কল্যাণসুন্দর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কল্যাণসুন্দর, ইলোরা গুহা ভাস্কর্য।

কল্যাণসুন্দর (হিন্দি: कल्याणसुन्दर, আক্ষরিক অর্থে "রম্য বিবাহ"), যেটি কল্যাণ সুন্দর নামেও লেখা হয়, এবং কল্যাণসুন্দর-মূর্তি ("রম্য বিবাহের মূর্তি"), বৈবাহিক-মূর্তি (হিন্দি: वैवाहिक-मूर्ति, "বিবাহের মূর্তি") ও পানিগ্রহণ-মূর্তি (হিন্দি: पाणिंग्रहण-मूर्ति, "পাণিগ্রহণ আচার সম্পর্কিত মূর্তি"),[১] হল ভাস্কর্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা, হিন্দু দেবতা শিব এবং পার্বতীর বিবাহের চিত্রণ। মূর্তিতে এই দম্পতিকে হিন্দু বিবাহের একটি রীতিপাণিগ্রহণ ("হস্ত ধারণ") আচার পালন করতে দেখা যায়, যেখানে বিবাহের পাত্র তার পাত্রীর ডান হাত নিজের হাতে নিয়ে তাকে গ্রহণ করে।

মূর্তির কেন্দ্রে চিত্রিত এই দম্পতির সাথে অনেক দেব-দেবী এবং অন্যান্য স্বর্গীয় প্রাণীকে দেখা যায়। অনেক চিত্রণেই দেখা যায় দেবতা বিষ্ণু এবং তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী শিবের কাছে পার্বতীকে দান করছেন। দেবতা ব্রহ্মাকে বিবাহের পুরোহিত হিসাবে দেখানো হয়।

কল্যাণসুন্দর মূর্তিটি উপাসনার জন্য খুব একটা জনপ্রিয় নয়। সাধারণত শুধুমাত্র বার্ষিক মন্দির উৎসবে ঐশ্বরিক বিবাহের উদযাপনের সময় এটি ব্যবহৃত হয়। তবে ভারতজুড়ে গুহা ভাস্কর্যে এবং মন্দিরের দেওয়ালে কল্যাণসুন্দর মূর্তি দেখতে পাওয়া যায়।

কিংবদন্তি[সম্পাদনা]

বিভিন্ন হিন্দু ধর্মগ্রন্থে, কিছু ভিন্নতা সহ, শিব এবং পার্বতীর মিলন কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। সতীর মৃত্যুর পর, শিব সমাজ থেকে দূরে সরে গিয়ে গভীর ধ্যানে নিমগ্ন হন। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অসুর (দানব) রাজা তারকাসুর দেবতা ব্রহ্মার উপাসনা করে তাঁর কাছ থেকে বর পায় যে তাকে কেবল শিবের পুত্রই হত্যা করতে পারবে। কার্যত নিজেকে অমর মনে করে, তারকাসুর মহাবিশ্বের প্রাণীদের ভয় দেখিয়ে শাসন করা শুরু করেছিল এবং দেবতাদের পরাজিত করেছিল। এরপরে, সতীর পুনর্জন্ম হয় এবং তিনি হিমালয়ের দেবতা হিমবত ও তাঁর স্ত্রী অপ্সরা মেনকার কাছে পার্বতী হয়ে জন্মগ্রহণ করেন। শিব যাতে তাঁকে বিয়ে করেন সেইজন্য তিনি কঠোর তপস্যা করেছিলেন। শিবের পুত্রের জন্ম ত্বরান্বিত করতে মরিয়া দেবতারা শিবের ধ্যানে ব্যাঘাত ঘটাতে প্রেমের দেবতা কামদেবকে পাঠিয়েছিলেন। শিব জাগ্রত হলেও শিবের ক্রোধে কামদেব দগ্ধ হন। এরপর অন্যান্য দেবতারা তাঁকে বিবাহের জন্য অনুরোধ করলে, তিনি রাজি হলেও প্রথমে পার্বতীর ভক্তি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। তখন সপ্তর্ষি (সাত ঋষি) পার্বতীর কাছে আসেন এবং তাঁকে বিবাহে নিরুৎসাহিত করার জন্য শিবকে নিয়ে উপহাস করতে থাকেন; কিন্তু পার্বতী অটল ছিলেন। তারপর শিব নিজেই একজন বৃদ্ধ তপস্বীর ছদ্মবেশে পার্বতীর সামনে উপস্থিত হন এবং তাঁর কাছে নিজেরই অপমান করেন। ক্রুদ্ধ পার্বতী সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে শিব তাঁর কাছে নিজের আসল রূপটি প্রকাশ করেন এবং পার্বতীর প্রেম ও ভক্তিতে তুষ্ট হয়ে তাঁকে বিবাহ করার প্রতিশ্রুতি দেন। এই দম্পতির বিবাহ হয় এবং পরবর্তীকালে পার্বতী কার্তিক নামে এক পুত্রের জন্ম দেন। ইনি পরবর্তীকালে তারকাসুরকে হত্যা করেছিলেন।[২]

