গাংমৌ থান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গাংমৌ থান
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাশোণিতপুর
অবস্থান
অবস্থানবরগাং, বিহালী
দেশভারত
স্থাপত্য
সৃষ্টিকারীশ্রীমন্ত শঙ্করদেব

গাংমৌ থান হচ্ছে মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শংকরদেব প্রতিষ্ঠা করা একটি থান।[১] মহাপুরুষ শংকরদেব-এর তীর্থভ্রমণের সময় আসাম-এর বিভিন্ন স্থান থেকে বৈষ্ণবধর্ম প্রচার করেছিলেন। সেই স্থানগুলিতে কালক্রমে কিছু সত্র, মঠ-মন্দির ইত্যাদি গড়ে উঠেছিল। এমন একটি থান হল গাংমৌ থান। এই থান আসাম-এর শোণিতপুর জেলা-এর বিহালীর বরগাং এবং ব্রহ্মপুত্র নদী-এর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

শংকরদেব গাংমৌ থানে আসলে কোন্ সালে আসেন, সেই বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। বরদোয়া গুরু চরিত মতে তিনি আনুমানিক ১৪৩৮ শক অর্থাৎ ১৫১৬ সালে গাংমৌ থানে আসেন।[১]

শংকরদেব গাংমৌতে আসার কারণ[সম্পাদনা]

চরিত পুথিসমূহে শংকরদেব গাংমৌতে কবে আসেন তার বিষয়ে কিছু কথা উল্লেখ আছে। শিরোমনি ভূঞা হওয়ার পর শংকরদেব কিছুসময়ের জন্য তীর্থভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই কিছুসময়ের জন্য তিনি শিরোমনি ভূঞার পিতামহ জয়ন্তের হাতে দিয়ে গিয়েছিলেন। তীর্থযাত্রা থেকে ফিরে এসে তিনি রাজ্যচর্চা থেকে ধর্মচর্চায় মনোযোগ করেছিলেন। সেইসময় নিকটবর্তী কাছাড়ি রাজা ভূঞা রাজ্য আক্রমণ করেন। ফলে ভূঞা রাজ্য সংকটের সম্মুখীন হয়। এমন পরিস্থিতিতে তিনি ব্রহ্মপুত্র পার হয়ে উত্তরপারের গাংমৌতে এসে ধর্ম চর্চা করাতেই মনোযোগ দেন।[১] সেইসময় সমগ্র অঞ্চলটির নাম গাংমৌ ছিল। শংকরদেবের সাথে তাঁর দ্বিতীয় পত্নী কালিন্দী, দুই পিতামহ জয়ন্ত-মাধব এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা গাংমৌতে আসেন।[১]

গাংমৌ থানের নির্মাণ[সম্পাদনা]

শংকরদেব প্রতিষ্ঠা করা গাংমৌ থানটি আনুমানিক ১৯২৭-২৮ সালে খননের ফলে ব্রহ্মপুত্র-এর বুকে চলে যায়। এই থানটি প্রথমে খড়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে এই খড়ের থানটি স্থানীয় রঘূবী ছেত্রী নামের একজন নেপালী বৈষ্ণব গো-পালক তেজপুর থেকে টিনপাত এনে নতুনভাবে নির্মাণ করে দিয়েছিলেন বলে শোনা যায়।[১]

সাম্প্রতিক কালর গাংমৌ থান[সম্পাদনা]

শংকরদেব-এর বাসগৃহ বলে প্রবাদ থাকা উঁচু স্থানটিতে বর্তমান প্রায় একলাখেরও অধিক টাকা ব্যয় করে গাংমৌ থানটি নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়। ১৯৮১ সালের ১৬ জুলাইতে এই নবনির্মিত গাংমৌথানটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখন শংকরদেবের স্মৃতি জড়িত থাকা কোনো বস্তু নেই। স্থানীয়ভাবে পাওয়া একটি পাথরের মূর্তিকে শংকরদেবের সময়ের বলে ভেবে নাগরিকরা এখানে সংরক্ষণ করে রেখেছেন।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বন্যা বরুয়া (DECEMBER 5, 2012)। "গাং‍মৌ থানের ঐতিহ্য এবং মহাপুরুষীয়া পরম্পরা পর্যন্ত এর অবদান"বন্যা বরুয়া। enajori.com। ডিসেম্বর ২৭, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ January 09, 2013  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]