প্রিয়ম্বদা দেবী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫ নং লাইন: ৫ নং লাইন:


==কাব্যচর্চা==
==কাব্যচর্চা==
ছাত্রাবস্থাতেই প্রিয়ম্বদার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় ভারতী পত্রিকায়। তাঁর প্রথম গ্রন্থ "রেণু"-১৯০০ প্রকাশিত হবার সঙ্গে সঙ্গেই সারা পড়ে যায়। <ref name="সাহিত্যসঙ্গী">{{cite book | title=সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী | publisher= সাহিত্য সংসদ, কলকাতা | author= শিশিরকুমার দাশ | year=২০১৯ | pages=১৩২ | আইএসবিএন =978-81-7955-007-9|আইএসবিএন-ত্রুটি-উপেক্ষা-করুন=হ্যাঁ }}</ref> কাব্যরচনায় তিনি রবীন্দ্রনাথের সহযোগিতা লাভ করেছিলেন। তাই তাঁর কবিতায় রবীন্দ্রনাথের ছায়া সর্বত্র বিস্তারিত। যে স্বাতন্ত্র্য ছিল তা হল প্রকাশরীতির বিশিষ্টতা। তাঁর কবিতার প্রথম ও প্রধান লক্ষণ- মিতভাষিতা এবং সংস্কৃতকাব্যরীতির ধারা। তিনি অনেকগুলি উৎকৃষ্ঠ সনেটও রচনা করেছেন। প্রিয়ম্বদা দেবীর কবিতাগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
ছাত্রাবস্থাতেই প্রিয়ম্বদার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় ভারতী পত্রিকায়। তাঁর প্রথম গ্রন্থ "রেণু"-১৯০০ প্রকাশিত হবার সঙ্গে সঙ্গেই সাড়া পড়ে যায়। <ref name="সাহিত্যসঙ্গী">{{cite book | title=সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী | publisher= সাহিত্য সংসদ, কলকাতা | author= শিশিরকুমার দাশ | year=২০১৯ | pages=১৩২ | আইএসবিএন =978-81-7955-007-9|আইএসবিএন-ত্রুটি-উপেক্ষা-করুন=হ্যাঁ }}</ref> কাব্যরচনায় তিনি রবীন্দ্রনাথের সহযোগিতা লাভ করেছিলেন। তাই তাঁর কবিতায় রবীন্দ্রনাথের ছায়া সর্বত্র বিস্তারিত। যে স্বাতন্ত্র্য ছিল তা হল প্রকাশরীতির বিশিষ্টতা। তাঁর কবিতার প্রথম ও প্রধান লক্ষণ- মিতভাষিতা এবং সংস্কৃতকাব্যরীতির ধারা। তিনি অনেকগুলি উৎকৃষ্ঠ সনেটও রচনা করেছেন। প্রিয়ম্বদা দেবীর কবিতাগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
* ''রেণু'' (১৯০১),
* ''রেণু'' (১৯০১),
* ''পত্রলেখা'' (১৯১০),
* ''পত্রলেখা'' (১৯১০),
১৪ নং লাইন: ১৪ নং লাইন:
* ''পঞ্চুলাল''
* ''পঞ্চুলাল''
* ''কথা ও উপকথা''
* ''কথা ও উপকথা''

==সমাজসেবা ও নারীশিক্ষা==
==সমাজসেবা ও নারীশিক্ষা==
প্রিয়ম্বদা দেবী কাব্যচর্চার মাঝে সমাজসেবা ও নারীশিক্ষা বিস্তারের কাজে ব্রতী ছিলেন। নারীশিক্ষা প্রচলনের জন্য তিনি একাধিক মহিলা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত এবং দীর্ঘকাল ভারত-স্ত্রী-মহামণ্ডলের কর্মাধ্যক্ষা ছিলেন। ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি ব্রাহ্মবালিকা শিক্ষালয়ে শিক্ষকতাও করেছেন। <ref name="সংসদ"></ref>
প্রিয়ম্বদা দেবী কাব্যচর্চার মাঝে সমাজসেবা ও নারীশিক্ষা বিস্তারের কাজে ব্রতী ছিলেন। নারীশিক্ষা প্রচলনের জন্য তিনি একাধিক মহিলা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত এবং দীর্ঘকাল ভারত-স্ত্রী-মহামণ্ডলের কর্মাধ্যক্ষা ছিলেন। ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি ব্রাহ্মবালিকা শিক্ষালয়ে শিক্ষকতাও করেছেন। <ref name="সংসদ"></ref>