চিত্র বা প্রতিকৃতির সংগ্রহ[সম্পাদনা]

পাঠগত বর্ণনা[সম্পাদনা]

অমসুমদ্ভেদগম, উত্তর-কামাইকাগম এবং পূর্ব-করণগম- এর মতো আগমিক গ্রন্থগুলিতে কল্যাণসুন্দর মূর্তির চাক্ষুষ ছবি নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে।[৩]

চোল যুগের একটি কল্যাণসুন্দর ব্রোঞ্জ মূর্তি: (বাম থেকে) লক্ষ্মী, পার্বতী, শিব এবং বিষ্ণু

চতুর্ভুজ যুবা শিব এবং সুন্দর দ্বি-ভুজা পার্বতী এই মূর্তিগুলির কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব। মূর্তিতে হিন্দু বিবাহের পাণিগ্রহণ ("হস্ত ধারণ") অনুষ্ঠান সম্পাদিত হয়। যেখানে পাত্র নিজে হাতের মধ্যে পাত্রীর ডান হাতটি নিয়ে তাঁকে গ্রহণ করেন। মূর্তিতে শিব ত্রিভঙ্গ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর একটি পা সোজা ও শক্তভাবে মাটিতে রাখা এবং অন্য পা টি সামান্য বাঁকিয়ে রাখা। মাথায় জটার মুকুট পরিহিত শিব, জটাটি একটি অর্ধচন্দ্র দ্বারা সজ্জিত। শিবের কানের দুল, কোমরবন্ধ এবং গলার মালা হিসাবে সাপ ব্যবহৃত হয়। তাঁর শরীরে বিভিন্ন সোনার অলঙ্কার শোভা পায়। তাঁর পিছনের দিকের হাতে একটি পরশু (কুড়াল) এবং একটি মৃগ (হরিণ) ধরা থাকে। তাঁর সামনের বাম হাতটি বরদা মুদ্রা ("আশীর্বাদ প্রদানের অঙ্গভঙ্গি") তৈরি করে এবং সামনের ডান হাতটি নববধূর হাত গ্রহণ করার জন্য সামনে প্রসারিত হয়। রেশম এবং সোনার সূক্ষ্ম পোশাকে সুশোভিত হয়ে কৃষ্ণ বর্ণের পার্বতী শিবের বাম দিকে দাঁড়িয়ে থাকেন। তিনি শিবের ডান হাতটি ধরে রাখার জন্য নিজের ডান বাহু প্রসারিত করেন এবং সলজ্জ ভাবে নিজের মাথা কিছুটা বাঁকিয়ে রাখেন। তিনি নিজের বাম বাহুতে একটি নীলোৎপল (নীল পদ্ম) ধারণ করেন।[৩]

দেবতা বিষ্ণু এবং তাঁর সহধর্মিণী লক্ষ্মীভুদেবী এই বিবাহ অনুষ্ঠানে পার্বতীর পিতামাতার স্থানে উপস্থাপিত হন। পটভূমিতে শিব ও পার্বতীর মধ্যে চতুর্ভুজ বিষ্ণুকে দেখানো থাকে; তাঁর সামনের একটি হাতে একটি সোনার পাত্র রয়েছে। যা থেকে তিনি দম্পতির হাতের উপর জল ঢেলে দেন। এটি পাত্রের হাতে পাত্রীকে তুলে দেওয়ার প্রতীক। তিনি তাঁর স্বাভাবিক অস্ত্র সুদর্শন চক্র এবং পাঞ্চজন্য (শঙ্খ) নিজের পিছনের বাহুতে ধারণ করেন। রাজকীয় পোশাক পরিহিত বিষ্ণুর দুই স্ত্রী, পার্বতীর পিছনে দাঁড়িয়ে তাঁর কটিদেশ ধরে থাকেন, এটি হস্তান্তরের প্রতীক।[৩]

