বিষয়বস্তুতে চলুন

নিয়ামুর রশিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নিয়ামুর রশিদ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
মোহাম্মদ নিয়ামুর রশিদ
জন্ম (1975-01-01) ১ জানুয়ারি ১৯৭৫ (বয়স ৪৯)
পাবনা, রাজশাহী, বাংলাদেশ
ডাকনামরাহুল
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
ওডিআই অভিষেক২৫ মার্চ ১৯৯৯ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ ওডিআই৩১ মে ১৯৯৯ বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০০-০১ঢাকা মেট্রোপলিশ
২০০১/০২-২০০৫/০৬ঢাকা বিভাগ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৩৭ ৪০
রানের সংখ্যা ১০৬৪ ৬৫২
ব্যাটিং গড় ৫.০০ ২২.১৬ ২২.৪৮
১০০/৫০ -/- ০/৭ ০/২
সর্বোচ্চ রান ৪* ৭২ ৯৫*
বল করেছে ৭৮ ৩৪৮৩ ১২৯০
উইকেট ৬৪ ৩১
বোলিং গড় ৬৬.০০ ২৪.৭০ ৩১.৭০
ইনিংসে ৫ উইকেট - - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - - -
সেরা বোলিং ১/৪৬ ৪/৫৯ ৩/১৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/- ২৪/- ১২/–
উৎস: cricinfo, ২৬ মে ২০১৫

মোহাম্মদ নিয়ামুর রশিদ (জন্ম: ১ জানুয়ারি, ১৯৭৫) পাবনায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার[] নব্বুইয়ের দশকের শেষার্ধ্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্য থাকা অবস্থায় একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ বোলার ছিলেন। ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম অংশগ্রহণের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। ‘রাহুল’ ডাকনামে পরিচিত নিয়ামুর রশিদ ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচের সারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[] ঘরোয়া ক্রিকেটে ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোপলিশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

ছয় ফুট উচ্চতার দীর্ঘদেহী নিয়ামুরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে অংশগ্রহণ তেমন সমৃদ্ধ নয়। কেবলমাত্র ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ দলের পক্ষে দুইটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। ২৫ মার্চ, ১৯৯৯ তারিখে মেরিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ৬ষ্ঠ খেলায় সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকায় অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিকে তার ওডিআই অভিষেক ঘটে।[] কিন্তু তার অভিষেক পর্বটি সুখকর হয়নি। খেলায় তিনি মাত্র ৪* রানে অপরাজিত ছিলেন ও অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারকে কট এন্ড বোল্ড করে নিজের একমাত্র উইকেট দখল করেন। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের দিবা-রাত্রির ঐ খেলায় জিম্বাবুয়ে দল ৩ বল বাকী থাকতে স্বাগতিক দলকে ৩ উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত করে।[]

ক্রিকেট বিশ্বকাপ

[সম্পাদনা]

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকায় আমিনুল ইসলামকে অধিনায়কের দায়িত্ব প্রদান করে দল ঘোষণা করা হয়। কোচ গর্ডন গ্রীনিজের পরিচালনায় ঐ দলে তিনিও অন্যতম সদস্য ছিলেন।[] ৩১ মে, ১৯৯৯ তারিখে নর্দাম্পটনে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপের ২৯তম খেলায় শক্তিশালী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়া স্মরণীয় খেলায়ও তার অংশগ্রহণ ছিল। খেলায় তিনি আহামরী কোন কিছু করতে পারেননি। টসে পরাজিত হওয়া বাংলাদেশ দলের ইনিংসের শেষদিকে মাঠে নেমে তিনি মাত্র ২ বল খেলে ১ রান করে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আকরামের বলে এলবিডব্লিউর শিকারে পরিণত হন। ফলে বাংলাদেশ মাত্র ২২৩ রানে গুটিয়ে যায়। পরবর্তীতে বল হাতে ৫ ওভারে ১ মেইডেন দিয়ে ২০ রান দিয়ে কোন উইকেট লাভে ব্যর্থ হন। কিন্তু খালেদ মাহমুদ, শফিউদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ রফিক, মিনহাজুল আবেদীননাইমুর রহমানের অপূর্ব বোলিং নৈপুণ্যে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে স্মরণীয় জয় পায় তৎকালীন টেস্ট ক্রিকেট বহির্ভূত বাংলাদেশ দল।[]

এছাড়াও তিনি রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Niamur Rashid's Cricinfo Profile"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ 2015-5-26  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "Niamur Rashid's cricketarchive Profile"cricketarchive। সংগ্রহের তারিখ 2015-5-27  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  3. "Meril International Tournament 1998-99, sixth match, Bangladesh v Zimbabwe"WISDEN। সংগ্রহের তারিখ 2015-5-27  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য) উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "von" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  4. "World Cup 1999, fifteenth group B match, Bangladesh v Pakistan"wisden। সংগ্রহের তারিখ 2015-5-27  line feed character in |শিরোনাম= at position 42 (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]