প্রবেশদ্বার:জলদস্যুতা
ভূমিকা
জলদস্যুতা বলতে সাধারনত সমুদ্রে সংঘঠিত ডাকাতি বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে বোঝায়। এই পরিভাষাটি অবশ্য স্থলপথ, আকাশপথ বা অন্য কোন বড় জলবেষ্ঠিত অঞ্চলে বা সৈকতে সংঘঠিত অপরাধের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হতে পারে। একই ভেসেলে (ছোট জাহাজ) ভ্রমণকারী এক ব্যক্তির বিরোদ্ধে অপর ব্যক্তির সংঘঠিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড -এর আওতাভুক্ত নয় (যেমন, একই ভেসেলের এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির কাছ থেকে চুরি করলে।)। শব্দটি ঐতিহাসিকভাবে রাষ্ট্রীয় জল সীমানায় অন্য দেশের এজেন্ট (প্রাইভেটিয়ার) বা জলদস্যু কর্তৃক লুণ্ঠেনের জন্য প্রবেশ-এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে।
জলদস্যুতা গতানুগতিক আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে একটি নির্দিষ্ট অপরাধের নাম এবং কিছু কিছু রাষ্ট্রে এটি পৌর আইনের অধীন একটি অপরাধের নাম। জলদস্যুতার মতই আরো একটি পরিভাষা হলো প্রাইভেটারিং, প্রাইভেটিয়াররা যুদ্ধকালীন সময়ে বা কৌশলগত কারণে রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং তার শুধুমাত্র শত্রু দেশের জাহাজই আক্রমণ ও লুট করতেন। কিছু মিল থাকা স্বত্তেও জলদস্যুতা ও প্রাইভেটারিং পরিভাষা দুটি আলাদা।
জলদস্যুতা ঘটনায় নিয়োজিত ব্যক্তিদেরকে জলদস্যু বলা হয়ে থাকে। ঐতিহাসিকভাবে, অপরাধীদের সাধারণত সামরিক ব্যক্তিদের দ্বারা ধরা এবং সামরিক ট্রাইবুনালে বিচার করার চেষ্টা করা হয়েছে। একুশ শতকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জলদস্যুদের বিচারের সম্মুখীন করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
নির্বাচিত নিবন্ধ -
জনপ্রিয় সংস্কতি -
ফ্লাইং ডাচম্যান একটি কিংবদন্তি ভৌতিক জাহাজ যা কোনদিন কোথাও নোঙ্গর করেনি এবং সমুদ্রযাত্রায় চিরতরে হারিয়ে গিয়েছে। ভুতূড়ে জাহাজ নিয়ে যত লোককাহিনী প্রচলিত আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ফ্লাইং ডাচম্যান। এই লোককাহিনীটির উৎপত্তি মূলত ১৭-শতকের সামুদ্রিক লোকাঁচারবিদ্যা থেকে। প্রাচীন নথিপত্রে এই জাহাজটিকে ১৮-শতকের শেষের দিকের জাহাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রচলিত রয়েছে, ১৯ ও বিংশ-শতকের দিকে সমুদ্রের মাঝে জাহাজটিতে ভূতুরে আলো দেখা যেত। ফ্লাইং ডাচম্যান যখন কোন জাহাজকে অতিক্রম করত তখন এর ক্রুরা বহুদূরের প্রেতাত্মা বা অশুভ শক্তিকে বার্তা পাঠাত। সামুদ্রিক কিংবদন্তি অনুসারে, অভিশপ্ত জাহাজটি ঝড়ের কবলে পরে সমুদ্রে হারিয়ে গিয়েছিল।
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সাড়া বিশ্বে নাবিকদের মাঝে এই অভিশপ্ত ও ভৌতিক জাহাজটির কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। অনেক নাবিক মনে করেন, জাহাজটি ও তার ক্রুরা সকলেই অভিশপ্ত এবং ঈশ্বরের অভিশাপের কারণেই তারা কোনদিন নোঙ্গর করতে পারেননি। কাহিনী অনুসারে, ফ্লাইং ডাচম্যান সমুদ্রে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ায় এবং এটি যেমন সমুদ্রে হঠাৎ করেই অবির্ভাব হয় তেমনি হঠাৎ করেই উধাও হয়ে যায়। অনেক নাবিকরা তাদের জীবন বাজি রেখে ফ্লাইং ডাচম্যানকে তাদের জাহাজের পাশ দিয়ে যেতে দেখেছেন বলে বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া এই জাহাজ নিয়ে হলিউডে একাধিক সিনেমা তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ' পাইরেটস্ অব দ্যা ক্যারাবিয়ান' এবং ' প্যান্ডোরা অ্যান্ড দ্যা ফ্লাইং ডাচম্যান ্ '। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
জলদস্যুদের পতাকা-
বিষয়শ্রেণীসমূহ
জলদস্যুদের জীবনী -
