জন শেফার্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জন শেফার্ড
২০০৮ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জন শেফার্ড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজন নীল শেফার্ড
জন্ম (1943-11-09) ৯ নভেম্বর ১৯৪৩ (বয়স ৮০)
বেল্লাপেইন, সেন্ট অ্যান্ড্রু, বার্বাডোস
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৩২)
১২ জুন ১৯৬৯ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৩ এপ্রিল ১৯৭১ বনাম ভারত
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৬৪/৬৫–১৯৭০/৭১বার্বাডোস
১৯৬৬–১৯৮১কেন্ট
১৯৭৫/৭৬রোডেশিয়া
১৯৮২–১৯৮৭গ্লুচেস্টারশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৪২৩ ৩২৬
রানের সংখ্যা ৭৭ ১৩,৩৫৯ ৪,৩৩৭
ব্যাটিং গড় ৯.৬২ ২৬.৩৪ ২১.০৫
১০০/৫০ ০/০ ১০/৭২ ১/১৩
সর্বোচ্চ রান ৩২ ১৭০ ১০১
বল করেছে ১,৪৪৫ ৭৫,৩২৭ ১৫,৪৮০
উইকেট ১৯ ১,১৫৭ ৪৩৬
বোলিং গড় ২৫.২১ ২৭.৭১ ২১.৬২
ইনিংসে ৫ উইকেট ৫৪
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৫/১০৪ ৮/৪০ ৬/৫২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/– ২৯২/– ৮৬/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৫ এপ্রিল ২০১৯

জন নীল শেফার্ড (ইংরেজি: John Shepherd; জন্ম: ৯ নভেম্বর, ১৯৪৩) সেন্ট অ্যান্ড্রুজের বেল্লাপেইন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বার্বাডীয় বংশোদ্ভূত বিখ্যাত ও সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট ও গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন জন শেফার্ড

শৈশবকাল[সম্পাদনা]

কনিষ্ঠ দুই ভ্রাতার মধ্যে রবার্ট দ্বীপপুঞ্জের যুব দলের পক্ষে খেলেছেন। থ্রী ডব্লিউ নামে খ্যাত - এভারটন উইকস, ফ্রাঙ্ক ওরেলক্লাইড ওয়ালকটের সফলতায় নিজেকে শৈশবে উজ্জ্বীবিত করেছিলেন জন শেফার্ড। তন্মধ্যে, এভারটন উইকসকে আদর্শের চূড়ায় নিয়ে সর্বদাই চিকন গোঁফ রাখতেন।

বার্বাডোসের এলিয়েন্স স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। সর্বদাই নিজেকে ক্রিকেটার হিসেবে ভাবতেন। ব্যাটিংয়ের দিকেই অধিক আগ্রহ ছিল তার। দ্বীপপুঞ্জে প্রথমবারের মতো উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানউইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯৬১ সালে বার্বাডোসের ছাত্রদের নিয়ে গঠিত দলকে নিয়ে জ্যামাইকা গমন করেন। দলটি উইকসের ব্যবস্থাপনায় এবং অপর তরুণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও লেগ-স্পিনার কিথ বয়েসের অংশগ্রহণ ছিল।

১৯৬৪ সালে তখনকার ফাস্ট বোলার জন শেফার্ড ও কিথ বয়েস উচ্চ মানসম্পন্ন ক্রিকেট খেলার উদ্দেশ্য নিয়ে ম্যাপল ক্লাবে যোগ দেন। ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে তারা বার্বাডোস বি দলের সদস্যরূপে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাভেলিয়ার্সের বিপক্ষে খেলেন। এ খেলার মাধ্যমেই তাদের খেলোয়াড়ী জীবনের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে পড়ে। কেন্ট অধিনায়ক কলিন কাউড্রে ক্যাভেলিয়ার্স দলের নেতৃত্বে ছিলেন ও দলটিতে ট্রেভর বেইলি’র ন্যায় এসেক্সের ব্যাটসম্যান ছিল। ঐ সময়ের পেস বোলার কিথ বয়েসকে দ্রুত এসেক্সের সদস্য করা হয় ও এর এক পক্ষকাল পর এপ্রিল, ১৯৬৫ সালে কেন্ট কর্তৃপক্ষ জন শেফার্ডকে চুক্তিবদ্ধ করে। দুই বছর দ্বিতীয় একাদশে খেলেন তিনি। পরিবর্তিত পরিবেশে স্বল্প দূরত্ব নিয়ে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন ও বলকে ঘুরানোর চেষ্টার দিকে মনোনিবেশ ঘটান জন শেফার্ড।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

