পার্বতী প্রসাদ বরুয়া
![]() | এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ৪ মাস আগে Amrit barman (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
পার্বতী প্রসাদ বরুয়া (অসমীয়া: পাৰ্ৱতী প্ৰসাদ বৰুৱা) আসামের সাহিত্য জগতের একজন উজ্বল তারকা। তিনি গীতিকবি নামে বিখ্যাত। তিনি একাধারে কবি, নাট্যকার ও গীতিকার। অসমীয়া চলচ্চিত্র জগতের সহিত তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ১৯৮০ সালে তিনি রূপহী চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। এটি ছিল তাঁর চতুর্থ চলচ্চিত্র। তিনি অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি খুপিতরা নামক আলোচনা পত্রিকা হাতেলিখে প্রকাশ করতেন। খুপিতরা বন্ধ হওয়ার পর তিনি ও তাঁর ভাই মোক্ষদা প্রসাদের সাথে ঘর-জেউতি প্রকাশ করতেন। তিনি ১৯৬১ সালে গোয়ালপাড়ায় অনুষ্ঠিত অসম সাহিত্য সভার সঙ্গীত সন্মিলনে সভাপতিত্ব করেছিলেন।
জন্ম ও বংশ পরিচয়[সম্পাদনা]
পার্বতী প্রসাদ বরুবার পূর্বপূরুষ ছিলেন কৃষ্ণদাস। তিনি বর বারভুইয়ার লহকর ভুইয়ার ফৈদের সন্তান ছিল। চন্দ্রকান্ত সিংহ দিনে কৃষ্ণকান্ত ভড়ালী বরুয়া ও তাঁর পুত্র যাদুরাম বর ভাণ্ডার বিষয়া উপাধি পেয়েছিলেন। শীর্ণদেহর জন্য তাঁকে লেরেলি ডেকা বরুয়া বলে সবাই ডাকতেন। যাদুরাম ডেকা বরুয়া ব্রিটিশ আমলে মনসুপ ও সদরামিন উপাধি পেয়েছিলেন। কৃষ্ণকান্ত বরুয়ার দুইজন পুত্র ক্রমে যাদুরাম ও দুর্গাপ্রসাদ। দুর্গাপ্রসাদের তিনজন পুত্র ক্রমে রাধিকাপ্রসাদ, ভবানীপ্রসাদ ও তারিণিপ্রসাদ। রাধিকাপ্রসাদ ১৮৯৮ শকাব্দে যোড়হাটের বিষ্ণুরাম বরুয়ার দ্বিতীয় কন্যা হিমলা বরুয়াকে বিবাহ করেন। ১৯০৪ সালে ১৯শে আগস্ট তারিখে শিবসাগর জেলায় রাধিকাপ্রসাদের ঔরসে ও হিমলা বরুয়ার গর্ভে পার্বতী প্রসাদ বরুয়ার জন্মলাভ করেন। তাঁর ভাই-বোনদের নাম ক্রমে ভগবতী প্রসাদ বরুয়া, কমলা প্রসাদ বরুয়া, কমলা প্রসাদ বরুয়া, কামাখ্যা প্রসাদ বরুয়া, মোক্ষ প্রসাদ বরুয়া, সুধালতা ও প্রতিমা। তাঁর পিতা অসম কাউন্সিলের সদসভ ছিলেন ও তিনি রায় সাহবে উপাধি পেয়েছিলেন। ১৯৩৪ সালে তিনি পদ্মকুমারী বরুয়াকে বিবাহ করেন। তাঁদের সন্তানের নাম সান্তনা বরুয়া ও প্রণবিরাম বরুয়া।