হেনরি এভরি বা এভোরি (২৩ আগস্ট ১৬৫৯-১৬৯৬-এর পর) ছিলেন একজন ইংরেজ জলদস্যু যিনি ১৬৯০-এর দশকের মাঝামাঝি আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগরে বিচরন করতেন। তিনি তার জীবদ্দশায় বেশ কয়েকটি নাম ব্যবহার করেছেন তার মধ্যে, হেনরি ব্রিজম্যান এবং তার ক্রু ও অন্যান্যদের কাছে তিনি লং বেন নামে পরিচিত ছিলেন। এছাড়া তার নাম কখনো কখনো ভুলভাবে জন এভরি হিসেবেও উচ্চারিত হয়। সমকালীন ব্যক্তিরা তাকে আর্ক পাইরেট ও দ্য কিং অফ পাইরেটস বলতেন। এভরি ছিলেন তার সময়কার সবচেয়ে কুখ্যাত জলদস্যু এবং সেসময়কার সল্প সংখ্যক জলদস্যুদের মধ্যে একজন যারা কোন প্রকার গ্রেফতার বা যুদ্ধে মৃত্যু এড়িয়ে জলদস্যু পেশা থেকে অবসর গ্রহণ করেন। যদিও এভরির জলদস্যুবৃত্তি দুই বছর স্থায়ী ছিল কিন্তু তিনি এই সময়ের মধ্যে এমন কিছু কাজ করেছেন যার জন্য অনেকেই জলদস্যু পেশায় আসতে উৎসাহিত হয়েছেন এবং তার বিচিত্র জীবন নিয়ে অসংখ্য সাহিত্য সৃষ্ঠি হয়েছে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
দস্যুদের জাহাজ -
এমভি ইয়র্ক হল তরল গ্যাস পরিবহনকারী একটি ট্যাংকার। ২০১০ সালের শেষের দিকে জাহাজটি সোমালিয়ার জলদস্যুরা দখল করে ও তাদের বিভিন্ন জলদস্যু কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এটিকে মাতৃজাহাজে (সাহায্যকারী জাহাজ) পরিনত করে।
২৩শে অক্টোবর, ২০১০ সালে জাহাজটি কেনিয়ার মমবাসা থেকে সেশেলের মাহিতে যাওয়ার পথে কেনিয়ার উপকূলের ২৫০ মাইল দূর থেকে সোমালিয়ার জলদস্যুরা দখল করে নেয়। সম্ভবত জলদস্যুরা একটি ছোট মাছ ধরার নৌকার সাহায্যে কৌশলে এমভি ইয়র্ককে দখল করে নেয়। এসকল নৌকা সাধারনত সোমালিয়ার উপকূলে অবৈধভাবে মাছ ধরার জন্য ব্যবহৃত হয়। ইয়র্ককে জলদস্যুরা তাদের মাতৃজাহাজ হিসেবে ব্যবহার করছে এই ধারনাটি প্রতিষ্ঠিত হয় মূলত ২০১০ সালের ডিসেম্বরের দিকে এবং এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ঠ তথ্য পাওয়া যায় জানুয়ারি ২০১১ সালে। জলদস্যুরা সেসময় এমভি বেলুগা নমিনেসন নামে একটি জাহাজ ভারত মহাসাগর থেকে নিয়ন্ত্রণে নেয় কিন্তু জাহাজে যথেষ্ট পরিমাণ জ্বালানি ছিল না বলে তারা সেটিকে সেখান থেকে সরাতে পারছিল না। এরপর জলদস্যুরা এমভি ইয়র্কের সাহায্যে আটক করা জাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করে সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যেতে বাধ্য করে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
নির্বাচিত ভুক্তির তালিকা
|
---|
- ... ১৭০৬ থেকে ১৭১৮ সালে নাসাউতে জলদস্যুদের স্বশাসিত প্রজাতন্ত্র ছিল?
- ... পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান-এর নায়ক জ্যাক স্প্যারোর জন্ম হয়েছিলো ভারত মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এক জলদস্যু জাহাজে?
আপনি যা করতে পারেন
- জলদস্যুতা, দস্যূদের জীবনী, জাহাজ ও ঘটনা বিষয়ক নতুন নিবন্ধ তৈরি অথবা অন্য উইকিপ্রকল্প হতে অনুবাদ করতে পারেন।
- বর্তমান নিবন্ধ অথবা জলদস্যুতা বিষয়ক টেমপ্লেট হতে লাল লিঙ্ক থাকা বিষয় নিয়ে নতুন নিবন্ধ রচনা করতে পারেন।
- বিদ্যমান নিবন্ধসমূহ তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ, সম্প্রসারণ, রচনাশৈলীর উন্নয়ন ও তথ্যছক না থাকলে যুক্ত করতে পারেন।
- নিবন্ধগুলিতে উইকিমিডিয়া কমন্স হতে দরকারী ও প্রাসঙ্গিক মুক্ত চিত্র যুক্ত করতে পারেন।
- জলদস্যুতা সংক্রান্ত নিবন্ধসমূহে বিষয়শ্রেণী না থাকলে যুক্ত করতে পারেন।
- নিবন্ধসমূহে তথ্যসূত্রের ঘাটতি থাকলে, পর্যাপ্ত সূত্র যোগ করতে পারেন।
- জলদস্যুতা সম্পর্কিত নিবন্ধসমূহের শেষে
{{প্রবেশদ্বার দণ্ড|জলদস্যুতা}}
যুক্ত করতে পারেন।
সম্পর্কিত প্রবেশদ্বার
বিষয়
উইকিমিডিয়া
প্রবেশদ্বার