কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ময়মনসিংহ কে বি কলেজ | |
---|---|
![]() | |
অবস্থান | |
![]() | |
বাকৃবি ক্যাম্পাস, , ২২০২ | |
তথ্য | |
প্রাক্তন নাম | কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারমিডিয়েট কলেজ |
ধরন | বেসরকারী মহাবিদ্যালয় |
নীতিবাক্য | জ্ঞানই আলো, আলোই শক্তি |
প্রতিষ্ঠাকাল | সেপ্টেম্বর ২৩, ১৯৮৫ |
কলেজ কোড | 7275 |
ইআইআইএন | 111913 |
চেয়ারম্যান | প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম সরদার |
অধ্যক্ষ | ড. এম. আতাউর রহমান |
অনুষদ | বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা |
শিক্ষকমণ্ডলী | ৩০ |
কর্মচারী | ২২ জন |
শ্রেণি | একাদশ-দ্বাদশ |
লিঙ্গ | সহশিক্ষা |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ১৭০০ জন |
• ১১শ শ্রেণি | ৮৫০ |
• ১২শ শ্রেণি | ৮৫০ |
ভাষা | বাংলা |
সময়সূচি | ৯:০০ - ১:৪০ |
শিক্ষায়তন | ৩ একর |
ক্যাম্পাসের ধরন | নিজস্ব |
রং | সাদা (শার্ট) ডিপ মেরুন (প্যান্ট) |
প্রকাশনা | অদম্য |
ওয়েবসাইট | www |
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (ইংরেজি: Agricultural University College) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মনোরম পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় এর আওতায় পরিচালিত একটি উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের এমপিওভুক্ত বেসরকারি কলেজ। এটি ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত। ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে অসংখ্য মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থী গড়ে তুলেছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
পরিচিতি
[সম্পাদনা]২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৮৫ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পৃষ্ঠপোষকতায় এ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেইট সংলগ্ন এলাকায় এক মনোরম সুন্দর পরিবেশে অবস্থিত কলেজটি তার স্বকীয়তা ও নিজস্ব সৃষ্টিশীলতার কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যেই সুপরিচিত লাভে সক্ষম হয়। স্বল্পসময়ের ব্যবধানে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের মধ্যে একমাত্র কলেজ হিসেবে কলেজটি তৎকালীন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে সেরা দশে স্থান করে নেয়।[১][২] ক্রমবিকাশমান সামাজিকচাহিদা পূরণ, দায়বদ্ধতা,স্বচ্ছতা,মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভবিষ্যতের সুনাগরিক হিসেবে দক্ষ,যোগ্য ও সৃজনশীল মানবসম্পদ সৃষ্টি এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মানে এ কলেজে অঙ্গীকারবদ্ধ । কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিস্তারে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল কলেজ হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছে। সম্প্রতি কলেজটিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং মানসম্পন্ন উন্নতশিক্ষার বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মুক্তচিন্তার বিকাশ ও আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান প্রসারের ক্ষেত্র হিসেবে কলেজটি গড়ে উঠেছে। কলেজটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিশীলিত আবহমান শিক্ষার পরিবেশ বিদ্যমান। দীর্ঘপথ অতিক্রম করে আজ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ বাংলাদেশের ময়মনসিংহ অঞ্চলে একটি আদর্শ বিদ্যাপীঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।[৩][৪]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ও বসবাসকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা গ্রহণের কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং সরকারি অনুমোদন নিয়ে ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (কে.বি. কলেজ) এর কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৮৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১২ (বারো) সদস্য বিশিষ্ট একটি অর্গানাইজিং কমিটি গঠন করে। ২৪শে সেপ্টেম্বর ১৯৮৫ সালে অনুষ্ঠিত অর্গানাইজিং কমিটির প্রথম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পুরাতন ভবনের তিনটি কক্ষে সাময়িকভাবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পথযাত্রা শুরু হয়।[৫]
