অলকা
হিন্দু পুরাণ |
---|
ধারাবাহিকের অংশ |
![]() |
উৎস |
বিশ্বতত্ত্ব |
দেবদেবী |
মহাকাব্যের ব্যক্তিত্ব |
প্রবেশদ্বার:হিন্দুধর্ম |

অলকা (সংস্কৃত: अलका) বা অলকাপুরী বা অলকাবতী হল হিন্দু পুরাণে বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি শহর। এটি যক্ষ এবং সম্পদের দেবতা কুবেরের বাড়ি।[১] মহাভারতে শহরটিকে যক্ষ রাজ্যের রাজধানী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটিকে তার স্থাপত্যশৈলী, ঐশ্বর্য এবং সামগ্রিক জৌলুসের ক্ষেত্রে দেবতাদের রাজা ইন্দ্রের রাজধানী অমরাবতীর প্রতিদ্বন্দ্বী বলা হয়। এটি কালিদাসের সংস্কৃত গীতিকাব্য মেঘদূতেও উদ্ধৃত করা হয়েছে।
বিবরণ
[সম্পাদনা]কুবের সৎ ভাই রাবণের কাছে তার লঙ্কা রাজ্য হারানোর পর, তিনি কৈলাসের নিকটে নতুন রাজধানী খুঁজে পান, যক্ষ জাতিতে তার শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।[২]
অলকাকে কখনও কখনও কুবেরের শাসনাধীন বিশ্বের সবচেয়ে জৌলুসপূর্ণ শহর হিসাবে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, শহরের যক্ষরা বর্শা ও তলোয়ার নিয়ে এটিকে পাহারা দেয়।[৩]
ভাগবত পুরাণে বর্ণনা করা হয়েছে, ধ্রুব একবার এই শহর আক্রমণ করেছিলেন, যক্ষের হাতে তার ভাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে হাজার হাজার যক্ষকে হত্যা করেছিলেন। যখন তার পিতামহ মনু হস্তক্ষেপ করেন এবং তাকে তার রক্তপাত বন্ধ করতে রাজি করায় তখন তিনি থামেন।[৪]
মহাভারতে, পাণ্ডবগণ এই রাজ্যে এসেছিলেন এবং যক্ষরাজ কুবেরের সাথে দেখা করেছিলেন।
ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ কৈলাস ভ্রমণে পরশুরামের যাত্রাপথে অলকা পর্যবেক্ষণের বর্ণনা দেয়। পাঠ্যটিতে শহরটিকে অতীব বিশাল বলে বর্ণনা করা হয়েছে কারণ এটি অট্টালিকা ও প্রাসাদে ভরা ছিল, যেগুলি বিভিন্ন ধরণের রত্ন দ্বারা সংযুক্ত ছিল। সেই ভবনসমূহের শোভায় নগরীটি পরম সুশোভিত ছিল। সেখানে বিচিত্র প্রকার ভূষণধারী এবং বিবিধ রূপধারী যক্ষ বিরাজমান ছিল। সেই নগরীতে বহু প্রকার বৃক্ষে পূর্ণ অনেক বন ও উপবন ছিল। সেই নগরী অনেক বিশাল বাপি (জলাশয়) এবং হ্রদ দ্বারা পরম সুশোভিত ছিল। সেই পুরীর বাইরে চারিদিকে সীতা এবং অলকানন্দা নদী দ্বারা সমাবৃত ছিল। সেখানে দেবাঙ্গনাগণ স্নান করছিল এবং তাদের অঙ্গের কুঙ্কুম নদীর জলে প্রবাহিত হচ্ছিল। তৃষ্ণাবিরহিত হাতি আনন্দে সেই নদীর জল পান করছিল। যেখানে-সেখানে গন্ধর্ব ও অপ্সরাদের দ্বারা সৃষ্ট পরম মধুর সঙ্গীতধ্বনি শোনা যাচ্ছিল।[৫]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ (Kramrisch, Stella). 1994. The Presence of Siva, p.137
- ↑ Satyamayananda, Swami (২০১৯)। Ancient Sages (ইংরেজি ভাষায়)। Advaita Ashrama (A publication branch of Ramakrishna Math, Belur Math)। পৃষ্ঠা 190। আইএসবিএন 978-81-7505-923-8।
- ↑ Bane, Theresa (২০১৬-০৩-১০)। Encyclopedia of Spirits and Ghosts in World Mythology (ইংরেজি ভাষায়)। McFarland। পৃষ্ঠা 125। আইএসবিএন 978-1-4766-6355-5।
- ↑ Swami, Bodhasarananda (২০১৬-০৩-০২)। Stories from the Bhagavatam (ইংরেজি ভাষায়)। Advaita Ashrama। পৃষ্ঠা 39। আইএসবিএন 978-81-7505-814-9।
- ↑ www.wisdomlib.org (২০১৯-০৬-২১)। "The narrative of Bhārgava Paraśurāma (e) [Chapter 41]"। www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৬।