নামাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
নতুন অনুচ্ছেদ: ইতিহাস |
Idioma-bot (আলোচনা | অবদান) অ r2.7.3) (বট যোগ করছে: min:Sumbayang পরিবর্তন করছে: diq:Nemac, zh:礼拜 (伊斯兰教) |
||
১২৫ নং লাইন: | ১২৫ নং লাইন: | ||
[[da:Salah]] |
[[da:Salah]] |
||
[[de:Salat (Gebet)]] |
[[de:Salat (Gebet)]] |
||
[[diq: |
[[diq:Nemac]] |
||
[[dv:ނަމާދު]] |
[[dv:ނަމާދު]] |
||
[[en:Salah]] |
[[en:Salah]] |
||
১৪৯ নং লাইন: | ১৪৯ নং লাইন: | ||
[[lt:Salat]] |
[[lt:Salat]] |
||
[[lv:Salāhs]] |
[[lv:Salāhs]] |
||
[[min:Sumbayang]] |
|||
[[ml:സലാ]] |
[[ml:സലാ]] |
||
[[ms:Solat]] |
[[ms:Solat]] |
||
১৭৪ নং লাইন: | ১৭৫ নং লাইন: | ||
[[uz:Namoz]] |
[[uz:Namoz]] |
||
[[xmf:ნამაზი]] |
[[xmf:ნამაზი]] |
||
[[zh:礼拜]] |
[[zh:礼拜 (伊斯兰教)]] |
||
[[zh-min-nan:Lé-pài]] |
[[zh-min-nan:Lé-pài]] |
১৫:০৫, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ইসলাম বিষয়ক ধারাবাহিক রচনার একটি অংশ আকীদা |
---|
১ আহমাদিয়া, কুতুববাদ ও ওয়াহাবিবাদ সহ ২ আলাওয়ি, আসাসিন ও দ্রুজ সহ ৩ আলেভি, বাক্তাশি, কিযিবাশ ও কালান্দারিয়া সহ ৪ আযারিকা, আজারদি, হারুবিয়া, নাজদাত এবং সুফ্রিয়া সহ ইসলাম প্রবেশদ্বার |
নামাজ ইসলাম ধর্মের প্রধান উপাসনাকর্ম। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত (নির্দিষ্ট নামাযের নির্দিষ্ট সময়) নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক বা ফরয্। নামায ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। শাহাদাহ্ বা বিশ্বাসের পর নামাযই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।
নামাজ শব্দটি ফার্সি ভাষা থেকে উদ্ভূত (ফার্সি: نماز) এবং বাংলা ভাষায় পরিগৃহীত একটি শব্দ যা আরবী সালাত শব্দের (আরবি: صلاة, কুরআনিক আরবি: صلوة,) প্রতিশব্দ। বাংলা ভাষায় 'সালাত'-এর পরিবর্তে সচরাচর 'নামাজ' শব্দটিই ব্যবহৃত হয়। ফার্সি, উর্দু, হিন্দি, তুর্কী এবং বাংলা ভাষায় একে নামায (ফার্সি ভাষা থেকে উদ্ভূত) বলা হয়। কিন্তু এর মূল আরবি নাম সালাত (একবচন) বা সালাহ্ (বহুবচন)।
প্রত্যহ ৫ ওয়াক্ত ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরণের নামাজ রয়েছে। নামাজ অবশ্যই আরবি ভাষায় নির্দিষ্ট কিছু সূরা ও দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে আদায় করতে হয়। যে উপাসকের যেমন সামর্থ্য আছে সে অনুযায়ীই তাকে আরবি পড়তে হয়। সবকিছু অন্তর থেকে পাঠ বা তিলাওয়াত করতে হয়। যে স্থানে নামাজ আদায় করা হয় তাকে মুসাল্লা (مصلى) বলে।
ইতিহাস
ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা:) ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন এবং অব্যবহিত পরে সূরা মু’মিন-এর ৫৫ নম্বর আয়াত মারফৎ আল্লাহর পক্ষ থেকে সকাল ও সন্ধ্যায় দৈনিক দুই ওয়াক্ত নামাজ ফরজ (আবশ্যিক) হওয়ার নির্দেশনা লাভ করেন। তিনি ৬১৪ খ্রিষ্টাব্দে সকাল, সন্ধ্যা ও দুপুরে দৈনিক তিন ওয়াক্ত নামাজের আদেশ লাভ করেন। ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে রজব তারিখে মিরাজের সময় পাঁচওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। উল্লেখ্য যে, এ সময় জোহর, আসর ও এশা ২ রাকায়াত পড়ার বিধান ছিল। ৬২৩ খ্রিষ্টাব্দে আল্লাহর তরফ থেকে ২ রাকায়াত বিশিষ্ট জোহর, আসর ও এশাকে ৪ রাকায়াতে উন্নীত করার আদেশ দেয়া হয়।[১]
শর্ত
কারো ওপর নামাজ ফরয হওয়ার জন্য শর্তগুলো হলোঃ-
- মুসলমান হওয়া
- বয়স কমপক্ষে ৭ বৎসর হওয়া এবং
- সুস্থ মস্তিস্কের হলে।