১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগে মোট ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে কলেজের শিক্ষাদান কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। ১৯৮৫ সালের ০৪ ও ০৫ ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট এর ১৬৬ তম সভায় কলেজ কার্যক্রমের অনুমোদন প্রদান করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেইট সংলগ্ন খোলা মাঠসহ তিন একর জমি কলেজের জন্য বরাদ্দের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।[৫]
প্রতিষ্ঠাকালীন কলেজে পাঠদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার কাজে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন নিবেদিতপ্রাণ বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষক স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। বিশেষ অভিজ্ঞতা থাকার সুবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমবায় ও বিপনন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ.ফ.ম ফজলুল হককে নবগঠিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এর অধ্যক্ষের দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়। সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় স্বল্প সময়ে কলেজের একটি সুন্দর ও গতিশীল ভিত রচিত হয়। ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জুলাই কলেজটি সরকারি এমপিও ভুক্তির আওতাভুক্ত হয়।[৫]
অল্প সময়ের মধ্যেই কলেজের ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। অপর দিকে, আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় কলেজে ভর্তির প্রতিযোগিতা ক্রমেই প্রকট হতে থাকে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক বাসিন্দাগণের সন্তানদের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য এ কলেজ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। ঢাকা শিক্ষাবোর্ড হতে কলেজের এফিলিয়েশনের ১ম শর্ত পূরণ হিসেবে কলেজের নিজস্ব ভবন নির্মাণের সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে। এ ভাবনার অবসান ঘটাতে ২০০৩ সালে শিক্ষার সুযোগ ও সম্প্রসারণের মহৎ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কলেজ কর্তৃপক্ষ একমত হয়ে একক অবকাঠামোর মধ্যে ১২৫ জন অতিরিক্ত ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে খ-শাখা খুলে এক নবদিগন্তের সূচনা করেন। শিক্ষকগণ নিবেদিত প্রাণরূপে এ দায়িত্ব পালনে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ হন। ২০০৫ সনে গভর্নিং বডির তৎকালীন সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম সরকারের নেতৃত্বে ও কলেজের নিজস্ব অর্থায়নে নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নতুন ক্যাম্পাসে নতুন ভবন তৈরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম। তৈরি হয় সুপরিসর আধুনিক ক্লাসরুম।[৫]
প্রায় ৪০ বছর পূর্বে পথচলার শুরু করে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ আজ স্ব মহীমায় উজ্জ্বল । মাত্র ৬৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এ কলেজের পথচলা শুরু হলেও এ পর্যন্ত অসংখ্য শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠানকে সোপান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রকৌশলী, ডাক্তার, আইনজীবী, বিচারক, কৃষিবিদ ও প্রশাসনসহ অন্যান্য পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করে কলেজের মর্যাদাকে দেশ ছাড়িয়ে দেশের বাইরেও প্রসিদ্ধ এনে দিয়েছে। বর্তমানে এ কলেজে দুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। [৫]
অবস্থান
[সম্পাদনা]
ময়মনসিংহ শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দক্ষিণে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম প্রান্তে প্রায় ৩ একর জায়গা নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মনোরম ও দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে গড়ে উঠেছে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। রাজধানী ঢাকা থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে এর অবস্থান। বাকৃবির ১ নং গেইটের পাশেই কলেজটি অবস্থিত।
অবকাঠামো
[সম্পাদনা]
