মাল্টিমিডিয়া
![]() |
উইকিঅভিধানে মাল্টিমিডিয়া বা মাল্টিমিডিয়া শব্দটি খুঁজুন। |
মাল্টিমিডিয়া বা Multimedia এমন একটি মাধ্যম যাতে বিভিন্ন ধরনের তথ্যকে (যেমন লিপি, শব্দ, চিত্র, এনিমেশন, ভিডিও প্রভৃতি) একত্রে দর্শক/ব্যবহারকারীদের কাছে উপস্থাপন করা হয়। মাল্টিমিডিয়া দিয়ে ইলেকট্রনিক মাধ্যমকেও বোঝানো হতে পারে যেটির মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া সম্পর্কিত তথ্য ধারন, সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা হয়। শিল্পকলার মিশ্র শিল্পের সাথে মাল্টিমিডিয়ার অনেক মিল রয়েছে। "রিচ মিডিয়া" বা স্বয়ংসম্পূর্ণ মিডিয়া ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়ার আরেক নাম। মাল্টিমিডিয়া বলতে আসলে বোঝায় যে কম্পিউটারের তথ্যকে অডিও, গ্রাফিক্স, ছবি, ভিডিও ও এনিমেশন এবং এর সাথে লেখাও যুক্ত রেখে প্রকাশ করা যাবে।[১]
মাল্টিমিডিয়া কিছু মাধ্যমের সমষ্টি: | ||
---|---|---|
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
শ্রেণীকরণ[সম্পাদনা]
![]() |
![]() |
উপস্থাপনা |
ইন্টারঅ্যাকটিভ |
মাল্টিমিডিয়াকে স্থুলভাবে রৈখিক ও অ-রৈখিক শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। রৈখিক বিষয়গুলো কোন দিকনির্দেশনা ছাড়াই দর্শক দেখতে পারেন, যেমন চলচ্চিত্র। অ-রৈখিক বিষয়গুলো ব্যবহারকারীকে দিকনির্দেশনার সুযোগ দেয়া, যাতে ব্যবহারকারী তার পছন্দের বিষয় ব্যবহার করতে পারেন, যেমন কম্পিউটার গেমস, কম্পিউটার ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রভৃতি। অ-রৈখিক মাল্টিমিডিয়া হাইপারমিডিয়া নামে পরিচিত।
মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা সরাসরি বা ধারনকৃত হতে পারে। ধারনকৃত বিষয়কে বিশেষ দিকনির্দেশনার সফটওয়ার পদ্ধতির মাধ্যমে ইন্টারঅ্যাকটিভরুপে প্রকাশ করা যেতে পারে। সরাসরি উপস্থাপনাকে উপস্থাপকের সাহায্যে ইন্টারঅ্যাকটিভ করা যেতে পারে।
বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]
![]() |
![]() |
ধারণকৃত |
সম্প্রচার |
বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার করে মাল্টিমিডিয়া তৈরি/রেকর্ড করা যায়। যেমন মাইক্রোফোন,ভিডিও ক্যামেরা,স্পিকার,ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার,স্ক্যানার ইত্যাদি। মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা মঞ্চে প্রজেক্টরের মাধ্যমে অথবা ঘরে মিডিয়া প্লেয়ার এর সাহায্যে দেখানো যায়। সম্প্রচার হচ্ছে মাল্টিমিডিয়ার একটি রূপ যেখানে স্থানীয়ভাবে ধারনকৃত অথবা সরাসরি কোন অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। সম্প্রচার এবং ধারণকৃত অনুষ্ঠান অ্যানালগ বা ডিজিটাল দুটি প্রযুক্তিতেই ব্যবহার করা যায়। ডিজিটাল অনলাইন মাল্টিমিডিয়া অনলাইন থেকে নামিয়ে দেখা যায়, অথবা সরাসরি অনলাইন থেকেও দেখা যায়। শেষোক্ত পদ্ধতিকে স্ট্রিমিং মিডিয়া বলে। স্ট্রিমিং মিডিয়া ধারণকৃত বা সরাসরি হতে পারে।
মাল্টিমিডিয়া গেমস ব্যক্তিগতভাবে একা খেলা যায় অথবা নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে অনলাইনে ইন্টারনেটে বা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে একাধিক ব্যক্তি গেমসে যুক্ত হতে পারে।
মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তির বিভিন্ন ফরম্যাট ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণে আবিষ্কৃত হয়েছে।
বিভিন্ন ফরম্যাটের মাধ্যম ব্যবহারের মাধ্যমে উচ্চতর স্তরের ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া দেখানো সম্ভব হচ্ছে। অনলাইন মাটিমিডিয়া বর্তমানে আরো অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড এবং তথ্য-দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন সফটওয়ারের মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়াকে ব্যবহারকারীর কাছে বিচিত্র উপায়ে ও সহজে উপস্থাপন করা যাচ্ছে। এর উদাহরন হচ্ছে ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীদের তৈরিকৃত গ্যালারি, যাতে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছবি আপডেট করার ব্যবস্থা করা যায়।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Vaughan, Tay, 1993, Multimedia: Making It Work (first edition, আইএসবিএন ০-০৭-৮৮১৮৬৯-৯), Osborne/McGraw-Hill, Berkeley.