দুই দশকের অধিককাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও রোডেশিয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুরদিকে বার্বাডোস দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[১][২] পরবর্তীকালে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে একাধিপত্য বজায় রেখেছিলেন জন শেফার্ড।

টেস্ট ক্রিকেটে স্বল্পকালের জন্যে অংশ নিতে পেরেছিলেন। তবে, বিভিন্ন মাঠে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেয়ার সুযোগ ঘটেছিল তার। দক্ষিণ আফ্রিকা ও রোডেশিয়ায় খেলেছেন তিনি। ১৫ বছর কেন্টে ও ৭ বছর গ্লুচেস্টারশায়ারের সদস্যরূপে কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

১৯৬৭ সালে প্রথমবারের মতো কেন্টের পক্ষে পূর্ণাঙ্গ মৌসুম খেলার সুযোগ হয় তার ও কাউন্টি ক্যাপ পরিধান করেন। ঐ মৌসুমের শীতকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ফিরে যান ও বার্বাডোসের প্রতিনিধিত্ব করেন। নববর্ষের দিনে এমসিসির বিপক্ষে বার্বাডোস বি দলের সদস্যরূপে খেলাকালীন ডেভিড ব্রাউনকে হুক মারার চেষ্টাকালে বুকে গুরুতর আঘাত পান। এরফলে প্রথম টেস্ট ও পরবর্তীতে সিরিজে আর অংশগ্রহণ করতে পারেননি জন শেফার্ড। পরবর্তী শীতকালে বার্বাডোসের পক্ষে খেলেন। ১৯৬৯ সালে প্রতিভাধর অল-রাউন্ডারে পরিণত হন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকা গমন[সম্পাদনা]

১৯৭৩ সালে ডিএইচ ডেরিক রবিন্সের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। এরফলে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনকারী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার হিসেবেস্বীকৃতি পান। ঐখানে একটিমাত্র পূর্ণাঙ্গ মৌসুম খেলেছিলেন। এরপর আর ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে তাকে খেলতে দেখা যায়নি। এরপর তিনি আরও দুইবার দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেছিলেন। ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমের শীতকালে রোডেশিয়ার পক্ষে কারি কাপে অংশ নেন। কারি কাপে রোডেশিয়ার পক্ষে এক মৌসুমে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ঐ সময়েই কেন্টে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করে ফেলেন। ঐ ক্লাবে ১৫ মৌসুম খেলেন। ১৯৭৯ সালে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্যে মনোনীত হন। অবসর গ্রহণের পর লেস অ্যামিস শেফার্ডের আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলায় সভাপতির ভূমিকায় আসীন ছিলেন।

এরপর ১৯৮২ সালে ৩৮ বছর বয়সে গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলার সুযোগ পান ও পরবর্তী ছয় বছর দূর্দান্ত খেলেন। নিজ দেশের পক্ষে কখনো খেলার সম্ভাবনা না থাকায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও বিদেশ সফরকেই বেছে নেন তিনি। এ ধারনার বশবর্তী হয়ে পরবর্তী শীতকালে গ্রেড ক্রিকেট খেলার উদ্দেশ্য নিয়ে মেলবোর্নে চলে যান। মেলবোর্নের গ্রেড ক্রিকেটে ফুটসক্রে’র পক্ষে দুই মৌসুম অতিবাহিত করেন জন শেফার্ড। সেখানে থাকাকালেই বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি। পরবর্তী শীতকালে ফুটসক্রে ক্লাবের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ পর্যায়ে ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ রাইডার পদক লাভ করেন।

কাউন্টি ক্রিকেটে অসামান্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৯ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন জন শেফার্ড। ১৯৬৯ মৌসুমের প্রথমার্ধ্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১২ জুন, ১৯৬৯ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল তার। ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার স্বপ্ন বাস্তবরূপ ধারণ করে।

