এমভি ইয়র্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এমভি ইয়র্ক
ইতিহাস
নাম: এমভি ইয়র্ক
স্বত্তাধিকারী: গ্রিস ইয়র্ক মেরিটাইম কর্পোরেশন, গ্রিস
পরিচালক: জার্মানি বের্নহার্ড স্কালটি শিপ মেনেজমেন্ট, জার্মানি[১]
নিবন্ধনকৃত বন্দর: সিঙ্গাপুর সিঙ্গাপুর
নির্মাতা: হিগাকি শিপ বিল্ডিং
অভিষেক: ২০০০
শনাক্তকরণ:
অবস্থা: অক্টোবর ২০১০ সালে সোমালিয়ার জলদস্যুরা দখল করে ও জানুয়ারি, ২০১১ সাল থেকে তাদের মাতৃজাহাজ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে।[৩][৪]
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
টনিজ: প্রায় ৫০৭৬ টন
দৈর্ঘ্য: ১০১ মি (৩৩১ ফু)
প্রস্থ: ২০ মি (৬৬ ফু)
ড্রাফট: ৫.৮ মি (১৯ ফু)[২]
নাবিক: ১৭ (অক্টোবর, ২০১০)[৩]

এমভি ইয়র্ক হল তরল গ্যাস পরিবহনকারী একটি ট্যাংকার। ২০১০ সালের শেষের দিকে জাহাজটি সোমালিয়ার জলদস্যুরা দখল করে ও তাদের বিভিন্ন জলদস্যু কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এটিকে মাতৃজাহাজে (সাহায্যকারী জাহাজ) পরিনত করে।

২৩শে অক্টোবর, ২০১০ সালে জাহাজটি কেনিয়ার মমবাসা থেকে সেশেলের মাহিতে যাওয়ার পথে কেনিয়ার উপকূলের ২৫০ মাইল দূর থেকে সোমালিয়ার জলদস্যুরা দখল করে নেয়।[৩] সম্ভবত জলদস্যুরা একটি ছোট মাছ ধরার নৌকার সাহায্যে কৌশলে এমভি ইয়র্ককে দখল করে নেয়। এসকল নৌকা সাধারনত সোমালিয়ার উপকূলে অবৈধভাবে মাছ ধরার জন্য ব্যবহৃত হয়।[১] ইয়র্ককে জলদস্যুরা তাদের মাতৃজাহাজ হিসেবে ব্যবহার করছে এই ধারনাটি প্রতিষ্ঠিত হয় মূলত ২০১০ সালের ডিসেম্বরের দিকে[৫] এবং এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ঠ তথ্য পাওয়া যায় জানুয়ারি ২০১১ সালে। জলদস্যুরা সেসময় এমভি বেলুগা নমিনেসন নামে একটি জাহাজ ভারত মহাসাগর থেকে নিয়ন্ত্রণে নেয় কিন্তু জাহাজে যথেষ্ট পরিমাণ জ্বালানি ছিল না বলে তারা সেটিকে সেখান থেকে সরাতে পারছিল না। এরপর জলদস্যুরা এমভি ইয়র্কের সাহায্যে আটক করা জাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করে সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যেতে বাধ্য করে।[৪]

এমভি ইয়র্ক জলদস্যুদের বহরে যুক্ত হওয়ার পর অনেক বিশ্লেষকরা মনে করেন, তাদের সক্ষমতা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ পূর্বে তারা ছোট ছোট নৌকার সাহায্যে কোন জাহাজকে আক্রমণ করত[৬] ও তা দখল করে নিত কিন্তু ইয়র্কের মত আধুনিক জাহাজ দখল করার পর তাদের সক্ষমতা বেড়ে গিয়েছে বহুগুন।[৭] এরকম বণিক জাহাজ তাদের মাতৃ জাহাজ হিসেবে ব্যবহারের ফলে তাদের গতি ও আরো অনেক সকার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এছাড়া নেভিগেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা বর্তমানে সমুদ্রের আবহাওয়ার গতি প্রকৃতিও নির্ণয় করতে পারছে।[৬][৭] এ জাহাজ ব্যবহার করে তারা এমভি ইয়র্কের সমপরিমান জাহাজকে ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ আক্রমণ করতে পারছে সহজেই। এছাড়া জলদস্যু প্রতিরোধকারী দলের সদস্যরাও আর আগের মত জলদস্যু নিমূর্লে আক্রমণ করতে পারছে না কারণ এরকম বড় জাহাজে জিম্মী অনেক বন্দি থাকার সম্ভবনা রয়েছে।[৭]

২০১০ এর শেষের দিকে এমভি ইয়র্কের সাথে সাথে আরো চারটি বাণিজ্য জাহাজ জলদস্যুরা তাদের মাতৃজাহাজ হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছে যার সবগুলোই দখল করা। জাহাজগুলো হল, রাসায়নিক পণ্য পরিবাহী ট্যাংকার এমভি হানিবল ২, ট্যাংকার এমভি পোলার, রাসায়নিক পণ্য পরিবাহী ট্যাংকার এমটি মটিভেটরএমভি ইজুমি[৬][৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Medeshi News (১৬ জানুয়ারি ২০১১)। "Hostage Cases Under Observation."। Medeshi News। ৩১ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১১ (Archived by WebCite® at )
  2. Marinetraffic। "York"। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১১ 
  3. "Pirates seize 2 ships off Kenya"Associated Press। ২৪ অক্টোবর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১১ 
  4. Der Spiegel (২৯ জানুয়ারি ২০১১)। "Tödliches Feuergefecht um gekaperte "Beluga Nomination" (German ভাষায়)। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১১ (Archived by WebCite® at )
  5. "MV York Likely Conducting Mothership Operations In The Indian Ocean."। Oceanus। ২৪ ডিসেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১১ 
  6. Idarat Maritime (৩০ ডিসেম্বর ২০১০)। "Large Pirate Support Vessels - "LPSVs""। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১১ (Archived by WebCite® at )
  7. Richards, Michael (১৪ জানুয়ারি ২০১১)। "Smarter Somali pirates thwarting navies, NATO admits"AFP। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১১ (Archived by WebCite® at )