চতুর্মুখী দেবতা ব্রহ্মা মূর্তির সামনের দিকে মাটিতে উপবিষ্ট অবস্থায় থেকে বিবাহের পৌরোহিত্য সম্পাদন করেন। তিনি কুণ্ডে (অগ্নি-বেদি) হোমে (পবিত্র আগুন) নৈবেদ্য প্রদান করেন। চতুর্ভুজ ভগবান তাঁর সামনের দুই বাহুতে একটি শ্রুকাশ্রুব (আহুতি দেওয়ার হাতা ও চামচ) এবং একটি কমণ্ডলু (জল-পাত্র) ধারণ করেন। তাঁর পিছনের দিকের বাহুতে থাকে অক্ষমালা (জপমালা)।[৩] আগুনের উপস্থিতি হিন্দু বিবাহের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। নববধূ এবং বর সপ্তপদী ("সাত পদক্ষেপ") অনুষ্ঠানে আগুনের চারপাশে সাতবার ঘোরেন।[৪]

শিবের চেহারাটি সবচেয়ে দীর্ঘ করা হয়, তার পরে বিষ্ণু, পার্বতী এবং বিষ্ণুর দুই স্ত্রী।[৩] পশ্চাদ্ভূমিতে বিভিন্ন দেবতা, যেমন দিক-এর আট অভিভাবক, আট বসু, সাত মাতৃকা দেবী, যক্ষগন্ধর্বদের মতো স্বর্গীয় প্রাণী, ঋষি ও সিদ্ধরা হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন।[৩]

বর্ণনা[সম্পাদনা]

একটি সম্পূর্ণ কল্যাণসুন্দর দৃশ্য যেখানে পার্বতীর বাবা-মা তাঁকে বিদায় দিচ্ছেন, বিষ্ণু এবং লক্ষ্মী (একেবারে ডানে) দেখছেন ।

বিবাহের সম্পূর্ণ দৃশ্য সবসময় চিত্রিত করা হয় না। কখনও কখনও, শুধুমাত্র প্রধান অংশগ্রহণকারীদের দেখানো হয়। চোল যুগের বর্ণিত ব্রোঞ্জ মূর্তির বিবাহের দৃশ্যে শুধুমাত্র শিব এবং পার্বতীকে দেখতে পাওয়া যায়। মাদুরাই থেকে পাওয়া দক্ষিণ ভারতীয় ভাস্কর্যে, শুধুমাত্র দম্পতি এবং বিষ্ণুকে দেখা যায়। এই রূপরেখায়, পার্বতীকে কেন্দ্রে চিত্রিত করা হয়েছে, বাম দিকে তাঁর ভাই বিষ্ণু,[৫] ডানদিকে শিবের হাতে পার্বতীর হাত তুলে দিচ্ছেন। এলিফ্যান্টা গুহাগুলির মতো কিছু জায়গায়, দেখানো হয়েছে বিষ্ণুর পরিবর্তে পার্বতীর জৈবিক পিতা হিমাবন তাঁর কন্যাকে শিবের হাতে তুলে দিচ্ছেন।[৬]

গ্রন্থের বর্ণনা থেকে কিছুটা আলাদা করেও এই ঐশ্বরিক দম্পতির চেহারা প্রদর্শিত হতে পারে। পার্বতী পদ্মের পরিবর্তে হাতে একটি দর্পন ধারণ করতে পারেন। শিবকে তাঁর পিছনের হাতে ত্রিশূল এবং ডমরু ধারণ করেও দেখানো হতে পারে। মূর্তির গড়নে আঞ্চলিক বৈচিত্রও দেখা যেতে পারে। বাংলায়, শিবের হাতে একটি কাটারি (ছুরি) থাকতে পারে, এটি একটি আনুষ্ঠানিক অস্ত্র যা বাংলার একজন হিন্দু পাত্র বিয়ের সময় হাতে রাখেন।[৭]

