চিত্রাঙ্কন (স্পষ্টতর অর্থে রংচিত্র অঙ্কন) বলতে কোনও সমতল পৃষ্ঠের উপর সাধারণত তুলি বা আঙুলের মাধ্যমে এক বা একাধিক রঙ (বিশেষ পদার্থে মিশ্রিত রঞ্জক পদার্থ) লেপন করে কোনও চিত্র অঙ্কন করাকে বোঝায়। চিত্রাঙ্কন প্রক্রিয়ার শেষে যে শিল্পকর্ম সৃষ্টি হয়, তাকে চিত্রকর্ম বলে। একজন শিল্পী যিনি পেশাগত কাজ অথবা শখের বশে চিত্রাঙ্কনের কাজ করেন তাকে চিত্রকর বা চিত্রশিল্পী বলা হয়। রংচিত্র অঙ্কন একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যকলা, যা অঙ্কন, অঙ্গভঙ্গি (অঙ্গভঙ্গি চিত্রকর্ম হিসেবে) কিংবা যে কোনো রচনা বিমূর্ত করে তোলে। চিত্রকর্ম হতে পারে স্বতঃস্ফূর্ত এবং প্রতিনিধিত্বমূলক (যেমনটি পাওয়া যায় স্থিরচিত্রে(Still Life) কিংবা প্রাকৃতিক চিত্রকর্মে, বিমূর্ত, বর্ণনামূলক, প্রতীকী কিংবা আবেগপুর্ণ। প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য উভয়ের চিত্রাঙ্কনের ইতিহাসের একটি অংশ ধর্মীয় চিত্রকলা দ্বারা প্রভাবিত। এই ধরনের চিত্রকর্মের নিদর্শন পাওয়া যায় মৃৎশিল্পের ওপর আঁকা পৌরাণিক চরিত্রের, বাইবেলে উল্লেখিত চরিত্রের, বুদ্ধের জীবন নিয়ে আঁকা দৃশ্যপটে কিংবা অন্যান্য ধর্মীয় চিত্রক্রমে যা পূর্বাঞ্চলের দেশগুলো থেকে জন্ম নিয়েছে।
থিওডোর রুজভেল্টকে নিয়ে রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্রের দৃশ্যকার্টুন বা ব্যঙ্গচিত্র (ইংরেজি: Cartoon) একধরনের দ্বি-মাত্রিক চিত্রকলা যা কাগজে অঙ্কন করার মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়। বিভিন্ন ও বিচিত্রমূখী পন্থায় ব্যঙ্গচিত্র শব্দটি ব্যবহৃত হতে পারে। সংবাদপত্র অথবা সাময়িকীতে স্বল্পবাক্যে অথবা বাক্যবিহীন অবস্থায় ব্যঙ্গচিত্র দর্শক-পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে। অঙ্কিত চিত্রের পাশাপাশি শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে তামাশা, উপহাস কিংবা সরস উক্তি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও, অনেকগুলো কার্টুনকে একত্রিত করার মাধ্যমে অ্যানিমেশনচলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
শেখ মোহাম্মদ সুলতান, (১০ আগস্ট ১৯২৩ - ১০ অক্টোবর ১৯৯৪) যিনি এস এম সুলতান নামে সমধিক পরিচিত, ছিলেন একজন বাংলাদেশি প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী। তার জীবনের মূল সুর-ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন, কৃষক এবং কৃষিকাজের মধ্যে। আবহমান বাংলার সেই ইতিহাস-ঐতিহ্য, দ্রোহ-প্রতিবাদ, বিপ্লব-সংগ্রাম এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকার ইতিহাস তার শিল্পকর্মকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে। তার ছবিতে গ্রামীণ জীবনের পরিপূর্ণতা, প্রাণপ্রাচুর্যের পাশাপাশি শ্রেণির দ্বন্দ্ব এবং গ্রামীণ অর্থনীতির হালও অনেকটা ফুটে উঠেছে। তার ছবিগুলোতে বিশ্বসভ্যতার কেন্দ্র হিসেবে গ্রামের মহিমা উঠে এসেছে এবং কৃষককে এই কেন্দ্রের রূপকার হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তিনি ছিলেন একজন সুরসাধক এবং বাঁশিও বাজাতেন। ১৯৮২ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ম্যান অব এশিয়া পুরস্কার লাভ করেন। একই বছর তিনি একুশে পদক পান। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
Image 11হিলমাএফ ক্লিন্ট, সভেনেন ( দ্য সোয়ান ), নং ১৭, গ্রুপ আইএক্স, সিরিজ এস ইউ ডাব্লিউ, অক্টোবর ১৯১৪-মার্চ ১৯১৫. এই বিমূর্ত কাজটি কখনো ক্লিন্টের জীবদ্দশায় প্রদর্শিত হয় নি। (বিমূর্ত শিল্প থেকে)