১৯৬৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের সিরিজের মধ্যে তিন টেস্টে অংশ নিতে পেরেছিলেন। ম্যানচেস্টারে স্বাগতিক ইংরেজ দলের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট ক্রিকেটে খেলতে নামেন। অভিষেক টেস্টেই পাঁচ-উইকেট লাভের গৌরবগাঁথা রচনা করেন।[৩] প্রথম ইনিংসে ৫৮.৫ ওভার বোলিং করে ১০৪ রান খরচায় পাঁচ-উইকেট লাভের কৃতিত্ব দেখান। লর্ডসের দ্বিতীয় টেস্টে ৪৩ ওভারের বিনিময়ে ৩/৭৪ পান। এ সময়েই তার পিঠে আঘাত হানতে শুরু করে। ঐ সিরিজে ২২.১৬ গড়ে ১২ উইকেট দখল করেন।

প্রথম টেস্টে মাত্রাতিরিক্ত বোলিং করার কারণেই তার এ আঘাতপ্রাপ্তির সম্ভাবনার কথা বলা হয়। কিন্তু, জন শেফার্ড এ ধারনাকে অস্বীকার করেন। মৌসুমের বাদ-বাকী সময় তিনি খুব কমই বিশ্রামে ছিলেন। তবে, ঐ শীতে নিজ দেশে পুনরায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সদস্যরূপে দুই টেস্ট খেলেন।

১৯৭০-৭১ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে আরও দুই টেস্টে অংশ নেন। তবে, পিচের সহযোগিতা না পাওয়ায় তার বোলিং অনেকাংশেই অকার্যকর ছিল। খেলায় তেমন সাফল্য না পাওয়ায় তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটলে তিনি রাগান্বিত ও হতাশাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। তখল কেবলমাত্র স্বীকৃত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অল-রাউন্ডার হিসেবে গ্যারি সোবার্স ছিলেন। কেউই তার মূল্যায়ন করেননি।

মূল্যায়ন[সম্পাদনা]

কেন্টে থাকাকালীন প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌসুমে জিলেট কাপের শিরোপা লাভে প্রভূতঃ ভূমিকা পালন করেন। এরপর থেকেই কাউন্টি দলটি ধারাবাহিক সফলতা পেতে থাকে। ক্রমশঃ তার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। শুরুরদিকে লেসলি অ্যামিস ও কলিন কাউড্রের সহায়তা পান তিনি। দ্বিতীয় একাদশের অধিনায়ক কলিন পেজ এবং মাইক ডেনিস ও তদ্বীয় পত্নী মলি প্রথম কয়েক বছর নিজ গৃহে বসবাস করার সুযোগ দেন এবং পরিবারের অন্যতম সদস্যরূপে দেখতেন।

কেন্ট ও ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কলিন কাউড্রে তার সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, তিনি নিঃসন্দেহে শ্রেয়তর অল-রাউন্ডার ছিলেন। ইচ্ছে করলেই তিনি অনেকগুলো টেস্টে অংশ নিতে পারতেন। লেসলি অ্যামিসের অভিমত, তিনি ব্যাটিং, বোলিং ও চমৎকার ফিল্ডিং করে যুদ্ধের পর থেকে কেন্টের সেরা অল-রাউন্ডারের মর্যাদা পেয়েছেন। কেবলমাত্র কিংবদন্তীতুল্য ফ্রাঙ্ক ওলি’ই কেবল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি কেন্টের নিবেদিতপ্রাণ ও নিঃস্বার্থ চিত্তে খেলেছেন। তিনি নিজের চেয়ে দলকে এগিয়ে রেখেছিলেন।

অবসর[সম্পাদনা]

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর সাসেক্সের ইস্টবোর্ন কলেজে ক্রিকেট পেশাদার হিসেবে সাত বছর পার করেন। মার্চ, ১৯৯৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডভিত্তিক আমেরিকাস অঞ্চলের অ্যান্টিগুয়ায় আঞ্চলিক উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হন।

১৯৯০-এর দশকের শুরুতে ইস্টবোর্ন কলেজে ক্রিকেট প্রফেশনাল ও ২০১১ সালে কেন্টের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ২০১৭ সালেও কেন্টের সদস্যের মর্যাদা পেয়েছেন।[১][৪][৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. John Shepherd, CricInfo. Retrieved 2017-04-05.
  2. John Shepherd, Cricketer of the Year 1979, Wisden Cricketers' Almanack, 1979. Retrieved 2017-04-05.
  3. "1st Test: England v West Indies at Manchester, Jun 12–17, 1969"espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৮ 
  4. John Shepherd named Kent President for 2011, Kent County Cricket Club, 2010-10-21. Retrieved 2017-04-05.
  5. Current Members of the Kent County Cricket Club General Committee ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে, Kent County Cricket Club. Retrieved 2017-04-05.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]