লাকী ইনাম
লাকী ইনাম | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫২ |
পেশা | অভিনেতা, পরিচালক |
দাম্পত্য সঙ্গী | ইনামুল হক |
সন্তান | হৃদি হক প্রৈতি হক |
পুরস্কার | একুশে পদক শিল্পকলা পদক |
লাকী ইনাম (জন্ম সেপ্টেম্বর ৬, ১৯৫২)[১] হলেন একজন বাংলাদেশি নাট্য ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান। তিনি হুমায়ূন আহমেদের বহুব্রীহি, অয়োময় ও কোথাও কেউ নেই নাটকে অভিনয় করে পরিচিতি অর্জন করেন। নাট্য অভিনয়ে অবদানের জন্য ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।[২]
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
লাকি ইনাম ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৭২ সালে "নাগরিক নাট্য সমুদ্র" নাট্য দলে যোগ দেন এবং তার অভিনয় জীবন শুরু করেন।[৩] ১৯৮৭ সালে তিনি প্রথম নাটক করেন পিযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে। নাটকটির নাম ছিল "অনুভবে অনুভূতি"। তার বিখ্যাত কিছু চরিত্র ছিল শরমার "কণা", নুরুলদিনের সারাজীবন এ "আম্বিয়া", বহুব্রীহিতে "জনাবা ইশা", আওময়তে "বারা বউ"।[৪]
ইনাম বর্তমানে "নাগরিক নাট্যাঙ্গনের" সাধারণ সভাপতি।[৫] তিনি কিছু মঞ্চনাটকও পরিচালনা করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য "আমি বীরাঙ্গনা বলছি", "শারমা", "প্রাগৈতিহাসিক", "সেইসব দিনগুলি", "বিদেহ" এবং "মুক্তির উপায়"। [৬][৭][৮][৯] তিনি কিছু টেলিভিশন ধারাবাহিক নাটক পরিচালনা করেছেন। যেমন "আমাদের আনন্দ বাড়ি"। এই নাটকটি ইনামুল হকের উপন্যাস "গৃহবাসী গল্প" ও "শেষ রক্ষার" ওপর ভিত্তি করে বানানো।[১০][১১]
মঞ্চ নাটকে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ইনাম ১৯৮৪ সালে "এওয়ার্ড অব অনার" পুরস্কার লাভ করেন[৪] এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী হতে ‘শিল্পকলা পদক ২০১৪’ লাভ করেন।[১২]
লাকী ইনামের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে, ২০১২ সালে, নাগরিক নাট্যঙ্গন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ঢাকার জাতীয় নাট্যমঞ্চে ছয়দিনব্যাপী মঞ্চ নাটক প্রদর্শন করে।[১]
ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]
ইনাম মঞ্চ নাট্য ব্যক্তিত্ব ইনামুল হককে বিয়ে করেছেন। তাদের দুটি মেয়ে রয়েছে তাদের নাম হৃদি হক এবং প্রৈতি হক।[১৩]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "ষড়ৈশ্বর্য লাকী ইনাম"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "একুশে পদক ২০১৯ পাচ্ছেন ২১ বিশিষ্ট নাগরিক"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "আমার মধ্যে নাকি ছয়টি গুণ আছে: লাকী ইনাম"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৭।
- ↑ ক খ Ershad Kamol (অক্টোবর ২, ২০০৩)। "Lucky Inam and Dr. Inam : The duo romanticising the drama lane"। ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২২, ২০১৬।
- ↑ "নাগরিক নাট্যাঙ্গনের নাট্যোৎসব শুরু"। দৈনিক যুগান্তর। ২১ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৭।
- ↑ সৌরভ দে (আগস্ট ২৩, ২০১৩)। "The awakening of women"। ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২২, ২০১৬।
- ↑ "Celebrating 60th birthday of Lucky Enam"। ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সেপ্টেম্বর ৮, ২০১২। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২২, ২০১৬।
- ↑ জামিল মাহমুদ (সেপ্টেম্বর ৫, ২০১২)। "Bideha: Agonies of war victims" [বিদেহা: যুদ্ধ শিকারদের নিদারূণ যন্ত্রণা]। ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২২, ২০১৬।
- ↑ ""Pragoitihashik": Highlighting primitive human instincts"। ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সেপ্টেম্বর ১৫, ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২২, ২০১৬।
- ↑ Ershad Kamol (ডিসেম্বর ২৭, ২০০৫)। "Amader Ananda Bari : A new mega serial depicts a family saga"। ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২২, ২০১৬।
- ↑ "Telefilm "Shesh Rakkha" on Channel i"। ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। মে ১০, ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২২, ২০১৬।
- ↑ "নাট্যকলায় পদক পাচ্ছেন লাকী ইনাম"। প্রতিক্ষণ ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "লাকি ইনাম"। প্রিয়.কম। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে লাকী ইনাম (ইংরেজি)