বিষয়বস্তুতে চলুন

নরম্যান কাউয়ান্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নরম্যান কাউয়ান্স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
নরম্যান জর্জ কাউয়ান্স
জন্ম (1961-04-17) ১৭ এপ্রিল ১৯৬১ (বয়স ৬৩)
সেন্ট মেরি, জ্যামাইকা
ডাকনামফ্লাশ
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫০০)
১২ নভেম্বর ১৯৮২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট১৩ জুন ১৯৮৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৬৭)
১১ জানুয়ারি ১৯৮৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই৩ জুন ১৯৮৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৯ ২৩ ২৩৯
রানের সংখ্যা ১৭৫ ১৩ ১৬০৫
ব্যাটিং গড় ৭.৯৫ ২.৬০ ৮.৯১
১০০/৫০ -/- -/- -/১
সর্বোচ্চ রান ৩৬ ৪* ৬৬
বল করেছে ৩৪৫২ ১২৮২ ৩৩০২৩
উইকেট ৫১ ২৩ ৬৬২
বোলিং গড় ৩৯.২৭ ৩৯.৬৯ ২৪.৮৬
ইনিংসে ৫ উইকেট - ২৩
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৬/৭৭ ৩/৪৪ ৬/৩১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৯/- ৫/- ৬৩/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৫ নভেম্বর ২০১৯

নরম্যান জর্জ কাউয়ান্স (ইংরেজি: Norman Cowans; জন্ম: ১৭ এপ্রিল, ১৯৬১) জ্যামাইকার সেন্ট মেরি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ার ও মিডলসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ‘ফ্লাশ’ ডাকনামে পরিচিত নরম্যান কাউয়ান্স। ঘণ্টায় প্রায় ১০০ মাইল গতিবেগে বোলিংয়ে সক্ষমতার কারণে ‘ফ্লাশ’ ডাকনামে আখ্যায়িত হন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

জ্যামাইকার সেন্ট মেরি পারিশের এনফিল্ড এলাকায় নরম্যান কাউয়ান্সের জন্ম। এগারো বছর বয়সে পরিবারের সাথে ইংল্যান্ডে চলে যান। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে প্রথমে মিডলসেক্স ও পরবর্তীতে হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে খেলেন। সর্বমোট পনেরো মৌসুমে তিনবার চ্যাম্পিয়নশীপ ও চারবার সীমিত ওভারের প্রতিযোগিতায় শিরোপা বিজয়ী দলের সাথে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। সবগুলোই মিডলসেক্সের পক্ষে ভূমিকা রাখেন।

১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত নরম্যান কাউয়ান্সের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ২১ বছর বয়সে মাত্র ৪৩টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভ করা অবস্থাতেই ইংল্যান্ড দলের পক্ষে খেলার জন্যে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বলে গতিসঞ্চার করতে না পারলেও সিমারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

১৯৮৩ সালের বিএন্ডএইচ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় ৪/৩৯ পান। তন্মধ্যে, শেষ মুহূর্তে তিনটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে, মিডলসেক্স দল পয়েন্ট তালিকায় এসেক্সকে টপকে যায় ও চারটি সীমিত ওভারের প্রতিযোগিতার শিরোপা বিজয়ের প্রথমটিতে ভূমিকা রাখতে সমর্থ হন।

মূলতঃ ১১ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামতেন। তাসত্ত্বেও, ১৯৮৪ সালে লর্ডসে সারের বিপক্ষে একমাত্র অর্ধ-শতক করেন। এরজন্যে তিনি মাত্র ১৯ বল খরচ করেছিলেন। এ পর্যায়ে সিলভেস্টার ক্লার্কের স্বাভাবিক বোলিংশৈলী বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৯ টেস্ট ও ২৩টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন নরম্যান কাউয়ান্স। ১২ নভেম্বর, ১৯৮২ তারিখে পার্থে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরফলে, ইংল্যান্ডের ৫০০তম টেস্ট ক্যাপধারী খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।[] ১৩ জুন, ১৯৮৫ তারিখে লিডসে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৮২-৮৩ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দলের সাথে বিদেশ গমন করেন। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজে অংশ নিলেও প্রায়শঃই বলকে নিখুঁত ও সঠিক দিকে রাখতে পারেননি। অধিনায়ক বব উইলিসের নির্দেশক্রম বলকে মাটিতে গড়িয়ে বোলিং করতে বাধ্য হন। এ পর্যায়ে মেলবোর্নের চতুর্থ টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১৯৮১ সালে অ্যাশেজ চলে যাবার পর তা করায়ত্ত্ব করতে জয়ের প্রয়োজন পড়েছিল।

১৯৮৩ সালে এমসিজিতে নিজের খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা খেলা উপহার দেন। ৬/৭৭ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে দলকে জয় এনে দেন।[] এরপূর্বে প্রথম ইনিংসে তিনি ২/৬৯ পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে, প্রথম বলেই গ্রেগ চ্যাপেলের উইকেট পান। ঐ খেলায় ইংল্যান্ড দল নাটকীয়ভাবে তিন রানের ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। পাঁচ দিনের ঐ খেলায় কাউয়ান্স ইংরেজ ক্রিকেটে তারকা বনে যান। সিডনির পঞ্চম টেস্টে সিরিজের ফলাফল আনয়ণে অগ্রসর হলেও খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়।

বিখ্যাত নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেট তারকা স্যার রিচার্ড হ্যাডলি’র ২০০তম টেস্ট উইকেট শিকারে পরিণত হন তিনি। এ প্রসঙ্গে হ্যাডলি মন্তব্য করেন যে, এ মাইলফলক অর্জনের সাথে ডেভিড গাওয়ার, ডেরেক র‍্যান্ডল কিংবা অ্যালেন ল্যাম্বকে শিকার হিসেবে পেলে আনন্দ পেতাম। তবে, দূর্ভাগ্যবশতঃ ফ্লাশ এ ঘটনার সাথে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন।

এরপর আর তাকে এ ধরনের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে দেখা যায়নি। এছাড়াও, বিস্ময়করভাবে ২৫ বছর পূর্তির পূর্বেই টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি ঘটান। বর্তমানে তিনি স্কাই নিউজ ও বিবিসি নিউজ ২৪-এ নিয়মিতভাবে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এছাড়াও, নিজস্ব ক্রীড়া বিপণন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Norman Cowans"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-০৫ 
  2. "The king of swing"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৭ 
  3. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 43আইএসবিএন 1-869833-21-X 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]