চিকমিক বিজুলী
চিকমিক বিজুলী | |
---|---|
পরিচালক | ভূপেন হাজারিকা |
প্রযোজক | তারাচান্দ বরজাত্য, ভূপেন হাজারিকা |
চিত্রনাট্যকার | ভূপেন হাজারিকা |
কাহিনিকার | ভূপেন হাজারিকা |
শ্রেষ্ঠাংশে | বিদ্যা রাও বিজয় শঙ্কর |
সুরকার | ভূপেন হাজারিকা |
চিত্রগ্রাহক | অনিল গুপ্ত |
মুক্তি | ২৮ অক্টোবর ১৯৬৯ |
দেশ | ভারত |
ভাষা | অসমীয়া |
চিকমিক বিজুলী ১৯৬৯ সালে মুক্তি পাওয়া একটি অসমীয়া চলচ্চিত্র। ছবির পরিচালনা, সঙ্গীত, কাহিনী, চিত্রনাট্য এবং গান রচনা ভূপেন হাজারিকার। ছবিটি রাজশ্রী প্রোডাকশনের তারাচান্দ বরজাত্য এবং কামরূপ চিত্রের ভূপেন হাজারিকা যৌথভাবে প্রযোজনা করেন। ছবিটির গানের লং প্লেয়িং রেকর্ড করা হয়েছিল। এটিই ছিল লং প্লেয়িং রেকর্ড তোলা প্রথম আসমীয়া ছবি। তাছাড়া এতে হিন্দী ছবির অনেক অভিনেতাও অভিনয় করেন।[১]
কাহিনী[সম্পাদনা]
বিজুলি এক দারোয়ানের মেয়ে। গুয়াহাটির ফাঁসিবাজার এলাকায় যে রহস্যের মত ঘুরে বেড়ায়, কালক্ষেপণে ভ্রূক্ষেপ না করা মেয়েটির নাচ গানে সময় যেত। এই মেয়েটি একদিন সত্রীয়া নাচ শিখে। পরে নাচ শিখাতে নাচের বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে যায়। একদিন আপত্তি আসে। দারোয়ানের মেয়ে যে পথে-ঘাটে ঘুরে বেড়ায় আর সিগারেট খায় সে কীভাবে ছেলেমেয়েদের নাচ শিখাবে? বিজুলী অপমানিত হয়। নাচের বিদ্যালয় বন্ধ হয়।
শহরের বিখ্যাত ব্যবসায়ী ও পখিরাজ সিগারেট কোম্পানির মালিক, কেশ মহাজন ও তার পরিচালক বনমালী সাইকিয়া, কৌশলে বিজুলীকে সিগারেট কোম্পানির প্রচারের প্রস্তাব দেয়। শহরের বদনামী এলাকায় থাকতে দেয়। সেখানে তার সঙ্গী হয় বিধবা আজলী এবং তার ভাইয়ের ছেলে। প্রশান্ত, হরজিত সিং-এর গ্যারেজে মিস্ত্রির কাজ করেন। বিজুলীকে ভালোবেসে বিয়ের প্রস্তাব দেয় প্রশান্ত কিন্তু কেশ মহাজন ও বনমালী সাইকিয়া এই বিয়ে বন্ধ করে দেয়। কারণ তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।
অভিনয়ে[সম্পাদনা]
- বিদ্যা রাও
- বিজয় শঙ্কর
- প্রশান্ত বরুয়া
- কুলদা কুমার ভট্টাচার্য
- দোস্ত হবিবুর রহমান
- জহর রায়
- তচদ্দুক ইউসুফ
- রুমা গুহঠাকুরতা
- শশাঙ্ক সোম
- জয়রাজ
- মনমোহন
- ভোলা কাকতি
- দেববালা চলিহা
- অরুণ রায়
- ডেভিদ
- ইলা কাকতি (নৃত্যশিল্পী) ইত্যাদি
সঙ্গীত[সম্পাদনা]
ছবির সঙ্গীত পরিচালনা এবং গান রচনা ভূপেন হাজারিকার। এতে বলিউডের কণ্ঠশিল্পী কিশোর কুমার, মুকেশ এবং সুমন কল্যাণপুরও ভূপেন হাজারিকা এবং জয়ন্ত হাজারিকার সাথে গান গেয়েছেন।[২]
ক্রমিক নং | গানের শীর্ষক | গীতিকার | কণ্ঠ |
---|---|---|---|
১ | পক্ষীরাজ ঘোরা খট্ খট্ খটকৈ দৌরা, মোর কপাল ফটা পাখি দুখনো কটা | ভূপেন হাজারিকা | কিশোর কুমার, ভূপেন হাজারিকা |
২ | মৃত্যুক সাবতি সমাধি তলীতে অকলে আছোহি শুই | ভূপেন হাজারিকা | জয়ন্ত হাজারিকা |
৩ | ঘর আমার মাটি হয় মাটি ঘর, বাটেই আমার আপোন হয় আপোনেই ঘর | ভূপেন হাজারিকা | ভূপেন হাজারিকা, মুকেশ |
৪ | মিলনর এই শুভক্ষণ পখিলা উরাদি উরে মন | ভূপেন হাজারিকা | ভূপেন হাজারিকা, সুমন কল্যাণপুর |
৫ | বিজুলীর পোহর মোর নাই, তথাপি এন্ধারে মোলৈ র লাগি চায় | ভূপেন হাজারিকা | সুমন কল্যাণপুর |
৬ | চম্মা থাকিলে জরুর জরুর পরোবানা যে আহিবই | ভূপেন হাজারিকা | ভূপেন হাজারিকা |