নামাজের শর্তাবলী
নিম্নের পাঁচটি কারণ সংঘটিত হলে নামাজ বৈধ হয়।
- নামাজের ওয়াক্ত সম্পর্কে নিশ্চিত হলে। অনিশ্চিত হলে নামাজ হবে না, যদিও তা ঠিক ওয়াক্তে হয়।
- কাবামুখী হয়ে দাঁড়ানো। তবে অসুস্থ এবংঅপারগ ব্যাক্তির জন্য এই শর্ত শিথিলযোগ্য।
- সতর অর্থাৎ আবশ্যকীয় লজ্জা স্থান ঢাকা থাকতে হবে।
- পরিধেয় কাপড়, শরীর ও নামাজের স্থান পরিষ্কার বা পাক-পবিত্র হতে হবে।
- অযু, গোসল বা তায়াম্মুমের মাধ্যমে পবিত্রতা আর্জন করতে হবে।
নামাজের নিয়ম
নামাজ দাঁড়িয়ে পড়তে হয়। নামাজের ধাপ বা অংশকে রাকাত বলা হয়। প্রতি রাকাতের শুরুতে সুরা ফাতিহা ও অপর একটি সুরা পাঠের পর রুকু করতে হয় অর্থাৎ হাঁটুতে হাত রেখে ভর দিয়ে পিঠ আনুভূমিক করে অবনত হতে হয়। রুকু থেকে দাঁড়িয়ে তার পর সিজদা দিতে হয়। তিন বা চার রাকাতের নামাজের দ্বিতীয় রাকাতে সিজদার পর বসে "আত্তাহিয়াতু" দোয়া পড়তে হয়। নামাজের শেষ রাকাতে সিজদার পর বসে "আত্তাহিয়াতু" দোয়ার সাথে "দরূদ শরীফ" পড়তে হয়। নামাজের শেষভাগে দুই দিকে সালাম ফেরাতে হয়। এর পর মুনাজাত বা প্রার্থনা করা যায় কিন্তু তা নামাজের অংশ নয়।
নামাযের ওয়াক্ত ও রাকাত
প্রতিদিন একজন মুসলমানকে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। প্রথম ওয়াক্ত হল "ফজর নামাজ" সুবহে সাদিক হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত এর ব্যপ্তিকাল। এরপর "যোহর ওয়াক্ত" বেলা দ্বিপ্রহর হতে "আছর ওয়াক্ত"-এর আগ পর্যন্ত যার ব্যপ্তি। তৃতীয় ওয়াক্ত "আছর ওয়াক্ত" যা সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত পড়া যায়। চতুর্থ ওয়াক্ত হচ্ছে "মাগরীব" যা সূর্যাস্তের ঠিক পর পরই আরম্ভ হয় এবং এর ব্যপ্তিকাল প্রায় ৩০-৪৫ মিনিট। "মাগরীব ওয়াক্ত" এর প্রায় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পর আরম্ভ হয় "এশা ওয়াক্ত" এবং এর ব্যপ্তি প্রায় "ফজর ওয়াক্ত"-এর আগ পর্যন্ত।
উপরোক্ত ৫ টি ফরজ নামায ছাড়াও এশা'র নামাজের পরে বিতর নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি সুন্নত নামাজ ও মুসলমানরা আদায় করে থাকে।
কোন ওয়াক্ত-এর নামাজ কয় রাকাত তা দেয়া হল :
নাম | সময় | ফরযের পূর্বে সুন্নত | ফরয | ফরযের পর সুন্নত | ||
---|---|---|---|---|---|---|
সুন্নী | শিয়া | সুন্নী | শিয়া | |||
ফযর (فجر) | ঊষা থেকে সূর্যোদয় | ২ রাকাত১ | ২ রাকাত | ২ রাকাত | - | ২ রাকাত |
যোহর (ظهر) | ঠিক দুপুর থেকে আসরের পূর্ব পর্যন্ত | ৪ রাকাত১ | ৪ রাকাত | ৪ রাকাত২ | ২ রাকাত১ | - |
আসর (عصر) | টিকা ৩ দেখুন | ৪ রাকাত | ৪ রাকাত | ৪ রাকাত | - | - |
মাগরিব (مغرب) | সূর্যাস্তের পর থেকে গোধূলি পর্যন্ত | - | ৩ রাকাত | ৩ রাকাত | ২ রাকাত১ | ৩ রাকাত |
এশা (عشاء) | গোধূলি থেকে ঊষা৪ | ৪ রাকাত | ৪ রাকাত | ৪ রাকাত | ২ রাকাত১, ৩ বিতর | ২ রাকাত |
১হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রতিদিন এ নামাযটি পড়তেন।
২শুক্রবারে জুম্মা এটির পরিবর্তে আছে।
এশা নামাজ আদায় করার পর ৩ রাকাত বিতর এর ওয়াজিব নামাজ আদায় করতে হয়।
বিশেষ নামাজ:
- তাহাজ্জুদের নামাজ। এশা'র পর এবং ফজরের আগে এই নামাজ পড়তে হয়।
- তারাবীহ্ এর নামাজ : শুধু মাত্র রমজান মাসে এই নামাজ পড়তে হয়। এশা'র নামাজের ২ রাকাত সুন্নত আদায় করার পরে এবং বিতর নামাজ এর আগে ২০ রাকাত তারাবীহ্ এর নামাজ আদায় করতে হয়।
- জানাযার নামাজ : কোন মুসলমান মারা গেলে, মৃত দেহ কবর দেওয়ার আগে এই নামাজ পড়তে হয়। জানাযার নামাজ ফরযে কেফায়া।
- ঈদের নামাজ। প্রতি ঈদে দুই রাকাত করে নামাজ পড়া ওয়াজিব।