কল্যাণসুন্দরে বিবাহের বিভিন্ন অতিথিদের দেখানো হতে পারে। শিবের অনুচর গণ-রা উৎসব উপভোগ করে; তারা ডমরু বাজায় বা নাচে। দম্পতির দুই বাহন, শিবের ষাঁড় নন্দী এবং পার্বতীর সিংহ, কখনও কখনও দৃশ্যে চিত্রিত হয়। উল্লম্ব প্যানেলের চিত্রে, স্বর্গীয় অতিথিদের প্রায়ই শিব এবং পার্বতীর মাথার ওপর দিয়ে উড়তে দেখা যায়। দেবতাদের তাঁদের নিজ নিজ বাহনের উপর উড়ন্ত অবস্থায় চিত্রিত করা হয় (যেমন ইন্দ্র তাঁর ঐরাবতের (হাতি) ওপর, অগ্নি একটি মেষের উপর) সঙ্গে তাঁদের স্ত্রীদের দেখা যায়; বিদ্যাধরদের মতো অর্ধ-দিব্য প্রাণীরা কোন বাহন ছাড়াই উড়ে বেড়ায়।[৬][৭] কয়েকটি কল্যাণসুন্দর দৃশ্যে পাওয়া একটি অসঙ্গতি হল বিবাহ দৃশ্যে শিব ও পার্বতীর অনাগত সন্তান গণেশকার্তিক উপস্থিতি। ইলোরার রামেশ্বর গুহায় এবং উত্তর প্রদেশের একটি ৯ম শতাব্দীর ভাস্কর্যে এই অসঙ্গতির উদাহরণ পাওয়া যায়। উত্তর প্রদেশের ভাস্কর্যটি বর্তমানে লস এঞ্জেলেস কাউন্টি মিউজিয়াম অফ আর্ট- এ রক্ষিত আছে।[৪][৬]

উপাসনা[সম্পাদনা]

যদিও কল্যাণসুন্দর মূর্তিগুলি সারা ভারতের গুহা, ভাস্কর্য এবং মন্দিরের দেয়ালে পাওয়া যায়, কিন্তু কোনও সম্প্রদায় এগুলির উপাসনা করেনা।[৭] এটি মন্দির গোপুরম (মন্দিরের মিনার)-এর একটি জনপ্রিয় বৈশিষ্ট্য।[৮]

তিরুভেনকাডু এবং চিদাম্বরমের মতো দক্ষিণ ভারতীয় শিব মন্দিরগুলিতে, শিব এবং পার্বতীর ঐশ্বরিক মিলনকে স্মরণ করার জন্য ব্রোঞ্জ কল্যাণসুন্দর মূর্তিগুলি বার্ষিক মন্দির উৎসবে ব্যবহার করা হয়। দেবতাদের বার্ষিক আনুষ্ঠানিক বিবাহের জন্য বিশেষ কক্ষ সংরক্ষিত থাকে। কল্যাণসুন্দর ব্রোঞ্জ শুধুমাত্র এই উৎসবে ব্যবহার করা হয় এবং বছরের বাকি সময় অব্যবহৃত থাকে।[৯]

মীনাক্ষী আম্মান মন্দিরে মহিলারা মনের মতো স্বামী পেতে কল্যাণসুন্দর ভাস্কর্যের পূজা করে।[১০]

হিমাচল প্রদেশের কাংড়ায় বৈজনাথ মন্দিরে কল্যাণসুন্দর চিত্রিত মূর্তি রয়েছে।[১১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Swami Parmeshwaranand p. 66
  2. Stella Kramrisch (জানুয়ারি ১৯৯৪)। The Presence of Siva। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 349–358আইএসবিএন 0-691-01930-4 
  3. Rao pp.338–43
  4. Pal, Pratapaditya (১৯৮৮)। Indian Sculpture। Los Angeles County Museum of Art with University of California Press। পৃষ্ঠা 33। 
  5. Silva, Kapila D.; Taylor, Ken (২০২২-০৭-২৯)। The Routledge Handbook of Cultural Landscape Heritage in The Asia-Pacific (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 380। আইএসবিএন 978-1-000-60457-3। ২০২৩-১০-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-০৬ 
  6. Rao pp.344–52
  7. Swami Parmeshwaranand pp. 67–9
  8. Smith, David (১৯৯৬)। The Dance of Siva: Religion, Art and Poetry in South India। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 203ওসিএলসি 199730334 
  9. Dehejia, Vidya (২০১০-০৬-০১)। Art of the Imperial Cholas। Columbia University Press। পৃষ্ঠা 104। আইএসবিএন 9780231515245। ২০২৩-১১-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-০৬ 
  10. Fuller, Chris (Christopher John) (২০০৩)। The Renewal of the Priesthood: Modernity and Traditionalism in a South Indian temple। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 38। 
  11. "Baijnath temple"। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০২৩ 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

  • রাও, টি.এ. গোপীনাথ (১৯১৬)। এলিমেন্টস অফ আইকনোগ্রাফি। ল প্রিন্টিং হাউস।  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  • এনসাক্লোপিডিয়া অফ শৈবিজম  প্রথম খণ্ড, সরুপ অ্যাণ্ড সন্স, স্বামী পরমেশ্বরানন্দ, সম্পাদক. (২০০৪)

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]