প্রবেশদ্বার:কাজী নজরুল ইসলাম
ভূমিকা
কাজী নজরুল ইসলাম জনপ্রিয় বাঙালি কবি। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক, দেশপ্রেমী এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তাঁর কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাঁকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ। তার সব সাহিত্যকর্মে সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা ছিল সুস্পষ্ট। তার সাহিত্যকর্মে প্রাধান্য পেয়েছে ভালোবাসা, মুক্তি এবং বিদ্রোহ। ধর্মীয় লিঙ্গভেদের বিরুদ্ধেও তিনি নানান প্রবন্ধ লিখেছেন। ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটক লিখলেও তিনি মূলত কবি হিসেবেই বেশি পরিচিত। বাংলা কাব্যে তিনি এক নতুন ধারার জন্ম দেন। আর সেতি হল ইসলামী সঙ্গীত তথা গজল। এর পাশাপাশি তিনি অনেক উৎকৃষ্ট শ্যামাসংগীত ও হিন্দু ভক্তিগীতিও রচনা করেন। নজরুল প্রায় ৩০০০ গান রচনা এবং অধিকাংশে সুরারোপ করেছেন যেগুলো এখন নজরুল সঙ্গীত বা "নজরুল গীতি" নামে পরিচিত এবং বিশেষ জনপ্রিয়। মধ্যবয়সে তিনি পিক্স ডিজিজে আক্রান্ত হন। এর ফলে আমৃত্যু তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। একই সাথে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ১৯৭২ সালে তিনি সপরিবারে ঢাকা আসেন। এসময় তাকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয়। এখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নির্বাচিত কবিতা
বিদ্রোহী বাংলা ভাষার বিখ্যাত কবিতাসমূহের একটি। এটি কাজী নজরুল ইসলাম বিরচিত। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে, বিজলী পত্রিকায়।
বিদ্রোহী কবিতা
বল বীর-
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারী' আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর!
বল বীর-
বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি'
চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারা ছাড়ি'
ভূলোক দ্যূলোক গোলোক ভেদিয়া
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!
নির্বাচিত গান
চল্ চল্ চল্ বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কর্তৃক রচিত এবং সুরারোপিত সন্ধ্যা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত একটি গান। এটি বাংলাদেশের রণ-সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
গানের কথা
চল্ চল্ চল্ ঊর্দ্ধ গগনে বাজে মাদল, নিম্নে উতলা ধরণী তল অরুণ প্রাতের তরুণ দল চল্ রে চল্ রে চল্ চল্ চল্ চল্ ।।
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত আমরা আনিব রাঙা প্রভাত, আমরা টুটিব তিমির রাত বাঁধার বিন্ধ্যা চল।।
স্বীকৃত নিবন্ধ
নির্বাচিত জীবনী
ফিরোজা বেগম বাংলাদেশী নজরুলগীতির শিল্পী যিনি নজরুল সঙ্গীতের জন্য ভারত উপমহাদেশ বিখ্যাত। উপমহাদেশীয় সঙ্গীত অঙ্গনে নজরুল সঙ্গীতের জন্য তিনি বেশ সমাদৃত। ফিরোজা বেগমের জন্ম এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে। তাঁর তিন সন্তান - তাহসিন, হামীন ও শাফীন। নজরুলের গান নিয়ে প্রকাশিত তাঁর প্রথম রেকর্ড বের হয় ১৯৪৯ সালে।
আপনি জানেন কি...
- ... কাজী নজরুল ইসলাম লেটো গানের দল ত্যাগের বিষাদে তার শিষ্যরা তাকে নিয়ে গান লিখেছিল?
- ... বাঁধন হারা বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস?
- ... ব্রিটিশ গোয়েন্দারা বিদ্রোহী কবিতা নিষিদ্ধ করার বিষয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন?
- ... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ধূমকেতু (চিত্রে) পত্রিকার জন্য অভিনন্দন বার্তা দিয়েছিলেন, যা প্রতি সংখ্যায় পত্রিকার শিরোনামের নিচে ছাপা হতো?
- ... কাজী নজরুল ইসলামের পদ্মার ঢেউ রে একটি ভাটিয়ালী ঢঙ্গে রচিত বিচ্ছেদধর্মী সঙ্গীত?
- ... রেলগাড়িতে কলকাতায় আসার পথে একটি বিজ্ঞাপনের উল্টা পৃষ্ঠায় কাজী নজরুল ইসলাম বাগিচায় বুলবুলি তুই গজল রচনা করেছিলেন?
- ... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মায়ার খেলা নাটকের সাথে এর বিষয়বস্তুর মিল থাকলেও গল্পের জটিলতা ও নাট্যের তীব্র গতির জন্য আলেয়া একটি স্বতন্ত্র নাটক?
- ... গ্রেস কটেজে প্রথম বাংলা গজলের সৃষ্ঠি হয়?
- ... জয় বাংলা স্লোগানটি জনসম্মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালের ৭ জুনের পূর্বে কখনও ব্যবহার করেন নি?
- ... কাজী নজরুল ইসলাম কুমিল্লায় থাকাকালে শচীন দেববর্মণের সাথে ত্রিপুরা রাজবাড়িতে সঙ্গীতচর্চা করতেন?
- ... গানের মাধ্যমে প্রকাশিত ইচ্ছানুসারে মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের কবর হয়েছে?
- ... কাজী নজরুল ইসলাম লিচুচোর, পদ্মগোখরা সাহিত্যগুলি চুয়াডাঙ্গা জেলার "আটচালা ঘরে" থাকাকালীন রচনা করেছিলেন?