The madness of the saints: ecstatic religion in Bengal By June McDaniel(isbn=9780226557236) 'Nigamananda Saraswati -Mayer Krpa' Page-310 (Sr.185)
- ↑ Swami Nigamananda's Sanatan Dharama Patrika Arya Darpan at Absmath.org ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে
- ↑ Press in India (1963 - Language Arts & Disciplines)। Part 2। ১৯৬৩। পৃষ্ঠা 505 (Sr.607)। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১১।
- ↑ Amulya Kumar Tripathy; P. C. Tripathy; Jayadeva (২০০৬)। Sri Durga Charan Mohanty, সম্পাদক। The Gita Govinda of Sri Jayadev। Yogi Guru (1968) Premika Guru (1983) Oriya Translator: DC MOHANTY (Sri Durga Charan
Mohanty) (ORIYA ভাষায়)। (Biratunga,Puri)। Puri: Publication Division, Ministry of Information and Broadcasting,
Govt. of India। পৃষ্ঠা Search String "D C Mohanty"। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১১। line feed character in
|ধারাবাহিক=
at position 85 (সাহায্য); line feed character in|প্রকাশক=
at position 65 (সাহায্য) - ↑ Stories By Sri Chinmoy
- ↑ Sri Chinmoy (এপ্রিল ১৯৯৮)। El jardín del alma। Editorial Sirio, S.A.। পৃষ্ঠা 119–। আইএসবিএন 9788478082308। ২৩ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১১। line feed character in
|শিরোনাম=
at position 15 (সাহায্য) - ↑ (Events) - Swami Nigamananda's Sarbabhouma Bhakta Sammilani & PradeshikaBhakta Sammilani ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ আগস্ট ২০১১ তারিখে
- ↑ Swami, Nigamananda। "Swami Nigamananda's BHAKTA SAMMILANI"। Bhakta Sammilani oriya book written by Durga Charan Mohanty। Assam Bangiya Saraswata Matha। ২০১১-১০-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৭-১৪। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- মেহেরপুর জেলার ব্যক্তি
- হিন্দু ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব
- ভারতীয় ধর্মগুরু
- হিন্দু দার্শনিক
- হিন্দু ধর্মগুরু
- হিন্দু অধ্যাত্মবাদী
- হিন্দু পুনর্জাগরণ ব্যক্তিত্ব
- ভারতীয় ভিক্ষু
- হিন্দু সন্ন্যাসী
- হিন্দু সাধু
- বাঙালি হিন্দু সাধু
- আধ্যাত্মিক নেতা
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় দার্শনিক
- নদিয়া জেলার ব্যক্তি
- ১৯শ শতাব্দীর হিন্দু গুরু
- ভারতীয় যোগী
- ভারতীয় হিন্দু আধ্যাত্মিক শিক্ষক
- ২০শ শতাব্দীর হিন্দু দার্শনিক ও ধর্মতত্ত্ববিদ
- ভারতীয় হিন্দু যোগী
- ১৮৮০-এ জন্ম
- ১৯৩৫-এ মৃত্যু
- ২০শ শতাব্দীর হিন্দু ধর্মগুরু
- অদ্বৈতবাদী দার্শনিক
- বাঙালি আধ্যাত্মিক লেখক
- ভারতীয় হিন্দু সন্ন্যাসী
- তান্ত্রিক অনুশীলন
- কলকাতার পণ্ডিত