০৯:৩০, ২ আগস্ট ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

প্রিয়ম্বদা দেবী (১৮৭১ - ১৯৩৪) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙ্গালী কবি। তিনি সনেট রচনার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন

প্রিয়ম্বদা দেবীর জন্ম বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের পাবনা জেলার গুনাইগাছা গ্রামে মাতামহের কর্মক্ষেত্রে। পৈতৃক নিবাস ছিল যশোরে। তার পিতা কৃষ্ণকুমার বাগচি। মাতা প্রসন্নময়ী দেবীও একজন কবি ছিলেন। মায়ের সঙ্গে মাতুলালয়েই তাঁর জীবন কেটেছে।প্রখ্যাত সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি স্যার আশুতোষ চৌধুরী ছিলেন তাঁর মাতুল। প্রিয়ম্বদা ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে বেথুন স্কুল থেকে এন্ট্রান্স এবং বেথুন কলেজ থেকে এফ.এ ও ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে বি.এ পাশ করেন। ওই বছরেই মধ্য প্রদেশের রায়পুরের আইনজীবী তারাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে তাঁর স্বামী মারা যান এবং ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে তাঁর একমাত্র পুত্রও মারা গেলে তিনি সমাজসেবা এবং কাব্যচর্চাকে জীবনের অঙ্গ করেন - হয়ে ওঠেন দুঃখবাদী কবি।[১]

কাব্যচর্চা

ছাত্রাবস্থাতেই প্রিয়ম্বদার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় ভারতী পত্রিকায়। তাঁর প্রথম গ্রন্থ "রেণু"-১৯০০ প্রকাশিত হবার সঙ্গে সঙ্গেই সাড়া পড়ে যায়। [২] কাব্যরচনায় তিনি রবীন্দ্রনাথের সহযোগিতা লাভ করেছিলেন। তাই তাঁর কবিতায় রবীন্দ্রনাথের ছায়া সর্বত্র বিস্তারিত। যে স্বাতন্ত্র্য ছিল তা হল প্রকাশরীতির বিশিষ্টতা। তাঁর কবিতার প্রথম ও প্রধান লক্ষণ- মিতভাষিতা এবং সংস্কৃতকাব্যরীতির ধারা। তিনি অনেকগুলি উৎকৃষ্ঠ সনেটও রচনা করেছেন। প্রিয়ম্বদা দেবীর কবিতাগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-

  • রেণু (১৯০১),
  • পত্রলেখা (১৯১০),
  • অংশু (১৯২৭)
  • চম্পা ও পারুল (১৯৩৯)তাঁর মৃত্যুর পরে প্রকাশিত।

অন্যান্য গ্রন্থ হল -

  • অনাথ
  • পঞ্চুলাল
  • কথা ও উপকথা

সমাজসেবা ও নারীশিক্ষা

প্রিয়ম্বদা দেবী কাব্যচর্চার মাঝে সমাজসেবা ও নারীশিক্ষা বিস্তারের কাজে ব্রতী ছিলেন। নারীশিক্ষা প্রচলনের জন্য তিনি একাধিক মহিলা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত এবং দীর্ঘকাল ভারত-স্ত্রী-মহামণ্ডলের কর্মাধ্যক্ষা ছিলেন। ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি ব্রাহ্মবালিকা শিক্ষালয়ে শিক্ষকতাও করেছেন। [১]

তথ্যসূত্র

  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ৪৩৫, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. শিশিরকুমার দাশ (২০১৯)। সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী। সাহিত্য সংসদ, কলকাতা। পৃষ্ঠা ১৩২। আইএসবিএন 978-81-7955-007-9