বর্তমানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের নিজস্ব ৩ একর ভূমিতে কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে একটি ৪ তলাবিশিষ্ট ভবন, দুটি ৩ তলাবিশিষ্ট ভবন এবং একটি একতলাবিশিষ্ট ভবন। এর মধ্যে ৪ তলাবিশিষ্ট ভবনটিকে প্রশাসনিক ভবন এবং অন্যান্য ভবনগুলোকে একাডেমিক ভবন হিসেবে ব্যবহার করে কলেজটির যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কলেজটিতে প্রবেশের জন্য দুইটি গেইট রয়েছে। কলেজের বাস, গাড়ি ও সাইকেল, বাইক রাখার জন্য পৃথক পার্কিং এর ব্যবস্থা এবং নিজস্ব ক্যান্টিন রয়েছে। কলেজের সামনের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে একটি খেলার মাঠ। অন্যপাশে রয়েছে একটি ফুলের বাগান এবং একটি ছোট লেক, যাতে রয়েছে নান্দনিক জলাধার । কলেজ প্রাঙ্গনে রয়েছে একটি দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার। সুবিশাল সীমানা প্রাচীরসহ নান্দনিক প্রধান গেইট সংলগ্ন স্থানে নির্মিত হয়েছে ভাষা শহীদদের ম্যুরাল। এছাড়া কলেজের একেবারে সামনের অংশে রয়েছে বিখ্যাত ভাস্কর শ্যামল চৌধুরীর হাতে গড়া ভাষ্কর্য "বিমূর্ত মুক্তিযুদ্ধ"।[৬]

ভিশন
[সম্পাদনা]মানসম্পন্ন প্রযুক্তিগত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে দেশমাতৃকার সার্বিক উন্নয়ন ও ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত 'বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ' বিনির্মানে দক্ষ মানবসম্পদ, শিক্ষাব্রতী ও যুগোপযোগী মেধাসম্পন্ন কারিগর তৈরির উপযুক্ত প্রায়োগিক শিক্ষা প্রদান নিশ্চিত করা।[৭]
মিশন
[সম্পাদনা]কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে উদ্ভাবনী, অপার সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বিচক্ষণ, দক্ষ, উচ্চতর দক্ষতা সম্পন্ন মানবসম্পদ গড়ে তোলা; ডিজিটাল প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানভিত্তিক অনাবিল শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ বিনির্মাণ, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যুগোপযোগি পেশাদার (প্রফেশনাল) তৈরি করা, যারা শিক্ষা উনয়নে নেতৃত্ব দিয়ে ব্যক্তি-সমাজ-দেশ ও পৃথিবীর বুকে অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে এবং সামগ্রিক উন্নয়নে ব্যপক প্রসারতা সৃষ্টি করবে।[৭]
বিভাগসমূহ
[সম্পাদনা]বিজ্ঞান (১৯৮৫ সাল থেকে)
ব্যবসায় শিক্ষা (২০১৩ সাল থেকে)
মানবিক (২০২৫ সাল থেকে)
গভর্নিং বডি
[সম্পাদনা]কলেজটির গভর্নিং বডি ৭ সদস্য বিশিষ্ট। এর মধ্যে একজন চেয়ারম্যান, তিনজন অভিবাবক সদস্য, দুইজন শিক্ষক প্রতিনিধি এবং একজন সদস্য সচিব রয়েছেন।[৮] কলেজের গঠনতন্ত্র অনুসারে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে গভর্নিং বডির সদস্যগণের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ।
শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকমন্ডলী
[সম্পাদনা]
কলেজটিতে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের অধীনে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের ফলাফল সন্তোষজনক। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাতেও কলেজের শিক্ষার্থীদের সাফল্য প্রশংসনীয়। বিপুল সংখ্যক এই শিক্ষার্থীর পাঠদানে নিয়োজিত আছেন প্রায় ৩০ জন দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী। দায়িত্বশীল এবং বন্ধুসুলভ হওয়ায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষকদের সুনাম রয়েছে। শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যায় সহযোগীতায় তাঁরা নিবেদিতপ্রাণ।
পদ | সংখ্যা |
---|---|
অধ্যক্ষ | ১ জন |
সহকারী অধ্যাপক | ১০ জন |
প্রভাষক | ১৪ জন |
প্রদর্শক | ৩ জন |
সিনিয়র শিক্ষক | ১ জন |
শরীরচর্চা শিক্ষক | ১ জন |
মোট | ৩০ জন |
শিক্ষার্থী | সংখ্যা | সর্বমোট | ||
---|---|---|---|---|
একাদশ | বিজ্ঞান বিভাগ | ৭৩০ জন | ৮৫০ জন | ১৭০০ জন |
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ | ১২০ জন | |||
দ্বাদশ | বিজ্ঞান বিভাগ | ৭৩০ জন | ৮৫০ জন | |
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ | ১২০ জন |
পদ | সংখ্যা |
---|---|
৩য় শ্রেণির কর্মচারী | ৫ জন |
৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী | ১৭ জন |
সহশিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রয়েছে রোভার স্কাউটিং[৯], রেড ক্রিসেন্ট, জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা, জোনাল ফিজিক্স অলিম্পিয়াড ও জোনাল আর্থ-অলিম্পিয়াড পরিচালনার নিজস্ব ভেন্যু। শুরু থেকেই বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ভেন্যু হিসেবে প্রায় প্রতিবছর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ আঞ্চলিক পর্যায়ের অনুষ্ঠানের আয়োজকের ভূমিকা পালন করে আসছে।[১০][১১] কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের জাতীয় দিবস উদ্যাপন কমিটি, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কমিটি, ক্রীড়া কমিটি সহ প্রভৃতি কমিটির উদ্যোগে প্রতিবছর বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। জাতীয় বিভিন্ন দিবস উদযাপনের পাশাপাশি নবীনবরণ, বিদায় অনুষ্ঠান, মিলাদ মাহফিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি উদযাপন করা হয়। প্রতিবছর কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শিক্ষাসফরে গমন করে নানান অভিজ্ঞতা অর্জন করে। এছাড়া বিভিন্ন ধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন তো আছেই। এর মধ্যে আন্তঃসেকশন বিভিন্ন ক্রিড়া প্রতিযোগিতা উল্লেখযোগ্য; যেখানে ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, অ্যাথলেটিক্স সহ প্রভৃতি খেলার আয়োজন করা হয় । প্রতিবছরের শুরুতে সাত দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় 'কলেজ সপ্তাহ'। এই অনুষ্ঠানে ক্রিড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিজ্ঞান প্রজেক্ট ও দেয়ালিকা উপস্থাপন প্রভৃতি ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হয় জাঁকজমকপূর্ণ "কলেজ ডে"। কলেজ ডে-তে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী- উভয়ের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় বিভিন্ন সংগীত, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, ফ্যাশন শো, কৌতুকাভিনয়, নাটিকা ইত্যাদি।
বৈশিষ্ট্য ও সুবিধাসমূহ
[সম্পাদনা]- মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম
- লাইব্রেরী
- পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব
- রসায়ন ল্যাব
- জীববিজ্ঞান ল্যাব
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ল্যাব
- কলেজ ক্যাম্পাসে ইন্টারনেট সুবিধা
- সকল কক্ষসহ কলেজ প্রাঙ্গন সিসি ক্যামেরার আওতাধীন
- শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, ফলাফল প্রস্তুত এবং অভিবাবকগণকে এ বিষয়ে অবহিতকরণের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার
- নিজস্ব ক্যান্টিন
- নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা
- প্রার্থনাগার
- নিজস্ব সাউন্ড সিস্টেম ও আসন ব্যবস্থা্পনা
- প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার
- সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে বেতন আদায়
- ডিজিটাল স্টুডেন্ট প্রোফাইলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হিসাব ব্যবস্থাপনা
গ্যালারি
[সম্পাদনা]-
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রশাসন ভবন (পূর্ববর্তী একাডেমিক ভবন-৩)
-
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ একাডেমিক ভবন-২
-
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ একাডেমিক ভবন-১
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ নিজামুল হক ও শেখ মহিউদ্দিন (সেপ্টেম্বর ৭, ২০০৭)। "রাজধানীর বাইরে ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ উঠে এসেছে..."। দৈনিক ইত্তেফাক (দ্বিতীয় সংস্করণ)।
- ↑ ময়মনসিংহ প্রতিনিধি (জুলাই ১৮, ২০১০)। "ময়মনসিংহে সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।" যুগান্তর।
- ↑ "Neti CMS"। www.neticms.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৭।
- ↑ "Mymensingh"। BAU Campus , Mymensingh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-০৫।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০১৩-১২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ Dhakatimes24.com। "বাকৃবিতে মুক্তিযুদ্ধের দুই ভাস্কর্য"। Dhakatimes News। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১৩।
- ↑ ক খ "Mymensingh"। BAU Campus , Mymensingh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-০৫।
- ↑ "Mymensingh"। BAU Campus , Mymensingh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-০৫।
- ↑ "বাকৃবির কেবি কলেজে ৩২ রোভারের দীক্ষা গ্রহণ"। খবর সংযোগ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৭।
- ↑ অনলাইন, আওয়ার ভয়েস (২০২৫-০১-১২)। "কেবি কলেজে ১৫তম ফিজিক্স অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা"। আওয়ার ভয়েস অনলাইন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৭।
- ↑ "ময়মনসিংহে ফিজিক্স অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত"। জাগো নিউজ। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ মে ১৭, ২০২৫।