সূরা শাম্‌স: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Preetidipto.21 (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
MD. Atik Mosaddik (আলোচনা | অবদান)
তথ্য সংশোধন ।
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২৩ নং লাইন: ২৩ নং লাইন:
}}
}}


সূরা '''আশ-শাম্‌স''' ({{lang-ar|الشمس‎}}) [[মুসলমান|মুসলমানদের]] ধর্মীয় গ্রন্থ [[কুরআন|কুরআনের]] ৯১ তম [[সূরা]], এর আয়াত সংখ্যা ১৫টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১টি। আশ-শাম্‌স সূরাটি [[মক্কা|মক্কায়]] অবতীর্ণ হয়েছে।<ref>তফসীরে নুরুল কোরআন; মাওলানা মোঃ আমিনুল ইসলাম; ৩০ খন্ড</ref> আশ-শাম্‌স শব্দের অর্থ সূর্য।<ref>কুরআনঃ বাংলা তর্জমা; শামসুর রহমান ভূঁইয়া</ref> এখানে একটি পূর্বে সমৃদ্ধ বিলুপ্ত আরব গোষ্ঠী, সামুদ জাতির ভাগ্যের কথা আলোচনা করা হয়েছে। এই সূরার প্রথম দিকে সাতটি বস্তুর শপথ করা হয়েছে। নবী [[সালেহ]] এক আল্লাহর উপাসনা করতে তাদের প্রতি আহবান জানান, এবং তিনি আল্লাহর নাম তাদেরকে আদেশ করেন যে উটনীকে একটি বিশেষ সংরক্ষণ করতে, তারা আদেশ অমান্য করে এবং তার বার্তা প্রত্যাখ্যানে অব্যাহত থাকে, এবং সালেহ অনুসরণকারীদের ​​ছাড়া আল্লাহ তাদের সবাই ধ্বংস করে দেন।
সূরা '''আশ-শাম্‌স''' ({{lang-ar|الشمس‎}}) [[মুসলমান|মুসলমানদের]] ধর্মীয় গ্রন্থ [[কুরআন|কুরআনের]] ৯১ তম [[সূরা]], এর আয়াত সংখ্যা ১৫টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১টি। আশ-শাম্‌স সূরাটি [[মক্কা|মক্কায়]] অবতীর্ণ হয়েছে।<ref>তফসীরে নুরুল কোরআন; মাওলানা মোঃ আমিনুল ইসলাম; ৩০ খন্ড</ref> আশ-শাম্‌স শব্দের অর্থ সূর্য।<ref>কুরআনঃ বাংলা তর্জমা; শামসুর রহমান ভূঁইয়া</ref> এখানে একটি পূর্বে সমৃদ্ধ বিলুপ্ত আরব গোষ্ঠী, সামুদ জাতির ভাগ্যের কথা আলোচনা করা হয়েছে। এই সূরার প্রথম দিকে নয়টি বিষয়ের শপথ করা হয়েছে। নবী [[সালেহ]] এক আল্লাহর উপাসনা করতে তাদের প্রতি আহবান জানান, এবং তিনি আল্লাহর নাম তাদেরকে আদেশ করেন যে উটনীকে একটি বিশেষ সংরক্ষণ করতে, তারা আদেশ অমান্য করে এবং তার বার্তা প্রত্যাখ্যানে অব্যাহত থাকে, এবং সালেহ অনুসরণকারীদের ​​ছাড়া আল্লাহ তাদের সবাই ধ্বংস করে দেন।


== আয়াতসমূহ ==
== আয়াতসমূহ ==

১০:৪৫, ২৩ মে ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আশ-শাম্‌স
الشمس
শ্রেণীমাক্কী সূরা
নামের অর্থসূর্য
পরিসংখ্যান
সূরার ক্রম৯১
আয়াতের সংখ্যা১৫
পারার ক্রম৩০ পারা
রুকুর সংখ্যা
সিজদাহ্‌র সংখ্যানেই
শব্দের সংখ্যা৫৪
অক্ষরের সংখ্যা২৪৭
← পূর্ববর্তী সূরাসূরা বালাদ
পরবর্তী সূরা →সূরা লাইল
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ

সূরা আশ-শাম্‌স (আরবি: الشمس‎) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৯১ তম সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ১৫টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১টি। আশ-শাম্‌স সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।[১] আশ-শাম্‌স শব্দের অর্থ সূর্য।[২] এখানে একটি পূর্বে সমৃদ্ধ বিলুপ্ত আরব গোষ্ঠী, সামুদ জাতির ভাগ্যের কথা আলোচনা করা হয়েছে। এই সূরার প্রথম দিকে নয়টি বিষয়ের শপথ করা হয়েছে। নবী সালেহ এক আল্লাহর উপাসনা করতে তাদের প্রতি আহবান জানান, এবং তিনি আল্লাহর নাম তাদেরকে আদেশ করেন যে উটনীকে একটি বিশেষ সংরক্ষণ করতে, তারা আদেশ অমান্য করে এবং তার বার্তা প্রত্যাখ্যানে অব্যাহত থাকে, এবং সালেহ অনুসরণকারীদের ​​ছাড়া আল্লাহ তাদের সবাই ধ্বংস করে দেন।

আয়াতসমূহ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا

শপথ সূর্যের ও তার কিরণের,

وَالْقَمَرِ إِذَا تَلَاهَا

শপথ চন্দ্রের যখন তা সূর্যের পশ্চাতে আসে,

وَالنَّهَارِ إِذَا جَلَّاهَا

শপথ দিবসের যখন সে সূর্যকে প্রখরভাবে প্রকাশ করে,

وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَاهَا

শপথ রাত্রির যখন সে সূর্যকে আচ্ছাদিত করে,

وَالسَّمَاء وَمَا بَنَاهَا

শপথ আকাশের এবং যিনি তা নির্মাণ করেছেন, তাঁর।

وَالْأَرْضِ وَمَا طَحَاهَا

শপথ পৃথিবীর এবং যিনি তা বিস্তৃত করেছেন, তাঁর,

وَنَفْسٍ وَمَا سَوَّاهَا

শপথ প্রাণের এবং যিনি তা সুবিন্যস্ত করেছেন, তাঁর,

فَأَلْهَمَهَا فُجُورَهَا وَتَقْوَاهَا

অতঃপর তাকে তার অসৎকর্ম ও সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন,

قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا

যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়।

وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا

এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়।

كَذَّبَتْ ثَمُودُ بِطَغْوَاهَا

সামুদ সম্প্রদায় অবাধ্যতা বশতঃ মিথ্যারোপ করেছিল।

إِذِ انبَعَثَ أَشْقَاهَا

যখন তাদের সর্বাধিক হতভাগ্য ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠেছিল।

فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ نَاقَةَ اللَّهِ وَسُقْيَاهَا

অতঃপর আল্লাহর রসূল তাদেরকে বলেছিলেনঃ আল্লাহর উষ্ট্রী ও তাকে পানি পান করানোর ব্যাপারে সতর্ক থাক।

فَكَذَّبُوهُ فَعَقَرُوهَا فَدَمْدَمَ عَلَيْهِمْ رَبُّهُم بِذَنبِهِمْ فَسَوَّاهَا

অতঃপর ওরা তার প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল এবং উষ্ট্রীর পা কর্তন করেছিল। তাদের পাপের কারণে তাদের পালনকর্তা তাদের উপর ধ্বংস নাযিল করে একাকার করে দিলেন।

وَلَا يَخَافُ عُقْبَاهَا

আল্লাহ তা’আলা এই ধ্বংসের কোন বিরূপ পরিণতির আশঙ্কা করেন না।

স্বপ্নের তাবীর

যে ব্যক্তি সূরা আশ শামস পড়তে দেখবে প্রত্যেক বিষয়ে তাকে জ্ঞান-বুদ্ধি এবং তীক্ষ্ণ ধীশক্তি দেয়া হবে।[৩] তাফসীরে নূরুল কোরআনে বর্ণিত হয়েছে যে ব্যক্তি স্বপ্নে এই সূরা পাঠ করতে দেখবে সে সুবিচারক শাসনকর্তার সঙ্গে উঠা বসা করবে।[৪]

তথ্যসূত্র

  1. তফসীরে নুরুল কোরআন; মাওলানা মোঃ আমিনুল ইসলাম; ৩০ খন্ড
  2. কুরআনঃ বাংলা তর্জমা; শামসুর রহমান ভূঁইয়া
  3. ইমাম ইবনে সীরীনের স্বপ্নের তাবীর; অনুবাদ: মাওলানা মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম
  4. তফসীরে নূরুল কোরআন; ৩০ তম খণ্ড।

বহিঃসংযোগ