বিষয়বস্তুতে চলুন

অময় খুরাসিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অময় খুরাসিয়া
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
অময় রামসেবক খুরাসিয়া
জন্ম (1972-05-18) ১৮ মে ১৯৭২ (বয়স ৫২)
জব্বলপুর, মধ্যপ্রদেশ, ভারত
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি স্লো
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১২১)
৩০ মার্চ ১৯৯৯ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ ওডিআই১৫ নভেম্বর ২০০১ বনাম শ্রীলঙ্কা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮৯–২০০৬মধ্যপ্রদেশ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১২ ১১৯ ১১২
রানের সংখ্যা ১৪৯ ৭,৩০৪ ৩,৭৬৮
ব্যাটিং গড় ১৪.৫৪ ৪০.৮০ ৩৮.০৬
১০০/৫০ ০/১ ২১/৩১ ৪/২৬
সর্বোচ্চ রান ৫৭ ২৩৮ ১৫৭
বল করেছে
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/– ৯০/– ৪৪/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৬ জানুয়ারি ২০২১

অময় রামসেবক খুরাসিয়া (উচ্চারণ; হিন্দি: अमय खुरासिया; জন্ম: ১৮ মে, ১৯৭২) মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[][][] ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর শেষদিক থেকে শুরু করে ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্ন পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মধ্যপ্রদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে স্লো বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন অময় খুরাসিয়া

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৮৯-৯০ মৌসুম থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অময় খুরাসিয়ার প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। তন্মধ্যে, ১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ২০০৫-০৬ মৌসুম পর্যন্ত একাধারে সতেরো মৌসুম খেলেন। ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে নিয়মিতভাবে রান পেয়েছেন।

নব্বুইয়ের দশকে মধ্যপ্রদেশের রঞ্জী ট্রফি দলের অন্যতম চালিকাশক্তি ছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৫৭০০-এর অধিক রান সংগ্রহ করেছেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেন ২৩৮ রান। তিন মৌসুমে পাঁচ শতাধিক রান পেয়েছেন। ১৯৯০-৯১ মৌসুমে ১১ ইনিংসে ৫৮৪, পরের মৌসুমে ১০ ইনিংসে ৫৪৮ এবং ২০০০-০১ মৌসুমে ৭১১ রান তুলে সংবাদ শিরোনামে চলে আসেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে বারোটি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন অময় খুরাসিয়া। সবমিলিয়ে ১২টি ওডিআইয়ে অংশ নিলেও ১৯৯৯ সালেই খেলেছেন ১০টিতে। ৩০ মার্চ, ১৯৯৯ তারিখে পুনেতে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ২৮ জুলাই, ২০০১ তারিখে কলম্বোয় একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি। তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।

মার্চ, ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান দলের সমন্বয়ে পেপসি কাপ ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। পুনেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক ঘটে তার। দ্রুতলয়ে অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। ৪৫ বলে মনোজ্ঞ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাকে বেশ হিমশিম খেতে দেখা যায়।

১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যে তাকে ভারত দলে যুক্ত করা হয়। তবে, ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ঐ বিশ্বকাপে তাকে কোন খেলায় রাখা হয়নি। শ্রীলঙ্কায় আইয়োয়া কাপে তিনটি ও সিঙ্গাপুরে কোকা-কোলা চ্যালেঞ্জার প্রতিযোগিতায় দুই খেলায় অংশ নিয়ে মাত্র ৬৬ রান যুক্ত করতে সক্ষম হন। ২০০১ সালের মাঝামাঝি সময়ে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় কোকা-কোলা কাপ প্রতিযোগিতা শুরু হবার পূর্ব-মুহূর্তে শচীন তেন্ডুলকরের পায়ের আঘাতের কারণে তাকে খেলোয়াড়ী জীবনের পুণরুজ্জীবন ঘটানোর সুযোগ দেয়া হয়। সংরক্ষিত উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকে ভারত দলে রাখা হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আরও দুইটি ওডিআইয়ে অংশ নেন। তবে, তেমন সফলতা পাননি। তবে, চাপের মুখে থেকে তাকে খুব কমই বড় ধরনের সংগ্রহ করতে দেখা যায়। ফলশ্রুতিতে, আরও মনোযোগ দেয়ার লক্ষ্যে তাকে মাঝারিসারিতেও খেলানো হয়। এরপর আর তাকে ভারত দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

মধ্যপ্রদেশ দল থেকে বাদ পড়লে ২২ এপ্রিল, ২০০৭ তারিখে অময় খুরাসিয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। এরপর থেকে টেলিভিশনে ধারাভাষ্যকর্মের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। পরবর্তীতে তিনি কোচিং জগতে প্রবেশের মাধ্যমে নিজের ভূমিকা গ্রহণের কথা জানান। মধ্যপ্রদেশের তৃতীয় স্তরের কোচ হিসেবে প্রশিক্ষণ লাভ করেন।

ভারত দলের পক্ষে অভিষেকের পূর্বে আইএএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি ভারতীয় কাস্টমস ও সেন্ট্রাল এক্সাইজ ডিপার্টমেন্টের পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Players / India / ODI caps"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২১ 
  2. "ODI Career Batting Averages"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২১ 
  3. "ODI Career Bowling Averages"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২১ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]